কোরআনের সংক্ষিপ্তসার - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

27 September, 2020

কোরআনের সংক্ষিপ্তসার



মিল্লাৎ ও কুফর

   কোরআন হলো ইসলামের মূল প্রামাণ্য গ্রন্থ । তাছাড়া আছে হাদিস , যার মধ্যে বুখারী ও মুসলিম—এর হাদিস হল শ্রেষ্ঠ । এইসব গ্রন্থে যেসব কথাবার্তা লেখা আছে তা থেকে বেরিয়ে আসে তিনটি মূল ইসলামী সিদ্ধান্ত । এগুলো হল , (১) মিল্লাৎ ও কুফর , (২) দার-উল-ইসলাম ও দার-উল -হার্ব এবং (৩) জিহাদ ।

  প্রথম সিদ্ধান্ত ‘মিল্লাৎ ও কুফর'-এ মিল্লাৎ বলতে বোঝায় সৌভ্রাতৃত্ব বা ভাইচারা । অর্থাৎ মিল্লাৎ শব্দের মূল অর্থ হোল , ‘এই পৃথিবীর সব মুসলমান ভাই ভাই’ বা ‘কুল্ল মুসলেমিন ইখুয়াতুন’ । মৃত্যুর ঠিক আগের বছর নবী মহম্মদ মক্কায় হজ করতে গিয়ে আরাফৎ (মিলন)- এর ময়দানে যে বিদায় ভাষণ দেন , তাতে তিনি মুসলমানদের তিনটি উপদেশ দেন । এই উপদেশ তিনটের মধ্যে সর্ব প্রধান উপদেশই ছিল 'কুল্ল মুসলেমীন ইখুয়াতুন’ । এই উপদেশ থেকেই আজকের বিশ্বব্যাপী মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ‘ইসলামী উম্মা’র জন্ম হয় । 

     কুফর শব্দের অর্থ বিরোধিতা করা বা অবিশ্বাস করা এবং যারা এই বিরোধিতা করে তাদের বলা হয় কাফের  । এখানে বিরোধিতা বলতে ইসলামের বিরোধিতা বোঝায় । বিশেষ করে আল্লাহর কুরআন ও আল্লাহর রসূল মহম্মদের বিরোধিতা । অর্থাৎ যে সমস্ত ব্যক্তি আল্লার কুরআন ও মহম্মদের নবীত্বে অবিশ্বাস করে তারাই কুফরকারী কাফের । ইসলামের মোট ছ’টা কলেমা বা সংকল্প বাক্য আছে । যার মধ্যে প্রথম কলেমা বা কলেমা তৈয়ব-কে বলা হয় ইসলামের প্রাণ । এই কলেমা তৈয়ব হল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লা, মহাম্মদুর রাসুলুল্লা’ । অর্থাত আল্লাহ ব্যতীত উপাস্য নাই এবং মোহাম্মদ আল্লার রসূল বার্তাবাহক বা পয়গম্বর । ইসলামের এই কলেমার এতই গুরুত্ব যে বলা চলে , এই কলেমা তৈয়ব এ যারা বিশ্বাস করে না , তারাই কাফের । অত্যন্ত গোঁড়া কোনোও মুসলমান যদি এই কলেমায় বিন্দুমাত্র অবিশ্বাস করে তবে সেও তৎক্ষণাৎ কাফের হয়ে যাবে । 

