আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

18 August, 2021

আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা

আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গা তালেবানরা দখল করে ফেলেছে ইতিমধ্যে।খুব শীগ্রই আফগানিস্তানে তালেবানরা শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত করবে। শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই জোরপূর্বক সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে বাধ্য করবে, সমস্ত স্কুল-কলেজ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে মাদ্রাসায় পরিনত হবে। কেউ চুরি করলে তার হাত কে -টে দিবে,যেনা ব্যভিচার করলে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হ -ত্যা করবে। নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না, যদি একান্ত প্রয়োজনে ঘরের বাইরে নারীদের বের হতে হয় তবে অবশ্যই পুরুষ সঙ্গীকে সাথে করে নিয়ে বের হতে হবে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত ঢেকে, যদি শরীরের এক ফোঁটা অঙ্গ দেখা যায় তবে সাথে সাথে সেই নারীকে শাস্তি পেতে হবে। অমুসলিমদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করবে,নয়তো জিজিয়া কর দিয়ে তাদের টিকে থাকতে হবে। যে সকল নারীরা অফিস-আদালতে চাকরি করতো তাহলে সবাইকে চাকরীচ্যুত করবে, নারীদের কাজ হবে স্বামীদের সেবা-যত্ন করা আর বছরে বছরে বাচ্চা উৎপাদন করা। স্বামীর হাতে ইচ্ছামত প্যাদানি খাওয়া, ১২ বছর পার হবার আগেই তাদের বিয়ে দিয়ে দিবে একেকজন তালেবান পুরুষ চার টা করে বিয়ে করবে। ধর্ষিতা কে ধর্ষনের প্রমাণ করতে হলে চারজন পুরুষ সাক্ষী হাজির করতে হবে,এবার চিন্তা করুন একজন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চারজন পুরুষ ধর্ষণ হওয়া অবধি তা দেখবে এরপর ধর্ষণ সম্পন্ন হলে সাক্ষী দেবে এমনটা কি কখনো হয়? আর যদি ধর্ষিতা চারজন জন পুরুষ সাক্ষী হাজির করতে না পারে তাহলে উলটো সেই নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে এই হচ্ছে ইসলামিক শরিয়া বর্বর আইন।

এই আইনের শুধু হাত কে-টে ফেলা,পা কেটে ফেলা, মাথা কেটে ফেলা সহ জীবন্ত মানুষকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যা করার মতো বহু মধ্য যুগের বর্বর নিয়মই থাকে এমন সব আইনে, তালেবানরা চাই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে, আর সেই নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে সহজ উপাই হচ্ছে একটি ধর্ম ব্যবহার করে সেই ধর্মকে মেনে চলা মানুষদের মধ্যে ভয় ভীতি আতঙ্ক ছড়িয়ে তা বাস্তবায়ন করা। এবার আপনি একটু নিজেই মাথা খাটিয়ে দেখুন আপনি কি শরীয়া আইন চান?একদশক আগে যখন সরিয়া,ইরাকে ইসলামিক স্টেট শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল তখন মুসলমানরা ঠিক একইভাবে আইএস নিয়েও গর্ব বোধ করতো৷ আইএস এর জঙ্গিদের তখন ইসলামের সৈনিক ডাকা হতো এমনকি বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মুসলমান সিরিয়াতে গিয়ে আইএস এ যোগদানও করেছিল। ইউরোপ থেকেও বিপুল সংখ্যাক মুসলমান জিহাদ করতে সিরিয়াতে গিয়েছিল। তখন মুসলমানরা বলতো আইএস পৃথিবীতে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে, ইউরোপ আমেরিকা দখল করবে কিন্তু এখন আবার মুসলমানরাই বলে যে আইএসের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, যেসব মুসলমান আইএস এ যোগ দেওয়ার জন্য সিরিয়াতে পাড়ি জমিয়েছিল তারা সহিহ ইসলাম যানে নাহ, তারা পথভ্রষ্ট ইত্যাদি ইত্যাদি।

