যজুর্বেদ ৪০/ ৯ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

09 October, 2020

যজুর্বেদ ৪০/ ৯

 अ॒न्धन्तमः॒ प्र वि॑शन्ति॒ येऽस॑म्भूतिमु॒पास॑ते।

ततो॒ भूय॑ऽइव॒ ते तमो॒ यऽउ॒ सम्भूत्यां र॒ताः ॥

অন্ধন্তমঃ প্র বিশন্তি য়েऽসম্ভূতিমুপাসতে।

ততো ভুয়োऽইব তে তমো যऽউ সম্ভূত্যা রতা:॥-শুক্ল যজুর্বেদ

पद पाठ

अ॒न्धम्। तमः॑। प्र। वि॒श॒न्ति॒। ये। अस॑म्भूति॒मित्यस॑म्ऽभूतिम्। उ॒पास॑त॒ इत्यु॑प॒ऽआस॑ते ॥ ततः॑। भूय॑ऽइ॒वेति॒ भूयः॑ऽइव। ते। तमः॑। ये। ऊँ॒ऽइत्यूँ॑। सम्भू॑त्या॒मिति॒ सम्ऽभू॑त्या॒म्। र॒ताः ॥-যজুর্বেদ- অধ্যায় ৪০ মন্ত্র ৯

पदार्थान्वयभाषाः -(ये) जो लोग परमेश्वर को छोड़कर (असम्भूतिम्) अनादि अनुत्पन्न सत्व, रज और तमोगुणमय प्रकृतिरूप जड़ वस्तु को (उपासते) उपास्यभाव से जानते हैं, वे (अन्धम्, तमः) आवरण करनेवाले अन्धकार को (प्रविशन्ति) अच्छे प्रकार प्राप्त होते और (ये) जो (सम्भूत्याम्) महत्तत्त्वादि स्वरूप से परिणाम को प्राप्त हुई सृष्टि में (रताः) रमण करते हैं (ते) वे (उ) वितर्क के साथ (ततः) उससे (भूय इव) अधिक जैसे वैसे (तमः) अविद्यारूप अन्धकार को प्राप्त होते हैं ॥

পদার্থ-(প্রবিশস্তি) প্রবেশ করে ( যে) যে ( অসম্ভূতিম) অনাদি প্রকৃতিকে (উপাসতে) উপাসনা করে (ততঃ) তাহার থেকেও (ভূয়ইব) অধিকতর (তে) ঐ ( তমঃ) অন্ধকারে প্রবেশ করে (যে) যে (উ) বিতর্কের সহিত (সম্ভূতাম্)প্রকৃতির কার্য মধ্যে (রতা)রত থাকে।।

ভাষাৰ্থঃ-যে লােক পরমেশ্বরকে ছেড়ে (অসম্ভূতিম্) অনাদি, যাহার উৎপত্তি কখনাে হয় না, সত্ত্ব, রজ, তমগুণরূপ প্রকৃতি নামক জড় বস্তুকে (উপাসতে) উপাসনীয় বােঝে (তে) তারা (অন্ধম্) আচ্ছাদনকারী (মঃ) অন্ধকারে (প্র) উত্তম প্রকারে (বিশন্তি) প্রবিষ্ট হয়। (য়ে) যে লােক ( সম্ভূত্যাম্) মহত্তত্ত্বাদি স্বরূপে পরিণত হয়ে সৃষ্টিতে (রতাঃ) রমণকারী হয়, (তে) তারা (উ) নিঃসন্দেহে (ততঃ) তাদের থেকে (ভূয় ইব) আরাে অধিক (তমঃ) অবিদ্যারূপ অন্ধকারে (প্রবিশন্তি) প্রবিষ্ট হয়।।

[(ye) jo log parameshvar ko chhodakar (asambhootim) anaadi anutpann satv, raj aur tamogunamay prakrtiroop jad vastu ko (upaasate) upaasyabhaav se jaanate hain, ve (andham, tamah) aavaran karanevaale andhakaar ko (pravishanti) achchhe prakaar praapt hote aur (ye) jo (sambhootyaam) mahattattvaadi svaroop se parinaam ko praapt huee srshti mein (rataah) raman karate hain (te) ve (u) vitark ke saath (tatah) usase (bhooy iv) adhik jaise vaise (tamah) avidyaaroop andhakaar ko praapt hote hain .]