    এখানে বলে রাখা যুক্তিযুক্ত হবে যে , ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি নয় । ইসলাম শব্দের প্রকৃত অর্থ হল আত্মসমর্পণ বিশেষ অর্থে আল্লার  কুরআন ও আল্লার রসূল মহম্মদের কাছে আত্মসমর্পণ । যে সমস্ত ব্যক্তি আল্লার কোরআন ও নবী মহম্মদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং কলেমায় বিশ্বাস করে , তারাই হল আত্মসমর্পণকারী ঈমানদার মুসলমান বা মোমেন । যারা তা করে না তারাই হল কাফের । বর্তমানে অনেক মুসলমান লেখক এই ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছেন যে , কাফের বলতে বোঝায় ঈশ্বর অবিশ্বাসী বা নাস্তিক ব্যক্তি । এই ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং হিন্দু কাফেরদের বিভ্রান্ত করতেই তাঁরা যে এই ব্যাখ্যা উপস্থিত করেছেন তা বলাই বাহুল্য । এই ব্যাখ্যা সত্য হলে মুসলমান আক্রমণকারী এই দেশে এসে কোটি কোটি হিন্দু কেটে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিত না । কারণ এই সমস্ত হিন্দুরা সকলেই ছিলেন ঈশ্বরে বিশ্বাসী । তাঁদের দোষ ছিল যে , তারা আল্লার কোরআনে বা মহম্মদের নবীত্বে  বিশ্বাস করতেন না । তাই তারা কাফের বলে বিবেচিত হয়েছিলেন এবং সেই কারণেই তাদের হত্যা করা হয়েছিল । ওই একি কারনে আজ বাংলাদেশের হিন্দুরা কাফের বা মালাউন বলে চিহ্নিত হচ্ছেন এবং অত্যাচারিত হচ্ছেন । তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে । ধ্বনি তোলা হচ্ছে , “একটা দুইটা হিন্দু ধর , সকাল বিকাল নাস্তা কর ।” কাফের শব্দের অর্থ যদি নিরীশ্বরবাদী নাস্তিক হত তবে মুসলমানদের উচিত ছিল সবার আগে কমিউনিস্টদের কেটে উজাড় করা । কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টদের সঙ্গে তাঁদের খাতির সব থেকে বেশি । 

    উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটাই পরিস্কার যে , ইসলাম এই বিশ্বের মানব সমাজকে সরাসরি দুই ভাগে ভাগ করে— (১) মুসলমান এবং (২) অমুসলমান কাফের । আল্লার দৃষ্টিতে এই কফেররা অত্যন্ত ঘৃণিত জীব ও ঈশ্বরহীন পশু । তাই কোরান বলেছে— “আমি অবশ্যই নরকের জন্য বহু জাতির মানব সৃষ্টি করেছি তাদের হৃদয় আছে, কিন্তু তারা উপলব্ধি করে না । তাদের চক্ষু আছে কিন্তু দেখে না ; তাদের কর্ণ আছে কিন্তু শোনে না ; ওরা পশুর ন্যায় এবং তা অপেক্ষাও অধিক মূঢ়”  (সুরা -৭/আয়াত ১৭৯ ) । “যে কেহ ইসলাম ব্যতীত অন্য মতের অনুস্মরণ করলে তা কখনও গৃহীত হবে না , এবং পরলোকে সে ক্ষতিগ্রস্তগণের অন্তর্ভুক্ত হবে” (৩/৮৫) । “আমি অচিরেই অবিশ্বাসীদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করছি । অতএব তাদের গর্দানে আঘাত করে মস্তক ছিন্ন কর এবং তাদের অঙ্গুলী সমূহ ছিন্ন কর । ইহা এইজন্য যে তারা আল্লার রসুলের বিরোধিতা করেছিল এবং যে আল্লা ও তাঁর রসুলের বিরোধিতা করে , তবে আল্লা নিশ্চয়ই কঠোর শাস্তিদাতা” (৮/১২-১৩) । “যারা অবিশ্বাস করেছে , আমি তাদেরকে ইহকাল ও পরকালে কঠোর শাস্তি দান করব । ... আর যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎ কাজ করেছে , তাদেরকে পূর্ণ পুরস্কার দেওয়া হবে” (৩/৫৬-৫৭) ।  পরলোকে তাদের (কাফেরদের) কোন অংশ নাই , এবং আল্লাহ তাদের কথা বলবেন না এবং উত্থান দিবসে (শেষ বিচারের দিন) তাদের প্রতি দৃষ্টি দিবেন না । এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আছে (৩/৭৭)।  (কোরআন ডক্টর ওসলমান গনি-র বঙগানুবাদ) । 