তালেবানের ক্ষেত্রেও মুসলমানরা ঠিক একইভাবে পল্টি মারবে। তালেবানরা যখন আফগানিস্তানে সম্পন্ন রুপে শরীয়া আইনের বাস্তব প্রয়োগ শুরু করবে এবং মিডিয়াতে সেগুলো দেখানো হবে তখন মুসলমানরাই আবার বলবে যে তালেবান আসল ইসলাম যানে নাহ, তাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে আজ তালেবান আইএস যা কিছু করছে সম্পূর্ণ ইসলাম মিনেই করছে এভাবেই নবী মোহাম্মদ চৌদ্দশ বছর আগে নারীদের এভাবে প্যাকেট করেছিলেন, অমুসলিমদের উপর অত্যাচার করে ইসলাম নামের বর্বর ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। আসুন আমরা প্রত্যেকে এই বর্বর ধর্মকে বর্জন করে মানুষ হই।

তালিবানের দাবি ছিলো আফগান সরকার যদি,দেশে শান্তি বজায় রাখতে না পারে, তাহলে দেশের ক্ষমতা জেহাদি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। এপ্রসঙ্গে বিশেষ মার্কিন দূত জানিয়েছেন, দেশ শাসনে সিংহভাগ যায় জেহাদি গোষ্ঠী। অর্থাৎ গোটা দেশে শাসনের ক্ষমতায় সিংহভাগ থাকবে তালিবানের হাতে। যেহেতু আফগান সরকার দেশের শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। সেই কারণেই দেশের শাসনে সিংহভাগ তুলে দেওয়া হোক জেহাদী গোষ্ঠীর হাতে।

এপ্রসঙ্গে বিশেষ মার্কিন দূত জানিয়েছেন, দেশ শাসনে সিংহভাগ যায় জেহাদি গোষ্ঠী। অর্থাৎ গোটা দেশে শাসনের ক্ষমতায় সিংহভাগ থাকবে তালিবানের হাতে। যেহেতু আফগান সরকার দেশের শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। সেই কারণেই দেশের শাসনে সিংহভাগ তুলে দেওয়া হোক জেহাদী গোষ্ঠীর হাতে।
আফগানিস্তানের বর্তমান দুর্দশার জন্য দায়ী কে- এ প্রশ্নের জবাব অতি সোজা ও স্পষ্ট। এক কথায় মূলত মার্কিন তথা ইঙ্গ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো। তারা আফগানিস্তানে সোভিয়েট প্রভাবিত নজিবুল্লাহর মার্কসবাদী শাসন উৎখাত ও নজিবুল্লাহর পতনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল।

এ ব্যাপারে তাদের যৌথ শক্তি যথেষ্ট মনে না হওয়ায় পাকিস্তানভিত্তিক চরম প্রতিক্রিয়াশীল, মধ্যযুগীয় মূল্যবোধসম্পন্ন তালেবান সেনা সৃষ্টি করে এন্তার ডলার অস্ত্র সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের নামে। পাকিস্তানও বুঝতে পারেনি যে, তাদের এক আত্মঘাতী সমরে নামানো হয়েছে তাদের নামেমাত্র আধুনিক চেতনাটুকুও নষ্ট করে দিতে। পাকিস্তান এখন প্রতিদিনের রক্ত ঝরার মাধ্যমে তার মাশুল গুনছে।

আকর্ষণীয় এ ধর্মীয় যুদ্ধে একাধিক ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন মধুর লোভে কাবুলে এসে হাজির, এমনকি ভাড়াটে উজবেক সেনারাও। গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার থেকে শুরু করে সৌদি রাজ ঘরানার ওসামা বিন লাদেন পর্যন্ত। সবচেয়ে সর্বনাশা প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তিত্ব ছিল স্থানীয় মৌলবাদী নেতা মোল্লা ওমর। আফগানিস্তানে তালেবানি ও রক্ষণশীল ধর্মীয় মৌলবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার পর যার নির্দেশে বিশ্বের পয়লা নম্বর বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংস করা হয়। এ নিয়ে আধুনিক বহুত তোলপাড়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এত বড় আয়োজন কি বৃথা যেতে পারে? বিশেষ করে বিশ্বের সর্বাধুনিক পরাক্রমশালী শ্বেতাঙ্গ বাহিনীর পাশাপাশি লড়ছে নানা বর্ণের প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক শক্তি। বিশেষ করে ওসামা বিন লাদেনের মতো বিত্তবান ও বুদ্ধিমান কুশংসিল ব্যক্তি।

