হঠাৎ কোনোভাবে এই সব বোধ যদি অনুপ্রবেশ করেও, সাথে সাথে আলফা থেকে বিটা লেভেলে অর্থাৎ ধ্যানমগ্ন অবস্থা থেকে জাগ্রত অবস্থায় উঠে আসবেন আপনি। তাতে ঘাবড়াবার কিছু নেই। চর্চা করতে থাকুন, ধীরে ধীরে ধ্যানমগ্ন অবস্থার মেয়াদ বাড়তে থাকবে। আলফাতে প্রথমবার পৌঁছে এক একজনের এক এক রকম অভিজ্ঞতা হয়। কারো মনে হয়, আহ, কি আরামা" কেউ আবার এতো গভীর প্রশান্তি অনুভব করে যে তার মনে হয়, আরে, কোনো অনুভূতিই নেই আমার। আবার কেউ কেউ জেগে থাকা অবস্থার সাথে এই অবস্থার তেমন কোনো পার্থক্যই অনুভব করতে পারে না।
প্রথমবার যতোক্ষণ ধ্যানমগ্ন থাকবেন, দ্বিতীয়বার তারচেয়ে একটু বেশিক্ষণ থাকবেন, এই ভাবে এক সময় রাগ বা অপরাধ বোধের হামল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে, ফলে ধ্যানও আর আপনি না চাইলে ভাঙবে না। এই বোধগুলো উপস্থিত না থাকার অর্থ হলো, মনের যেসব ক্ষতিকর আচরণ বা তৎপরতা শরীরকে অসুস্থ ও দুর্বল করে তোলে, ধ্যানমগ্ন অবস্থায় সেগুলো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। শরীরের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে ওটাকে সুস্থ রাখার জন্যে তার নিজেরই রয়েছে নিরাময় ও উপশম ব্যবস্থা। মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মনই সে ব্যবস্থা বানচাল করে দেয়। তাই মনকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর মনকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রথম পদক্ষেপ হলো ধ্যান। একক ভাবে শুধু ধ্যানই তার নিজস্ব গতিপথ ধরে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যায়, যাবার পথে শরীরের নিরাময় এবং উপশম ব্যবস্থাকে পুনর্বাসিত করে। একদা উত্তেজনা আর উদ্বেগের কারণে যে শক্তি ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় ব্যবস্থাটি অচল হয়ে পড়েছিল, সেই শক্তি ফিরে পাওয়ায় আবার সেটা পুরোদমে। কাজ শুরু করে।
এবার জেনে নিন আলফা লেভেলে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় পৌঁছতে হলে কি করতে হবে। সকালে আপনার ঘুম ভাঙলো। বাথরুমে যাবার তাগাদা থাকলে যান, তারপর আবার ফিরে আসুন বিছানায়। পনেরো মিনিট সময় বেঁধে নিন অ্যালার্ম ক্লকে, যাতে অনুশীলন করবার সময় ঘুম এসে পড়লেও সেটা সময়মতো ভেঙে যায়।
চোখ বন্ধ করে বন্ধ পাতার ভেতর দিয়ে ওপর দিকে তাকান, বিশ ডিগ্রি উঁচুতে। কারণটা এখনো পরিষ্কার জানা সম্ভব হয়নি, তবে দেখা গেছে, চোখের এই পজিশনই আলফা সৃষ্টির জন্যে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। এবার ধীরে ধীরে প্রতিবার দু'সেকেন্ড করে বিরতি নিয়ে, একশো থেকে নিচের দিকে গুণতে থাকুন, এক পর্যন্ত। একশো, নিরানব্বই, আটানব্বই, সাতানব্বই: এইভাবে। যখন শুনবেন, সম্পূর্ণ মনোযোগ এই কাজের ওপর স্থির রাখুন। আশা করা যায় প্রথমবার গোণা শেষ করলেই আপনি আলফা লেভেলে পৌঁছে যাবেন।
