মাটির গ্রহে মাটির মানুষের মুক্তি ও কল্যানের জন্য আল্লাহ তায়ালা একটি গ্রন্থ নাজিল করেছেন। তিনি এ গ্রন্থটির নাম রেখেছেন- ‘আল-কোরআন’। পবিত্র কোরআন ছাড়াও যুগে যুগে পৃথিবীর বুকে আরো একশ তিনটি আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন আল্লাহতায়ালা। এরমধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসামানি গ্রন্থ হলো কোরআন। এই পবিত্র কোরআনের নামকরণ সম্পর্কে জানব আজ।
পবিত্র কোরআনের নামকরণ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ
অর্থ: ‘রমজান মাস হলো সেই মাস, যে মাসে নাজিল করা হয়েছে কোরআন।’ সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৮৫।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
অর্থ: ‘এ কোরআন আমরা আরবি ভাষায় নাজিল করেছি, যাতে তোমরা সহজে বুঝতে পারো।’ সূরা ইউসুফ, আয়াত ২।
সূরা বুরুজ আল্লাহ তাআলা বলেন,
بَلْ هُوَ قُرْآنٌ مَجِيدٌ
فِي لَوْحٍ مَحْفُوظٍ
অর্থ: ‘এ এক মহিমান্বিত কোরআন, যা লাওহে মাহফুজে- সুরক্ষিত ফলকে সংরক্ষিত। সূরা বুরুজ, আয়াত ২১-২২।
এ মহা গ্রন্থের নামকরণ সম্পর্কের আল্লামা আবুল মাআলী বলেন, কোরআনের মোট ৫৫টি নাম রয়েছে। অনেক বিষেজ্ঞের মতে, কোরআনের নাম ৯০টিরও বেশি। ইমাম জারকানি বলেন, কোরআনের মূল নাম ৫টি। আর বাকিগুলো হল গুণবাচক নাম। মানাহিল ইরফান ১/৮।
পবিত্র কোরআনের মূল ৫টি নামের মধ্যে প্রধান নাম হলো কোরআন। আল্লামা জারকানী লেখেন, কোরআন শব্দটি কিরাআত থেকে এসেছে। অর্থ পঠিত, পড়া, পাঠ করা।
আল্লাহ বলেন,
فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ
অর্থাৎ আমরা যখন কোরআন পড়ি-পাঠ করি, তখন তুমি সে পড়া-পাঠের অনুসরণ করো।’ সূরা কিয়ামাহ, আয়াত ১৮।
পবিত্র কোরআন এমন একটি গ্রন্থ, যা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি পঠিত বা পড়া হয়। তাই কোরআনকে কোরআন নামকরণ করা হয়েছে। অথবা কোরআন এমন এক গ্রন্থ, যা মানুষের কল্যান-মুক্তি ও ইহ-পরলোকে শান্তির জন্য অবশ্যই পড়তে হবে, বুঝতে হবে, জানতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই কোরআনের নাম কোরআন রাখা হয়েছে। লিসানুল আরব, ১/১২৪; মু’জামুল ওয়াসীত, পৃ. ৭২২।
ভাষাবিদ আল্লামা রাগেব ইসপাহানী বলেন, কোরআন শব্দটি এসেছে কারনুন থেকে। অর্থ মেলানো, একত্রিত, সংযুক্ত। কোরআনের এক আয়াত অপর আয়াতের সঙ্গে, এক সূরা আরেক সূরার সঙ্গে, এক অংশ অন্য অংশের সঙ্গে মেলানো এবং সংযুক্ত। তাই এ নামে কোরআনের নামকরণ করা হয়েছে। শরহে নুরুল আনওয়ার, পৃ. ৮৪।
একবিংশ শতাদ্বীর অন্যতম কোরআন গবেষক আল্লামা তকি উসমানি বলেন, কোরআন নামটি মূলত অবিশ্বাসীদের প্রত্যাখ্যানের জবাবে রাখা হয়েছে।
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَسْمَعُوا لِهَٰذَا الْقُرْآنِ وَالْغَوْا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَغْلِبُونَ
অর্থ: ‘তারা বলেছিলো- তোমরা এ কোরআন শুনো না। তা তেলাওয়াতের সময় হট্টগোল সৃষ্টি করো। সূরা হামিম সেজদাহ, আয়াত : ২৬।
এ সিদ্ধান্তের জবাবে ‘কোরআন’ নামটি এতই প্রসিদ্ধ হয়ে যায় যে, এটিই হয়ে ওঠে এ গ্রন্থের প্রধান নাম। অবিশ্বাসীরা চেয়েছিলো- এ গ্রন্থ যেন মানুষ না শোনে। আর আল্লাহ চেয়েছেন, এটিই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পঠিত গ্রন্থ। তাই এর নামও রাখা হয়েছে আল কোরআন। অধিক পড়া হয় যে বই।’ উলুমুল কোরআন : ১৮ পৃ.।
