যজুর্বেদ ২১/৪৩ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

02 January, 2021

যজুর্বেদ ২১/৪৩

যজুর্বেদ ২১/৪৩

 
হোতেত্যস্য স্বস্ত্যাত্রেয় ঋষিঃ । হোত্রাদয়ো দেবতাঃ । আদ্যস্য য়াজুষী পংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ । হবিষ ইত্যুত্তরস্যোৎকৃতিশ্ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

হোতা॑ য়ক্ষদ॒শ্বিনৌ॒ ছাগ॑স্য হ॒বিষ॒ऽআত্তা॑ম॒দ্য ম॑ধ্য॒তো মেদ॒ऽউদ্ভৃ॑তং পু॒রা দ্বেষো॑ভ্যঃ পু॒রা পৌরুষেয়্যা গৃ॒ভো ঘস্তাং॑ নূ॒নং ঘা॒সেऽঅ॑জ্রাণাং॒ য়ব॑সপ্রথমানাᳬসু॒মৎক্ষ॑রাণাᳬ শতরু॒দ্রিয়া॑ণামগ্নিষ্বা॒ত্তানাং॒ পীবো॑পবসনানাং পার্শ্ব॒তঃ শ্রো॑ণি॒তঃ শি॑তাম॒তऽউ॑ৎসাদ॒তোऽঙ্গা॑দঙ্গা॒দব॑ত্তানাং॒ কর॑তऽএ॒বাশ্বিনা॑ জু॒ষেতা॑ᳬহ॒বির্হোত॒র্য়জ॑ ॥ ৪৩ ॥

পদার্থঃ- হে (হোতঃ) দাতা ! যেমন (হোতা) গ্রহীতা (অশ্বিনৌ) অধ্যাপনা ও উপদেশকারীদেরকে (য়ক্ষৎ) সংগতি করিবে এবং তাহারা (অদ্য) আজ (ছাগস্য) ছাগাদি পশুদিগের (মধ্যতঃ) মধ্য হইতে (হবিষা) গ্রহণীয় পদার্থের (মেদঃ) স্নিগ্ধ অংশ অর্থাৎ ঘৃত দুগ্ধ ইত্যাদি (উদ্ভৃতম্) উদ্ধার কৃত (আত্তাম্) গ্রহণ করিবে অথবা যেমন (দ্বেষোভ্যঃ) দুষ্টদিগের হইতে (পুরা) প্রথম (গৃভঃ) গ্রহণীয় (পৌরুষেভ্যঃ) পুরুষদিগের সমূহে উত্তম স্ত্রীর (পুরা) প্রথমে (নূনম্) নিশ্চয় করিয়া (ঘস্তাম্) আহার করিবে অথবা যেমন (য়বসপ্রথমানাম্) যব যাহার প্রথম অন্ন (ঘাসে অজ্রাণাম্) যাহা খাইতে প্রথম উপস্থিত করিবার যোগ্য (সুমৎক্ষরাণাম্) যাহার উত্তম উত্তম আনন্দের কম্পন আগমন (শতরুদ্রিয়াণাম্) দুষ্টদিগকে রোদনকারী শত শত রুদ্র যাহাদের দেবতা (পীবোপবসনানাম্) বা যাহাদের মোটা মোটা বস্ত্র সমূহের আচ্ছাদন-পরিধান করা (অগ্নিষ্বাত্তানাম্) অথবা যাহারা ভালমত অগ্নিবিদ্যার গ্রহণ করিয়াছে, এই সব প্রাণিদিগের (পার্শ্বতঃ) পার্শ্বভাগ (শ্রোণিতঃ) কটিপ্রদেশ (শিতামতঃ) তীক্ষ্ন যাহাতে অপক্বঅন্ন সেই প্রদেশ (উৎসাদতঃ) উৎপাটিত অঙ্গ এবং (অঙ্গাদঙ্গাৎ) প্রত্যেক অঙ্গ দ্বারা ব্যবহার বা (অবত্তানাম্) নম্র উত্তম অঙ্গ সকল (এব) ইর ব্যবহার (অশ্বিনা) সুবৈদ্য (করতঃ) করিবে এবং (হবিঃ) উক্ত পদার্থ দ্বারা খাইবার যোগ্য পদার্থের (জুষেতাম্) সেবন করিবে তদ্রূপ (য়জ) সকল পদার্থ বা ব্যবহারের সংগতি করিতে থাক ॥ ৪৩ ॥

अन्वयः

हे होतर्यथा होताश्विनौ यक्षत् तौ चाद्य छागस्य मध्यतो हविषो मेद उद्भृतमात्तां यथा वा पुरा द्वेषोभ्यो गृभः पौरुषेय्याः पुरा नूनं घस्तां यथा वा यवसप्रथमानां घासेअज्राणां सुमत्क्षराणां शतरुद्रियाणां पीवोपवसनानामग्निष्वात्तानां पार्श्वतः श्रोणितः शितामत उत्सादतोऽङ्गादङ्गादवत्तानामेवाश्विना करतो हविर्जुषेतां तथा त्वं यज॥४३॥


पदार्थः [संस्कृत ]