   “আল্লা তার শরিক করার অপরাধ শির্ক ক্ষমা করেন না , ইহা ব্যতীত যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যে কেহ আল্লার শরিক করে , সে মহা অপরাধী মুশরিক” (৪/৪৮) । “যারা অবিশ্বাস করেছে আমি সত্বর তাদের অন্তরসমূহে ভীতির সঞ্চার করব যেহেতু তারা আল্লার সাথে অংশী স্থির করেছে ... নরক তাদের বাসস্থান এবং অবশ্যই তা নিকৃষ্ট বাসস্থান” (৩/১৫১) । “... তোমাদের (অবিশ্বাসীদের) ও আমাদের (বিশ্বাসীদের)  মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে , যদি তোমরা এক আল্লাতে বিশ্বাস স্থাপন না কর” (৬০/৩) । “আল্লার কাছে অবিশ্বাসকারীরাই নিকৃষ্ট জীব , কারণ তারা কোরআনে অবিশ্বাস করে” (৮/৫৫) । “ওরা (কাফেররা) আল্লার পরিবর্তে এমন কিছুর উপাসনা করে যা ওদের উপকারও করতে পারে না , অপকারোও করতে পারে না । অবিশ্বাসীরা স্বীয় প্রতিপালকের বিরোধী” (২৫/৫৫) । “মহম্মদ আল্লার রসূল । তার অনুগামী গন অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল” (৪৮/২৯) । “আমাদের মধ্যে কতক আত্মসমর্পণকারী (মুসলমান) , কতক অবাধ্যচারী (কাফের) । যারা আত্মসমর্পণ করে তারা যুক্তিগতভাবেই সৎ পথ বেছে নেয় । অপরপক্ষে অবাধ্যচারীরা তো নরকের ইন্ধন” (৭২/১৪-০১৫) । “তোমাদের পিতা ও ভ্রাতা যদি বিশ্বাস অপেক্ষা অবিশ্বাসকে শ্রেয় জ্ঞান করে , তবে তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না” (৯/২৩) । অর্থাৎ , একজন মুসলমানের কাছে কাফের আত্মীয়রাও ঘৃণার পাত্র । উপরন্তু তারা আল্লার শত্রু , ইসলামের শত্রু , নবী মহম্মদের শত্রু । তাই তারা নির্মমভাবে বধযোগ্য । “সেই কারণে আল্লার বান্দা মুসলমানরা এই ঘৃণিত কাফেরদের উপর অত্যাচার করলে , তাদের সহায় সম্বল লুঠ করলে , তাদের জমি জায়গা দখল করলে এবং কাফের মহিলাদের বলাৎকার করলে আল্লা খুশী হন এবং অত্যাচারকারী ওই সব মুসলমানকে তিনি নানাভাবে পুরস্কৃত করেন । অপরদিকে কোরআন অবিশ্বাস করার অপরাধে কাফেররা সকলেই নরকের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে (ঐ-৩/৮৫) । “সেখানে আল্লা তাদের অনন্ত কাল ধরে আগুনে জলসা দেন এবং প্রত্যেক বার জল ছাড়ার পর আল্লাহ আবার নতুন চামড়ার সৃষ্টি করবেন , যাতে তারা অনন্তকাল ধরে শাস্তি পেতে পারে” (ঐ -৪/৫৬) । বুঝতে অসুবিধা হয় না যে আল্লা কত বুদ্ধিমান । চামড়া একবার পুড়ে গেলে দ্বিতীয়বার পর আবার সময় যন্ত্রণা তত বেশি হবে না তাই এই ব্যবস্থা । 

     

  

