যস্যাত্নবুদ্ধি কুনপে ত্রিধাতুকে।
স্বধীঃ কলত্রাদিষু ভৌম ইজ্যধীঃ।।
যত্তীর্থ বুদ্ধিঃ সলিলে ন কর্হিচিজ্জনেষবভিজ্ঞেসু স এব গোখরঃ।।
ভাগবত পুরাণ_10/84/13
#মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে গীতা |
(শ্রীকৃষ্ণ বলছেন),
যার, ত্রিধাতুযুক্ত (কফ-বায়ু-পিত্ত) দেহে আত্নবুদ্ধি,কলত্রাদিতে আত্নীয়বুদ্ধি,ভূবিকারে অর্থাৎ মৃন্ময়,পাষাণ মূর্তিতে দেবতাবুদ্ধি বা জলে তীর্থবুদ্ধি আছে, কিন্তু সাধুদের যে ব্যক্তি সেরূপ অর্থাৎ দেবতাজ্ঞান করে না,সে ব্যক্তি গরুর ঘাস বহনকারী গাধার মত।
অর্থাৎ,গাধা তেমন নিজে পশু হয়েও,অন্য পশু গরুর জন্য ঘাস বয়ে মরে অথচ নিজের জন্য ঘাস জোটে না,সেই রকম যে লোক ভগবানের প্রত্যক্ষ জীবন্ত স্বরূপ সাধু মহাপুরুষকে অবজ্ঞা করে জড়মূর্তির পূজার জন্য মন্দিরে এবং জলময় স্থানগুলোকে তীর্থ মনে করে দৌড়ে বেড়ায় সেই লোক ঠিক ওই গাধার মত কেবল পন্ডশ্রম করে মরে!!!
এইবার গীতার প্রমাণ দেখুন -
যত্তু কৃৎস্নবদেকস্মিন্ কার্যে সক্তমহৈতুকম্।
অতত্ত্বার্থবদল্পং চ তত্তামসমুদাহৃতম্।।
গীতা_18/22
এই শ্লোকটির উপর প্রসিদ্ধ বৈষ্ণব আচার্য ও চৈতন্য মহাপ্রভুর অতি প্রিয়,শ্রীধর স্বামীর টীকা দেখুন -
"একস্মিন্ কার্যে দেহে বা প্রতিমাদৌ বা কৃৎস্নবৎ পরিপূর্ণবৎ সক্তম্ এতাবানেবাত্না ঈশ্বরো বেত্যাভিনিবেশ যুক্তম্।অহৈতুকম্ নিরুপপত্তিকম্।
অতত্ত্বার্থবৎ পরমার্থাবলম্বনশূন্যম্।
অতএবাল্পম্ তুচ্ছম্।অল্পবিষয়াত্বাৎ।অল্পফলত্বাচ্চ।যদেবম্ভূতম্ জ্ঞানম্ তত্তামসমুদাহৃতম্।।"
অর্থাৎ, যে জ্ঞানে একমাত্র দেহে বা প্রতিমাদিতে পরিপূর্ণ ঈশ্বর অবস্থিত আছেন,এইরূপ অভিনিবেশ জন্মে,এক পরিছিন্ন মূর্তি পরিপূর্ণবৎ প্রতীয়মান হয়,সেই জ্ঞানে কোন পরমার্থ লাভ হয় না।অতএব,অযথার্থ, যুক্তিহীন ও তুচ্ছ জ্ঞানকে তামসিক জ্ঞান বলা হয়।
অর্থাৎ,যে জ্ঞানে মনে হয়,ঈশ্বর শরীর ধারণ করেন,মূর্তির মধ্যে ঈশ্বর আছেন বা মূর্তিই ঈশ্বর,সেই জ্ঞান হল খুব নিম্নমানের,তামসিক জ্ঞান।
বৈষ্ণবরা তো শ্রীকৃষ্ণকে স্বয়ং ঈশ্বর বলেন।স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি পূজকদের গাধা বলেছেন।
আপনাদের চৈতন্য মহাপ্রভুর অতি প্রিয় বৈষ্ণব আচার্য,শ্রীধর স্বামী মূর্তিকে ঈশ্বর ভেবে পূজা করাকে তামসিক জ্ঞান বলেছেন!!!
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