আফগানিস্তান তথা কাবুল তার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত দেশীয় রেখার জন্য রাজনৈতিক তাৎপর্যের অধিকারী হয়েও অনেকটা বাফার স্টেটের চরিত্র অর্জন করে সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ বা কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রক্ষার কারণে। ভারতের সঙ্গে ধর্মীয় ভিন্নতা সত্ত্বেও ছিল সুসম্পর্ক। এই বিরাট কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রক্ষণশীল আফগান উপজাতির। স্বভাবতই যুদ্ধজয় কঠিন নয়, সহজ হয়ে ওঠে নজিবুল্লাহ শাসনের পতন এবং নজিবুল্লাহর নিষ্ঠুর হত্যার মাধ্যমে। মূলত সোভিয়েতবিরোধী নীতির কারণে লাল চীনও এ রণ-আয়োজনে সমর্থন জুগিয়েছে।

একদিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, অন্যদিকে ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তির সমন্বিত প্রচেষ্টায় বিজয় সম্পন্ন হওয়ার পর মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা যতই পাহারায় থাকুক শাসনক্ষমতায় ঠিকই তালেবানসহ মৌলবাদীদের হাতে পরিচালিত হতে থাকে। কট্টর ধর্মীয় অনুশাসনে আফগানিস্তানের সামরিক-সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত চেহারা ও চরিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটে যেতে থাকে। পূর্বোক্ত বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংস তার প্রমাণ। পরিবর্তন ঘটে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ নীতির মতোই তার বিদেশ নীতির। সেখানে সাম্রাজ্যবাদীদের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য। এই যে শিক্ষা-সংস্কৃতিতে গভীর রক্ষণশীলতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রাধান্য তাতে আধুনিক চেতনার ইঙ্গ-মার্কিন পরাশক্তির কোনো আপত্তি ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হলেই হলো। সোভিয়েত প্রভাব যে আফগানিস্তান থেকে দূর করা গেছে তাতেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উদ্দেশ্য সিদ্ধি সম্পন্ন। আফগানিস্তান গৃহযুদ্ধে জ¦লুক, তাতে ক্ষতি নেই। চীনেরও একই নীতি।

দুই.

কিন্তু যেখানে বহু ধারার শক্তির সমন্বয়, সেখানে মতভেদ অনিবার্য। চরম প্রতিক্রিয়াশীল তালেবানদের সঙ্গে অন্য মৌলবাদী শক্তির মতভেদ, বিশেষ করে ওসামা বিন লাদের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভূমিকা লক্ষ্য করার মতো। ওসামা বিশেষ করে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি আরবদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সহিংস হামলা এবং তাতে ইঙ্গ-মার্কিন শ্বেতাঙ্গ শক্তির সমর্থন ওসামার ক্ষোভ ও মার্কিন-বিরোধিতার প্রধান কারণ। মিত্র এবার শত্রæতে পরিণত।

এ সময় পর্বের সবচেয়ে বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা আমেরিকার ‘টুইন টাওয়ার’ ধ্বংস এবং বহু লোকের প্রাণনাশ। কারা এই ধ্বংসকাণ্ড চালিয়েছিল তা নিয়ে আজো বিতর্ক শেষ হয়নি। ঘটনাটিকে অভিনন্দন জানিয়ে ওসামা বিন লাদেন তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। আমার ধারণা এ কাজটি ওসামার নয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড়সড় আঘাত হানার কৃতিত্বে খুশির চোটে আত্মহারা হয়ে হামলাকারীদের অভিনন্দন জানান ওসামা। আর তাতেই যত বিপত্তি। সিআইএ ধরে নিল এ ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ওসামা বিন লাদেন। তার বিত্ত, শক্তি ও কৌশল বিবেচনায় এমনটি ভাবার কথা। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একটি অংশ আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলেও এর অন্য একটি মার্কিনপন্থি অংশ তার অবস্থানের কথা সিআইএর কাছে ফাঁস করে দেয়। পরিণামে সিআইএর হাতে নিরস্ত্র ওসামা হত্যাকাণ্ড, যা নিয়ে সমালোচনা কম ছিল না। মৃত ওসামা অনেকের সহানুভূতি অর্জন করে বিচারের দাবিতে।

তিন.