আলফাতে প্রথমবার পৌঁছে এক একজনের এক-এক রকম অভিজ্ঞতা হয়। কারো মনে হয়, আহ, কি আরাম!' কেউ আবার এতো গভীর প্রশান্তি অনুভব করে যে তার মনে হয়, আরে, কোনো অনুভূতিই নেই আমার।” আবার কেউ কেউ জেগে থাকা অবস্থার সাথে এই অবস্থার তেমন কোনো পার্থক্যই অনুভব করতে পারে না। পছন্দসই প্রিয় একটা জায়গা বেছে নিন। শুয়ে পড়ুন বা আধশোয়া হোন, ভঙ্গিটি যেন অত্যন্ত আরামদায়ক হয়। জামা কাপড় আঁটো না হয়ে ঢিলে-ঢালা হওয়া দরকার। নিরিবিলি, শান্ত ঠাণ্ডা পরিবেশ হলে ভালো হয়। এবার আপনার শরীর সম্পূর্ণ ঢিল করে দিন, শিথিল করে ছেড়ে দিন নিজেকে।এর কারণ হলো, আলফা লেভেল আমাদের জন্যে নতুন কোনো ব্যাপার নয়, এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত কেউ বেশি কেউ কম।
সকালে যখন আমাদের ঘুম ভাঙে, তখন প্রায়ই আমরা আলফা লেভেলে কিছুক্ষণের জন্যে থাকি। থিটা থেকে, অর্থাৎ ঘুমের লেভেল থেকে বিটায়, অর্থাৎ জেগে থাকা লেভেলে আসার সময় আলফা লেভেল আমাদেরকে পেরোতেই হয়। পেরোবার সময় ওই লেভেলে একটু দেরি করি আমরা, প্রায় প্রতিদিন সকালেই। প্রথমবার অনুশীলনের সময় আপনি যদি কিছুই অনুভব না করেন, বুঝতে হবে এর আগে আলফা পেডেলে অনেকবার গেছেন আপনি, কিন্তু টের পাননি। মনটাকে শান্ত করুন, দাবড়াবেন না। অনুশীলন চালিয়ে যান। একাগ্র মনোযোগের সাথে চেষ্টা করলে যদিও আপনি প্রথমবারই আলফা লেভেলে পৌঁছে যাবেন, তবু আলফা লেভেলের নিচের দিকে এবং তারপর খিটা পেছেলে নামতে হলে আরো পঁচিশদিন আপনাকে চর্চা করতে হবে পদ্ধতিটি। একশো থেকে এক, এই কাউন্ট ডাউন পর পর পাঁচ দিন চালান। তারপর পঞ্চাশ থেকে এক. আরো পাঁচ দিন। তারপর পঁচিশ থেকে এক আরো পাঁচ দিন। তারপর দশ থেকে এক পাঁচ দিন। সবশেষে পাঁচ থেকে এক. পাঁচ দিন।
প্রথমবার বা প্রথম কয়েকবার একাগ্র মনোযোগের সাথে চেষ্টা করার পরও যাঁরা আলফা লেভেলে পৌঁছতে পারছেন না বলে মনে করছেন, এবার তাঁদের জন্যে কিছু নিয়ম। এই নিয়ম অন্যান্য সবাইও ইচ্ছে করলে ব্যবহার করতে পারেন, কোনো ক্ষতি তো নেই-ই লাভের পরিমাণ ষোলো আনা। এই নিয়মকে আমরা তিন–এক (৩-১) পদ্ধতি নামে অভিহিত করতে পারি। শরীর শিথিল করে দিয়ে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেয়ার নিয়ম এটা। আপনারা যারা এখনো আলফা লেভেলে পৌঁছতে পারছেন না বলে মনে করছেন। এই নিয়ম তাঁরা সকালেই চর্চা করবেন, বাকিরা সকাল, দুপুর, রাত বা যে কোনো সময় চর্চা করতে পারেন। পছন্দসই, প্রিয় একটা জায়গা বেছে নিন। শুয়ে পড়ুন বা আধশোয়া হোন, ভঙ্গিটি যেন অত্যন্ত আরামদায়ক হয়। জামা কাপড় আঁটো না হয়ে ঢিলে-ঢালা হওয়া দরকার। নিরিবিলি, শান্ত, ঠাণ্ডা পরিবেশ হলে ভালো হয়। এবার আপনার শরীর সম্পূর্ণ ঢিল করে দিন, শিথিল করে ছেড়ে দিন নিজেকে। চোখ বন্ধ করুন। তারপর গভীর ভাবে, বুক ভরে শ্বাস গ্রহণ করুন। নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় মনে মনে ৩ সংখ্যাটি তিনবার উচ্চারণ করুন, সেই সাথে মনের চোখ দিয়ে ৩ সংখ্যাটির ছবি চাক্ষুষ করুণা, এ-ও তিনবার।