भावार्थभाषाः -जो मनुष्य समस्त जड़जगत् के अनादि नित्य कारण को उपासना भाव से स्वीकार करते हैं, वे अविद्या को प्राप्त होकर क्लेश को प्राप्त होते और जो उस कारण से उत्पन्न स्थूल-सूक्ष्म कार्य्यकारणाख्य अनित्य संयोगजन्य कार्य्यजगत् को इष्ट उपास्य मानते हैं, वे गाढ़ अविद्या को पाकर अधिकतर क्लेश को प्राप्त होते हैं, इसलिये सच्चिदानन्दस्वरूप परमात्मा की ही सब सदा उपासना करें ॥-स्वामी दयानन्द सरस्वती

(jo manushy samast jadajagat ke anaadi nity kaaran ko upaasana bhaav se sveekaar karate hain, ve avidya ko praapt hokar klesh ko praapt hote aur jo us kaaran se utpann sthool-sookshm kaaryyakaaranaakhy anity sanyogajany kaaryyajagat ko isht upaasy maanate hain, ve gaadh avidya ko paakar adhikatar klesh ko praapt hote hain, isaliye sachchidaanandasvaroop paramaatma kee hee sab sada upaasana karen )

-যে সকল লােক জড় জগতের অনাদি নিত্য কারণ প্রকৃতিকে
বােঝে তারা অবিদ্যাকে প্রাপ্ত করে সদা দুঃখী থাকে। আর যে ওই কারণ প্রকৃতি দ্বারা উৎপন্ন হয়ে পৃথিব্যাদি স্থূল, কার্য কারণ রূপ সূক্ষ্ম অনিত্য সংযােগ দ্বারা উৎপন্ন কার্য জগতকে নিজের ইষ্ট উপাস্য দেব
মানে; তারা গাঢ়=গভীর অবিদ্যাকে প্রাপ্ত করে তার থেকে অধিক দুঃখী থাকে। এইজন্য সচ্চিদানন্দ স্বরূপ পরমাত্মাকে সদা উপাসনা করেন।।
ভাষ্যসার-কোন মনুষ্য ঘোর অন্ধকারে প্রাপ্ত হয়-যে মনুষ্য পরমেশ্বরকে ছেড়ে অসম্ভুতি অর্থাৎ অনাদি, অনুৎপন্ন, প্রকৃতি নামক সত্ব, রজ, তমগুণময় জড়বস্তুকে উপাস্য মানে, তারা ঘাের অন্ধকারকে প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ অবিদ্যার প্রাপ্ত হয়ে সদা দুঃখী থাকে। আর যে সম্ভূতি অর্থাৎ ওই কারণ প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন, মহদাদি স্বরূপে পরিণত হয়ে সৃষ্টি অর্থাৎ পৃথিব্যাদি স্থূল জগৎ, কার্য-কারণ রূপ সূক্ষ্ম, অনিত্য সংযােগ কার্য জগতকে উপাস্য মানে; তার মধ্যে রমণ করে তারা তাদের থেকেও আরাে অধিক গাড় অবিদ্যা- অন্ধকারকে প্রাপ্ত হয়ে দুঃখী থাকে। অতঃ সব মনুষ্য সচ্চিদানন্দ স্বরূপ পরমাত্মাকেই সদা উপাসনা করেন।।

ঘোর অন্ধকারে প্রবেশ করে যে অনাদি প্রকৃতিকে উপাসনা করে। তাহার থেকেও অধিকতর ঐ অন্ধকারে পোবেশ করে যে বিতর্কের সহিত প্রকৃতির কার্য মধ্যে রত থাকে।।

সংভূতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু 

সংভূতি হল – মানুষের তৈরী বস্তু 

‘সম্’ শব্দের অর্থ ‘একসাথে’ আর ‘ভূতি’ অর্থ ‘হওয়া’, অর্থাৎ একত্রিত হওয়া, ব্যক্তিত্বের কথা পৃথক চিন্তা না করে সমাজের জন্য চিন্তা করাই ‘সম্ভূতি’ ৷ এর বিপরীতে কেবল ব্যক্তিস্বার্থের প্রাধান্য দেওয়াই ‘অসম্ভূতি ’—এখানে ব্যক্তি কেবল নিজের কল্যাণ চিন্তা করে, সমাজের কল্যাণ সে উপেক্ষা করে ৷ এই মন্ত্র এই কথা বলে যে:—
(যে) যে ব্যক্তি (অসম্ভূতিম্) ব্যক্তিবাদের (উপাসতে) উপাসনা করে, সে (অন্ধতমঃ) গভীর অন্ধকারে (প্রবিশন্তি) প্রবেশ করে ৷ কিন্তু একক সমাজবাদ কি কল্যাণ করতে পারে? উত্তর এই যে, কল্যাণ তো দূরের কথা (যে) যে ব্যক্তি (সম্ভূত্যাম্) সমাজবাদে (রতাঃ) ফেঁসে আছে (তে) সে (ততঃ) ঐ ব্যক্তিবাদীর চেয়েও (ভূয় ইব) যেন অধিকতর (তমো) অন্ধকারে প্রবেশ করে ৷ কেবল সমাজবাদীদের গতি ব্যক্তিবাদীদের চেয়ে অধিক হীন হয় ৷ কারণ তারা ব্যক্তিকে একদম উপেক্ষা করায় ব্যক্তি উন্নতি সমাপ্ত হয়ে যায় ৷ অথচ ব্যক্তি নিয়েই সমাজ গঠিত হয় ৷ তাই ব্যক্তি নির্বল হওয়ার পরিণামে সমাজ নির্বল হয়ে যায় ৷ (হিন্দী থেকে ভাষান্ততরিত) [ভাষ্যকার: পণ্ডিত হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার]


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