ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে নোংরামী - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

18 March, 2021

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে নোংরামী

 ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ প্রকৃতিখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়

গোলোকধামে তুলসী নামে একজন গোপিকা ছিলেন। কৃষ্ণ তার সাথেও লীলাখেলা করেছিলেন। তুলসীর সাথে রাসলীলা করতে গিয়ে কৃষ্ণ রাধার কাছে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। তখন রাধা তুলসীকে মানুষ হওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন।
তুলসিঃ “ আমি তুলসী, আমি পূর্বে গোলোকে গোপিকা ছিলাম, শ্রীকৃষ্ণের কিঙ্করী হয়ে সবসময় তার সেবা করতাম। আমি রাধার অংশসম্ভূতা এবং তার প্রিয়তম সখী ছিলাম। একসময়ে আমি রাসমণ্ডলে গোবিন্দের সাথে ক্রীড়া-কৌতুক ভোগ করে মূর্ছিত হয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। সেই সময়ে রাসেশ্বরী রাধিকা হঠাৎ সেই স্থানে আগমন করে আমাকে সেই অবস্থায় দেখতে পান । … তখন তিনি অত্যন্ত ক্রোধান্ধ হয়ে গোবিন্দকে অনেক ভর্ৎসনা করলেন এবং আমাকে এই বলে অভিশাপ দিলেন,
“ পাপিষ্ঠে! তুই মনুষ্য যোনিতে জন্মগ্রহণ কর।"
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে নোংরামী

পাঠক বৃন্দের কাছে আমার প্রশ্ন
------------------ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতাবেক তুলসীর ইজ্জত মারে তার প্রেমিক
গনেশ, শ্রীকৃষ্ণ, বিষ্ণু এবং তার স্বামী শঙ্খচুর।
সে সতী হয় কি করে?
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ডের ৭২ অধ্যায়
সুন্দরী কুব্জা, তুমি পূর্বে রাবণ ভগিনী শূর্পণখা ছিলে। সুন্দরি! এখন তুমি আমার সাথে সুখ সম্ভোগ করে জন্ম-মৃত্যু-জরাশূণ্য সুদুর্লভ আমার গোলোকে গমন কর। শ্রীনিবাস শ্রীকৃষ্ণ এই বলে সেই কামুকী কুব্জাকে বুকে জড়িয়ে নগ্ন করে শৃঙ্গার ও চুম্বন করতে লাগলেন।
তখন নবসঙ্গম সঙ্গতা সেই কুব্জা কমলার মত শ্রীকৃষ্ণকে কোলে নিয়ে তার গণ্ডস্থল চুম্বন করতে লাগলেন। সেই দম্পতি রতিবিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞ, এজন্য ক্ষণকালও তাদেরর সুরতক্রীড়ার বিরাম রইল না, নিরন্তর নানাপ্রকার শৃঙ্গার হতে লাগল।
সেইসময়ে ভগবান কৃষ্ণ তীক্ষ্ণ নখাঘাতে কুব্জার স্তনযুগল ও শ্রোণিমন্ডল এবং দাঁত দিয়ে কামড়ে তার ঠোঁট ক্ষত বিক্ষত করলেন।এরপর শ্রীকৃষ্ণ রাত্রি অবসানকালে বীর্যাধান করলে সুন্দরী কুব্জা সম্ভোগসময়ে মূর্ছাপন্ন হলেন। তখন কৃষ্ণের বক্ষে থাকা সেই কুব্জা দিন কি রাত, স্বর্গ কি মর্ত্য, কি স্থল কি জল কিছুই বোধ করতে পারলেন না। সেই কব্জা গোলোকধামে চন্দ্রমুখী নামে গোপিকা হয়ে অবস্থান করতে লাগিলেন।
----------------------
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ প্রকৃতিখণ্ড/ ৪১ অধ্যায়
স্বধা নামে এক গোপিনীর সাথেও কৃষ্ণ লীলা করেছেন।

বিষ্ণু শঙ্খচূড়ের স্ত্রী তুলসীকে ধর্ষণ করেন- “কবচ গ্রহণ করি বিষ্ণু অতঃপর। তুলসীর নিকটেতে চলিলা সত্ত্বর।। শঙ্খচূড় রূপে সেথা করিয়া গমন। তুলসীর সতীধর্ম করিলা হরণ।। না জানিলা দৈত্যপত্নী কি পাপ হইল। দেবতা ছলনা করি সতীত্ব নাশিল।। যেইক্ষেত্রে বিষ্ণুদেব করিলা রমণ। তুলসী উদরে বীর্য হইল পতন।। সেইক্ষণে মহাদেব দৈববাণী শোনে। শঙ্খচূড়ে বধ তুমি করহ এক্ষণে।।“ (ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, ১৩৬ পৃষ্ঠা ,সুবোধচন্দ্র মজুমদারের অনুবাদ)

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে এই ঘটনাটি উল্লেখিত আছে –

“তারারে হরণ করে দেব শশধর।

তারাদেবী গর্ভবতী হয় অতঃপর।।

সগর্ভা তারারে হেরি গুরু বৃহস্পতি।

ভর্ৎসনা করিল তারে ক্রোধভরে অতি।।

লজ্জিত হইয়া তারা চন্দ্রে দিল শাপ।

শুন শুন চন্দ্র তুমি করিলে যে পাপ।।

কলঙ্কী হইবে তুমি তাহার কারণ।

তোমার দর্শনে পাপ হবে অনুক্ষণ।।“

(ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ কৃষ্ণ জন্ম খন্ড/৮০ অধ্যায়,অনুবাদক- সুবোধ চন্দ্র মজুমদার)

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে অশ্বীনিকুমারের এক ব্রাহ্মণীকে ধর্ষণের ঘটনা উক্ত হয়েছে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে (ব্রহ্মখণ্ড/১০) বলা হয়েছে,

“শৌনক কহিলা সৌতি না পারি বুঝিতে

অশ্বীনিকুমার কেন রত ব্রাহ্মণীতে।।

সৌতি কহে মুনিবর দৈবের ঘটনা ।

ব্রাহ্মণী তীর্থেতে যায় অতি সুদর্শনা।।

পথশ্রমে ক্লান্ত অতি বিশ্রাম কারণ।

পশিল দেখিয়া এক নির্জন কানন।।

ব্রাহ্মণী বসিয়া আছে বিশ্রামের আশে।

অশ্বীনিকুমার দৈবযোগে তথা আসে।।

তাহারে দেখিয়ে পথে অশ্বীনিকুমার।

সৌন্দর্যবিমুগ্ধ মনে কাম জাগে তার।।

সুন্দরীর রূপ দেখি কাম জাগে মনে।

তাহারে ধরিতে যায় অতি সঙ্গোপনে।।

রূপবতী সতী নারী নিষেধ করিল।

কামার্ত অশ্বীনিপুত্র তাহা না শুনিল।।

নিকটেই মনোহর ছিল পুষ্পোদ্যান।

সবলে আনিয়া সেথা করে গর্ভাধান।।

লজ্জ্বা ভয়ে ব্রাহ্মণী সে গর্ভত্যাগ করে।

তখনি জন্মিল পুত্র ধরার উপরে।।“

(অনুবাদক- সুবোধ চন্দ্র মজুমদার)

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