ওম ঈশ্বরের মূখ্য নাম - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

13 July, 2021

ওম ঈশ্বরের মূখ্য নাম


 

সর্বে বেদা যৎ পদমামনন্তি তপাংসি সর্বাণি চ যদ্ বদন্তি।

যদিচ্ছন্তো ব্রহ্মচর্যং চরন্তি তত্তে পদং সংগ্রহেণ ব্রবীমি, ওমিত্যেতৎ।। (কঠোপনিষদ-১/২/১৫)
পদার্থঃ- (যৎ) যেই (পদম্) প্রাপণীয় ব্রহ্মের (সর্বে বেদাঃ) ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ তথা অথর্ববেদ এই সকল চারো বেদ (আমনন্তি) বারংবার প্রতিপাদন করে (চ) এবং (সর্বাণি তপাংসি) সকল সত্যভাষণাদি ধর্মানুষ্ঠানরূপ তপ (যৎ) যাঁহাকে (বদন্তি) বলে থাকে অর্থাৎ যাঁকে প্রাপ্তির জন্য সকল তপস্যা করা হয় (যম্) যাঁহাকে (ইচ্ছন্তঃ) প্রাপ্তির ইচ্ছা করে (ব্রহ্মচর্যম্) ব্রহ্মচর্যাদি আশ্রমের নিয়ম (চরন্তি) অনুষ্ঠান করা হয় (তৎ পদম্) সেই = পূর্বোক্ত গুণবিশিষ্ট প্রাপণীয় ব্রহ্ম সম্পর্কে (তে) তোমাকে (সংগ্রহেণ) সংক্ষেপে (ব্রবীমি) আমি যমাচার্য বলতেছি (এতৎ) এই (ওম্ ইতি) 'ওম' তাঁহার মূখ্য নাম, এই প্রকার সকলের জানা উচিত।
অনুবাদঃ- বেদ সমূহে বারংবার, যে প্রাপণীয় ব্রহ্মের প্রতিপাদন করা হয়েছে, যাঁহাকে প্রাপ্তির জন্য সকল তপস্যা করা হয়, যাহাঁকে প্রাপ্তির জন্য ব্রহ্মচর্য আশ্রমের নিয়ম অনুষ্ঠান পালন করা হয় সেই ব্রহ্ম সম্পর্কে আমি তোমায় সংক্ষেপে বলতেছি, এই "ওম" তাঁহার মূখ্য নাম, ইহাই সকলের জানা উচিত।

ইদ্ৰং মিত্রং বরুণ মগ্নি মাহু, রথো দিব্যঃ স সুপর্ণো গরুত্মান।
একং সদ্বিপ্ৰা বহুধা বদন্ত্যগ্নিং যমং মাতরিশ্বানমাহুঃ ॥(ঋগ্বেদ ১/১৬৪/৪৬)
পদার্থ :- (ইন্দ্রম্) পরমৈশ্বর্য যুক্ত (মিত্রম্) মিত্র (বরুণম্) শ্রেষ্ঠ (অগ্নিম্) অগ্নি (আহঃ) বলেন (অথ) তারপর (দিব্যঃ) দ্যুলোকস্থিত (সঃ) সেই (সুপর্ণ) সুপালক (গরুত্মান্) মহান্ আত্মাযুক্ত (একম্) এক (সৎ) সত্যকে (বিঃ) মেধাবী পুরুষেরা (বহুধা) বহু প্রকারে (বদন্তি) অভিহিত করেন (অগ্নি) সর্ব্বব্যাপক পরমাত্মাকে (যমম) নিয়ন্তা (মাতারিশ্বনম্) বায়ু (আহঃ) বলেন।
বঙ্গানুবাদ :- এক সত্তা পরব্রহ্মকে জ্ঞানীরা ইন্দ্র মিত্র, বরুণ, অগ্নি, দিব্য, সুপর্ণ, গরুৎন, যম, মাতরিশ্বা আদি বহু নামে অভিহিত করেন।
ভাবার্থ :- ইন্দতি পরমৈশ্বর্যবান্ ভবতীন্দ্রঃ; যিনি পরমৈশ্বর্যবান্ তিনি ইন্দ্র। মেদ্যতি স্নিহাতি স্নিহাতে বা স মিত্রঃ; যিনি সর্ব্বাপেক্ষা অধিক স্নেহ করেন ও প্রীতির পাত্র তিনি মিত্র। বৃণোতি ব্ৰিয়তে বাহসৌ বরুনঃ; যিনি বরণ করেন বা বরণ যোগ্য তিনি বরুণ। যোহঞ্চতি অচ্যতেহ গত্যঙ্গত্যেতি বা সোহয়মগ্নিঃ; যিনি জ্ঞান স্বরূপ, সর্ব্বজ্ঞ, জ্ঞাতব্য, প্রাপ্তব্য ও পূজ্য তিনি অগ্নি। দিবি ভবঃ ইতি দিব্যঃ, যিনি জ্যোতিঃস্বরূপ তিনি দিব্য। শোভনানি পর্ণানি পালনানি যস্য সঃ সুপর্ণ; যিনি উত্তমরূপে পালন করেন তিনি সুপর্ণ। গুর্বাত্মা গরুৎমান্; মহান্ আত্মা যাঁহার তিনি গরুৎমান৷ নিয়ন্তা যমঃ; যিনি নিয়ন্তা তিনি যম। মাতরিশ্বা বায়ুঃ; বাতি, গচ্ছতি, জানাতি বেতি বায়ুঃ; যিনি বেগবান বা জ্ঞান দাতা তিনি বায়ু বা মাতরিশ্বা। এই রূপ অসংখ্য নামে একই পরমাত্মার অসংখ্য গুণ, ক্রিয়া ও স্বভাবের বর্ণনা করা হয়।

