देवता: सविता देवता ऋषि: विश्वामित्र ऋषिः छन्द: दैवी बृहती, निचृद्गायत्री स्वर: मध्यमः, षड्जः
भूर्भुवः॒ स्वः᳖। तत्स॑वि॒तुर्वरे॑ण्यं॒ भर्गो॑ दे॒वस्य॑ धीमहि। धियो॒ यो नः॑ प्रचो॒दया॑त् ॥
ও৩ম্ ভূর্ভুবঃ স্বঃ । তৎসবিতুর্বরেণ্যং ভর্গোদেবস্য ধীমহি।
ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ।। যজুঃ অঃ ৩৬ | মঃ ৩ ॥
ও৩ম অর্থাৎ পরমেশ্বর [এই নামে পরমেশ্বর গৃহীত হন, ইহা পরমেশ্বরের শ্রেষ্ঠ নাম]। “ভূরিতি বৈ প্রাণ:", "যঃ প্রাণয়তি চরাচরং জগৎ স ভূঃ স্বয়ম্ভূরীশ্বরঃ ”। যিনি সমস্ত জগতের জীবন ও আধার, এবং প্রাণ অপেক্ষাও প্রিয়তর এবং যিনি স্বয়ম্ভূ, সেই প্রাণবাচক “ভূঃ” পরমেশ্বরের নাম। “ভুবরিতাপানঃ”, “ঘঃ সৰ্ব্বৎ দুঃখনানয়তি সোঽপানঃ”- যিনি স্বয়ং সর্ব্বদুঃখরহিত এবং যাহার সঙ্গবশতঃ জীবের সমস্ত দুঃখ দুরীভূত হয় সেই পরমেশ্বরের নাম “ভূবঃ”! স্বরিতি ব্যানঃ”, “যো বিবিধৎ জগৎ “ব্যানরতি ব্যাপ্নোতি স ব্যানঃ”- যিনি নানাবিধ জগতে ব্যাপক হইয়া সমস্ত ধারণ করেন, উক্ত পরমেশ্বরের নাম “স্বঃ” হইয়াছে । এই তিন বচন তৈত্তিরীয় আরণ্যকে (প্রপাঃ ৭ এবং অণুঃ ৫ ) আছে। (সবিতুঃ) “যঃ সুনোত্যুৎপাদয়তি সৰ্ব্বং জগৎ স সবিতা” (তন্ত) যিনি সমস্ত জগতের উৎপাদক এবং সর্ব্বৈশ্বর্য্যদাতা হয়েন। (দেবস্য) “যো দীব্যতি দীব্যতে বা স দেবঃ”- যিনি সৰ্ব্বসুখদাতা এবং সকলে যাঁহার প্রাপ্তি কামনা করে, সেই পরমাত্মার (বরেণ্যম্ ) “বর্তুমর্হম্” অর্থাৎ স্বীক করণযোগ্য অতি শ্রেষ্ঠ (ভর্গঃ) “শুদ্ধস্বরূপম্” অর্থাৎ শুদ্ধস্বরূপ এবং পবিত্রকারী চৈতন্য ব্রহ্মস্বরূপ (তৎ) সেই পরমাত্মার স্বরূপকে আমরা ( ধীমহি) “ধরেমহি” অর্থাৎ ধারণ করি। এই ব্রহ্মস্বরূপ ধারণ করিবার প্রয়োজন এই যে (যঃ)“জগদীশ্বরঃ” যিনি সেই সবিতা দেব পরমাত্মা (নঃ) “অস্বাকম্” আমাদিগের (ধিয়ঃ) “বুদ্ধীঃ” বুদ্ধিকে (প্রচোদয়াৎ) "প্রেরয়েৎ” প্রেরণা করেন অর্থাৎ অসৎ কাৰ্য্য পরিত্যাগ করাইয়া সৎকার্য্যে প্রবৃত্ত করেন। হে পরমেশ্বর ! হে সচ্চিদানন্দস্বরূপ! হে নিত্য বুদ্ধ, মুক্তভাৰ ! হে অজ, নিরঞ্জন, নিৰ্ব্বিকার! হে সৰ্ব্বাত্তর্যামিন্ । হে সৰ্ব্বাধার। জগৎপতে ! হে সকলজগদুৎপাদক ! হে অনাদে! হে বিশ্বস্তয় ! হে সৰ্ব্বব্যাপিন্! আপনি আমাদিগের পিতা,রাজা,ন্যায়াধীশ এবং সর্ব্বসুখদাতা, আপনার তুল্য অথবা ততোধিক অন্য কোন বস্তুই নাই আমরা আপনার ধ্যান করি।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