    আল্লার দৃষ্টিতে এই কাফেররা এতই ঘৃণিত যে , আল্লা তাঁর নিজের লোকেদের বা মুসলমানদের এই ঘৃণিত কাফেরদের ওপর এবং তাদের মহিলাদের ওপর যে কোন ধরনের নারকীয় অত্যাচার করার অধিকার দিয়ে রেখেছেন । লুটপাট করে তাদের সহায়-সম্বল , ধন-সম্পদ , জায়গা-জমি আত্মসাৎ করার অধিকার দিয়ে রেখেছেন । যেসব বান্দা কাফেরদের ওপর অত্যাচার করবে , কেয়ামত বা শেষ বিচারের দিন আল্লা তাদের চরমভাবে পুরস্কৃত করবেন । “যে সব মুসলমান কমপক্ষে একজন কাফেরও হত্যা করবে তারা হবে গাজী । আল্লার স্বর্গে এই গাজীরা হবে সম্মানিত অতিথি । আল্লা সসম্মানে সেই খুনিদের জান্নাৎ-ই ফেরদৌস বা সর্বোচ্চ স্বর্গে নিয়ে যাবেন এবং সেখানে অনন্তকাল থাকার ব্যবস্থা করবেন ।


        যেসব ব্যক্তি আল্লার কোরআন ও মোহাম্মদের নবীত্বে বিশ্বাস করে মহম্মদের সত্য ধর্ম গ্রহণ করবে , শেষ বিচারের দিন আল্লা তাদের নানাভাবে পুরস্কৃত করবেন । শুধুমাত্র ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লা’ কলেমা গ্রহণ করার জন্য আল্লা তাদের পাহাড়প্রমাণ পাপ ক্ষমা করে দেবেন এবং অত্যন্ত অধঃপতিত ও পাপাসক্ত মুসলমানও আল্লার জান্নাতে (স্বর্গে) প্রবেশ করবে । অবশ্য শুধু পুরুষ মুসলমানরাই এই সুযোগ পাবে এবং মুসলমান মহিলারা সকলেই নরকের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে ।

