মুসলমানের যৌন বিকৃতি - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

21 July, 2021

মুসলমানের যৌন বিকৃতি

মুসলমানের যৌন বিকৃতি

সর্ব সাধারণের জন্য হারেম নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে মানুষের প্রবল আগ্রহেরও একটা জায়গা। তুর্কি সাম্রাজ্যে থেকে আলোচনায় আসা নারীকেন্দ্রিক এ রীতিকে ভারতীয় উপমহাদেশের মুঘল সম্রাটরা রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। হারেম মানে শুধু রাজা বাদশাদের আমোদ-ফুর্তির জায়গা নয়, এর পিছনে অনেক গল্প কাহিনী। অটোমান সম্রাজ্য থেকে শুরু করে মুঘল সম্রাজ্য কিংবা তারও আগে হিন্দু রাজ্যের উপপত্নী রাখার প্রথা সবই যেন এক সূত্রে গাঁথা। আর এখানেই রয়েছে ইতিহাসের অনেক না জানা রহস্যের কাহিনী।

মানব সৃষ্টির আদি থেকে দুটি জিনিসের সর্বজনবিদিত। একটি হচ্ছে পেটের ক্ষুধা আর আরেকটি হচ্ছে জৈবিক তাড়না। এ দুটোর ক্ষেত্রে মানুষের কোনো শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। ক্ষুধার্ত মানুষমাত্রই খাবারের সন্ধানে উন্মুখ হয়ে পড়বে। যৌন ক্ষুধার ক্ষেত্রেও কিন্তু মানুষ অনেকটাই লাগামহীন। তবে যৌনতা ধর্মীয়ভাবে নির্দিষ্ট নিয়মের গণ্ডিতে স্বীকৃত। সেই নিয়মের বাইরের যৌনতাকে সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা ধর্ম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে সেই আদিকাল থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক সমাজব্যবস্থাতেও যৌনতা কখনোই সীমাবদ্ধতা মানেনি। স্বকীয় প্রয়োজনে গোপনীয়তা মেনেই আদিম মনোবাসনা পূরনের অভিপ্রায়ে ব্যস্ত থাকে সংশ্লিষ্ট সবাই।

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় অবাধ যৌনাচারকে সর্মথন করে না। কিন্তু আগের দিনের রাজা বাদশাহদের জন্য এটি ছিল তুচ্ছ একটি রাজসিক রীতি। সেই রীতির আধার ছিল রমণী আর অবকাঠামো ছিল হারেম। যদিও হারেমের উৎপত্তি, গঠন, আর বিকাশের ধারায় বারবার পাল্টেছে তবু ‘হারেম’ বলতেই কেমন যেন একটা নিষিদ্ধ সুবাস নাকে লাগে। এ যেনে চোখের সামনে ফোটে ওঠে বিলাসবহুল এক মনোহর দৃশ্য। যেখানে অপূর্ব সব সুন্দরীরা তাদের রাজার মনোরঞ্জনে ব্যস্ত। সঙ্গীত-নৃত্যকলাতো বটেই প্রয়োজনে কামকলা প্রদর্শনেও আপত্তি নেই তাদের। হারেম শব্দের সঙ্গে তাই মিশে আছে গোপন তৃপ্তির অচেনা ঢেঁকুর। হারেমের এই অবয়বের পেছনে সবচেয়ে বড় দায় ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকের অটোমান সাম্রাজ্যের। তাদের রাজকীয় হারেম আর বিলাসবহুল জীবনযাত্রা মানুষকে মোহিত করেছে।

কেবল বিনোদন আর মনোরঞ্জনই নয় অটোমান প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল হারেমের নারীরা। অটোমান সংস্কৃতির এই রহস্যময় শব্দ দূর প্রাচ্য থেকে সূদুর পশ্চিম পর্যন্ত সর্বত্রই তৈরি করেছে গোপন আগ্রহ। সব জায়গার মানুষের কাছে এক গোপন আগ্রহের বিষয়। কিন্তু গোপন আগ্রহ সব সময়ই ভয়ঙ্কর। গোপন বিষয় নিয়ে মানুষ সত্যের কাছাকাছি থাকার চেয়ে কল্পনার আশ্রয়ে বসবাস করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বেশি। আর এজন্যই বাড়ির রমনীদের আলাদা থাকার জায়গার পরিচয় হারিয়ে মানুষের কাছে হারেম হয়ে ওঠেছে বিলাসবহুল মনোরঞ্জনকেন্দ্র।

