देवता: इन्द्र: ऋषि: वसुक्र ऐन्द्रः छन्द: पादनिचृत्त्रिष्टुप् स्वर: धैवतः
পীবানং মেষমপচন্ত বীরা ন্যুপ্তা অক্ষা অনু দীব আসন্।
দ্বা ধনুং বৃহতীমপ্স্হন্তঃ পবিত্রবন্তা চরতঃ পুনন্তা।।
[ঋগ্বেদ ১০/২৭/১৭]
পদার্থন্বযভাষ্যঃ ( বীরাঃ) দশপ্রাণ "প্রাণা বৈ দশ বীরাঃ"[শতঃ১২।১।৮।২২] (অক্ষাঃ-অনু) ইন্দ্রিয়ের সাথে (দিবং ন্যুপ্তাঃ-আসন্) রমণস্থান শরীরে রাখা হয়েছে। ( মেষং পীবানম্-অপচন্ত) আত্মাকে পূর্ণাঙ্গ করে "ইন্দ্রস্য মেষস্য"[কাঠ০১২।২১] । (দ্বা) উভয় প্রাণ ও অপান ( বৃহতীং ধনুম্) মহান দেহকে ( অপ্সু-অন্তঃ) দেহ জলে (পুনন্তা পবিত্রবন্তা চরতঃ) পবিত্র করে পবিত্ররূপে বিচরণ করে৷
ভাবার্থঃ আত্মা যখন শরীরে প্রবেশ করে তখন প্রথমে দশ প্রাণ প্রাপ্ত হয় । তারপরে ইন্দ্রিয়গণের বিকাশ হয় এবং শরীর সর্বাঙ্গীনভাবে পরিপূর্ণ হয় । অভ্যন্তরীণ রসকে পবিত্র (বিশুদ্ধ) করে থেকে স্বয়ং পবিত্রস্বরূপ প্রাণ-অপান তথা শ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকে৷
দশ প্রাণঃ প্রাণ, অপান, সমান, উদান, ব্যান, নাগ, কৃকর, কূর্ম, দেবদত্ত ও ধনঞ্জয়
১)প্রাণ বায়ুঃ আমাদের শরীরের শ্বাস-প্রশ্বাসের বায়ুকে প্রাণ বায়ু বলে। প্রাণই এ শ্বাস-প্রশ্বাসের মূল শক্তি। এ প্রাণকে প্রানায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা যায়।
২)অপান বায়ুঃ মানুষের নাভির নিচে এ বায়ুর অবস্থান। এ বায়ু দুষিত হলেই মানব দেহে নানাপ্রকার রোগের সৃষ্টি হয়। এ অপান বায়ু শুদ্ধির প্রক্রিয়াটি সাধকরা জানার ফলে তারা কখনো অসুস্থ হন না। এ অপান বায়ুর বৃত্তি নাভিমূল থেকে পায়ের নীচ পর্যন্ত।
৩)সমান বায়ুঃ আমাদের দেহের নাভিমুলে সমান বায়ুর অবস্থান। এ সমান বায়ু প্রাণ এবং অপান বায়ুকে আলাদা করেছে। সমান বায়ু শরীরে সমতা নিয়ে আসে(স্থাপন করে)। এ বায়ুর প্রভাবে দেহ জ্যোতিস্মান ও তেজীয়ান হয়।
৪)ব্যান বায়ুঃ ব্যান বায়ু সমস্ত শরীরে ব্যাপ্ত থাকায় তা ব্যান বায়ু।
৫)উদান বায়ুঃ নাভিমূল থেকে মস্তক পর্যন্ত উদান বায়ুর বৃত্তি।আমাদের কথা বলার সক্ষমতা এ বায়ুর কারনেই হয়ে থাকে।উদান বায়ুর সমস্যার কারনে মানুষ তোতলা বা বোবা হয়। মানুষের বোধরুপ স্নায়ুতন্ত্র উদান বায়ুর আশ্রয়। প্রাণ বায়ুর সাথে অপান বায়ুর মিলন ঘটায়ে সাধকরা ইচ্ছামৃত্যু লাভ করতে পারে।কিন্তু এজন্য দীর্ঘকাল সাধনার প্রয়োজন।
প্রাণ– যে বায়ু নাসিকার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়, তাকে বলে প্রাণ বায়ু।
অপান– যে বায়ু মলাশয় দিয়ে মল নিষ্ক্রমণ করে, তাকে বলে অপান বায়ু। উদরে নাভির নিম্নাঙ্গে কাজ করে৷
সমান– যে বায়ু উদরে খাদ্যদ্রব্য সংযোজন করে এবং কখনও কখনও শব্দ করে ঢেকুর তোলায় তাকে বলে সমান বায়ু।
উদান– যে বায়ু কন্ঠনালী দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং যার অবরোধের ফলে শ্বাসরোধ হয়, তাকে বলে উদান বায়ু। কন্ঠ ও শব্দ উচ্চারণকে নিয়ন্ত্রণ করে৷
ব্যান– যে বায়ু সমগ্র শরীর জুড়ে ব্যাপ্ত, তাকে বলে ব্যান বায়ু।
এছাড়া আরও পাঁচ প্রকারের সুক্ষ বায়ু আছে, তাহল–
নাগ– যা চক্ষু, মুখ ইত্যাদিকে বিস্তার করতে সাহায্য করে, তাকে বলে নাগ বায়ু।
কৃকর– যে বায়ু ক্ষুধা বৃদ্ধি করে, তাকে বলে কৃকর বায়ু। জৃম্ভন অর্থাৎ হাইতোলা-কে ও নিয়ন্ত্রণ করে৷
কূর্ম– যে বায়ু সংকোচনে সাহায্য করে, তাকে বলে কূর্ম বায়ু।
দেবদত্ত– যে বায়ু হাই তোলার মাধ্যমে ক্লান্তি দূরীকরণে সাহায্য করে, তাকে বলে দেবদত্ত বায়ু।
ধনঞ্জয়– যে বায়ু পুষ্টি সাধনে সাহায্য করে, তাকে বলে ধনঞ্জয় বায়ু।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