ও৩ম্ পরমেশ্বের নাম যজুর্বেদ ৪০।১৭ ছান্দোগ্য উপনিষদ ১ মান্ডুক্য ১ কঠোপনিষদ ২।১৫ মনুস্মৃতি ১২।১২২ ও ১২৩ কবল্য উপনিষদ্ ঋগ্বেদ ১।১৬৪।৪৬ যজুর্বেদ ১৩।১৮ সামবেদ ৬।৮।২ অথর্ব্ববেদ ১১।৪।১ ঈশ্বরের নাম কোন স্থলে গৌনিক অর্থাৎ গুণ-গত, কোন স্থলে কার্ম্মিক অর্থাৎ কর্ম্ম-গত টবং কোন স্থলে স্বাভাবিক অর্থ বাচক। ও৩ম্ ব্যতিত অন্য সকল নাম গৌণিক।

যিনি সকলের শিক্ষাদাতা, সূক্ষ হতে সূক্ষ, স্বপ্রকাশ স্বরূপ যিনি সমাধিস্থ বুদ্ধিদ্বারা জানার যোগ্য তাঁকে পরম পরুষ বলা যায়। স্বপ্রকাশ বলে অগ্নি বিজ্ঞান স্বরূপ বলে মনু সকলকে পাল করেন বলে প্রজাপতি পরমমৈশ্বরয্যবান্ বলে তিনি ইন্দ্র সকলের জবীন-মূল বলে প্রাণ এবং নিরন্তর ব্যাপক বলে পরমেশ্বরের নাম ব্রহ্ম [বৃহু ধাতু যার অর্ত অনন্ত বিস্তার] সর্ব্বত্র ব্যাপক বলে তিনি বিষ্ণু দুষ্টকে দন্ড দিয়ে রোদন করান বলে তিনি রুদ্র মঙ্গলময় এবং কল্যাণকারী বলে তিনি শিব তাঁর বিনাশ হয় না তাই তিনি অক্ষর [ক্ষর হলো প্রকৃতি] প্রলয়কালে সকলের কাল তাই পরমেশ্বরের নাম কালাগ্নি তিনি প্রলয় কর্ত্তা তাই কালাগ্নিরীশ্বর ইন্দ্রং মিত্রং যিনি এক অদ্বিতীয় সত্য ব্রহ্মবস্তু, ইন্দ্রাদি সমস্ত নাম তাঁরই তিনি প্রকৃত্যাদি দিব্য পদার্থে ব্যপ্ত যিনি বায়ুর ন্যায় অত্যন্ত বলবান্ তাই তাঁর নাম দিব্য, সুপর্ণ, গরুত্মান এবং মাতরিশ্বা ঈশ্বরের নাম ভূমি কারন তাতেই সকল ভূত অর্থাৎ প্রাণী থাকে বেদ মন্ত্রে যেখানে স্তুতি, প্রার্থনা ও উপাসনা প্রভৃতি প্রকরণ হয় এবং সর্ব্বজ্ঞ, ব্যাপক, শুদ্ধ, সনাতন ও সৃষ্টিকর্ত্তা প্রভৃতি বিশেষণ থাকে সেই সকল স্থানে ভূমি, সূর্য, বায়ু লৌকিক পদার্থের নামগুলো দ্বারা পরমেশ্বরের অর্থ বোঝা দরকার, উদাহরণ যজুর্বেদ ৩১ অধ্যায়ের মন্ত্র মন্ত্রে যেখানে জড়, অল্পজ্ঞ দৃশ্য, সৃষ্টি, প্রলয় প্রভৃতি বিশেষণাত্বক শব্দ লেখা থাকে তা পরমেশ্বর অর্থে আসে না..তিনি সৃষ্টি আদি ব্যাপার হতে পৃথক। যে সকল স্থানে সর্ব্বজ্ঞ প্রভৃতি বিশেষণ থাকে সে সকল স্থানে পরমাত্মার নাম বুঝতে হবে।
যাঁহাতে আকাশাদি সকল ভূত প্রবেশ করছে অথবা যিনি সকলের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়ে প্রবিষ্ট থাকেন সেই পরমেশ্বরের নাম বিশ্বএ সকল নাম শুধু অ কার থেকে গৃহীত হয়।
যাঁহাতে সূর্য্যাদি তেজস্বান্ লোকসমূহ উৎপন্ন হয়ে যাঁহার আধারে অবস্থিতি করে, অথবা যিনি সূর্য্যাদি তেজঃস্বরূপ পদার্থ সমূহের গর্ভ অর্থাৎ উৎপত্তি ও নিবাস স্থান, সেই পরমেশ্বরের নাম হিরনণ্যগর্ভ [যজু ১৩।৪]
"উ"-কার হতে হিরণ্যগর্ভ, বায়ু, তৈজস [স্বয়ং স্বপ্রকাশ এবং সূর্য্যাদি তেজস্বান লোক সমূহের প্রকাশক]। "ম"-কার হতে ঈশ্বর [সত্য বিচারশী জ্ঞান এবং অনন্ত ঐশ্বর্যযুক্ত], আদিত্য [যার কখনো বিনাশ হয় না], তাঁর নাম প্রাজ্ঞ [অভ্রান্ত জ্ঞানসম্পন্ন]-এরূপ অপর নামার্থ ওঙ্কার হতে জানা যায়।