কোরআনের বাকি চারটি নাম হল- ফোরকান। যেমন আল্লাহ বলেন,
وَأَنْزَلَ الْفُرْقَانَ ۗ إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ
অর্থ: ‘তিনি নাজিল করেছেন ফোরকান। যারা আল্লাহর আয়াত মানে না, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।’ সূরা আলে ইমরান ৪।
জিকির। যেমন আল্লাহ বলেন,
ذَٰلِكَ نَتْلُوهُ عَلَيْكَ مِنَ الْآيَاتِ وَالذِّكْرِ الْحَكِيمِ
অর্থ: ‘এগুলো হল আয়াত এবং জ্ঞানসমৃদ্ধ জিকির।’ সূরা আলে ইমরান ৫৮।
কিতাব। যেমন আল্লাহ বলেন,
ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ
অর্থ: ‘এ কিতাবে ভুল তো দূরের কথা কোন সন্দেহও নেই।’ সূরা বাকারাহ ২।
তানজিল। যেমন আল্লাহ বলেন,
تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
অর্থ: ‘এই তানজিল অবতীর্ণ হয়েছে চরম শক্তিশালী ও পরম দয়াময় আল্লাহর পক্ষ থেকে।’ সূরা ইয়াসিন, আয়াত ৫।
প্রশ্ন : কুরআন শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : পঠিত, জমা করা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের আলোচ্য বিষয় ও
উদ্দেশ্য কি?
উত্তর : আলোচ্য বিষয় সরল সঠিক পথ এবং
উদ্দেশ্য হেদায়াত।
প্রশ্ন : আল কুরআন কোথায় সংরক্ষিত আছে?
উত্তর : লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম আল কুরআন কোথায় কখন
অবতীর্ণ হয়?
উত্তর : হেরা গুহায় ৬ আগস্ট ৬১০
খ্রিষ্টাব্দে।
প্রশ্ন : জামিউল কুরআন কাকে বলা হয়?
উত্তর : হযরত উসমান গনী রা.কে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম আল কুরআনের পূর্ণাঙ্গ কোন সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে ফাতিহা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম হাফিজ কে?
উত্তর : মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা:
প্রশ্ন : কুরআন নাযিল হতে কতটুকু সময়
লেগেছে?
উত্তর : ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিন।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্বমোট আয়াত সংখ্যা
কত?
উত্তর : ৬ হাজার ৬শত ৬৬ আয়াত।
প্রশ্ন : মক্কায় সর্ব প্রথম কোন সূরা নাযিল
হয়?
উত্তর : সূরায়ে আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত।
প্রশ্ন : মক্কায় সর্বশেষ কোন ছূরা নাযিল
হয়?
উত্তর : সূরায়ে আনকাবুত।
প্রশ্ন : মদিনায় সর্ব প্রথম ও সর্বশেষে কোন
সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সর্ব প্রথম সূরায়ে বাকারা, সর্বশেষ
সূরায়ে মায়েদা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম কোন ভাষায়
কে অনুবাদ করেন?
উত্তর : লেট্রিন ভাষায়, রর্বার্ট
ক্যাটেনেনিছা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম বাংলায়
অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : মাওলানা আমীর উ্দদীন বশুনিয়া
১৮০৮ সালে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম পুস্তুক আকারে বাংলায়
কুরআনের অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : গ্রীস চন্দ্র সেন ১৮৮৬ সালে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম কোন ভাষায়, কত সালে
কুরআনের অনুবাদ করা হয়।
উত্তর : ১১৪৬ সালে লেট্রিন ভাষায়।
প্রশ্ন : আল কুরআনে সবচেয়ে বেশি কোন
নবীর নাম এসেছে?
উত্তর : হযরত মুসা আ.।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কত জন নবীর নাম
উল্লেখ আছে?