হারেম কী

মুসলমানের যৌন বিকৃতি

‘হারেম’ শব্দটিকে কখনো কখনো ‘হেরেম’ও বলা হয়। তবে মূল অর্থ একই। ‘হারেম’ (Harem) শব্দটি তুর্কি হলেও হিব্রু হেরেম এবং গ্রিক হারেমিও এর সমগোত্রীয় শব্দ এটি। আবার তুর্কি শব্দটির উৎপত্তি আরবি শব্দ থেকে। আরবি ‘হারাম’ শব্দ থেকেই হেরেমের উদ্ভব। আরবি ‘হারাম’ শব্দের আভিধানিক অর্থ নিষিদ্ধ বা অলঙ্ঘনীয় সীমারেখা। তুর্কি ভাষায় হারেম বুঝানো হয়েছে মহিলাদের বসবাসের নিরাপদ স্থান যেখানে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

হিব্রু ভাষায় হেরেম (Harem)-এর অর্থও একই। গ্রিক শব্দ হেরেমি এর অর্থ গোত্রচ্যুতকরণ। মূলত আরবি ‘হারাম’ শব্দটিকে তুর্কীরা খানিকটা সহনীয় করে হারেম এ পরিণত করে। এরপর যোগ করে ‘লিক’। ফলে তুর্কি শব্দটি দাঁড়ায় ‘হারেমলিক’। বাড়ির যে অংশে মহিলারা থাকে তুর্কীতে সেই স্থানকে ‘হারেমলিক’ বলা হয়। এই উপমহাদেশে হারেম নামে পরিচিত হলেও ইউরোপীয়দের কাছে হারেম হচ্ছে ‘সেরালিয়ো’। এখানে ইতালিয়ান ও ফারসি ভাষার অদ্ভুত এক সম্মিলণ ঘটেছে।

ইতালিয়ান ভাষায় ‘সেররালিয়োন’ মানে হচ্ছে ‘বন্য প্রাণীর খাঁচা’। ‘সেররালিয়ো’ এসেছে ফারসি ‘সেরা’ থেকে। তবে ফারসি ‘সরা’ ও ‘সরাই’ মানে হচ্ছে ভবন বা প্রাসাদ বিশেষ। মূলত এই শব্দের সঙ্গে মিলিয়েই এমন অদ্ভুত নামকরণ। অবশ্য ১৬৩৪ সালে হারেম শব্দটি ইংরেজি ভাষার অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে সব শব্দের অর্থ মোটামুটি একই ধরনের, যার অর্থ নিষিদ্ধ।

অন্যভাবে বললে এর অর্থ হচ্ছে নিষিদ্ধ বা গোপনীয় স্থান। রাজপ্রাসাদের যে আলাদা অংশে শাসকের মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা, নারী কর্মচারী, উপপত্নী প্রমুখ বাস করতেন তা হারেম, হারিম বা হেরেম নামে অভিহিত হতো। বহিরাগতদের হারেমে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। হারেমকে মহল, জেনানা, হেরেম-সারা, হেরেম-গাঁ, মহল-সারা, রানীবাস ইত্যাদি নামেও আখ্যায়িত করা হতো।

ভ্রান্ত ধারণা

মুসলমানের যৌন বিকৃতি

ছবি: সংগৃহীত (১)

সাধারণ মানুষের মনে হারেম সম্পর্কে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। আর সেই অনুসারে হারেমের কথা কল্পনা করলেই আমাদের মনে আসে রানী, উপপত্নী, নর্তকী, গায়িকা ও দাসীর ভেসে ওঠা ছবি। আর সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ সব কীর্তিকলাপের রগরগে চিত্র ফুটে ওঠে। তরব বাস্তবের ব্যাপারটি ছিল আরও স্বাভাবিক। স্বাভাবিক এই অর্থে যে তখনকার সময়ে একজন রাজার অনেক পত্নী আর উপপত্নী থাকাটাই ছিল রীতি মত।

নিজের দাস-দাসী কিংবা পছন্দের পাত্রীদের রাজা যেমন ইচ্ছা তেমন করেই ব্যবহার করবেন এতে অস্বাভাবিকের কিছুই ছিল না। তবে যে বিষয়টি অনেকেই জানেন না সেটি হলো মুসলিম হারেম কেবলমাত্র বাড়ির কর্তার সাথে যেমন: মহিলার যৌণ সম্পর্ক (স্ত্রী ও উপপত্নী) রয়েছে সে সব মহিলাদের জন্যই নয়, বরং সেখানে তাদের সন্তানসন্ততি ও অপরাপর মহিলা আত্মীয়স্বজনও থাকতে পারে।