(होता) आदाता (यक्षत्) (अश्विनौ) अध्यापकोपदेशकौ (छागस्य) (हविषः) आदातुमर्हस्य (आत्ताम्) (अद्य) (मध्यतः) मध्यात् (मेदः) स्निग्धम् (उद्भृतम्) उत्कृष्टतया धृतम् (पुरा) (द्वेषोभ्यः) दुष्टेभ्यः (पुरा) (पौरुषेय्याः) पुरुषाणां समूहे साध्व्यः (गृभः) ग्रहीतुं योग्यायाः (घस्ताम्) भक्षयताम् (नूनम्) निश्चितम् (घासेअज्राणम्) भोजनेऽग्रे प्राप्तव्यानाम् (यवसप्रथमानाम्) यवसो यवान्नं प्रथमं येषां तेषाम् (सुमत्क्षराणाम्) सुष्ठु मदां क्षरः संचलनं येषां तेषाम् (शतरुद्रियाणाम्) शतं रुद्राः शतरुद्राः शतरुद्रा देवता येषां तेषाम् (अग्निष्वात्तानाम्) अग्निः सुष्ठ्वात्तो गृहीतो यैस्तेषाम् (पीवोपवसनानाम्) पीवांस्युपवसनान्याच्छादनानि येषां तेषाम् (पार्श्वतः) उभयतः (श्रोणितः) कटिप्रदेशात् (शितामतः) शितस्तीक्ष्ण आमोऽपरिपक्वं यस्मिंस्तस्मात् (उत्सादतः) उत्सादनं कुर्वतः (अङ्गादङ्गात्) प्रत्यङ्गात् (अवत्तानाम्) नम्रीभूतानामुत्कृष्टानामङ्गानाम् (करतः) कुर्याताम् (एव) (अश्विना) सद्वैद्यौ (जुषेताम्) (हविः) अत्तुमर्हम् (होतः) (यज)॥४३॥

ভাবার্থঃ- যাহারা ছাগাদি পশুসমূহের রক্ষা করিয়া তাহাদের দুগ্ধাদির সুসংস্কার এবং আহার করিয়া বৈরভাবযুক্ত পুরুষদিগের নিবারণ করিয়া এবং সুবৈদ্যদিগের সঙ্গ করিয়া উত্তম আহার-পরিধান করে, তাহারা প্রত্যেক অঙ্গ দ্বারা রোগসমূহকে দূরীভূত করিয়া সুখী হয় ॥ ৪৩ ॥

মহর্ষি দয়ানন্দকৃত –
যজুর্বেদ-২১/৪৩ মন্ত্র ভাষ্যের ভ্রান্তিনিবারণ
কিছু লোক মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী জীকে পরিহাস করে বলে যে - স্বামী দয়ানন্দ নিজ বেদভাষ্যে ছাগ এর দুগ্ধ পান করার জন্য বলেছে। আচ্ছা ছাগ এর দুগ্ধও হয় নাকি? এই লিখনীতে আমরা এই আক্ষেপের নিবারণ করবো। কিন্তু সর্বপ্রথম আমরা ইহা জানিয়ে দেই যে - মহর্ষি দয়ানন্দজী কেবল সংস্কৃত ভাষ্যই করেছেন, হিন্দী অনুবাদ বা ভাষ্য মহর্ষি করেননি। হিন্দী অনুবাদ অন্য পণ্ডিতজন করেছেন। আমরা আমাদের এই কথনকে পুষ্ট করার হেতু কিছু প্রমাণ উদ্ধৃত করছি–
মহর্ষি দয়ানন্দ কা জীবন চরিত ভাগ ২ (লেখক - দেবেন্দ্র নাথ জী মুখোপাধ্যায়) এর পরিশিষ্ট সংখ্যা ৫ এ লিখেছেন-
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী কৃত গ্রন্থসমূহের সঞ্চিত পরিচয়–
(১) ঋগ্বেদ ভাষ্য - এতে মূল মন্ত্র, পদপাঠ, সংস্কৃততে পদার্থ ভাষ্য, অন্বয় এবং ভাবার্থ দিয়ে পুনঃ আর্যভাষায় অন্বয়ানুসারে অর্থ ও ভাবার্থ দেওয়া হয়েছে। মহর্ষি জী তো কেবল সংস্কৃত ভাষ্যই রচনা করেছিলেন। উহার হিন্দী ভাষানুবাদ পণ্ডিতেরা করেছে। এই ভাষ্য কেবল মণ্ডল ৭/সূক্ত ৬১/মন্ত্র ২ পর্যন্তই হয়েছে। ঋষি দয়ানন্দ নিজ জীবনকালে ইহার সমাপ্ত করতে পারেননি।