উত্তর : ২৫ জন নবীর নাম।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন ফিরিশতার
নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : (১) জিব্রাঈল (২) মিকাইল (৩) হারুত
(৪) মারুত
প্রশ্ন : কুরআনে মুহাম্মাদ সা. নামটি কতবার
এসেছে?
উত্তর : ৪বার (এবং আহমাদ নামটি ১বার
এসেছে)
প্রশ্ন : আল কুরআনে প্রকাশ্যে একমাত্র কোন
রমনীর নাম এসেছে?
উত্তর : ঈসা আ. এর মাতা হযরত মারয়াম আ.।
প্রশ্ন : আল কুরআনে একমাত্র কোন সাহাবীর
নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : রাসূল সা. এর পুষ্যপুত্র হযরত যায়েদ
ইবনে হারিছ রা. ।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন কাফিরের
নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : ফেরআউন, হামান, আবু লাহাব, কারুণ,
ছারেমী, আজর এবং ইবলিস।
প্রশ্ন : আল কুরআন কোন কোন মুর্তির নাম
আছে।
উত্তর : লাত, উজ্জা, মানাত, ওয়াদ, ছয়া,
ইয়াগুছ, ইয়াউক এবং নাছারা।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কতটি সমপ্রদায়ের নাম
আছে?
উত্তর : ১৪টি সমপ্রদায়ের নাম।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন মসজিদের
নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী,
মসজিদে কুবা, মসজিদে আকসা, মসজিদে
জিরার।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন পাহাড়ের
নাম আছে?
উত্তর : তুর পাহাড়, সাফা, মারওয়া,
আরাফাত, জুদি পাহাড়।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন কীট
প্রতঙ্গের নাম আছে?
উত্তর : মৌমাছি, পিপিলিকা, মাকড়শা।
প্রশ্ন : কোন সূরায় মীম এবং কোন সূরায় বা
বর্ণ নেই?
উত্তর : সূরায়ে কাওছারে �মীম� নেই।
সূরায়ে এখলাছে বা নেই।
প্রশ্ন : একমাত্র কোন সূরা যার মধ্যে
বিসমিল্লাহ দুবার এসেছে?
উত্তর : সূরায়ে নামলে।
প্রশ্ন : কোন সূরাকে কুরআনের জননী বলা
হয়?
উত্তর : সূরায়ে ফাতেহাকে।
প্রশ্ন : আল কুরআনের হারকাত এবং নুকতার
প্রচলন কে কখন করেন?
উত্তর : হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ ৭৫ হিজরীতে।
প্রশ্ন : আল কুরআনকে ৩০ পারায় বিভক্ত
করেন কে?
উত্তর : হযরত উসমান রা.
প্রশ্ন : আল কুরআনের নাম কি কি?
উত্তর : (১) আল কুরআন, (২) আল ফুরকান, (৪)
আত তানযীল (৪) আজ যিফর।
প্রশ্ন : আল কুরআনের অবতরণ সমাপ্ত হয় কখন?
উত্তর : ১০ হিজরীর সফর মাসে।
প্রশ্নঃ মাক্কী সূরার মৌলিক বৈশিষ্ট কি
কি?
উত্তরঃ ১) তাওহীদ এবং আল্লাহর ইবাদতের
প্রতি আহবান। জান্নাত-জাহান্নামের
আলোচনা এবং মুশরিকদের সাথে বিতর্ক।
২) মুশরকিদের খুন-খারাবী, ইয়াতীমের সম্পদ
ভক্ষণ প্রভৃতি কর্মের নিন্দাবাদ।
৩) সংক্ষিপ্ত বাক্য অথচ অতি উচ্চাঙ্গের
সাহিত্য সমৃদ্ধ।
৪) নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)কে সান্তনা দেয়া
ও উপদেশ গ্রহণ করার জন্য ব্যাপকভাবে নবী-
রাসূলদের কাহিনীর অবতারনা, এবং
কিভাবে তাঁদের সমপ্রদায়ের লোকেরা
তাঁদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে ও কষ্ট
দিয়েছে তার বর্ণনা।
প্রশ্নঃ মাদানী সূরার মৌলিক বৈশিষ্ট কি
কি?