আরবি ভাষায় হুরমাহ (Hurmah) এর বহুবচন হারিম (Harim) যার অর্থ বিত্তশালী ও উচ্চপদে আসীন পরিবারের প্রধানের স্ত্রী বুঝানো হতো। কিন্তু কালক্রমে ইরাকি আরবি ভাষায় এর অর্থ দাঁড়ায় জাতিবর্ণ নির্বিশেষে যেকোন মহিলা। অর্থাৎ হারেমে রানী-দাসী আর উপপত্নী ছাড়াও আরও অনেক মহিলাদের বসবাস ছিল। এর মধ্যে ছিলো সম্রাটের মা, সৎ মা, কন্যা, তার মহিলা আত্মীয়-স্বজনরা উল্লেখযোগ্য।

আরেকটি ব্যাপার হলো বড় হওয়া নাগাদ ছেলেরাও হারেমে অবস্থান করত। তাছাড়া ছিল সঙ্গিনী, দাসী, বাঁদি, মহিলা কর্মচারী ও প্রহরী। সম্রাট হারেম দেখাশোনা করার জন্য তাদের নিয়োগ দিতেন। খোজা প্রহরীরা হারেমের চারদিকে পাহারা দিতেন। শুধু তাই নয়, পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কয়েকজন মহিলা ও খোজা প্রহরী গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন। তারা হারেমে অবস্থানকারী মহিলাদের সব কার্যকলাপ সম্পর্কে সম্রাটকে অবহিত করতেন। মোটকথা হেরেম কেবল রাজাদের চিত্তবিনোদনের কেন্দ্রস্থলই ছিল এমন ধারণা একদমই ঠিক নয়। বরং বলা চলে হারেম ছিল রাজার কাছের সব মহিলাদের নিরাপদে রাখার জন্য একটি সুরক্ষিত স্থান।

হারেমের উৎপত্তি

মুসলমানের যৌন বিকৃতি

​ছবি: সংগৃহীত (২)

হারেমের উৎপত্তির পেছনে রয়েছে ইসলাম ধর্মের মূল নীতি। ইসলাম ধর্মের রীতির মধ্যে রয়েছে পরপুরুষের সামনে নারীদের উপস্থিতি নিষেধ। মূলত অন্তঃপুরের নারীদেরকে নিরাপদে আলাদা ও ঘরের ভেতরে রাখা এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের সুরক্ষার জন্যই ‘হারাম’ বা নিষিদ্ধ শব্দটির প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। ইসলাম ধর্মে মহিলাদের জন্য যেসব বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে এর অধিকাংশই কিন্তু তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে করা। ‘হারেম’ এর এই প্রথাও কিন্তু মহিলাদের নিরাপত্তার নিমিত্তেই শুরু করা হয়েছিল। অনেকেই একে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন।

কিন্তু ইসলাম নারীর সম্মান ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। পুরুষের তুলনায় শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে পরিশ্রমী কাজগুলোতে ইসলাম নারীদের পুরুষের সাহায্য নিতে বলেছে। আবার পুরুষ ও নারীদের জীবনাযাত্রার ধরনেও আছে ভিন্নতা। একজন নারীকে তার প্রাত্যহিক জীবনে অনেকগুলো স্তর পার করতে হয়। যেমন মাসিক, গর্ভবতী হওয়া, সন্তান জন্মদান, সন্তানের পরিচর্যা ইত্যাদি। এসব কাজ যথাযথভাবে সম্পাদনের জন্য তাদেরকে আলাদা স্থানে থাকাটা জরুরি। এর বাইরে বলা হয়ে থাকে মেয়েরা তুলনামূলকভাবে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। তাই তাদেরকে সহজেই ভুল বোঝানো কিংবা প্রতারণার ফাঁদে ফেলা যায়। এছাড়া নারীদেরকে পুরুষের কামনা-বাসনা থেকেও নিজেদের নিরাপদে রাখতে হয়। একজন পুরুষের ন্যায় নারী তার বাড়িতেও প্রকাশ্যে তার কাপড়-চোপড় পরিধান করতে পারে না। পুরুষের মতো অনেকটা প্রকাশ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারেন না নারীরা। এমনকি নিজেদের ব্যক্তিগত কাজগুলো করার জন্যও তাদের গোপনীয়তার দরকার পড়ে।

এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে নারীদের জন্য আলাদা একটি বসবাসের স্থানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। যেখানে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ থাকবে। মূলত সেই ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তা থেকেই হারেম এর উৎপত্তি। ইসলাম ধর্ম অবাধ যৌনাচার নিষিদ্ধ থাকলেও রাজা-বাদশারা সেই নীতির পথে পাই রাখেননি। ফলে হারেমের অর্থ আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে থাকে।