(২) যজুর্বেদ ভাষ্য - এতে ঋগ্বেদের মতোই মূল মন্ত্র, পদপাঠ, পদার্থ ভাষ্য, অন্বয়, ভাবার্থ সংস্কৃতে এবং আর্য ভাষায় অন্বয়ানুসারে অর্থ ও ভাবার্থ দেওয়া হয়েছে।
অতঃ এখানে স্পষ্ট যে যজুর্বেদ ভাষ্যও ঋগ্বেদের মতোই সংস্কৃত ভাষায়, ভাষা ভাষ্য অর্থাৎ হিন্দী ভাষায় করা অর্থ পণ্ডিতদের।
জীবনচরিত মহর্ষি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (লেখক - পণ্ডিত লেখরাম জী) পুস্তকের নবম অধ্যায় (বেদভাষ্যে এক দৃষ্টি) তে লিখেছেন –
ঋষিকৃত বেদভাষ্যের মহত্ব - তাঁহার লিখিত সংস্কৃত ভাষ্যই বাস্তবিক - সর্ববিদ্যাসমূহের মূল দর্শক, নিরুক্ত, নিঘণ্টু, শতপথ আদি ঋষিকৃত গ্রন্থসমূহের আশয়ের প্রচারক, সৃষ্টির অখন্ড অটল নিয়মের মধ্যে বেদার্থ সম্পর্কে জ্ঞাত মহর্ষির বেদভাষ্যরূপী অদ্ভুত গ্রন্থ আজ অন্ধকারে পীড়িত ভূমণ্ডলকে নিভ্রান্ত নিষ্কলঙ্ক বেদসূর্যের দর্শনের মঙ্গল সমাচার দিচ্ছে। অন্ধকারে যদি লোকজন মার্গ না দেখতে পায় তাহলে প্রকাশ মার্গ দেখায় পরন্তু যে প্রকাশ মধ্যে মার্গ দেখেও সেই মার্গে চলার পুরুষার্থ করেনা তাহা হইতে মন্দভাগী আর কে হতে পারে? সত্যাসত্য মার্গ দেখতে সহায়তা করা সূর্যের কার্য্য পরন্তু অসত্য হইতে সাবধান হয়ে সত্যমার্গে পুরুষার্থ দ্বারা চলা মনুষ্যের নিজ পুরুষার্থ। মহর্ষির বেদভাষ্য হওয়ার পরেও যদি লোকজন দুঃখে থাকে তাহলে বেদভাষ্যরূপী সূর্যের দোষ নয় কিন্তু সেই লোকদের নিজ আলস্য বা কর্মের ফলরূপী দোষ রয়েছে। দিনের প্রকাশেও [আলোতেও] যে পথিক সাধনশীল হয়ে নিজ মার্গে চলতে চায়না তাহলে সে অপরাধী নাকি সূর্য? বেদ স্বয়ম্ উপদেশ দিচ্ছে যে - যে মনুষ্য বেদের মূখ্য তাৎপর্য - পরমাত্মা কে জানেন না, তাহার ঋগ্বেদ হইতেও সুখ প্রাপ্ত হতে পারেনা। বাস্তবে সূর্য হইতে পুরুষার্থী লোকই লাভবান হতে পারে। সাধন এবং পুরুষার্থরহিত অন্ধ ও অলস ব্যক্তি পুরুষ নহে। যাহার বুদ্ধিচক্ষু নষ্ট হয়ে গেছে তার জন্য শাস্ত্রের সূর্যও কি বা করতে পারে? আজকাল ইংরেজী জানেন এমন অনেকে যারা বেদমন্ত্রের স্বরসহিত পাঠমাত্রও করতে পারবে না, তারা হাসির ছলে মহর্ষির সারগর্ভিত বেদভাষ্যকে সমাচারপত্রের মতো দেখে এবং মহর্ষির সরল সংস্কৃতযুক্ত লেখনী ছেড়ে অনুবাদকদের প্রমাণিত ভাষাতত্ত্ব ছেড়ে কেবল ভাষার্থ [হিন্দী অনুবাদ] দুই মিনিট পড়েই নির্ণয় দিয়ে দেয় যে, এতে নতুন কোন বিদ্যা প্রতীত হচ্ছেনা, এই ভাষ্য সাধারণ পুস্তকের মতোই। সূর্যের গুণ এবং পূর্ণতার সাক্ষী সেই মনুষ্যই দিতে পারে যে স্বস্থ হলে পরে সত্যমার্গে পুরুষার্থ দ্বারা চলতে চায় পরন্তু সাধনরহিত অলস পুরুষ সূর্যের মহিমাকে কখন অনুভব করতে পারে। বেদ ভাষ্যের শ্রেষ্ঠ গুণ পূর্বোক্ত প্রকারের ইংরেজী জানা ব্যক্তি, যা তার বুঝার সাধন হইতে রহিত এবং যার ফেশনেবল হৃদয়ে বিদ্যামৃত পান করার ইচ্ছা পর্যন্ত নাই, যে রাতদিন পশ্চিমী অনুকরণ এবং