[সুনানে আবু দাউদ | হাদিস নং ৪০৯০]
[হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ السَّرِيِّ - عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، - الْمَعْنَى - عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ مُوسَى عَنْ سَلْمَانَ الأَغَرِّ، - وَقَالَ هَنَّادٌ عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - قَالَ هَنَّادٌ - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الْكِبْرِيَاءُ رِدَائِي وَالْعَظَمَةُ إِزَارِي فَمَنْ نَازَعَنِي وَاحِدًا مِنْهُمَا قَذَفْتُهُ فِي النَّارِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, অহংকার হলো আমার চাঁদর এবং মহত্ব হলো আমার লুঙ্গি।যে কেউ এর কোন একটি নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া করবে,আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো।
অতএব সাবধান লুঙ্গি নিয়ে টু শব্দও করা যাবে না।এবার লুঙ্গি সংক্রান্ত একটা গল্প শোনাব। লুঙ্গি খুলতেই অজ্ঞান হয়ে যাবার গল্প।
[সহিহ বুখারী | হাদিস নং ৩৬৪]
[হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]
حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْقُلُ مَعَهُمُ الْحِجَارَةَ لِلْكَعْبَةِ وَعَلَيْهِ إِزَارُهُ. فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ عَمُّهُ يَا ابْنَ أَخِي، لَوْ حَلَلْتَ إِزَارَكَ فَجَعَلْتَ عَلَى مَنْكِبَيْكَ دُونَ الْحِجَارَةِ. قَالَ فَحَلَّهُ فَجَعَلَهُ عَلَى مَنْكِبَيْهِ، فَسَقَطَ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ، فَمَا رُئِيَ بَعْدَ ذَلِكَ عُرْيَانًا صلى الله عليه وسلم.
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (নবুওয়াতের পূর্বে) কুরাইশদের সাথে কা’বার (মেরামতের) জন্যে পাথর তুলে দিচ্ছিলেন।তাঁর পরিধানে ছিল লুঙ্গি।তাঁর চাচা আ’ব্বাস (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ ভাতিজা!তুমি লুঙ্গি খুলে কাঁধে পাথরের নীচে রাখলে ভাল হ’ত। জাবির (রাঃ) বলেনঃ তিনি লুঙ্গি খুলে কাঁধে রাখলেন এবং তৎক্ষণাৎ বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। এরপর তাঁকে আর কখনো নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়নি।
[সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৮২৯]
[হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]
حَدَّثَنِيْ مَحْمُوْدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ أَخْبَرَنِيْ ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ دِيْنَارٍ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمَّا بُنِيَتْ الْكَعْبَةُ ذَهَبَ النَّبِيُّ وَعَبَّاسٌ يَنْقُلَانِ الْحِجَارَةَ فَقَالَ عَبَّاسٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اجْعَلْ إِزَارَكَ عَلَى رَقَبَتِكَ يَقِيكَ مِنْ الْحِجَارَةِ فَخَرَّ إِلَى الأَرْضِ وَطَمَحَتْ عَيْنَاهُ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ إِزَارِيْ إِزَارِيْ فَشَدَّ عَلَيْهِ إِزَارَهُ
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, যখন কা‘বা গৃহ পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ‘আব্বাস (রাঃ) পাথর বয়ে আনছিলেন।‘আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে বললেন,তোমার লুঙ্গিটি কাঁধের উপর রাখ,পাথরের ঘর্ষণ হতে তোমাকে রক্ষা করবে।(লুঙ্গি খুলতেই) তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন।তাঁর চোখ দু’টি আকাশের দিকে নিবিষ্ট ছিল।তাঁর চেতনা ফিরে এল,তখন তিনি বলতে লাগলেন,আমার লুঙ্গি,আমার লুঙ্গি। তৎক্ষণাৎ তাঁর লুঙ্গি পরিয়ে দেয়া হল।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৪৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৪৯)
