ধর্ম্মের দশ লক্ষণ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

22 October, 2020

ধর্ম্মের দশ লক্ষণ

ধর্মের দশ লক্ষণ

धृति: क्षमा दमोऽस्तेयं शौचमिन्द्रियनिग्रह:। 
धीर्विद्या सत्यमक्रोधो दशकं धर्मलक्षणम् ॥ मनु स्मृति 6/92
ধৃতিঃ ক্ষমা দম অস্তেয় শৌচং ইন্দ্রনিগৃহ।
ধীঃ বিদ্যা সত্যম্ অক্রোধ দশকম ধর্মস্য লক্ষণম্।। — (মনুস্মৃতি ৬ষ্ঠ অং ৯২ শ্লোক)
অর্থাৎ,
ধৃতি, ক্ষমা, দম, অস্তেয়, শৌচ, ইন্দ্রিয়নিগ্রহ, ধী, বিদ্যা, সত্য, অক্রোধ- এই দশটি ধর্ম্মের লক্ষণ।
১.ধৃতি-ধারণা করা স্মরণ রাখিবার শক্তি।
২.ক্ষমা-কেহ অপকার করিলে যে তাহার প্রত্যপকারে প্রবৃত্তি হয়,সেই প্রবৃত্তিকে যে শক্তি দ্বারা নিরোধ করা যায়।
৩.দম-শোক,তাপাদি দ্বারা কোন প্রকার চিত্তবিকৃতি উপস্থিতি হইলে,যে শক্তি দ্বারা ঐ প্রবৃত্তির নিরোধ করা যায়।
৪.অস্তেয়-অবিধি পূর্ব্বক পরস্ব গ্রহণের প্রবৃত্তিকে যে শক্তি দ্বারা নিরূদ্ধ করা যায়।
৫.শৌচ-শরীর ও চিত্তের নির্ম্মলভাব।
৬.ইন্দ্রিয়নিগ্রহ-যে শক্তি দ্বারা ইন্দ্রিয়গণকে বিষয় হইতে নিরুদ্ধ করা যায়।
৭.ধী- শাস্ত্রাদি দ্বারা বস্তুর তত্ত্ব নিশ্চয় শক্তি-ধীশক্তি
৮.বিদ্যা- যে শক্তি দ্বারা অন্তরস্থ চৈতন্য স্বরূপ পরমাত্মার আন্তরিক প্রত্যক্ষ করা যায়, শরীরাদি হইতে আপনাকে পৃথকরূপে জানা যায়, যে শক্তি দ্বারা ইন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি অভিমান প্রভৃতি অন্তরস্থ পদার্থ সকল আম্র ও কাঁঠালের রসাস্বাদের ন্যায় পৃথক্ পৃথক্ রূপে জাজ্জল্যমান মানসিক প্রত্যক্ষ করিতে পারে।
৯.সত্য- কায় মন ও বাক্য দ্বারা সম্পূর্ণ যথার্থ আচরণ করা।
১০.অক্রোধ- যে শক্তি দ্বারা ক্রোধকে নিরুদ্ধ করা যায়
এই দশটি এবং বৈরাগ্য, ঔদাসীন্য, ভক্তি, শ্রদ্ধা, প্রেম, সন্তোষ প্রভৃতি কতকগুলি সৎগুণ। এতৎ সমস্তের মধ্যে আত্মবোধের ক্ষমাতাটিই সর্ব্বোচ্চ পরম ধর্ম্ম 

*কেহ কেহ ধৈর্য্যকেই ধৃতি বলিতে চাহেন, কিন্তু তাহা নিতান্ত ভ্রম। যে ধৈর্য্যকে তাঁহারা ধৃতি বলিতে চাহেন, সেই ধৈর্য্য পরোক্ত দম শক্তি ও ইন্দ্রিয়  নিগ্রহাদি শক্তির মধ্যে অন্তর্নিহিত সুতরাং এখানে আবার ধৈর্য্য অর্থ করিলে মনুর পুনরুক্তি দোষ ঘটে।


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