ফেশনের পূজায় নিমগ্ন এবং তামসিক আহার-ব্যবহারে লম্পট, যে নিজ বিচার ও নিজ সাত্ত্বিক বুদ্ধির ব্যবহার করতে চায়না, প্রত্যুত যে বলার জন্য মনুষ্যকে ভুল করে এরূপ বলতে থেকে স্বয়ম্ সাধারণ পশ্চিমী মনুষ্যদের ভ্রমকে নিভ্রান্ত ঈশ্বরীয় জ্ঞান হইতেও অধিক মানছে, তারা এই প্রকারের ফেশনেবল (Fashionable) সাধনরহিত যদি বেদভাষ্যের রত্নের উত্তমতা ও মহানতা বুঝতে না পারে তো আমাদের আশ্চর্য হওয়া উচিৎ নয়। কেননা তারা একে বুঝার জন্য যথার্থ উপায়ই করেনা।
বস্তুতঃ সময়াভাবের কারনে ঋষি জী বেদ ভাষ্য অতি সংক্ষিপ্ত এবং সাংকেতিক করেছেন। কিন্তু তিনি আশা করেছিলেন যে হিন্দী অনুবাদগণ তাঁহার যথার্থ ভাব বুঝে পদার্থ করবে, পরন্তু এমন হয়নি। বেদার্থে অনভিজ্ঞ লোক হিন্দী পদার্থ দেখে ঋষি ভাষ্য নিয়ে আক্ষেপ করে। অতঃ আমরা মহর্ষি দয়ানন্দকৃত সংস্কৃত ভাষ্য নিয়ে বিচার করবো।
সর্বপ্রথম যজুর্বেদ-২১/৪৩ মন্ত্রের সংস্কৃত ভাষ্য দেখুন–
होता॑ यक्षद॒श्विनौ॒ छाग॑स्य ह॒विष॒ऽआत्ता॑म॒द्य म॑ध्य॒तो मेद॒ऽउद्भृ॑तं पु॒रा द्वेषो॑भ्यः पु॒रा पौरु॑षेय्या गृ॒भो घस्तां॑ नू॒नं घा॒सेऽअ॑ज्राणां॒ यव॑सप्रथमाना सु॒मत्क्ष॑राणा शतरु॒द्रिया॑णामग्निष्वा॒त्तानां॒ पीवो॑पवसनानां पार्श्व॒तः श्रो॑णि॒तः शि॑ताम॒तऽउ॑त्साद॒तोऽङ्गा॑दङ्गा॒दव॑त्तानां॒ कर॑तऽए॒वाश्विना॑ जु॒षेता॑ ह॒विर्होत॒र्यज॑॥४३॥
पदार्थः (होता) आदाता (यक्षत्) (अश्विनौ) अध्यापकोपदेशकौ (छागस्य) (हविषः) आदातुमर्हस्य (आत्ताम्) (अद्य) (मध्यतः) मध्यात् (मेदः) स्निग्धम् (उद्भृतम्) उत्कृष्टतया धृतम् (पुरा) (द्वेषोभ्यः) दुष्टेभ्यः (पुरा) (पौरुषेय्याः) पुरुषाणां समूहे साध्व्यः (गृभः) ग्रहीतुं योग्यायाः (घस्ताम्) भक्षयताम् (नूनम्) निश्चितम् (घासेअज्राणम्) भोजनेऽग्रे प्राप्तव्यानाम् (यवसप्रथमानाम्) यवसो यवान्नं प्रथमं येषां तेषाम् (सुमत्क्षराणाम्) सुष्ठु मदां क्षरः संचलनं येषां तेषाम् (शतरुद्रियाणाम्) शतं रुद्राः शतरुद्राः शतरुद्रा देवता येषां तेषाम् (अग्निष्वात्तानाम्) अग्निः सुष्ठ्वात्तो गृहीतो यैस्तेषाम् (पीवोपवसनानाम्) पीवांस्युपवसनान्याच्छादनानि येषां तेषाम् (पार्श्वतः) उभयतः (श्रोणितः) कटिप्रदेशात् (शितामतः) शितस्तीक्ष्ण आमोऽपरिपक्वं यस्मिंस्तस्मात् (उत्सादतः) उत्सादनं कुर्वतः (अङ्गादङ्गात्) प्रत्यङ्गात् (अवत्तानाम्) नम्रीभूतानामुत्कृष्टानामङ्गानाम् (करतः) कुर्याताम् (एव) (अश्विना) सद्वैद्यौ (जुषेताम्) (हविः) अत्तुमर्हम् (होतः) (यज)॥४३॥
আপনি যদি এই মন্ত্রটির ঋষি ভাষ্য অর্থাৎ মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর ভাষ্য দেখেন তাহলে বিদিত হবেন যে ঋষি সময়াভাবের কারণে ছাগস্য পদের অর্থ না করেই পরের মন্ত্রে এগিয়ে গিয়েছেন, কারণ তিনি প্রথমেই এই পদের অর্থ করেছিলেন এজন্য তাঁর মনে হয়েছিল যে ভাষানুবাদকারী পণ্ডিতবর্গ এই পদের ভাষার্থে সঠিক অর্থ করে দিবেন কিন্তু সেসব পন্ডিতবর্গ অর্থের অনর্থ করে দিয়েছেন।