হারেম শব্দের সব ব্যাখ্যাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেয় মূলত আদিকাল থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত নানান রাজ্যের হারেমখানা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলো হয়ে ওঠেছিল বহু নারীকে ভোগের নির্ধারিত স্থান। হারেমের আচরণ যৌনতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। হারেমখানার প্রতি অতি আসক্তির কারণে অনেক রাজা তাদের রাজ্য হারিয়েছেন, নিঃস্ব হয়েছেন কিন্তু তাদের বিকৃত রুচি আর যৌন-জীবনে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

মুসলমানের যৌন বিকৃতি

​ছবি: সংগৃহীত (৩)

একই ধারার দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম প্রতিষ্ঠান হলো জেনানা (Zenana)। জেনানার আভিধানিক অর্থ ‘নারী সম্পর্কিত’। এর সংজ্ঞায়ন করলে অনেকটা হারেমের অর্থই দাঁড়ায়। সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম পরিবারে বসতবাড়ির একটি অংশ যা কেবল নারীদের জন্যই নির্ধারিত এটাই জেনানা। অর্থাৎ এটি হচ্ছে বাড়ির অন্দরমহল যেখানে পুরুষদের প্রবেশ খুব বেশি রকম নিয়ন্ত্রিত। পুরুষদের জন্য আবার আলাদা অঞ্চল ছিল যার নাম মার্দানা। সাধারণভাবে বলা যায় মার্দানাতে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই।

তবে অটোমান আমলে হারেমের উদ্দেশ্য ছিল রাজপরিবারের কন্যা শিশুদেরকে প্রচলিত সাংস্কৃতিক ধারায় ও সঠিক শিক্ষায় বড় করে তোলা। হারেমের আরো একটি উদ্দেশ্যে ছিল —কন্যা শিশুরা যেন সেখানে অবস্থানরত মহিলাদের নিকট হতে রাজকীয় আদর্শ শিখতে পারে এবং ভবিষ্যতে যেন কোন রাজকীয় ও বিখ্যাত ব্যক্তির স্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে। এখানে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাও গ্রহণ করতে হতো। কারণ ভবিষ্যতে রাজপরিবারের স্ত্রী হয়ে তাকে জনগণের সম্মুখে আসার প্রয়োজন হতে পারত।

মুসলমানের যৌন বিকৃতি

​ছবি: সংগৃহীত (৪)

মুসলমান পুরুষের যৌন দৃষ্টিভঙ্গি এতটাই বিকৃত যে, তারা মনে করে যে এমনকী শুধু চোখের দৃষ্টি দিয়েও তারা নারীকে ধর্ষণ করতে পারে। এটা কীভাবে সম্ভব তা আমরা ধারণা করতে পারি না। তবে কেন তারা এ ধরনের বিকৃত চিন্তা লালন করে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করা যায়।

অনেক সময় আমি মুসলমানদের কাছ থেকে ইমেইল পেয়ে থাকি। মনে হয় তারা উচ্চ শিক্ষিত। তারা পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকেন এবং ভাল ইংরেজি লিখেন। তারা বোরখা পড়ার ইসলামি রীতির পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বলেন যে, এতে নারীরা বেগানা পুরুষ কর্তৃক ‘দৃষ্টি দ্বারা ধর্ষিত’ হবার হাত থেকে রক্ষা পায়। নীচে ফাররুখ আবিদি নামের তেমন এক ব্যক্তির একটি চিঠি তুলে ধরা হল। সম্ভবত তিনি সাম্প্রতিক ‘এঙ্গাস রিড জরিপ’-এর ফলাফল দেখে চিঠিটা লিখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। ওই জরিপে দেখা গেছে কুইবেগ এবং কানাডার অধিকাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বোরখা বা নেকাব পড়া মহিলাদের সরকারি সেবা, হাসপাতালের পরিচর্যা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। আবিদি লিখেছেনঃ

” আসসালামু আইলাইকুম,

অমুসলিম দেশগুলো যদি হিজাব অথবা নিকাব নিষিদ্ধ করে তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই। কারণ তারা অমুসলিম। তারা ইসলামি মূল্যবোধের পরোয়া করে না। কিন্তু যখন অধিকাংশ মুসলিম নারী নিকাব অথবা হিজাব পরিধান করে না, এবং অধিকাংশ মুসলিম পুরুষ তাদের স্ত্রীরা আল্লাহর এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ মানলো কী মানলো না, সে ব্যাপারে নির্লীপ্ত থাকে তখন সত্যিই অবাক হতে হয়। এমন শত শত মুসলিম পরিবার আছে যেখানে নিকাব অথবা হিজাব পড়ে এমন মহিলা একজনও পাওয়া যাবে না।

