আল্লা পুরুষ না নারী - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

09 April, 2021

আল্লা পুরুষ না নারী

আল্লা নিরাকার না সাকার

 আরবী ইলাহ্ শব্দের অর্থ উপাস্য এবং আল্ শব্দের ইংরাজী প্রতিশব্দ হল the, যার কোন সঠিক প্রতিশব্দ বাংলায় অনুপস্থিত। আল্ এবং উলাহ্, এই দুই শব্দ মিলে "আল্লাহ্" শব্দের উৎপত্তি।

কাজেই আল্লাহ্ শব্দের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় উপাস্যটি বা উপাস্যটা। সুতরাং আল্লাহ্ শব্দের মধ্য দিয়ে সর্বব্যাপী, সর্বনিয়ন্তা পরমেশ্বরের ভাব ব্যক্ত হয় না, বরং আরব জাতির বিশেষ কোন উপাস্যকেই বোঝায়। আরো একটা কথা হলো, আল্লাহ্ লিখলে বেশির ভাগ অ-মুসলমান বাঙআলী হ'এর নীচে হসন্তটা উচ্চারন না করে আল্লাহ উচ্চারণ করেন। উচ্চারণের দিক থেকে আল্লাহ্ না লিখে আল্লাঃ লেখা বেশি যুক্তিযুক্ত। অনেকের ধারণা যেহেতু মুসলমানরা আল্লার মূর্ত্তি তৈরী করে না বা মূর্ত্তি তৈরী করে পূজা করে না তাই তাদের আল্লা নিরাকার। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। মুসলমানদের আল্লা সাকার এবং তাঁর উচ্চতা ৬০ হাত(মুসলীম ৬৮০৯) এবং তিনি মনুষ্যাকৃতি। আল্লা আকৃতি যে মানুষের মত তার প্রমাণ হল, তিনি তাঁর নিজের আদলে প্রথম মাব হজরৎ আদমকে সৃষ্টি করেছেন(সহী মুসলীম ২৮৭২)। দু'জন মুসলমান মারামারি করলে কারও পক্ষে অপর জনের মুখমন্ডলকে বিকৃত করা উচিৎ নয় করাণ আল্লা তালা মানুষের মুখমন্ডলকে তাঁর নিজের মত করে করেছেন (মুসলীম ৬৩২৫)। সম্ভবত সভ্যতার দিক থেকে অনগ্রসর আরবজাতির পক্ষে নিরাকার ঈশ্বরের কল্পনা করা সম্ভব ছিল না এবং এখনও সম্ভব নয়। তবে মনে হয় তিনি ফেরেস্তাদের মত মানুষের কাছে সচরাচর অদৃশ্য থাকেন। উপরন্তু যখন বলা হয় যে, কেয়ামতের দিন সবাই আল্লাকে দেখতে পাবে, তখন আল্লা যে নিরাকার নন্ তা আরও পরিস্কার হয়। আল্লাঃ যে মানুষের আকৃতিবিশিষ্ট সুধু তাই নয় তিনি পুরুষ মানুষ। আল্লা তালাহ্ যে পুরুষ মানুষ ত আরও পরিস্কার করে কোরানে আল্লাহ্ বলেছেন তাঁর কোন স্ত্রী নেই (কোরান ৬।১০)। আল্লার বিষয়ে আরো একটা মজার বিষয় হলো, তিনি মনে মনে কিছু স্থির

করে কুন বা হও বললেই তা হয়ে যায় এবং এই সৃষ্টি কাজের জন্যকোন কাঁচামালের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ শূন্য বা nothingness থেকেই তিনি সব সৃষ্টি করতে পারেন। অথচ সাঙ্খ্য দর্শনের প্রণেতা মহর্ষি কপিল বলেছেন, "নাবস্তুনো বস্তুসিদ্ধিঃ" অর্থাৎ অবস্তু থেকে বস্তুর উৎপত্তি সম্ভব নয়। সাঙ্খ্য মতে সৃষ্টির মূল উপাদান মূলপ্রকৃতি। এই মূল প্রকৃতি অনাদি, অসীম, নিত্য,অন্তহীন,অতিসূক্ষ্ম, অলিঙ্গ ও নিরবয়ব বা নির্বিশেষ। সত্ত্ব,রজঃ ও তম, এই তিন গুণের সাম্যাসবস্থায় মূল প্রকৃতি অব্যক্ত থাকে এবং উপরিউক্ত তিন গুণের তারতম্য হেতু প্রকৃতি বিভিন্ন রূপে প্রতিভাত হয়,অব্যক্ত থেকে বক্ত হয়। যাই হোক ইসলামের আল্লা অসব্ভব ক্রোধী, ঈর্ষাপরায়ণ এবং অত্যন্ত নিষ্ঠুর(৪।৫৬)।

ইসলাম মতানুসারে আল্লাঃ ছয় দিনে আকাশ,পৃথিবী,জল,বাতাস সব সৃষ্টি করে জুমার সপ্তম দিনে আসরের নামাজের পর প্রথম মানব হজরৎ আদমকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং শেষ নবী জহরৎ মহম্মদ আদমের ৯০তম বংশধর। কাজেই দুই প্রজন্মের মধ্যে বয়সের ব্যবধান যদি ৩০ বছর ও ধরা যায় তবে মহম্মদের জন্ম হয় পৃথিবীর সৃষ্টির ২৭০০ বরছর পর ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে। কাজের হিসেবটা দাঁড়ায় আজ থেকে থেকে মাত্র ৪১৫১ বছর আগে আল্লা পৃথিবী,জল, আকাশ ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন !! তাই কোটি কোটি বছর আগে আল্লার অস্তিত্ব ছিল কিনা সেটা সন্দেহের বিষয় !! 

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