ঈশ্বরের ১০০ নাম
👉১. বিরাট( বহু প্রকার জগৎকে প্রকাশিত করেন) 👉২. অগ্নি ( জ্ঞানস্বরুপ, সর্ব্বজ্ঞ, পূজার যোগ্য) 👉৩. বিশ্ব (যেখানে আকাশাদি ভূত প্রবেশ করছে এবং সকলের মধ্যে ব্যাপ্ত) 👉৪. হিরণ্যগর্ভ ( সূর্য্যাদি তেজঃস্বরুপ পদার্থসমূহের গর্ভ অর্থাৎ উৎপত্তি ও নিবাস স্থান) 👉৫. বায়ু( চরাচর জগতের ধারণ, রক্ষণ ও প্রলয়কর্তা এবং সকল বলবান্ অপেক্ষাও বলবান্) 👉৬. তৈজস( স্বয়ং স্বপ্রকাশ এবং সূর্য্যাদি লোকসমূহের প্রকাশক) 👉৭. ঈশ্বর (সত্য, বিচার, শীল, জ্ঞান এবং অনন্ত ঐশ্বর্য আছে) 👉৮. আদিত্য ( কখনও বিণাশ হয় না) 👉৯. প্রাজ্ঞ( অভ্রান্ত জ্ঞান যুক্ত এবং সমস্ত চরাচর জগদ্ব্যাপার যথাযথরুপে জানেন) 👉১০. মিত্র ( সকলকে স্নেহ করেন এবং সকলের প্রীতির যোগ্য) 👉১১. বরুণ ( আপ্তযোগী বিদ্বান্, মুক্তিকামী, শিষ্ট, মুমুক্ষু এবং ধর্ম্মাত্মাদেরও স্বীকার্য্য) 👉১২. অর্য়মা( সত্য ও ন্যায়কারী ব্যক্তিদের মান্য এবং পাপ পুণ্যের ফলের যথোচিত নিয়ামক) 👉১৩. ইন্দ্র ( নিখিল ঐশ্বর্যশালী) 👉১৪. বিষ্ণু ( চর ও অচর রুপ জগতে ব্যাপক) 👉১৫. উরুক্রম( অনন্ত পরাক্রমশালী) 👉১৬. ব্রহ্ম( সর্বোপরি বিরাজমান, সর্বাপেক্ষা বৃহৎ অনন্ত বলশালী পরমাত্মা) 👉১৭. সূর্য্য( স্থাবর জড়, যথা পৃথিবাদি সকলের আত্মা এবং স্বপ্রকাশরুপে সকলকে প্রকাশিত করেন) 👉১৮. পরমাত্মা (সকল জীব অপেক্ষা উৎকৃষ্ট এবং জীব প্রকৃতি ও আকাশ অপেক্ষাও অতি সূক্ষ্ম এবং সকল জীবের অন্তর্যামী আত্মা) 👉১৯. পরমেশ্বর ( সমর্থবানদের মধ্যেও সমর্থ, অতুলনীয়) 👉২০. সবিতা ( সকল জগৎ উৎপত্তি করেন) 👉২১. দেব( ক্রীড়া, বিজিগীষা, ব্যবহার, দ্যুতি, স্তুতি, মোদ, মদ, স্বপ্ন, কান্তি ও গতি) 👉২২. কুবের (স্বীয় ব্যপ্তি দ্বারা সকলকে আচ্ছাদন করেন) 👉২৩. পৃথিবী ( সমগ্র বিস্তৃত জগতের কর্তা) 👉২৪. জল( সকলের জনক ও সর্বসুখদাতা) 👉২৫. আকাশ( সব দিক দিয়ে জগতের প্রকাশক) 👉২৬. অন্ন( সকলকে ভেতরে রাখতে সমর্থ) 👉২৭. অন্নাদ( সকলের গ্রহণযোগ্য) 👉২৮. অত্তা( চরাচর জগতের ধারণ কর্তা) 👉২৯. বসু( সকলের মধ্যে বাস করছেন) 👉৩০. রুদ্র ( দুষ্কর্ম্মকারীদের রোদন