শুধু তাই নয়, মুসলিম নারীরা এখন অনাবৃত থাকার শিক্ষাও বেশ ভালোভাবে নিয়েছে। মহিলারা এখন হাতাকাটা জামা পড়ছে। অনেক মুসলিম নারী এমনভাবে শাড়ী পড়েন (বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানে ), তাদেরকে অর্ধনগ্ন দেখায়। অনেক নারী এখন বুকে কাপড় না দিয়ে তা অনাবৃত রাখে।

আশ্চর্যের ব্যাপার হল, মুসলমান পুরুষরা বুঝে না যে তাদের স্ত্রীরা এভাবে বের হলে বহু মানুষ তাদের শরীরের অনাবৃত অংশ দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে অমুসলিম দেশগুলোতে খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, শিখ, ধর্ষণকারী, মদ্যপ ,গুণ্ডাপাণ্ডা, রাস্তার বখাটে ছোকড়া, সমকামী ইত্যাদি হরেক রকমের মানুষ আছে। তারা লোলুপ দৃষ্টিতে এ ধরনের মুসলিম যুবতী ও কিশোরীদের দিকে তাকায়, উত্তেজিত হয়; এদের নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখে।

এই মুসলমান পুরুষদের আক্কেলজ্ঞান কতটুকু তা আপনি কল্পনা করতে পারেন? অধিকাংশ মুসলমান পুরুষ তাদের স্ত্রীদের হিজাব না পড়ার অনুমতি দিয়ে এবং শরীর উন্মুক্তকারী পোশাক পরার স্বাধীনতা দিয়ে নিজেদের অজান্তে সব ধরনের মানুষকে উত্তেজিত হওয়ার এবং সুখানুভূতি পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।

মহিলারা আসলে পুরুষদের চরিত্র বোঝে না। তাই তারা শরীর উন্মুক্তকারী পোশাক পরে। জানে না যে এতে করে সব ধরনের মানুষ তাদের কাছ থেকে মজা লুটছে। আমি জানি তাদের কেউ কেউ হিজাব পড়ে না পুরুষদের আকৃষ্ট করার জন্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মহিলারা স্বামীর কথা মানে। যদি স্বামীরা নিজ নিজ স্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করে তবে আমি নিশ্চিত যে ৯০% বিবাহিত নারী হিজাব পড়া শুরু করবে।

যেসব মুসলিম নারী হিজাব পড়ে না তাদের জীবনের মর্যাদা নাই। শুধু তাদের স্বামীদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য তারা অমর্যাদাকর জীবন বেছে নিয়েছে। তাহলে তাদের স্বামীরা সন্তুষ্ট হলে তারা কেন মর্যাদাকর জীবন বেছে নিবে না?

মুসলমান পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের এই বিব্রতকর অবস্থা কীভাবে সহ্য করে তা চিন্তা করে আমি সত্যিই অবাক হই।

এ পরিস্থিতিতে মুসলিম জাহানের সর্বত্র মুসলমানরা বিস্মিত হয়ে অভিযোগ করে, ‘অমুসলিম দেশগুলো কেন আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করছে না?’

কেন তারা করবে? আমরা কি ইসলামী মূল্যবোধকে কোনরকম গুরুত্ব দিচ্ছি?

জাযাকাল্লাহ্‌

ফাররুখ আবিদি। ”

 

আমি শুধু একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপাদমস্তক কালো কাপড়ে আবৃত না থাকলে কীভাবে একজন নারী চোখের দেখায় ধর্ষিত হতে পারে, অর্থাৎ একজন বেগানা বা বাইরের পুরুষ কেবলমাত্র চোখ দিয়ে দেখে কীভাবে তাকে সম্ভোগ করতে পারে!

যদিও মুসলমানরা অভিযোগ করে, (আবিদি যেমন করেছেন) অমুসলমানদের এমন বিকৃত যৌন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, এটা আসলে তাদের অন্তরের এই চিন্তাকেই প্রকাশ করে, কোন নারীর অনাবৃত মুখ, হাত, পা, অথবা বুকের অংশবিশেষের দিকে তাকিয়ে চোখ দ্বারা তাকে ধর্ষণ করা সম্ভব। আমি ৩৫ বছর মুসলমান ছিলাম, তাই আমি এতে অবাক হই না।

একজন সিরিয় আরব এবং সাবেক মুসলমান মুমিন সালিহ্‌ মুসলমানদের যৌন দৃষ্টিভঙ্গি সঠিকভাবে বর্ণনা করে লিখেছেনঃ

উপসাগরীয় দেশগুলোতে এবং আরো কয়েকটি মুসলিম দেশে চালু থাকা কঠোর যৌন বিচ্ছিন্নতার ফলে কতিপয় মুসলমান যৌনতা তাড়িত পশুর মত আচরণ করে। উদাহরণস্বরূপ সৌদি আরবে কালেভদ্রে কোন নারীর অনাবৃত পা দেখে ফেললে পুরুষদের মনে যৌন উত্তেজনা জাগতে পারে। অস্ট্রেলিয় ইমাম তাজ-আল-হিলালী আংশিক অনাবৃত মহিলাকে অনাবৃত মাংসের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা দেখলে খাওয়ার জন্য জিহ্বায় পানি এসে যায়।