আফগানিস্তানে বেশ দীর্ঘ সময় মার্কিন সেনা সমর্থনের পুতুল সরকার দেশ শাসন করলেও সেখানে আধুনিকতার পত্তন করতে পারেনি তালেবানদের দাপটে, বিশেষ করে রাজধানীর দূরবর্তী অঞ্চলে। তালেবানি সন্ত্রাস, আত্মঘাতী হামলা অব্যাহত থেকেছে। তালেবানদের লক্ষ্য পূর্বেকার মতো পুরো আফগানিস্তান শাসন করা- তাদের মৌলবাদী নীতি সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করা, আফগান নারীদের অশিক্ষা ও অনাধুনিকতার অন্ধকারে ঠেলে দেয়া। এক মালালা এদের প্রতাপ ও প্রভাবের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য শক্তি নয়।

কাজেই বিপন্ন আফগানিস্তান ন্যাটো-মার্কিন সেনার সমর্থনপুষ্ট শাসনব্যবস্থা সত্ত্বেও বিশেষ করে নারী সমাজ- এরা সবাই আধুনিকতার মুক্ত হাওয়া থেকে অনেক দূরে। কী করবে আফগানিস্তান, এখন সমাধান কোথায়। সাম্রাজ্যবাদবিরোধীদের দাবি, আফগানিস্তান থেকে ইঙ্গ-মার্কিন-ন্যাটো সেনাবাহিনী অপসারণ। যে যুক্তিতে আফগানিস্তানের বুকে নজিবুল্লাহ আমলে সোভিয়েত সেনা অপসারণের দাবি তোলা হয়, সেই একই দাবি এ ক্ষেত্রেও। কিন্তু তাতে কি সমাধান মিলবে? সম্প্রতি নব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রæতি মাফিক আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করলে তালেবান বাহিনী স্থানীয় সরকারকে সশস্ত্র সংগ্রামে অনেক জেলা থেকে হটিয়ে দিয়ে তাদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করছে। রীতিমতো অশুভ লক্ষণ। মনে করা যায়, পুরো বিদেশি বাহিনী অপসারিত হলে তালেবানরা শাসনক্ষমতা দখল করে নিতে পারে- সেটা কি গ্রহণযোগ্য হতে পারে গণতন্ত্রী বা প্রগতিবাদীদের কাছে? না হলে এর বিকল্প কী বা কোথায়। বিকল্প একটাই- শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রগতিবাদী শক্তি গড়ে তোলা। এতকাল মার্কিনিরা সেটা করেনি বা করতে দেয়নি। না দিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি করেছে সেই অন্ধবৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা প্রকৃত গণতন্ত্রীদের পক্ষে মোটেই সহজ নয়। আর ইঙ্গ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইবে তালেবানদের বিপরীতে সাম্রাজ্যবাদী তোষক পুতুল সরকার, যা এতদিন তারা চালিয়েছে। ইরাক একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ইঙ্গ-মার্কিন-ন্যাটো সেনা অপসারণের পর আগের অপ্রিয় তালেবানি শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে- ভয়ংকর রক্ষণশীল সে শাসন। তাই কারো ধারণা- মন্দের ভালো বিদেশি সেনা। তাহলে কী দোষ ছিল সোভিয়েত সেনা সমর্থিত সরকারের? তারা তো একটি প্রগতিশীল রাষ্ট্র গঠন করত। তবু কোনো বিদেশি সেনাই মুক্ত কোনো দেশের মাটিতে কাম্য নয়- না মার্কিনি, না সোভিয়েত সেনা। স্বদেশে স্বদেশি শাসনই সর্বদা কাম্য।

আফগানিস্তানে এখন দরকার সর্বমতের গণতন্ত্রী আধুনিক চেতনার ঐক্য, সংগঠিত ঐক্য, যা তালেবানবিরোধী সংগ্রামে সক্ষম। আফগানিস্তান এখন ‘ডড়ৎংঃ ড়ভ ঃযব ঃরসব’-এ দিনযাপন করছে। এ অবস্থা থেকে তার মুক্তিতে সব গণতন্ত্রী শক্তির সাহায্য দরকার।

ইসলামের সকল পুরুষের জন্য চার বিবাহ বৈধ আসুন এই বিষয়ে কোরআন কি বলে জেনে নেওয়া যাক, তোমরা বিবাহ করবে স্বাধীনা নারীদের মধ্যে ,যাকে তোমার ভালো লাগে , দুই তিন অথবা চার।