এটির সঠিক অর্থ জানার হেতু আমরা সর্বপ্রথম ছাগ শব্দ বেদভাষ্যে মহর্ষি দয়ানন্দজী দ্বারা করা কিছু অর্থ উদ্ধৃত করছি -
১. ছাগস্য = অজাদেঃ (যজুর্বেদ ২১/৪১)
২. ছাগেন= অজাদিদুগ্ধেন (যজুর্বেদ ১৯/৮৯)
এখন এই প্রমাণগুলোর দ্বারা স্পষ্ট হয় যে এই প্রসঙ্গে ছাগী অর্থই গৃহীত হবে। এভাবে ছাগস্য পদের অর্থ "ছাগী আদি পশুসমূহের" হবে। ঋষি দয়ানন্দজী ছাগস্য পদের এই অর্থই যজুর্বেদ ২১/৪১ মন্ত্রের সংস্কৃত ভাষ্যে করেছেন, অতঃ তিনি দুই মন্ত্র পরে (যজুর্বেদ ২১/৪৩) মন্ত্রে আসা এই পদটির অর্থ করা আবশ্যক মনে করেননি, কেননা তাঁর মনে হয়েছিল যে ভাষা ভাষ্যকারীগণ ঐ (ছাগস্য ও ছাগেন) পদের দ্বারাই অর্থ বুঝে নিবেন কিন্তু সেইসব ব্যক্তিরা অর্থ বুঝতে ভুল করে বসেন তথা এতটা স্পষ্টীকরণ থাকার পড়েও যজুর্বেদ (২১/৪১) নং মন্ত্রে ছাগ অর্থই করেছেন,আর এখানে তো মহর্ষি উক্ত পদের অর্থই করেননি সেক্ষেত্রে ত্রুটি করাটা তাদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক।
আমরা সকলেই জানি বেদ মন্ত্রের পদার্থ এবং ভাবার্থে বিরোধ হয় না। অতএব, আমরা যজুর্বেদ (২১/৪৩) নং মন্ত্রটির সর্বপ্রথম মহর্ষির ভাবার্থ দেখি -
য়ে ছাগাদীনাং রক্ষাং বিধায় তেষাং দুগ্ধাদিকং সুসংস্কৃত্য ভুক্ত্বা দ্বেষাদিযুক্তান্ পুরুষন্নিবার্য সুবৈদ্যানাং সঙ্গং কৃত্বা শোভনং ভোজনাঽঽচ্ছাদনং কুর্বন্তি, তে প্রত্যঙ্গাদ্ রোগান্নিবার্য সুখিনো ভবন্তি।।
অনুবাদে বা ভাষান্তরে এর অর্থ লেখা হয়েছে-
যাহারা (छेरी) ছাগী আদি পশুসমূহের রক্ষা করিয়া তাহাদের দুগ্ধ আদি সুসংস্কার এবং আহার করিয়া বৈরভাবযুক্ত পুরুষদিগের নিবারণ করিয়া এবং সুবৈদ্যদিগের সঙ্গ করব উত্তম আহার, পরিধান করে, তাহারা প্রত্যেক অঙ্গ দ্বারা রোগসমূহকে দূরীভূত করিয়া সুখী হয় ॥
এখানে এই মন্ত্রটির ভাষ্যের ভাবার্থে মহর্ষি কৃত ভাষ্যের সাথে-সাথে তার ভাষ্যের ভাষা ভাষ্যকারীগণও ছাগী অর্থই গ্রহণ করেছেন সুতরাং অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের দ্বারা এই আক্ষেপ লাগানো যে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী ছাগ অর্থ করেছেন, এর পূর্ণতঃ খন্ডন হয়ে যায়।
এখন আমরা এর সঠিক অর্থ করছি, যা এই প্রকার -