আমি জানি ইসলামী দেশগুলোর তরুণ মুসলমানরা হঠাৎ করে কোন নারীর ব্রেসিয়ারের ফিতা দেখে ফেললে তাদের শরীর কীভাবে গরম হয়ে উঠে। এতে বোঝা যায় অনাবৃত উরু অথবা স্তনের অংশ দেখলে মুসলমানদের কী দশা হতে পারে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, সাধুতার মুখোশের আড়ালে মুসলমানরা উন্মাদের মত পর্নোগ্রাফি উপভোগ করে।

এটা স্বাভাবিক যে রক্ষণশীল সামাজিক পটভূমির পুরুষরা, যেখানে নারী-পুরুষের মেলামেশা মুসলিম দেশগুলোর অনুসৃত নিয়ম অনুযায়ী তুলনামূলকভাবে সীমিত, কোন মেয়ের শরীরের অংশবিশেষ কিছুটা অনাবৃত দেখলেও সহজেই যৌন উত্তেজনা বোধ করে। তবে কোন সমাজ অথবা এর ধর্মীয় বিশ্বাস যৌনতা ও নারীকে কী দৃষ্টিতে দেখে তার ভিত্তিতেও বিকারগ্রস্ত যৌন মানসিকতা গড়ে উঠতে পারে। মানুষ হিসাবে আমরা কিংবদন্তীতূল্য দানবীর হাতেম তাইয়ের মত হয়ে উঠতে পারি, আবার তার সময়কার নবি মুহাম্মদের মত লুটেরা এবং ডাকাতও হয়ে উঠতে পারি (উল্লেখ্য, মুহাম্মদ হাতেম তাইয়ের গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ চালিয়ে লুটপাট এবং হাতেমের সন্তানদের ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেছিলেন)। জীবনের বিভিন্ন দিক ও বিষয় সম্পর্কে আমাদের মনোভাব গড়ে ওঠে আমাদের সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে আমরা এগুলোকে কীভাবে পরিচর্যা করি তার নিরিখে।

মুসলমানরা সর্বোত্তমভাবে বড়জোর তাদের নবির মতো হতে পারে। সর্বকালে জীবনের সব দিক থেকে অনুসরণযোগ্য আদর্শ মানুষের দৃষ্টান্ত হিসাবে মুহাম্মদকে মুসলমানরা দেখে থাকে। এই লেখায় নবির একটি সুন্নতের উল্লেখ করছি। এতে বোঝা যাবে মুসলমানরা কেন নারী এবং যৌনতার ব্যাপারে এমন বিকৃতমনস্ক।

নবি একদিন তার পালকপুত্র যায়িদের বাড়িতে গেলেন। যায়িদ তখন বাইরে ছিলেন। তিনি যখন যায়িদকে নাম ধরে ডাকলেন তখন তার নব বিবাহিত স্ত্রী যয়নব ভিতর থেকে জানালেন যে যায়িদ বাড়ীতে নাই। কিন্তু মুহাম্মদ তার কৌতূহল দমন করতে পারলেন না। সঙ্গে সঙ্গে ফিরে না গিয়ে তিনি যায়িদের বাড়ীর ভিতরে উঁকি দিলেন। সেখানে তিনি তার পুত্রবধূ যয়নবকে দেখলেন। আরবের গ্রীষ্মকালীন গরমের দিনে যয়নব তখন ফিনফিনে পোশাক পরা অবস্থায় ছিলেন। মুহাম্মদ সুন্দরী যয়নবের আকর্ষণীয় প্রায় নগ্ন শরীর দেখে মোহিত হয়ে পড়লেন। তিনি এ কথা বলতে বলতে চলে গেলেন, “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র প্রাপ্য, যিনি হৃদয়ের অনুভূতি পরিবর্তন করতে পারেন।”

এরপর যা ঘটেছিল তাতে যে কোন সুন্দর মনের মানুষ বিষণ্ন বোধ করবেন, যদিও মুসলমানরা এটাকে নবির চির অনুসরণযোগ্য পবিত্র ঐতিহ্য বলে গণ্য করেন। সুন্দর মনের কোন শ্বশুর হলে পুত্রবধূর ঘরের ভিতর উঁকি দেওয়ার মতো ভুল করার জন্য লজ্জা পেয়ে ফিরে যেতেন। তার পরিবর্তে মুহাম্মদ সম্ভবত সুন্দরী যয়নবের যৌনাবেদনময়ী শরীর দেখে নিজের শরীরের ভিতর যৌনতার মহাপ্লাবন অনুভব করেছিলেন। এবং কীভাবে তিনি জীবনে একবার আসা যৌন উত্তেজনাকে বশে এনেছিলেন? এখানে সম্ভবত সে কাহিনীই বলা হয়েছেঃ

