আচমন মন্ত্রঃ-এই মন্ত্র দ্বারা তিনবার আচমন করিবে।
ও৩ম্। শন্নো দেবী অভিষ্টয় অপো ভবন্তু পীতয়ে। শংয়োরভিঃ স্রবন্তু নঃ।। যজু-৩৬।১২
পদার্থঃ- সেই ( আপঃ) সকল কামনার প্রাপ্ত প্রদানকারী ( দেবীঃ) প্রভুর দিব্য শক্তি ( নঃ) আমাদের সকলের জন্য ( অভিষ্টয়ে) অভিষ্ট-ফল প্রাপ্তির জন্য ( পীতয়ে) প্রভু-প্রেমের পরম-রস পান করিবার জন্য ( শম্) শান্তিদায়ক ( ভবন্তু) হইক এবং ( শংয়ো) সুখ ( অভিস্রবন্তু) সকল দিক হইতে বর্ষণ হউক।। ১২।।
সরলার্থঃ-সেই সকল কামনার প্রাপ্ত প্রদানকারী প্রভুর দিব্য শক্তি আমাদের সকলের জন্য অভিষ্ট-ফল প্রাপ্তির জন্য প্রভু-প্রেমের পরম-রস পান করিবার জন্য শান্তিদায়ক হউক এবং সুখ সকল দিক হইতে বর্ষণ হউক।। ১২।।
ভাবার্থঃ-হে প্রভু! যে প্রকার জল সরীরের ময়লা দূর করে তথা শরীরে শান্তি গমন করে, এই প্রকার আমরা আপনার প্রেম। রস-পান করিয়া অন্ত করণে স্হিত ময়লাকে দূর করিয়া শারীরিক শাস্তি হইতে আত্মিক শান্তি প্রাপ্ত করি।।১২।।
অঙ্গস্পর্শ মন্ত্র- হস্ত প্রক্ষালণ করিয়ে বাম হস্তের কোশে ( যার যে হস্ত উপযুক্ত) জল লইয়া মধ্যমা এবং অনামিকা দুই আঙ্গুলের দ্বারা জলকে স্পর্শ করিয়া প্রত্যেক অঙ্গের নামে ডান তথা বাম দিকে জলের স্পর্শ করাইবে এবং মনের মধ্যে প্রত্যেক অঙ্গের প্রতি জলের শীতলতার অনুভব করিবে।
[এই মন্ত্র দ্বারা মুখ স্পর্শ করিবে]
১, ও৩ম্ বাঙ্ম আসন।
পদার্থঃ- ( ও৩ম্) হে জ্ঞানের রক্ষক প্রভু! ( মে আসন) আমার মুখের ( বাক্) বাণী অমৃতময় হউক।
সরলারঃ-হে জ্ঞানের রক্ষক প্রভু! আমার মুখের বাণী অমৃতময় হউক।।
[#এই মন্ত্র দ্বারা নাসিকার উভয় ছিদ্র স্পর্শ করিবে ]
২, ও৩ম্ নাসোঃ প্রাণঃ।
পদার্থঃ- ( ও৩ম্) হে জীবন দানকারী প্রভু! ( নসোঃ) উভয় নাসিকাতে ( প্রাণঃ) প্রাণ-শক্তি শান্তিতে চলিতে থাকুক।
সরলার্থঃ-হে জীবন দানকারী প্রভু! উভয় নাসিকাতে প্রাণ-শক্তি শান্তিতে চলিতে থাকুক।।
[এই মন্ত্র দ্বারা উভয় চক্ষু স্পর্শ করিবে]
৩,ও৩ম্ চক্ষু রক্ষ্নোঃ।
পদার্থঃ- ( ও৩ম্) হে মার্গ দর্শক প্রভু! (অক্ষ্নোঃ) উভয় চক্ষু দ্বারা (চক্ষুঃ) শান্তিতে দর্শন করিব ।
সরলার্থঃ-হে মার্গ দর্শক প্রভু! উভয় চক্ষু দ্বারা শান্তিতে দর্শন করিব।
[এই মন্ত্র দ্বারা উভয় কর্ণ স্পর্শ করিবে ]
৪, শ্রোত্রং কর্ণয়ো।
#পদার্থঃ- ( ও৩ম্) হে ভক্তের প্রার্থনা শ্রবণকারী প্রভু! ( কর্ণয়ো) উভয় কর্ণ দ্বারা ( শোত্রম্) শান্তিতে শ্রবণ করিব।