করান) 👉৩১. নারায়ণ ( সর্ব জীবে ব্যাপক) 👉৩২. চন্দ্র ( সকলের আনন্দস্বরুপ এবং সকলের আনন্দদাতা) 👉৩৩. মঙ্গল( স্বয়ং মঙ্গল স্বরূপ এবং সকল জীবের মঙ্গলের কারণ) 👉৩৪. বুধ( স্বয়ং বোধস্বরুপ এবং সকল জীবের বোধের কারণ) 👉৩৫. বৃহস্পতি ( মহানদের থেকেও মহান এবং আকাশাদি ব্রহ্মাসমূহের স্বামী) 👉৩৬. শুক্র ( অত্যন্ত পবিত্র এবং সংস্পর্শে জীবও পবিত্র হয়ে যায়) 👉৩৭. শনৈশ্চর (সকলের মধ্যে সহজেই প্রাপ্ত ও ধৈর্য্যবান) 👉৩৮. রাহু(একান্তস্বরুপ, দুষ্টের ত্যাগ ও অন্যকে পরিত্যাগ করান) 👉৩৯. কেতু( সমস্ত জগতের নিবাসস্থল, সর্ব রোগরহিত, মুমুক্ষু দের সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্ত করান) 👉৪০. যজ্ঞ( সর্বজগতের পদার্থসমূহকে সংযুক্ত করেন, বিদ্বানদের পূজ্য এবং ব্রহ্ম থেকে সকল মুনি ঋষির পূজ্য ছিলেন, আছেন, থাকবেন) 👉৪১. হোতা( জীবদের দেয় পদার্থ সমূহের দাতা এবং গ্রাহ্য গ্রহণ সমূহের গ্রাহক) 👉৪২. বন্ধু ( নিজের মধ্যে সমস্ত লোক লোকান্তরকে নিয়মবদ্ধ রেখেছেন এবং সহোদরের ন্যায় সকলের সহায়ক, পৃথিব্যাদি লোকসমূহের ধারণ, রক্ষণ সুখ দান করেন) 👉৪৩. পিতা( সকল জীবের প্রতি কৃপালু ও উন্নতি কামনা করেন) 👉৪৪. পিতামহ( পিতৃগণের পিতা) 👉৪৫. প্রপিতামহ ( পিতামহদের পিতা) 👉৪৬.মাতা( সকল জীবের সুখ ও উন্নতি কামনা করেন) 👉৪৭. আচার্য( সত্যাচারকে গ্রহণ করান এবং সমস্ত বিদ্যা প্রাপ্তির হেতু) 👉৪৮. গুরু( সত্য, ধর্ম প্রতিপাদক এবং সর্ববিদ্যাযুক্ত বেদের উপদেষ্টা, সৃষ্টির আদিতে অগ্নি, বায়ু, আদিত্য, অঙ্গিরা ও ব্রহ্মাদি গুরুজনেরও গুরু) 👉৪৯. অজ( প্রকৃতির সমস্ত অবয়ব আকাশাদি ভূত- পরমাণু সমূহকে যথোচিত ভাবে মিলিত করেন, জীবদের শরীরের সহিত সম্বন্ধ করিয়ে জন্মদান করেন কিন্তু স্বয়ং কখনও জন্মগ্রহণ করেন না) 👉৫০. ব্রহ্মা( সম্পূর্ণ জগৎ রচনা করে বিস্তৃত করেন) 👉৫১. সত্য ( সকল পদার্থের মধ্যে সাধু) 👉৫২. জ্ঞান ( সমস্ত জগতের জ্ঞাতা) 👉৫৩. অনন্ত( অন্ত অবধি সীমা অর্থাৎ লম্বা, চওড়া, ছোট, বড় এরূপ পরিমাপ নেই) 👉৫৪. অনাদি ( যার পূর্বে কিছুই নেই, কোন আদি কারণ নেই) 