প্রাচীন গীতা - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

09 August, 2020

প্রাচীন গীতা

প্রাচীন গীতা
ভারত মহাসাগর অন্তর্গত যবদ্বীপে প্রথমে হিন্দু রাজ্য ছিল, 1478 খ্রিস্টাব্দে যখন যবদ্বীপে মুসলিম রাজ্য স্থাপিত হয় ৷ তখন যবদ্বীপের বাহুরাহু নামক জনৈক ব্রাহ্মণ বহু শত শাস্ত্র গ্রন্থ সাথে নিয়ে আত্মরক্ষার্থে বালিদ্বীপে এসেছিলেন। সেই ব্রাহ্মণের আনিত মহাভারতের ভীষ্পর্ব অন্তগর্ত এক গীতা পাওয়া গেছে যাতে মাত্র ৭০টি শ্লোক ছিল ৷
 তাই বর্তমানে প্রচারিত ৭০০ শ্লোকযুক্ত গীতা প্রক্ষিপ্ত ৷গীতাতে কেবল ৭০টি শ্লোকমাত্র অবশিষ্ট ছিল ৷ কারণ ১৪৭৮ খ্রিষ্টাব্দের পূর্ব হতেই সমগ্র ভারতবর্ষে সম্পূর্ণ ৭০০ শ্লোকযুক্ত গীতা প্রচারিত ছিল, তার প্রমাণ রামানুজাচার্য ও মধ্বাচার্যের গীতা ভাষ্য ৷ যদি আদি হতেই মহাভারতে গীতা সত্তর শ্লোকযুক্ত হতো তবে শ্রীরামানুজাচার্য (১০১৭-১১৩৭ খ্রিঃ)  সাতশত শ্লোকযুক্ত গীতার ওপর ভাষ্য লিখলেন কিভাবে? এছাড়া শ্রীমধ্বাচার্য (১২৩৮-১৩১৭ খ্রিঃ) সাতশত শ্লোকময়ী গীতার ওপর ‘গীতাভাষ্য’ ও ‘গীতা তাৎপর্য নির্ণয়’ নামক দুটি গ্রন্থ লেখেন ৷ অতএব, জাভাদ্বীপবাসী হিন্দুদের নিকট মহাভারত অন্তর্গত যে সাতশত শ্লোকযুক্ত গীতা ছিল তা ১৪৭৪ খ্রিষ্টাব্দের পর মুসলমানদের হস্তক্ষেপের ফলে বহু শ্লোক নিষ্কাশিত হয়ে সত্তরটি শ্লোক মাত্র অবশিষ্ট ছিল ৷ 

রাজা রাম শাস্ত্রীর মতে “গীতায় প্রথমে শুধুমাত্র ৬০টি শ্লোক ছিল,পরে ৬টি পর্যায়ে ক্রমবর্ধিত হয়ে বর্তমান ৭০০ শ্লোক বিশিষ্ট গীতায় পরিনত হয়”

জার্মান গীতা বিশেষজ্ঞ অন হামবোল্ড বলেন “গীতা প্রথমে ১১টি অধ্যায়ে সম্পুর্ন ছিল, বাকি ৭টি পরিচ্ছেদ অনেক পরে সংযোজিত হয়েছে”
রিচার্ড গার্বে মনে করেন গীতার প্রথম লেখকের রচনা কাল ২০০-১০০খৃষ্টপুর্বাব্দে।
টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এল বেশম এক বক্তৃতায় বলেছিলেন “গীতা তিন পর্যায়ে তিনজন লেখকের রচনা। প্রথম পর্যায়ে ১ম অধ্যায়ে ৪৭ এবং ২য় পর্যায়ে ৩৮ টি, মোট ৮৫ টি শ্লোক নিয়ে গীতা রচিত হয়েছিল। এই শ্লোক গুলোতে ধর্ম যুদ্ধে ক্ষত্রিয়দের দায়িত্ব ও প্রয়োজনিয়তার উপর গুরুত্ত আরোপ করা হয়েছিল। ২য় পর্যায়ে একজন বেদান্তবাদি লেখক অদ্বৈত ব্রহ্মের তথ্য যোগ করে গীতার কলেবর বৃদ্ধি করেন। শেষ পর্যায়ে একজন বিষ্ণু ভক্ত বিষ্ণুর অবতারত্ব সংযোজন পূর্বক বাসুদেব কৃূষ্ণের বিশ্বরূপ প্রতিস্থাপন করেন। মূলত সেই সময়কালেই পুরাণের চর্চা অধিকতর ছিল।”
কাথিয়াবার গন্ডাল স্টেটে ১১৭৯ সালে হাতে লেখা গীতার যে পান্ডুলিপি পাওয়া গিয়েছে, তাতে প্রচলিত গীতা থেকে ২১টি অতিরিক্ত শ্লোক ও ২৫০টি পাঠান্তর দেখা যায়।
মাদ্রাজের ধর্মমন্ডলের মুদ্রিত গীতায় প্রচলিত গীতা থেকে ৩৭টি শ্লোক বাদ দিয়ে মহাভারতের উদ্যোগ,অনুশাসন ও শান্তি পর্বের ৮২টি শ্লোক গ্রহন পুর্বক ৭৪৫টি শ্লোকের গীতা তৈরি করা হয়।
১১শতকের বিখ্যাত ঐতিহাসিক আল-বেরুনী তাঁর গ্রন্থে গীতার যেসকল শ্লোকের উদ্বৃতি দিয়েছেন সেগুলো বর্তমান গীতায় নেই!
সম্রাট আকবরের সময় গীতার যে ফারসী অনুবাদ প্রকাশিত হয় তার শ্লোক সংখ্যা ছিল ৭৪০। অনেক পন্ডিত গীতার ৭৪৫ শ্লোককেই সমর্তন করেন। যদিও শংকরাচার্যের সময়ে ৭০০ শ্লোকের গীতার সন্ধান মিলে যা বর্তমানেও পাওয়া যায়।
গীতার রচনাকাল, রচয়ীতা, মহাভারতে গীতার সংযোজনের সময় ও পরবর্তিকালে এব কলেবর বৃদ্ধি নিয়ে বিবেকানন্দ বলেন, “শংকরভাষ্য রচনার পূর্বে গীতা সাধারন্যে খুব পরিচিত ছিলনা।সম্ভবত তিনিই গীতার রচনাকার ও মহাভারতে সংযোজনকারী”
আর আচার্য শংকরের মতে “গীতা শাস্ত্র বেদার্থ সার সংগ্রহ বিধায় উহা বেদানুকুল হওয়া উচিৎ। ওঁ-কার স্মরণ করে শ্রী কৃষ্ণ যোগশাস্ত্র দ্বারা অর্জুনকে উপনিষদের ব্রহ্মবিদ্যা প্রদান করেছিলেন।
প্রাচীন গীতার মূল বাংলা অনুবদঃ👇

প্রাচীন গীতা
প্রাচীন গীতা
প্রাচীন গীতা
প্রাচীন গীতা
প্রাচীন গীতা


প্রাচীন গীতা
প্রাচীন গীতা
প্রাচীন গীতা


















No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ব্রহ্মচর্য ও য়জ্ঞোপবীত

একাদশ অধ্যায় মেখলা প্রাচীনকালে গুরুকুলগুলোতে বেদের বিদ্বান বেদসংজ্ঞক আচার্য য়জ্ঞোপবীত সংস্কার করাতেন আর তারপর তারা বেদারম্ভসংস্কারের সময়...

Post Top Ad

ধন্যবাদ