হে (হোতঃ) দাতা পুরুষ! যেমন (হোতা) বিদ্যা গ্রহীতা অর্থাৎ গ্রহণকারী (অশ্বিনৌ) অধ্যাপক এবং উপদেশকারীদের (যক্ষৎ) সঙ্গ করে এবং তাহারা (অদ্য) আজ (ছাগস্য) ছাগী আদি পশুসমূহের (মধ্যতঃ) মধ্য হইতে (হবিষঃ) গ্রহণ করার যোগ্য পদার্থ (মেদঃ) ঘী দুগ্ধ আদি স্নিগ্ধ পদার্থকে (উদ্ভৃতম্) উত্তমপ্রকারে ধারণ করে (আত্তাম্) সেবন করবে। অথবা যেমন (দ্বেষোভ্যঃ) দুষ্টদিগ হইতে (পুরা) প্রথম (গৃভঃ) গ্রহণ করার যোগ্য (পৌরুষেভ্যঃ) পুরুষদিগের সমূহে স্বাধ্বী স্ত্রীদের (পুরা) প্রথমে (নূনম্) নিশ্চয় করে (ঘস্তাম্) আহার করিবে বা যেমন (য়বসপ্রথমানাম্) যব যাহার প্রথম অন্ন, (ঘাসে অজ্রাণাম্) ভোজনে প্রথম উপস্থিত করার যোগ্য (সুমৎক্ষরাণাম্) উত্তম আনন্দের সঞ্চালনকারী, (শতরুদ্রিয়াণাম্) [দুষ্টদিগকে] রোদনকারী শত-শত বিদ্বান্ (পীবোপবসনানাম্) পীব্ -এর এক অর্থ হৃষ্ট-পুষ্ট হয় অতঃ এখানে পীবোপবসনানাম্ এর তাৎপর্য কবচ বা পীব্ -এর এক অর্থ মোটাও হয় তাই অন্য অর্থ এটিও সম্ভব যে মোটা-মোটা বস্ত্রসমূহকে ধারণ করে (অগ্নিষ্বাত্তানাম্) যাহারা উত্তমরূপে অগ্নিবিদ্যার গ্রহণ করেছেন [এখানে ঈশ্বর এবং ভৌতিক অগ্নি উভয়েরই গ্রহণ হবে এরজন্য আপনি মহর্ষি কৃত পঞ্চ মহাযজ্ঞ বিধির পিতৃযজ্ঞ প্রকরণ দেখতে পাড়েন, সেখানে মহর্ষি লিখেছেন -"অগ্নিরীশ্বরঃ সুষ্ঠুতয়া আত্তো গৃহীতো যৈস্তে 'অগ্নিষ্বাত্তাঃ'। যদ্বা অগ্নের্গুণজ্ঞানাৎ পৃথিবীজলব্যোম -য়ান- যন্ত্ররচনাদিকা পদার্থবিদ্যা সুষ্ঠুতয়া আত্তা গৃহীতা য়ৈস্তে।" তিনিই এর ভাষার্থে লিখেন "অগ্নি যা পরমেশ্বর বা ভৌতিক তাহার গুণ জ্ঞাত//অবগত হয়ে যে মানব ভালোভাবে অগ্নিবিদ্যা সিদ্ধ করেছেন, তাকে 'অগ্নিষ্বাত্তাঃ' বলা হয়।" (পার্শ্বতঃ) উভয়দিকে (শ্রোণিতঃ) কটিপ্রদেশ (শিতামতঃ) তীক্ষ্ণ ও অপরিপক্ক স্থান হতে (উৎসাদতঃ) উৎপাটিত হওয়া (অঙ্গাদঙ্গাৎ) প্রত্যেক অঙ্গ দ্বারা (অবত্তানাম্) নম্র এবং উত্তম অঙ্গসকলের (এব) ই (অশ্বিনা) দুই শ্রেষ্ঠ বৈদ্য (করতঃ) চিকিৎসা করবে এবং (হবিঃ) উক্ত পদার্থসমূহের থেকে আহার যোগ্য পদার্থের (জুষেতাম্) সেবন করবে, তদ্রুপ (য়জ) সকল পদার্থ বা ব্যবহারের সংগতি করতে থাকো॥
ভাষ্যাসার - এই মন্ত্রে বলা হয়েছে যে, উত্তম বিদ্যার গ্রহণকারী মনুষ্যগণ উত্তম বিদ্বানদিগের এবং উপদেশকারীদের সঙ্গ করবে তথা ছাগী আদি পশুদের থেকে ঘী, দুগ্ধ আদি পদার্থ প্রাপ্ত করে সেসবের যথাবৎ উপযোগ নিবে। বা যেরূপ সাধ্বী স্ত্রীর পূর্বে পুরুষ নিশ্চয় করে আহার করে। বস্তুতঃ স্ত্রীকে বৈদিক ধর্মে গৃহের স্বামীনি বলা হয়েছে, এইকারণে এখানে বলা হয়েছে যে স্ত্রীজন বিদ্বান পুরুষদের পূর্বে ভোজন করাইবে কিন্তু দুষ্টদেরকে যেন ভোজনাদি না দেয়। তারপর বলা হয়েছে যে কবচ বা বরফযুক্ত প্রদেশে বসবাস করে মোটা-মোটা বস্ত্রধারণকারী, অগ্নি আদি বিদ্যার জ্ঞাতা তথা দুষ্টদিগকে রোদনকারী সৈনিকদেরকে দুজন শ্রেষ্ঠ বৈদ্য শল্য চিকিৎসা প্রভৃতির দ্বারা তাদের যেন সুস্থ করে॥
এখন এখানে কিছু লোক এমন প্রশ্ন করতে পাড়ে যে "ছাগস্য" শব্দ তো পুংলিঙ্গ বাচক তাহলে স্ত্রীলিঙ্গে এর অর্থ কিভাবে করা যায়? উত্তর হলো বেদ এবং আর্ষ গ্রন্থসকলের সঠিক অর্থ করতে তর্ক এবং উহা সহায়ক। একারণে মহর্ষি যাস্ক তর্ককে ঋষি এবং উহাকে ব্রহ্ম বলেছেন। প্রমাণ দেখুন -