👉৫৫. আনন্দ ( সকল মুক্ত জীব আনন্দ লাভ করেন এবং সকল ধর্ম্মাত্মা জীবকে আনন্দিত করেন) 👉৫৬. সৎ( ভূত, ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানে যার নাস্তিত্ব নেই) 👉৫৭. চিৎ( চেতনস্বরুপ, সকল জীবকে চেতনাযুক্ত করেন, সত্যাসত্যের জ্ঞাপয়িতা) 👉৫৮. সচ্চিদানন্দ স্বরুপ ( সৎ, চিৎ, আনন্দ তিন শব্দের বিশেষণ) 👉৫৯. নিত্য( নিশ্চল ও অবিনাশী) 👉৬০. শুদ্ধ (স্বয়ং পবিত্র, সকল অশুদ্ধি হতে পৃথক, সকলকে শুদ্ধ করেন) 👉৬১. বুদ্ধ( সর্বদা সকলের জ্ঞাতা) 👉৬২. মুক্ত ( মুমুক্ষুদের ক্লেশ হতে মুক্ত করেন) 👉৬৩. নিরাকার (কোনও আকার নেই, কখনও শরীর ধারণ করেন না) 👉৬৪. নিরঞ্জন ( ব্যক্তি অর্থাৎ আকৃতি, ম্লেচ্ছাচার, দৃষ্ট কামনা ও চক্ষু ইত্যাদি ইন্দ্রিয় সমূহের বিষয়পথ হতে পৃথক) 👉৬৫. গণপতি ( প্রকৃত্যাদি জড় এবং সর্ব জীবাখ্য পদার্থ সমূহের পালন কর্তা) 👉৬৬. বিশ্বেশ্বর ( সংসারের অধিষ্ঠাতা) 👉৬৭. কূটস্থ ( সকল ব্যবহারে ব্যাপ্ত ও আধার হয়েও কোন ব্যবহারে স্বীয় স্বরূপ পরিবর্তন করেন না) 👉৬৮. দেবী( "ব্রহ্মচিতিরীশ্বরশ্চেতি" এ ঈশ্বরের বিশেষণ দেব, তেমনি চিতির বিশেষণ দেবী) 👉৬৯. শক্তি ( সকল জগতের রচনায় সমর্থ) 👉৭০. শ্রী( সমস্ত জগৎ, বিদ্বানমন্ডলী এবং যোগীজন যাঁর সেবা করেন) 👉৭১. লক্ষ্মী( সমস্ত চরাচর জগৎকে দেখেন, চিহ্নিত বা দর্শনীয় করেন নির্মাণ করেন, শরীরে নেত্র, নাসিকা, বৃক্ষের পত্র, পুষ্প, ফল, মূল, পৃথিবী ও জল আদি কৃষ্ণ, রক্ত ও শ্বেত মৃত্তিকা, পাষাণ, চন্দ্র ও সূর্য্যাদি চিহ্ন রচনা করেন, সকলকে দেখেন, সকল শোভার শোভা, বেদাদি শাস্ত্র বা ধার্মিক যোগীদের লক্ষ্য ও দর্শনীয়) 👉৭২. সরস্বতী ( বিবিধ বিজ্ঞান , শব্দ, সম্বন্ধ ও প্রয়োগের যথাযথ জ্ঞান আছে) 👉৭৩. সর্ব্বশক্তিমান( নিজ সামর্থ্য দ্বারাই স্বীয় সর্ব কার্য্য পূর্ণ করেন) 👉৭৪. ন্যায়কারী( ন্যায় পক্ষপাত রহিত ধর্ম্ম করাই যার স্বভাব) দন্ড দাতা) 👉৭৫. দয়ালু( অভয়দাতা, সত্যাসত্য সর্ব বিদ্যার জ্ঞাতা, সজ্জনদের রক্ষক এবং দুষ্টদের যথোচিত দন্ড দাতা) 👉৭৬. অদ্বৈত ( স্বজাতীয় ঈশ্বর, বিজাতীয় ঈশ্বর বা নিজ আত্মায় তত্ত্বান্তর বস্তু হতে ভিন্ন) 👉৭৭. নির্গুণ( শব্দ, স্পর্শ এবং রুপাদি গুণ রহিত) 👉৭৮. সগুণ ( সর্বজ্ঞান, সর্বসুখ, পবিত্রতা ও অনন্ত বলাদি, ইচ্ছাদি নিজ গুণ যুক্ত) 👉৭৯. অন্তর্যামী( প্রাণী ও অপ্রাণী জগতের মধ্যে ব্যাপক হয়ে সকলকে নিয়ন্ত্রণ করেন) 👉৮০. ধর্মরাজ( ধর্মেই প্রকাশমান, অধর্ম রহিত ও ধর্মেরই প্রকাশক) 👉৮১. যম( সকল প্রাণীর কর্মফল প্রদানের ব্যবস্থা করেন এবং সকল অন্যায় হতে পৃথক থাকেন) 👉৮২. ভগবান ( সমগ্র ঐশ্বর্যযুক্ত ও ভজনের যোগ্য) 👉৮৩. মনু( বিজ্ঞানশীল ও মাননীয়) 👉৮৪. পুরুষ (সকল জগতের মধ্যে পূর্ণ) 👉৮৫. বিশ্বম্ভর( জগতের ধারণ ও পোষণ করেন) 👉৮৬. কাল( জগতের সকল পদার্থের এবং জীবদের সংখ্যা করেন) 👉৮৭. শেষ (উৎপত্তি ও প্রলয়ের পরে শেষ বা অবশিষ্ট থাকেন) 👉৮৮. আপ্ত( সত্য উপদেশক, সকল বিদ্যাযুক্ত, ধর্ম্মাত্মাদের প্রাপ্ত হয়ার যোগ্য, ছলকপটাদি রহিত) 👉৮৯. শঙ্কর ( কল্যাণ অর্থাৎ সুখকারী) 👉৯০. মহাদেব ( মহান দেবগণেরও দেব, বিদ্বানদেরও বিদ্বান, সূর্য্যাদি পদার্থসমূহের প্রকাশক) 👉৯১. প্রিয়( সব ধর্মাত্মা, মুমুক্ষু ও শিষ্ট দের প্রসন্ন করেন, সকলের কাম্য) 👉৯২. স্বয়ম্ভু (আপনা আপনিই আছেন, কখনো কারোর দ্বারা উৎপন্ন হননি) 👉৯৩. কবি( বেদদ্বারা সকল বিদ্যার উপদেশ দান করেন ও বেত্তা) 👉৯৪. প্রণব( মন্ত্রের প্রাণ) 👉৯৫. শ্বাশত ( কখনও ধ্বংস হননা) 👉৯৬. সাক্ষী( সকলের কর্মের দ্রষ্টা ও তাতে নির্লিপ্ত) 👉৯৭. জগৎকারণ( জগতের পরম কারণ) 👉৯৮. অক্ষয়( কখনোই ক্ষতি প্রাপ্ত হননা) 👉৯৯. বেদ ( জ্ঞান স্বরূপ) 👉১০০. শিব( কল্যাণরুপ ও কল্যাণকারী)
রেফারেন্সঃ যজুর্বেদ, ঋগ্বেদ, সামবেদ উত্তরার্চিক, অথর্ববেদ, ছান্দোগ্য উপনিষদ, মান্ডুক্য উপনিষদ, কঠোপনিষদ, মনুসংহিতা, কৈবল্য উপনিষদ।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

জাতিবাদ ও ভগবান মনু

  সম্পাদকীয় বর্তমান সময়ে দেশ অনেক গম্ভীর সমস্যায় গ্রস্ত আছে, তারমধ্যে একটা হল - জাতিবাদ। এই জাতিবাদের কারণে আমাদের দেশের অনেক বড় হানি হ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