সহি মুসলিম ৮নং পুস্তক, সংখ্যা ৩২৪০

জাবির জানিয়েছেন যে, “আল্লাহর নবী (সঃ) একজন মহিলাকে দেখেছিলেন, এবং তাই তিনি যয়নবের কাছে ফিরে এসেছিলেন। যয়নব তখন একটি চামড়া পাকা করছিলেন, তিনি তার সঙ্গে রতিক্রিয়া করলেন। তিনি তখন তার সাথীদের কাছে গেলেন এবং তাদেরকে বললেন, নারী শয়তানের আকৃতিতে আসে এবং চলে যায়। সুতরাং তোমাদের কেউ কোন মহিলাকে দেখলে নিজের স্ত্রীর কাছে ফিরে যাবে; কারণ এতে তার চিত্ত চাঞ্চল্য দূর হবে”।

ইসলামী সাহিত্যে সম্ভবত এই কাহিনীর সঙ্গে যয়নবের বিষয়ে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, এ ঘটনার সময় হচ্ছে নবীর সঙ্গে জয়নাবের প্রথম সাক্ষাতের পর। সে সময় নবির অভ্যাস ছিল মদীনার বিভিন্ন ঘরের ভিতর মহিলারা কী অবস্থায় আছে তা উঁকি দিয়ে দেখা (এতে যে তিনি আরও নিকৃষ্ট বিকৃতমনা মানুষে পরিণত হন তা নয় কি?)। মজার ব্যাপার হচ্ছে অর্ধনগ্ন যয়নবকে দেখার পর তার মধ্যে যে যৌন উত্তেজনা হয়েছিল সেটা মেটানোর জন্য তিনি একই নামের স্ত্রীকে নিয়ে বিছানায় গিয়েছিলেন। এ সময় কী তার মনে হচ্ছিলো যে তিনি তার পুত্রবধু যয়নবের সঙ্গে যৌনক্রিয়া করছেন?

এছাড়া আমরা নবির চরম যৌন বিকৃতি সম্পর্কেও জানি। তাঁর অনিয়ন্ত্রিত বহুগামিতা,ছোট বালিকা আয়িশাকে পাওয়ার জন্য তাঁর লালসা এবং ৯ বছর বয়সে যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের উপযুক্ত হবার পূর্ব পর্যন্ত আয়িশার পিছনে লেগে থাকা এবং তার সঙ্গে উরু মৈথুন করা, যুদ্ধে বন্দী করে ‘কাফের’ মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরীকে সে রাতেই নিজের বিছানায় নিয়ে যাওয়া,বাবা খবর পাঠিয়েছে এই মিথ্যা কথা বলে নিজের স্ত্রী আসমাকে তাঁর বাবা ওমরের বাড়ীতে পাঠিয়ে তাঁরই বিছানায় তরুণী দাসী মারিয়াকে নিয়ে রাত্রিযাপন ইত্যাদি সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়।

এবং আলোচ্য ক্ষেত্রে মুহাম্মদের সঙ্গে যয়নবের মুলাকাত সেখানেই শেষ হয় নি। তিনি সব ধরনের কৌশল খাটিয়েছেন; এমনকী তাঁর পালক পুত্রের স্ত্রী যয়নবকে নিজের স্ত্রী বানানোর জন্য আরব ঐতিহ্যের ব্যত্যয় ঘটিয়ে আল্লাহর সাহায্য নিয়েছেন। তৎকালীন আরব সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা অত্যন্ত অনৈতিক কাজ ছিল।

যখন মুসলিম মানসে এই নবি সর্বকালের জন্য যৌন কার্যকলাপ ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে শুদ্ধতার ভাবমূর্তি নিয়ে অবস্থান করেন, তখন এটা বুঝতে সহজ হয় যে, কেন মুসলিম পুরুষরা উদার পোশাক পরা মহিলাদের দৃষ্টির মাধ্যমে ধর্ষণ করা সম্ভব বলে মনে করে। যেন কোন মহিলার পা,হাত,মুখ,অথবা বুকের কিছু অংশ দেখে তারা চরম যৌনতৃপ্তি লাভ করে।