#সরলার্থঃ- হে ভক্তের প্রার্থনা শ্রবণকারী প্রভু! উভয় কর্ণ দ্বারা শান্তিতে শ্রবণ করিব।
[এই মন্ত্র দ্বারা মাথার চুল স্পর্শ করিবে ]
৫, অপলিতা কেশাঃ।
পদার্থঃ- ( ও৩ম্) হে জ্ঞান স্হাপনকারী প্রভু! ( কেশঃ) মাথার কেশ ( অপলিতাঃ) অক্ষত থাকুক।
সরলার্থঃ- হে জ্ঞানের স্হাপনকারী প্রভু! মাথার কেশ অক্ষত থাকুক।
[এই মন্ত্র দ্বারা মুখের দাঁত স্পর্শ করিবে]
৬,অশোনা দন্তাঃ।
পদার্থঃ- ( ও৩ম্) হে রোগ নাশক প্রভু! ( দাতঃ) দন্ত ( অশোনা) সর্বদা নিরোগ থাকুক।
সরলার্থঃ-হে রোগ নাশক প্রভু! দন্ত সর্বদা নিরোগ থাকুক।
[এই মন্ত্র দ্বারা উভয় বাহু স্পর্শ করিবে]
৭,বহু বাহ্বোর বলম্।
পদার্থঃ- (ও৩ম্) হে বল দানকারী প্রভু! ( বাহ্বোঃ) বাহিতে ( বহু) অধিক ( বলম্) বল অক্ষত থাকুক।
সরলার্থঃ- হে বল দানকারী প্রভু! বাহুতে অধিক বল অক্ষত থাকুক।
[এই মন্ত্র দ্বারা উভয় উরু স্পর্শ করিবে]
৮, ঊর্বো রোজো।
পদার্থঃ- (ও৩ম্) হে সর্বশক্তিমান প্রভু! (ঊর্বো) উভয় উরুতে ( অজঃ) সামর্থ্য থাকুক।
সরলার্থঃ- হে সর্বশক্তিমান প্রভু! উভয় উরুতে সামর্থ্য থাকুক।
[এই মন্ত্র দ্বারা উভয় জঙ্ঘা স্পর্শ করিবে]
৯, জঙ্ঘয়োর জবঃ।
পদার্থঃ- (ও৩ম্) হে পরাক্রম দানকারী প্রভু! (জঙ্ঘয়োঃ) উভয় জঙ্ঘাতে ( জবঃ) পরাক্রম পূর্ণ থাকুক।
সরলার্থঃ- হে পরাক্রম দানকারী প্রভু! উভয় জঙ্ঘাতে পরাক্রম পূর্ণ থাকুক।
[এই মন্ত্র দ্বারা উভয় চরণ স্পর্শ করিবে]
১০, পাদয়োঃ প্রতিষ্ঠা।
পদার্থঃ- (ও৩ম্) হে সর্বত্র ব্যাপক প্রভু! ( পাদয়োঃ) উভয় চরণে ( প্রতিষ্ঠা) কর্মক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হউক।
সরলার্থঃ- হে সর্বত্র ব্যাপক প্রভু! উভয় চরণে কর্মক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হউক।
[এই মন্ত্র দ্বারা শরীরের সব অঙ্গে জল ছিটাইবে ]
১১,অরিষ্টানি মে সর্বাত্নানি ভৃষ্টঃ।
পদার্থঃ- ( ও৩ম্) হে রোগ দূরকারী প্রভু!(মে) আমার (সর্বা)সকল অঙ্গ (অরিষ্টানি) নির্দোষ এবং ( আত্মা) আত্মা ( অনিভৃষ্টঃ) শান্তিতে আজীবন নিবাস করুক।
সরলার্থঃ- হে রোগ দূরকারী প্রভু! আমার সকল অঙ্গ নির্দোষ এবং আত্মা শান্তিতে আজীবন নিবাস করুক।।
অথর্ব-১৯।৬০।১.২।।
ও৩ম্ ভূর্ভুবঃ স্বঃ। তত্সবিতুর্বরেণ্যম্ ভর্গো দেবস্য ধীমহি। ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াত্।।
যজু-৩৬।৩