অয়ং মন্ত্রার্থচিন্তাভ্যূহোহভ্যূলহঃ। অপি শ্রুতিতোহপি কর্কতঃ। ন তু পৃথক্ত্বেন মন্ত্রা নির্বক্তব্যাঃ। প্রকরণশ এব তু নির্বক্তব্যাঃ।তর্কমৃষিং প্রায়চ্ছন্মন্ত্রার্থচিন্তাভ্যূহমভ্যূলহম্।
(নিরুক্ত অধ্যায় ১৩, খণ্ড ১২)
ঊহ এষাং ব্রহ্মেতি বা।
(নিরুক্ত অধ্যায় ১৩, খণ্ড ১৩)
অতঃ, এস্থলে তর্ক এবং ঊহা দ্বারা ছাগী অর্থই গৃহীত হবে। ব্যাকরণ - বেদ ও ঋষিদের গ্রন্থ দেখেই তৈরি হয়েছে তথা বৈদিক এবং লৌকিক সংস্কৃততে ভিন্নতা হবার দরুণ লৌকিক সংস্কৃতের নিয়ম বেদের ওপর আরোপিত করা যাবে না। মীমাংসা দর্শনের ওপর শবর স্বামী ভাষ্য করেছেন এবং তাঁহার সময় শঙ্করাচার্যের থেকেও প্রাচীন এবং শবর স্বামীর মীমাংসা ভাষ্যের ভাষানুবাদ করেছেন পণ্ডিত যুধিষ্ঠির মীমাংসক জী। মীমাংসা দর্শন অধ্যায় ২, পাদ ২, সূত্র ২০ এর শবর স্বামীর ভাষ্যের বিবরণে পণ্ডিত যুধিষ্ঠির মীমাংসক জী লিখেন -
বিবরণ - এই প্রকরণকে বোঝার জন্য মী০ প০ ৬ পা০ ৮ প্রধি০ ১০ (সূত্র ৩০ ৪২) জেনে নেওয়া আবশ্যক। সেখানে প্রশ্ন এরূপ রয়েছে যে "অগ্নীষোমীয়ং পশুমালভেত" বিধিতে পশু শব্দের প্রয়োগ হওয়ায় যেকোনো পশুর আলম্ভন করা উচিত, অথবা অজ= ছাগ পশুরই। সেখানে সিধান্ত করেছেন যে ছাগো বা মন্ত্রবর্ণাৎ। শ্রগ্নয়ে ছাগস্য বপায়া মেদসোঽব্রুহি মন্ত্রে ছাগ এর নির্দেশ রয়েছে। ছাগ শব্দের নির্দেশ করে কোনো কর্মের বিধান করা হয়নি। একারণে যদি ছাগ অজের গ্রহণ না করা হয়, তবে ছাগ বলার সময় মন্ত্রের পাঠ ব্যর্থ হবে। এর জন্য গ্রগ্নীষোমীয়ং পশুমালভেত বিধিবাক্যে ছাগ= অজ পশুর গ্রহণই প্রভীষ্ট।
এই নির্ণয়ের পশ্চাৎ এটা জানা আবশ্যক যে সমস্ত পশুযাগের প্রকৃতি সোম যাগান্তর্গত অগ্নীষোমীয় পশুযাগ। কেননা পশুসম্বন্ধী সমস্ত বিধিসমূহের বিধান শাখাগুলোতে এবং ব্রাহ্মণগ্রন্থসমূহে এই প্রকরণে পাওয়া যায়। পূর্ব ১৫ নং সূত্রের ভাষ্যে উদ্ধৃত সা বা এষা সর্বদেবত্যা য়দজা বশা, বায়ব্যামালভেত বচন দ্বারা নির্দিষ্ট পশুযাগ হলো বিকৃতিরূপ। বিকৃতিসংজ্ঞক কর্ম প্রকৃতিবদ্ বিকৃতিঃ কর্তব্যা নিয়ম অনুসারে নিজ প্রকৃতি থেকে ধর্মসমূহকে গ্রহণ করে থাকে৷ অতঃ অজা বশা যাগেও অগ্নিষোমীয় প্রকৃতি দ্বারা ছাগস্য বপায়া মেদসোহনুব মন্ত্রই উপস্থিত হয়। প্রকৃতিপঠিত মন্ত্রে ছাগস্য পুংলিঙ্গ নির্দেশ আছে। তাহাকে অজাবশা যাগে অর্থের অনুকূল লিঙ্গের বলে ছাগায়া (ছায়া) গপায়া মেদসোহনুব্রূ এই রূপেই বলতে হয়। ছাগীতে বশা = বন্ধ্যারূপ অর্থ সংবদ্ধ দেখা যায়।
এতে মীমাংসক জীর এই পাদ টিপ্পনীও দ্রষ্টব্য-
