ব্রাহ্মণহস্য মুখসাসীদ্ৰাহ্ রাজন্যঃ কৃতঃ।
উরূ তদস্য অদ্বৈশ্যঃ পদ্ধ্যাং শূদ্রোহঅজায়ত।। যজুর্বেদ-৩১।১১
-যিনি (অস্য) পূর্ণ ব্যাপক পরমাত্মার সৃষ্টিতে মুখের ন্যায় সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তিনি ( ব্রাহ্মণঃ) ব্রাহ্মণ। ( বাহু) 'বাহুবৈ বলং' বাহুবৈ বীর্য়্যম্ " শ০ ব্রা০ ৬.৩.২.৩৫। বল বীর্য্যের নাম 'বাহু'।যাহার মধ্যে ইহা অধিক, তিনি ( রাজন্যঃ) 'ক্ষত্রিয়'। ( উরূ) কটির আধোভাগ এবং জানুর উপরিভাগের নাম (উরূ) । যিনি সকল পদার্থের এবং সকল দেশে উরূবলে গমনাগমন এবং প্রবেশ করেন তিনি ( বৈশ্যঃ) 'বৈশ্য'। আর (পদ্ভ্যাম্) যে ব্যাক্তি পদ বা নিম্ন অঙ্গের ন্যায় মূর্খতাদি দুর্গুণ বিশিষ্ট সেই ব্যাক্তি 'শূদ্র'।
'য়স্মাদেতে মুখ্যাস্তস্মানমুখতো হ্যসৃজ্যন্ত' ইত্যাদি। যেহেতু ইহারা মুখ্য অতএব মুখ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে এইরূপ বলা সঙ্গত। অর্থাৎ যেমন সকল অঙ্গের মধ্যে মুখ শ্রেষ্ঠ সেইরূপ যে মনুষ্যজাতির মধ্যে সম্পূর্ণাবিদ্যা এবং উত্তম গুণ-কর্ম স্বভাসম্পন্ন তাঁহাকে উত্তম 'ব্রাহ্মণ' বলে। যেহেতু পরমেশ্বর নিরাকার তাঁহার মুখাদি অঙ্গই নাই, অতএব মুখাদি হইতে উৎপন্ন হওয়া অসম্ভব, যথা-বন্ধান স্ত্রীর পুত্রের বিবাহ।
শূদ্যো ব্রাহ্মণতামেতি ব্রাহ্মণশ্চৈতি শূদ্রতাম্।
ক্ষত্রিয়াজ্জাতবেমস্তু বিদ্যাদ্ বৈশ্যাত্তথৈব চ।।
মনু-১০।৬৫
যদি কেহ শূদ্রকূলে উৎপন্ন হইয়া ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় অথবা বৈশ্যের গুণ-কর্ম স্বভাব বিশিষ্ট হয় তবে সে শূদ্র,ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় অথবা বৈশ্য হইবে। সেইরূপ, কেহ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, অথবা বৈশ্যকূলে জন্মগ্রহণ করিয়া শূদ্রের গুণ-কর্ম স্বভাব বিশিষ্ট হইলে সে শূদ্র হইবে। এইরূপ কেহ ক্ষত্রিয় বৈশ্যকূলে জন্ম গ্রহণ করিয়া ব্রাহ্মণ অথবা শূদ্র সদৃশ হইলে, ব্রাহ্মণ অথবা শূদ্রই হইয়া যায় । অর্থাৎ যে পুরুষ বা স্ত্রী, চারি বর্ণের মধ্যে যে বর্ণের সদৃশ হইবে, সে সেই বর্ণেরই হইবে।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