কোরআনের এই আয়াত দেখে মনে হচ্ছে চকলেট বাক্সের সামনে ছোট বাচ্চা আবদার করছে বাবা কয়টা চকলেট নিব!বাবা বলছে, তোমার ইচ্ছে মত দুই, তিন অথবা চার।’আমাদের ধর্ম অধিপতিরা ভুলে গিয়েছেলেন তিনি চকোলেট নয় নারী নিয়ে কথা বলছেন যাই হোক আজকে ইসলাম ধর্মে নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলবো আসুন দেখে নেয়া যাক ইসলাম ধর্মে নারীদের কতটা মর্যাদা দিয়েছে কোরআন হাদিস থেকেই যাচাই-বাছাই করি।

নবী মোহাম্মদ বলেছেন :স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেনো স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও।
সুনানে তিরমিযি ১১৬০/ছহীহুল জামে ৫৩৪

নবী মোহাম্মদ বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে ।”

ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩
ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬
সুনানে আবু দাউদ ২১৪১
নাসাঈ

নবী মোহাম্মদ বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।”

তাবরানী ১০৮৬
সুনানে তিরমিযি ৩৬০
হাকেম
সিলসিলা ছহীহা ২৮

নবী মোহাম্মদ বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।”

ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫
ছহীহ মুসলিম ২৪১৭
দারেমী ১৭২০
সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫

নবী মোহাম্মদ বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না ।”

নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫
বাযযার ২৩৪৯
তাবরানী
হাকেম ২৭৭১
বাইহাক্বী ১৪৪৯৭
সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯

নবী মোহাম্মদ বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।”

ছহীহুল জামে ৫২৫৯
তাবরানী

নবী মোহাম্মদ বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম ।

মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩

নবী মোহাম্মদ বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে ।”

তিরমিযি ১

হযরত আয়েশা বলেনঃ কোন এক যুবতী রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খেদমতে হাযির হয়ে আরজ করলঃ ইয়া রসূলুল্লাহ, মানুষ আমার কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, কিন্তু বিবাহ আমার কাছে ভাল লাগে না। এখন জানতে চাই, স্ত্রীর উপর স্বামীর হক কি? তিনি বললেনঃ ধরে নেয়া যাক, স্বামীর আপাদমস্তক পুঁজে ভর্তি। যদি স্ত্রী এই পুঁজ চেটে নেয়, তবুও তার শোকর আদায় করতে পারবে না। মহিলা বললঃ আমি বিবাহ করব কি? তিনি বললেনঃ করে নাও। বিবাহ করা উত্তম। [২. ২৯৭-২৯৮]

খাসআম গোত্রের জনৈকা মহিলা রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খেদমতে এসে আরজ করলঃ আমি স্বামীহীনা, বিবাহ করতে চাই। এখন স্বামীর হক কি, জানতে চাই। তিনি বললেনঃ স্বামীর হক এক, সে যদি উটের পিঠে থেকেও সহবাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে স্ত্রী অস্বীকার করতে পারবে না। আরেক হক, কোন বস্তু তার গৃহ থেকে তার অনুমতি ব্যতীত কাউকে দেবে না। দিলে তুমি রোযা রেখে কেবল ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্তই থাকবে। তোমার রোযা কবুল হবে না। যদি তুমি স্বামীর আদেশ ছাড়া ঘর থেকে বের হও, তবে ঘরে ফিরে না আস পর্যন্ত এবং তওবা না করা পর্যন্ত ফেরেশতারা তমার প্রতি অভিসম্পাত করতে থাকবে।