মীমাংসক-ভাষ্য প্রভৃতি কিছু গ্রন্থে ছাগ এর স্ত্রীলিঙ্গরুপ ছাগা ব্যবহৃত/(ব্যবহার করা) হয়েছে। এতে অজাদিগণকে (গণপাঠ ৪/১১৪) ধাকৃতিগণ মেনে স্ত্রীলিঙ্গে টাপ্ প্রত্যয় জানতে হবে। সুবোধিনীয়াদি গ্রন্থ এবং কোশগ্রন্থসমূহে ছাগী প্রয়োগ দেখা যায়। এতে জাতেরস্ত্রীবিষয়া দোষঘাত (অষ্টা০ ৪।১।৬৩) দ্বারা স্ত্রীলিঙ্গে ঙীষ প্রত্যয় হয়। একারণে আমরা ছাগস্য পদের অর্থে ছাগায়া এবং ছায়া উভয়েরই নির্দেশ / উল্লেখ করেছি।
অর্থাৎ ইহার মাধ্যমেও সিদ্ধ হয় যে ছাগস্য পদের অর্থ প্রকরণ অনুকূল ছাগীও হয়। আপনি প্রকৃতি বিকৃতির লক্ষণ পণ্ডিত যুধিষ্ঠির মীমাংসক মহোদয়কৃত " শ্রোতযজ্ঞমীমাংসা" নিবন্ধের ( ভাগ ১ এর প্রারম্ভে/শুরুতে মুদ্রিত) ৯২-৯৩ পৃষ্ঠায় দেখতে পারেন।
এমনকি কিছু লোক এখনো এই জেদে অনড় থাকবে যে এটা তো ছাগস্য পদ, আমরা তো পুরুষ ছাগল অর্থাৎ ছাগ অর্থই নিবো স্ত্রী ছাগল (ছাগী) অর্থ নেওয়া তো বলপ্রয়োগ , তাদের বলা উচিত যে রাষ্ট্রপতি শব্দ পুংলিঙ্গে ব্যবহৃত হয় তথা বর্তমান সময়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মূ মহোদয়া, তাতে কি ঐ লোকগুলো তর্কদ্বারা এবং উহা হতে রাষ্ট্রপতি শব্দ স্ত্রীগণদের ক্ষেত্রে ব্যবহার স্বীকার করবে না? যেমন ইহা লৌকিক উদাহরণে তর্ক তথা ঊহা দ্বারা উভয় লিঙ্গই শব্দটিকে স্বীকার//গ্রহণ করা হচ্ছে, তাহলে বৈদিক সংস্কৃতের মতো যৌগিক ভাষাতে পুংলিঙ্গ বাচক শব্দকে উভয় লিঙ্গে কেন স্বীকার//গ্রহণ করা যাবে না? গড়ুর পুরাণ-১৭৭/১৪ শ্লোকেও বলা হয়েছে-
'छागदुग्धसेकमौष्ण्याच्चक्षुषोर्वातशूलनुत्' এখানে ছাগদুগ্ধ দ্বারা কি পৌরাণিকগণ ছাগ (পুরুষ ছাগলের) দুগ্ধ অর্থ করবেন? যদি করেন তো ছাগ দুগ্ধ নিয়ে আর আক্ষেপ করারই বা কি অধিকার আছে আপনাদের! যদি বলেন যে এখানে ছাগ বলতে ছাগী অর্থ করবেন তাহলেও তো মহর্ষি ভাষ্যের এই মন্ত্র নিয়ে আক্ষেপ করার অধিকার আপনাদের নেই।
ঈশ্বর এমন লোকেদের সুবুদ্ধি প্রদান করুক, যাতে তাহারা সত্যকে স্বীকার করে নিজের মনুষ্যভাবকে স্বার্থক করতে পাড়ে, এরই মাধ্যমে আমি আমার লেখনী সমাপ্ত করছি।।
সন্দর্ভিত এবং সহায়ক গ্রন্থ
গ্রন্থ
১. যজুর্বেদ ভাষ্য
২. যজুর্বেদ ভাষ্য ভাস্কর
৩.পঞ্চমহাযজ্ঞবিধিঃ
৪. নিরুক্ত
৫. জীবন চরিত্র মহর্ষি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী
৬.মহর্ষি দয়ানন্দজীর জীবন চরিত্র
৭.সংস্কৃত হিন্দি কোশ
৮.আচার্য শবরস্বামী বিরচিতম্ জৈমিনীয় মীমাংসা ভাষ্যম্
লেখক/ভাষ্যকার/সম্পাদক
১. মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী
২. পণ্ডিত সুদর্শন দেব আচার্য
৩. মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী
৪. মহর্ষি যাস্কাচার্য
৫.পণ্ডিত লেখরাম
৬.দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
৭. বামন শিবরাম আপ্টে
৮. পণ্ডিত যুধিষ্ঠির মীমাংসক

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