উত্তরঃ (১) ইবাদত, আচার-আচরণ, দন্ডবিধি,
জিহাদ, শান্তি, যুদ্ধ, পারিবারিক নিয়ম-
নীতি, শাসন প্রণালী অন্যান্য বিধি-
বিধানের আলোচনা।
(২) আহলে কিতাব তথা ইহুদী খৃষ্টানদেরকে
ইসলামের প্রতি আহবান।
(৩) মুনাফেকদের দ্বিমুখী নীতির মুখোশ
উম্মোচন এবং ইসলামের জন্য তারা কত
ভয়ানক তার আলোচনা।
(৪) সংবিধান প্রণয়ণের ধারা ও তার লক্ষ্য-
উদ্দেশ্য নির্ধারণ করার জন্য দীর্ঘ আয়াতের
অবতারণা।
প্রশ্নঃ মাদানী সূরা পরিচয়ের নিয়ম কি?
উত্তরঃ (১) যে সকল সূরায় কোন কিছু ফরয
করা হয়েছে বা দন্ডবিধির আলোচনা করা
হয়েছে।
(২) যে সকল সূরায় মুনাফেকদের সম্পর্কে
আলোচনা করা হয়েছে।
(৩) যে সকল সূরায় আহলে কিতাবদের সাথে
বিতর্ক করা হয়েছে।
(৪) যে সকল সূরা “ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা
আমানূ” দ্বারা আরম্ভ হয়েছে।
প্রশ্নঃ মাক্কী সূরার সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ ৮৬টি সূরা।
প্রশ্নঃ মাদানী সূরার সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ ২৮টি সূরা।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রতিটি
আয়াতে ‘আল্লাহ্ শব্দ আছে?
উত্তরঃ সূরা মুজাদালা। (৫৮ নং সূরা)
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন কোন সূরা ‘
আল হামদুলিল্লাহ দ্বারা শুরু হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা , সূরা আনআম , সূরা
কাহাফ, সূরা সাবা ও সূরা ফাতির। (সূরা নং
যথাক্রমে, ১,৬,১৮,৩৪ ও ৩৫)
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে ছয়জন ব্যক্তির নাম
উল্লেখ আছে যাঁরা সকলেই নবীর পুত্র নবী
ছিলেন।
উত্তরঃ (১) ইবরাহীমের পুত্র ইসমাঈল
(২) ইবরাহীমের পুত্র ইসহাক,
(৩) ইসহাকের পুত্র ইয়াকূব
(৪) ইয়াকূবের পুত্র ইউসুফ,
(৫) যাকারিয়ার পুত্র ইয়াহইয়া ও
(৬) দাউদের পুত্র সুলাইমান (আলাইহিমুস্
সালাম)
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে জাহান্নামের ৬টি
নাম উল্লেখ হয়েছে। উহা কি কি?
উত্তরঃ (১) জাহান্নাম (সূরা নাবা: 21)
(২) সাঈর (সূরা নিসা: 10)
(৩) হুতামা (হুমাযা: 4)
(৪) লাযা (সূরা মাআরেজ: 15)
(৫) সাক্বার (সূরা মুদ্দাসসির: 42)
(৬) হাভিয়া (সূরা কারিয়া: 9)
প্রশ্নঃ কুরআনের কোন সূরায় মুবাহালার
আয়াত রয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আলে ইমরান - আয়াত নং- ৬১।
মুবাহালা: হক ও বাতিলের মাঝে দ্বন্দ্ব
হলে, বাতিল পন্থীর সামনে যাবতীয় দলীল-
প্রমাণ উপস্থাপন করার পরও সে যদি
হঠকারিতা করে, তবে তাকে মুবাহালার
জন্য আহবান করা হবে। তার নিয়ম হচ্ছেঃ
উভয় পক্ষ নিজের স্ত্রী, সন্তান-সন্ততিকে
উপস্থিত করবে, অতঃপর প্রত্যেক পক্ষ বলবে,
আমরা যদি বাতিল পন্থা উপর প্রতিষ্ঠিত
থাকি, তবে মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর
লা’নত (অভিশাপ)। এটাকেই বলে মুবাহালা।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরার কোন্
আয়াতে ব্যভিচারের দন্ডবিধির আলোচনা
আছে?