     সেই আল্লার জান্নাতে মুসলমানরা নানা রকম স্বর্গীয় খাবার ও স্বর্গীয় ফলমূল খাবে । দুধের নহর (খাল) থেকে দুধ , মধুর নহর থেকে মধু ও সূরার নহর থেকে স্বর্গীয় সূরা খাবে । সেখানে তারা যা খাবে সবই হজম হয়ে যাবে । তাই মলমূত্র ত্যাগের প্রয়োজন হবে না । সব স্বর্গবাসী মুসলমানের বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত বাড়বে , তারপর আর বয়স বাড়বে না ।  সেখানে প্রতিটি স্বর্গবাসী মুসলমান হাজার হাজার অপূর্ব সুন্দর স্বর্গীয় রমণী মা হুরী পাবে , যারা সব সময় কুমারী থাকবে । তাদের বয়স ১৬ বছরের বেশি হবে না ।  একটি হাদিস বলেছে , অত্যন্ত পাপাসক্ত , লম্পট ও পতিত একজন মুসলমানও আল্লার জান্নাতে বিশাল এক জমিদারি পাবে । সেখানে থাকবে ৭০ প্রাসাদ , প্রত্যেক প্রাসাদে থাকবে ৭০ টা মহল , প্রত্যেক মহলে থাকবে ৭০ টা ঘর , প্রত্যেক ঘরে থাকবে ৭০ টা আরাম কেদারা আর প্রত্যেক আরাম কেদারায় বসে থাকবে একজন হুরী । আল্লা প্রতিটি স্বর্গবাসী মুসলমানকে অঢেল যৌনক্ষমতা দেবেন , যাতে তারা সব হুরীদের সঙ্গে যৌনক্রিয়া করতে পারে । একজন হুরীর সঙ্গে যৌন ক্রিয়া শুরু করলে তা ৪০ বছর স্থায়ী হবে । এছাড়া সমকাম করার জন্য প্রতিটি মুসলমান পাবে অন্তত ৮০,০০০ হাজার স্বর্গীয় কিশোর ক্রীতদাস বা গেলেমান । যাদের বয়স ১৬ বছরের বেশি বাড়বে না ।  স্বর্গে এতসব সুবিধা পেয়ে মুসলমানরা যারপরনাই আনন্দিত হবে এবং আল্লা কোন কাফেরকে সেখানে প্রবেশ করতে না দেবার জন্য তারা আল্লাহর প্রশংসা করবে । বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে , “পার্থিব পতিতালয় ও আল্লার জান্নাতের মধ্যে সামান্য তফাৎ আছে । পার্থিব পতিতালয় পয়সা লাগে কিন্তু আল্লার পতিতালয় কোন পয়সা লাগে না । (আরো বিশদ বিবরণের জন্য বর্তমান লেখকের ‘ইসলামী ধর্মতত্ত্ব’ এবার ঘরে ফেরার পালা’ গ্রন্থের ‘জান্নাৎ বা স্বর্গ’ অধ্যায় দ্রষ্টব্য )। কাজেই বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে , ইসলাম হলো চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক , চরম এবং ঘৃণার তত্ত্ব । একমাত্র মুসলমানরাই আল্লার প্রিয় পাত্র , আর  অমুসলমানরা তাঁর দৃষ্টিতে পশুর সমান , ঘৃণ্য এক জন্তু বিশেষ । সেই সঙ্গে আল্লা তাঁর বান্দাদের উপদেশ দিচ্ছেন তারাও যেন কাফেরদের প্রতি সমান ঘৃণা পোষণ করে । আল্লা বলেছেন তিনি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবেন , তাই তার বান্দার আত্মীয়-স্বজনের সামনে কাফেরদের কেটে কুচি কুচি করে । কাফের রমণীদের তার স্বামী পুত্রদের সামনে বলাৎকার করে , কাফের শিশুদের আছাড় দিয়ে মারে , আরও কত কি । মদিনার ইহুদিদের মনে ত্রাসের সঞ্চার করার জন্য নবী মহম্মদ প্রথমে ভয় দেখিয়ে নজির ও কানুইকা গোত্রের ইহুদীদের মদিনা থেকে বিতাড়িত করলেন এবং ৬২৭ সালে কুরাইজা গোত্রের ইহুদীদের গণহত্যা করলেন । আগের দিন কুড়াইজাদের ৮00 জন সক্ষম পুরুষকে দিয়ে মদিনার বাজারে ৮00 মানুষ মাটি পা দেবার মত বিশাল গর্ত খোড়া হল এবং রাত্রে একটা গুদাম ঘরে সেই ৮00 ইহুদিকে বন্দি করে রাখা হলো । পরদিন ভোরে , ফজর-এর নামাজের পরেই শুরু হল কোতল পর্ব । ৫/৬ জন বন্ধুকে ডেকে আনা হতে লাগলো এবং গর্তের কিনারায় তাদের উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে বলা হলো । এবং নবীর চাচা হামজা এবং চাচাতো ভাই তালহা , জুবায়ের এবং আলী তাদের গলা কেটে কেটে গর্তে ফেলতে লাগল । এইভাবে ৮০০ শত মানুষকে কতল করতে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেল । 

      কুরাইজা যুবতী মহিলাদের মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিল এবং বয়স্ক মহিলা ও শিশুদের বেদুইন উপজাতি লোকেদের কাছে ঘোড়া ও অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময় ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রয় করা হল ।

কুরাইজা সুন্দরী রেহানাকে নবী আগে থেকেই নিজের জন্য পছন্দ করে রেখেছিলেন । সারাদিন ধরে ৮০০ কুরাইজার কত পর্ব সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে নবী ক্লান্তি দূর করার উদ্দেশ্যে রেহানার সাথে শয়ন করতে চললেন ।  বিখ্যাত মুসলমান লেখক আনোয়ার শেখ মহাশয় এর মতে সেই সময় ৮০০ কুরাইজার গণহত্যা আজ ৮০,০০০ হাজার নরহত্যার সমান । বুঝতে অসুবিধা হয় না যে , দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের সামনে রয়েছে কি অমানবিক , পাশব  ও দানবীয় আদর্শ ।

ডঃ রাধেশ্যাম ব্রহ্মচারী 

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