লুঙ্গি হলো আ[]ল[]লার মহত্ব।তাই লুঙ্গি পড়ে যু[]দ্ধ করলে বিজয় সুনিশ্চিত।আর এজন্যই গঠিত হয় বিশ্বের প্রথম লু[]ঙ্গি বাহিনী....লুঙ্গি পড়ে যু[]দ্ধ করার মজাই আলাদা।তবে অনেক সময় লুঙ্গি যু[]দ্ধকালীন বেইজ্জতির কারণ হতে পারে।কি ঘাবড়ে গেলেন?এমনি একটি গল্প শোনাবো।
[সহিহ মুসলিম | হাদিস নং ৪৫১১]
[হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُنَيْنًا فَلَمَّا وَاجَهْنَا الْعَدُوَّ تَقَدَّمْتُ فَأَعْلُو ثَنِيَّةً فَاسْتَقْبَلَنِي رَجُلٌ مِنَ الْعَدُوِّ فَأَرْمِيهِ بِسَهْمٍ فَتَوَارَى عَنِّي فَمَا دَرَيْتُ مَا صَنَعَ وَنَظَرْتُ إِلَى الْقَوْمِ فَإِذَا هُمْ قَدْ طَلَعُوا مِنْ ثَنِيَّةٍ أُخْرَى فَالْتَقَوْا هُمْ وَصَحَابَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَلَّى صَحَابَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَرْجِعُ مُنْهَزِمًا وَعَلَىَّ بُرْدَتَانِ مُتَّزِرًا بِإِحْدَاهُمَا مُرْتَدِيًا بِالأُخْرَى فَاسْتَطْلَقَ إِزَارِي فَجَمَعْتُهُمَا جَمِيعًا وَمَرَرْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنْهَزِمًا وَهُوَ عَلَى بَغْلَتِهِ الشَّهْبَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَى ابْنُ الأَكْوَعِ فَزَعًا " . فَلَمَّا غَشُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ عَنِ الْبَغْلَةِ ثُمَّ قَبَضَ قَبْضَةً مِنْ تُرَابٍ مِنَ الأَرْضِ ثُمَّ اسْتَقْبَلَ بِهِ وُجُوهَهُمْ فَقَالَ " شَاهَتِ الْوُجُوهُ " . فَمَا خَلَقَ اللَّهُ مِنْهُمْ إِنْسَانًا إِلاَّ مَلأَ عَيْنَيْهِ تُرَابًا بِتِلْكَ الْقَبْضَةِ فَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَنَائِمَهُمْ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ .
সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমরা হুনায়নের দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সঙ্গে থেকে যুদ্ধ করেছি। যখন আমরা শত্রুদের সম্মুখীন হলাম,তখন এ পর্যায়ে আমি অগ্রসর হয়ে একটি টিলার উপর উঠলাম।তখন শত্রুদের এক ব্যক্তি আমার মুকাবিলায় অগ্রসর হলো।আমি একটি তীর নিক্ষেপ করলাম,তখন সে আমার থেকে আত্মগোপন করল।আমি তখন বুঝতে পারিনি তার ব্যাপারটি কী হয়েছে।তারপর যখন শত্রুদলের প্রতি লক্ষ্য করলাম,তখন দেখতে পেলাম যে,তারা অপর এক টিলায় আরোহণ করেছে।তারপর তারা এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথীরা সামনা-সামনি হলো।তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাহাবাগণ পিছনে সরে পড়ল।আমি পরাজিত অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করলাম।তখন আমার পরিধানে ছিল দু’টি চাদর।তন্মধ্যে একটি চাদর ছিল বাঁধা অবস্থায় এবং অপরটি ছিল খোলা।এক পর্যায়ে আমার লুঙ্গিটি খুলে গেল।তখন আমি সে দু’টি একত্র করলাম এবং পরাজিত অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছ দিয়ে গমন করলাম। আর তিনি তখন তাঁর সাদা রং-এর খচ্চরের উপর আরোহিত অবস্থায় ছিলেন।তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,ইবনুল আকওয়া সন্ত্রস্ত অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করেছে।এরপর শত্রুরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে ঘিরে ফেললো।তখন তিনি স্বীয় খচ্চর থেকে অবতরণ করলেন।তারপর এক মুষ্টি মাটি যমীন থেকে তুলে নিলেন।এরপর তাদের মুখমণ্ডলে তা নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন,তাদের মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গেছে।এরপর তাদের সকল মানুষের দু’চোখ-ই সে এক মুষ্টি মাটির ধূলায় ভরে গেল।তারা পশ্চাৎ দিকে পলায়ন করলো।আল্লাহ্ তা’আলা এ দ্বারাই তাদেরকে পরাস্ত করলেন।এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গনীমাতের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