উত্তরঃ সূরা নূর- আয়াত নং- ২।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কত নং
আয়াতে ওযুর ফরয সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা মায়েদা - আয়াত নং- ৬।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে
চুরির দন্ডবিধি উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা মায়েদা - আয়াত নং- ৩৮।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন
আয়াতে মিথ্যা অপবাদের শাস্তির বিধান
উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নূর- আয়াত নং- ৪।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন
আয়াতে মুমিন নারী-
পুরুষকে দৃষ্টি অবনত রেখে চলাফেরা করতে
বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নূর- আয়াত নং ৩০-৩১।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন
আয়াতে মীরাছ (উত্তরাধীকার সম্পদ বন্টন)
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নিসা- আয়াত নং- ১১, ১২ ও ১৭৬।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন
আয়াতে বিবাহ হারাম এমন নারীদের পরিচয়
দেয়া হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নিসা - আয়াত নং- ২৩, ২৪।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন
আয়াতে যাকাত বন্টনের খাত সমূহ আলোচনা
করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা- আয়াত নং- ৬০।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন
আয়াতে ছিয়াম সম্পর্কিত বিধি-
বিধান উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা - আয়াত নং ১৮৩-১৮৭।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন
আয়াতে বাহনে আরোহনের দুআ উল্লেখ করা
হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা যুখরুফ- আয়াত নং- ১৩।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন
আয়াতে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর প্রতি
দরূদ পড়ার আদেশ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আহযাব- আয়াত নং ৫৬।
প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে হুনায়ন
যুদ্ধের কথা আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা - আয়াত নং- ২৫, ২৬।
প্রশ্নঃ কোন সূরায় বদর যুদ্ধের ঘটনাবলী
উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আনফাল । (আয়াত নং : 5-19,
41-48, 67-69)
প্রশ্নঃ কোন সূরায় বনী নযীরের যুদ্ধের
ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা হাশর। (আয়াত নং ২-১৪)
প্রশ্নঃ কোন সূরায় খন্দক যুদ্ধের ঘটনা
উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা আহযাব (আয়াত নং ৯-২৭)।
প্রশ্নঃ কোন সূরায় তাবুক যুদ্ধের ঘটনা
উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা (আয়াত নং ৩৮-১২৯)।
প্রশ্নঃ কোন সূরায় নবী (সাল্লালাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরতের ঘটনা
উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা (আয়াত নং ৪০)
প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে হারূত-
মারূতের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা- আয়াত নং- ১০২।
প্রশ্নঃ
কোন সূরার কোন আয়াতে কারূনের কাহিনী
উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা ক্বাছাছ আয়াত ৭৬-৮৩।
প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে সুলায়মান (
আঃ)এর সাথে হুদহুদ পাখীর ঘটনা উল্লেখ
আছে?
উত্তরঃ সূরা নমল আয়াত নং ২০, ৪৪।
প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে ক্বিবলা
পরিবর্তনের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা- আয়াত নং ১৪২-১৫০।
প্রশ্নঃ কোন সূরায় নবী সাল্লালাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর ইসরা-
মেরাজের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বানী ইসরাঈল (আয়াত নং ১) ও
সূরা নজম (আয়াত: ৮-১৮)
প্রশ্নঃ কোন সূরায় হস্তি বাহিনীর ঘটনা
উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা ফীল।
প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে যুল
ক্বারানাইন বাদশাহর ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা কাহাফ- আয়াত নং- ৮৩-৯৮।
প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে ত্বালুত ও
জালুতের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা- আয়াত নং- ২৪৬-২৫২।
প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে মসজিদে
আক্বসার কথা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বানী ইসরাঈল - আয়াত নং-১
প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে পিতা-
মাতার ঘরে প্রবেশের জন্য অনুমতি নেয়ার
নির্দেশ দেয়া হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নূর – আয়াত নং- ৫৮, ৫৯
প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কোন সাহাবী মক্কায় উচ্চ:
স্বরে কুরআন পাঠ করেন?
উত্তরঃ আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ)।
প্রশ্নঃ
পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি ওমর (রাঃ)এর
ইসলাম গ্রহণের কারণ ছিল?
উত্তরঃ সূরা ত্বাহা।
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে কোন
পরিবর্তন পরিবর্ধন হবে না।
আল্লাহ নিজেই তার হেফাযতের দায়িত্ব
নিয়েছেন।
কথাটি কোন সূরার কত নং আয়াতে আছে?
উত্তরঃ সূরা হিজর ৯ নং আয়াত।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