পদার্থঃ- ( ও৩ম্) সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা পরম পিতা পরমাত্মা যিনি সকলের পরম গুরু বলিয়া আমরা স্বীকার করি। ( ভুঃ) তানিই আমাদের একমাত্র প্রাণঃস্বরূপ, প্রাণোপেক্ষা প্রিয়তম। ( ভূবঃ) ত্রিতাপ জ্বালার দুঃখ ত্রয়ের নিবারক। পরমপিতা পরমেস্বর ( স্বঃ) সুখস্বরূপ আনন্দ ধামে বিরাজমান থাকিয়া প্রাণী মাত্রের কল্যাণের জন্য যাহা প্রদান করিয়াছে। তিনিই আমাদের একমাত্র (তত্) এই অনন্ত ব্রহ্মণ্ডে যাহা কিছু দেখা যাইতেছে। (সবিতুঃ) সেই সমস্ত সৌর ব্রহ্মণ্ডের উৎপন্নকর্তা যিনি। (বরেণ্যম্) তিনিই আমাদের একমাত্র উপাস্য, বরণ করিবার যোগ্য, সেইজন্য আমরা সকলে তাঁহার উপাসনা করি। যাহাতে (ভর্গো) সমস্ত প্রকারের পাপাদি দুঃখ কষ্টের বিনাশ করিয়া পরমাত্মার অনন্ত বল-বীর্য পরাক্রম আদি তেজ শক্তিকে (ধীমহি) আমরা সকলে যেন ধারণ করিতে পারি। যেরূপ (দেবস্য) দেবাদিদেব বুদ্ধিজ্ঞানের দ্বারা ধারণ করিয়া আছেন,(ধিয়ঃ) তাঁহাই সেই ধারণাবতী বুদ্ধির দ্বারা আমরা যেন (য়ো) অনন্ত ব্রহ্মণ্ডের হর্তা-কর্তা বিধাতা যিনি আছেন, তাঁহাকেই (নঃ) আমাদের অরাধ্য গুণ-কর্ম-স্বভাব অনুসারে নিরন্তর উন্নতির চরম তথা পরম ধামে পৌঁছাতে পারি। হে পরমাত্মা! এজন্যই আপনি আমাদিগকে (প্রচোদয়াত্) পূর্ণরূপে আমাদেরকে প্রেরণা করুন।
সরলার্থঃ- সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা পরম পিতা পরমাত্মা যিনি সকলের পরম গুরু বলিয়া আমরা স্বীকার করি। তানিই আমাদের একমাত্র প্রাণঃস্বরূপ, প্রাণোপেক্ষা প্রিয়তম। ত্রিতাপ জ্বালার দুঃখ ত্রয়ের নিবারক। পরমপিতা পরমেস্ব সুখস্বরূপ আনন্দ ধামে বিরাজমান থাকিয়া প্রাণী মাত্রের কল্যাণের জন্য যাহা প্রদান করিয়াছে। তিনিই আমাদের একমাত্র এই অনন্ত ব্রহ্মণ্ডে যাহা কিছু দেখা যাইতেছে। সেই সমস্ত সৌর ব্রহ্মণ্ডের উৎপন্নকর্তা যিনি। তিনিই আমাদের একমাত্র উপাস্য, বরণ করিবার যোগ্য, সেইজন্য আমরা সকলে তাঁহার উপাসনা করি। যাহাতে সমস্ত প্রকারের পাপাদি দুঃখ কষ্টের বিনাশ করিয়া পরমাত্মার অনন্ত বল-বীর্য পরাক্রম আদি তেজ শক্তিকে আমরা সকলে যেন ধারণ করিতে পারি। যেরূপ দেবাদিদেব বুদ্ধিজ্ঞানের দ্বারা ধারণ করিয়া আছেন, তাঁহাই সেই ধারণাবতী বুদ্ধির দ্বারা আমরা যেন অনন্ত ব্রহ্মণ্ডের হর্তা-কর্তা বিধাতা যিনি আছেন, তাঁহাকেই আমাদের অরাধ্য গুণ-কর্ম-স্বভাব অনুসারে নিরন্তর উন্নতির চরম তথা পরম ধামে পৌঁছাতে পারি। হে পরমাত্মা! এজন্যই আপনি আমাদিগকে পূর্ণরূপে আমাদেরকে প্রেরণা দান করুন।।
।।ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