উপরোল্লিখিত হাদীসে নবীর যৌন বিকৃতির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। এতে পরিস্কারভাবে দেখানো হয়েছে, ইসলামে একজন স্ত্রী তার স্বামীর কাছে কী? তিনি নিকটবর্তী এক বাড়ীতে এক অর্ধনগ্ন মহিলাকে দেখে যৌন উত্তেজনায় কাতর হয়ে পড়লেন এবং বাড়ীতে তাঁর স্ত্রীকে কোন রকম প্রশ্ন না তুলে আকস্মিকভাবে তার যৌন উত্তেজনা প্রশমিত করতে হয়েছে। এবং এ ক্ষেত্রে আমরা কাফেররা স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি মনোযোগ দিয়ে থাকি। প্রায়ই সে ক্লান্ত থাকে, তার মন ভাল থাকে না, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এবং এই একই পরিস্থিতিতে আমরা যদি যৌনকর্মের জন্য চাপাচাপি করি তবে নিশ্চিতভাবে আমাদের চিরদিনের জন্য ছুঁড়ে ফেলা হবে।

যখন একটি সমাজ অথবা জনগোষ্ঠীর যৌন নৈতিকতার ভিত্তি গড়ে উঠে এই থেকে যে, মহিলারা পুরুষের যৌন ক্ষুধা মেটানোর হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু নয়, তখন এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে, কেন মুসলমানরা মহিলার শরীরের উন্মুক্ত অংশের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করা যায় বলে মনে করে। এই বিকৃত যৌনভাবনা থেকে আরও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় কেন পশ্চিমা দেশগুলোতে গিয়েও মুসলমানরা অন্যান্য অভিবাসীদের মত (যেমন ভারত থেকে আগত হিন্দু) উদার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও যৌনতা ও নারী সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ পাল্টাতে পারেন না।

এটা বাস্তব সত্য যে, মুসলমানদের বিকৃত যৌন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মহিলারা মুসলিম দেশগুলোতে বাজারে, রাস্তায়, শপিংমলগুলোতে এবং যে কোন জনাকীর্ণ স্থানে যৌন হয়রানীর শিকার হয়। এবং তারা পশ্চিমা দেশগুলোতে আসার পরও পবিত্র ঐতিহ্য দ্বারা লালিত হওয়ার কারণে মহিলাদের প্রতি তাদের এই মনোভাব পাল্টাতে পারে না। সুযোগ পেলেই তারা মহিলাদের ধর্ষণ এবং হিংসাত্মক আক্রমণের মত একই ধরনের যৌন আচরণ করে থাকে। সিডনী,মালমো (সুইডেন)-এর মুসলমান প্রধান মহল্লাগুলোতে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যান্য মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় শ্বেতাঙ্গ নারীদের ধর্ষণ করার হার যে অনেক বেশী এ প্রসঙ্গে সে কথা স্মরণ করা যায়। কতিপয় মুসলমান মোল্লা এমনকী ওইসব ধর্ষণের ঘটনাকে গর্বের সঙ্গে সমর্থনও করেন। তারা উদার পোশাক পড়া মহিলাদের মাংসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন যে, তারাই প্রকৃত অপরাধী। এবং আপনি যদি মুসলমান হন এবং মুসলমান পুরুষদের আলাপচারিতা শুনে থাকেন তবে দেখবেন, তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে এমন এক ধারণা রয়েছে যে- পাতলা পোশাক পরা কাফের নারীরা বেশ্যা এবং তাদের ধর্ষণ করা উচিত।

কেন মুসলমান পুরুষরা মনে করেন তারা কোন নারীর শরীরের অনাবৃত অংশের দিকে তাকিয়ে তাকে ধর্ষণ করতে পারে, আশাকরি এখন আর তার কারণ খুঁজে পেতে পাঠকদের কষ্ট হবে না।


বিঃদ্রঃ নিবন্ধটি M. A. Khan -এর Sexual Perversity of the Muslim Mind -এর বাংলায় ভাষান্তর। মূল ইংরাজী লেখাটি ইসলাম ওয়াচ ( www.islam-watch.org )-এ ১৫ জুন ২০১০ তারিখে প্রকাশিত হয়। লেখক ওয়েব সাইট ‘ইসলাম ওয়াচ’-এর সম্পাদক এবং Islamic Jihad: A Legacy of Forced Conversion, Imperialism, and Slavery নামক গ্রন্থের লেখক -- বঙ্গরাষ্ট্র, ১৫ আগস্ট ২০১০)

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ব্রহ্মচর্যের সাধনা ভোজন

  নবম ভাগ ভোজন ভূমিকা - "ধর্মার্থকামমোক্ষাণামারোগ্যম্ মূলমুত্তমম্" . ধর্ম-অর্থ-কাম আর মোক্ষ এই পুরুষার্থচতুষ্টয় হল মানব জীবনের উ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