এই হাদিসগুলো দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ইসলাম নারীদের কতটা সম্মান দিয়েছে? পুরুষ যখন যেটা হুকুম করবে নারী যতই অসুস্থ হোক না কেন সাথে সাথে পুরুষের মন রক্ষা করতে হাজির হয়ে যেতে হবে কোন অজুহাত চলবে না, অজুহাত দেখালে ফেরেশতারা সারারাত সেই নারীদের উপর লানত দিতে থাকবে।ইসলামে পুরুষ দের বীর্য বের করার নর্দমা হল নারী, মোহাম্মদের নির্দেশ ,যদি কারো পরস্ত্রী কে দেখে কামনা জাগবে , সঙ্গে সঙ্গে সে যেন নিজ পত্নীর কাছে চলে আসে ও নিজের যৌন কামনা মেটায় । স্ত্রীর ইচ্ছা অনিচ্ছা থাকতে নেই । পত্নী কি অবস্থায় আছে দেখার প্রয়োজন নেই । । বাড়ির নর্দমার সাথে তুলনা করলেই বোঝা যাবে । যখনি বাড়িতে নোংরা জমা হল , তুলে নিয়ে গিয়ে নর্দমায় ফেলে দিয়ে এলাম । ঘর পরিষ্কার হয়ে গেলো । ইসলাম পুরুষ কে সংযম শেখায় না । (মুসলিম- বিবাহ অধ্যায় -৩২৭১) নবী নিজেও তার পত্নী জয়নব ও সাওদা কে এভাবে ব্যবহার করেছেন , সহিহ হাদিস গুলি তার প্রমাণ।এবং এটা আল্লাহ-র নবীকে প্রদত্ত কোনও বিশেষ ক্ষমতা বলে নয় , বরং এই নির্দেশ সকল মুসলিম পুরুষদের জন্য।

অরো দেখুন নারীদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে পুরুষদের কিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন,মুসলিম আইনের ২৫৬ নং ধারার সঙ্গে তুলনা করা যায় । সেখানে , বলা হয়েছে “কোনও নারী স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় পুনরায় বিবাহ করলে দণ্ডবিধি ৪৯৪ ধারা অনুসারে তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে ।এবং সেই বিবাহ জাত সন্তান অবৈধ হবে ।” কিন্তু পুরুষের পুরুষের ক্ষেত্রে কোনো বাধা-বিপত্তি নাই একসাথে দুই,তিন,চার টা, স্ত্রী রাখতে পারবে।ইসলামে পুরুষের বিবাহ চার টি পর্যন্ত সীমায়িত করে দিয়েছে যদিও এই কথা সর্বৈব মিথ্যা। আসল কথা হল ইসলাম ধর্ম অনুসারে , একটি মুসলিম পুরুষ একই সঙ্গে চারটির বেশি স্ত্রী রাখতে পারে না । অর্থাৎ পঞ্চম নারী কে বিবাহ করতে হলে বর্তমান চারটি স্ত্রীর মধ্যে যে কোনও একটি বা একাধিক কে তালাক দিলেই হবে । এবং সেই তালাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পঞ্চম বিবাহের বৈধতা এসে যায় । উদাহরণ তো প্রচুর দেওয়া যায় , আপাতত একটাই দিই । হাসান , যার জন্য আমরা প্রতি বছর হায় হায় করি , তার ৭০ জন স্ত্রী ছিল । সে বিবাহ করে বাসর ঘরে নারী ঢোকাত ,কাজ মিটে গেলেই তালাক দিয়ে বাসর ঘর থেকে বেরিয়ে আসতো ।

নারীদের এত অবজ্ঞা অপমান করার পরও মোল্লারা বলবে দেনমোহরের মাধ্যমিক নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে! এই দেনমোহর নিয়ে মোল্লাদের প্রচারণার শেষ নেই। ভাবখানা যে মোহরানা পেলেই একজন নারী একবারে স্বাবলাম্বী হয়ে যাবে! আর কিছু লাগবে না।নারী তাঁর পিতার সম্পত্তি থেকেও পাবে তাঁর ভাইয়ের অর্ধেক। তাঁর যদি কোন ভাই না থাকে, তো কচু পাবে।মোল্লারা তেতে গিয়ে বলে- নারী তো স্বামীর সম্পত্তির ভাগ পায়! খুবই হাস্যকর কথা। ইমাম হাসানের ৭০ জন স্ত্রীর কে কতটুকু ভাগ পেয়েছিল- তাঁর হিসেব জানা যায় না।মোল্লারা দেয় না।দেনমোহর আর গনীকার পারিশ্রমিকের মধ্যে পার্থক্য একটিই। দেনমহর একবার দিলেই চলে। তাঁরপর যতদিন খুশী তাঁর যোনীটা উপ ভোগ করা যায়। দরকার হলে- পেটাও, বন্দী করে রাখ। আল্লা তোমার পক্ষে আছে।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