মোট পঁচিশ দিন সকালে চর্চা করার জন্যে অনুশীলন দেয়া হয়েছে আপনাকে। কিন্তু এই পঁচিশ দিন পেরোবার আগেই, মাত্র দশ দিন অনুশীলনগুলো চর্চা করার পর, নতুন আরেকটা কাজ ধরবেন আপনি। এবার দিনের যে-কোনো সময়, দুপুরে বা রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে আলফা লেভেলে পৌঁছতে হবে আপনাকে। আরেকটা গভীর শ্বাস নিন এবং নিঃশ্বাস ফেলার সময় মনে মনে ২ সংখ্যাটি তিনবার উচ্চারণ এবং মনের চোখে সংখ্যাটি তিনবার চাক্ষুষ করুন আরেকটা গভীর শ্বাস নিন, নিঃশ্বাস ফেলার সময় মনে মনে ১ সংখ্যাটি তিনবার উচ্চারণ করুন, মনের চোখে সংখ্যাটি তিনবার চাক্ষুষ করুন।
এই নিয়ম চর্চা করার পর আপনি যেখানে পৌঁছলেন সেটাকে আমরা বেসিক লেভেল বলতে পারি, এই বেসিক লেভেল থেকে অন্যান্য যে কোনো লেভেলে নেমে যাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। বেসিক লেভেল থেকে আরো নিচের লেভেলে যেতে হলে বা বেসিক লেভেলেরই আরো গভীর তলদেশে যেতে হলে একশো থেকে এক এই নিয়মে কাউন্ট ডাউন করবেন। এবার আটোসাজেশন প্রসঙ্গ। এই আটোসাজেশন সবার জন্যে। প্রতিদিন অনুশীলন শেষে যে লেভেলেই পৌঁছান আপনি, সাজেশনগুলো দিতে পারবেন নিজেকে। যতো গভীর লেভেলে সাজেশন দেবেন ততোই বেশি উপকার পাবেন।
১। আমার মনের এই নতুন শক্তি মানব কল্যাণের সহায়ক হবে।
২। প্রতিদিন প্রতি কাজে আমি ভালো করছি, ভালো করছি, ভালো করছি। বা, প্রতিদিন সব দিক থেকে উন্নতি করছি। তা হ্যাঁ-সূচক ভাবনায় আমার মনের আশা পূরণ এবং উপকার হবে। ৪। মনের এই লেভেলে বা অন্য লেভেলে এবং জেগে থাকা অবস্থায় আমার মনের ওপর, আমার সমস্ত অনুভূতি এবং ইন্দ্রিয়ের ওপর, সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব আছে আমার, এবং থাকবে।
প্রথমবার আলফা লেভেলে পৌঁছে প্রথমবারই এই লেভেল থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে নিজেকে অটোসাজেশন দেবেন আপনি। এই সাজেশন যতোবার ধ্যানমগ্ন হবেন। ততোবার নিজেকে দিতে হবে। সব সময় একই সাজেশন ব্যবহার করা ভালো।
মনে মনে এই কথাগুলো বলুন
আমি এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত গুণতে যাচ্ছি; পাঁচ সংখ্যাটি উচ্চারণ করার সাথে সাথে আমি আমার চোখ খুলবো, সেই সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গাপ অবস্থায় জেগে উঠবো, অনুভব করবো সম্পূর্ণ সুস্থতা, শরীর-মন আগের চেয়ে ভালো লাগবে। এরপর আপনি শুনতে শুরু করুন। ১২. ধ্যানমগ্ন অবস্থা থেকে উঠে আসতে শুরু করেছেন। ৩-এবার আবার নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন যে পাঁচ পর্যন্ত ঋণে আপনি আপনার চোখ বুলবেন, সম্পূর্ণ সজাগ অবস্থায় জেগে উঠবেন, শরীর-মন তাজা।।
আর ধরবারে লাগবে, কোনো রকম অসুস্থ বোধ করবেন না, বরং আগের চেয়ে সুস্থ বোধ করবেন। ৪-৫। পাঁচ পর্যন্ত ঋণে, চোখ খুলুন। তারপর বলুন-সম্পূর্ণ জেগেছি। আমি সুস্থ বোধ করছি। মোট পঁচিশ দিন সকালে চর্চা করার জন্যে অনুশীলন দেয়া হয়েছে আপনাকে। কিন্তু এই পঁচিশ দিন পেরোবার আগেই, মাত্র দশ দিন অনশীলনগুলো চর্চা করার পর নতুন আরেকটা কার ধরবেন আপনি। এবার দিনের যে-কোনো সময়, দুপুরে বা রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে আলফা লেভেলে পৌঁছতে হবে আপনাকে।
এর জন্যে দশ থেকে পনেরো মিনিট অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হবে। কারণ, আলফার হালকা লেভেল থেকে নয়, এবার আপনি বিটা থেকে গভীর আলফা লেভেলে নামতে চাইছেন, তাই সামান্য একটু অতিরিক্ত ট্রেনিং দরকার।
পছন্দসই প্রিয় একটা জায়গা বেছে নিন। আরামদায়ক কোনো চেয়ারে বা বিছানার ওপর বসুন। নিচের দিকে পা ঝুলিয়ে বা পদ্মাসনেও বসতে পারেন। জামা কাপড় ঢিলে-ঢালা হওয়া দরকার। নিরিবিলি, শান্ত, ঠাণ্ডা পরিবেশ হলে ভালো হয়। হাত দুটো শিথিল অবস্থায় ফেলে রাখুন কোলের ওপর। মাথাটা দিয়ে রাখুন, এদিক ওদিক যেন হেলে না পড়ে। এবার স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে
সচেতনতার সাথে ঢিল করার জন্যে প্রথমে শরীরের একটা অংশ তারপর আরেকটা অংশের ওপর গভীর মনোযোগ আরোপ করুন। শুরু করুন আপনার বাঁ পায়ের তলা থেকে, তারপর বা পা, তারপর ডান পায়ের তলা-এইভাবে, যতোক্ষণ না আপনি গলা, মুখ, চোখ এবং সবশেষে খুলিতে না। পৌঁছান। এটা প্রথমবার অনুশীলন করার সময় কি রকম শক্ত আর টান টান ছিলো আপনার শরীর উপলব্ধি করে। অবাক হয়ে যাবেন আপনি। এবার যে-কোনো একটা কিছুর ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ করুন। যে কোনো জিনিস হলেই চলবে, সিলিডের একটা নাগ বা দেয়ালের পেরেক যা খুশি। নাক বরাবর ডাকালে দৃষ্টিটা যেখানে পড়ে সেখান থেকে পয়তাল্লিশ ডিগ্রি ওপানিকে তাকাতে হবে। আপনাকে মানুষের চিন্তাকে তুলনা করা হয় মাতাল বানরের সাথে। লাফ-ঝাঁপ দিয়ে এখান থেকে এখানে চলে যাচ্ছে মতিগতির কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। মাঝে মধ্যে আমাদের জন্যে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কাজ করলেও, এই ব্রেনের ওপর আমরা কতো কম নিয়ন্ত্রণ রাখি ভারতে গেলে আশ্চর্য হতে হয় পেরেক বা দাগ যাই হোক, সেটার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকুন, যততক্ষণ না চোখের পাতা একটু ভাবি ঠেকে। তারপর এগুলোকে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যেতে দিন। এবার পঞ্চাশ থেকে নিচের দিকে গুণতে গুণতে নামুন, এক পর্যন্ত। এই রুটিন পাঁচ দিন মেনে চলুন। তারপর পঁচিশ থেকে এক পর্যন্ত, পাঁচ দিন।
তারপর দশ থেকে এক পর্যন্ত পাঁচ দিন। তারপর পাঁচ থেকে এক পাঁচ দিন। এই পদ্ধতিতে ধ্যানমগ্ন হওয়ার চেষ্টা প্রতিদিন ন-তিনবার চালিয়ে যান, প্রতিবার দশ-পনেরো মিনিট ব্যয় করুন নিজেকে সাজেশন দেয়ার কথা মনে আছে তো? এক্ষেত্রেও সেগুলো কাজে লাগাতে ভুলবেন না। আলফায় পৌঁছনো তো শিখে গেলেন, কিন্তু তারপর কি? ওখানে পৌঁছে নিজেকে সাজেশন দেয়া ছাড়া আর কি করবেন আপনি ? একেবারে শুরু থেকেই, ধ্যানমগ্ন অবস্থায় প্রথম যেবার পৌঁছলেন তখন থেকেই মানস- চোখে ছবি দেখা অভ্যেস করুন। মানস- চোখে ছবি দেখাটা যতো ভালো ভাবে শিখতে পারবেন আপনি, মনকে নিয়ন্ত্রণ করে সাফল্য অর্জন ততোই আপনার পক্ষে সহজ হয়ে উঠবে। ব্যাপারে প্রথম কাজ হলো, চাক্ষুষ করার জন্যে একটা উপকরণ তৈরি করা উপকরণ মানে একটা চাঁন, বা পর্দা। সাদা হলেই ভালো হয়, কারণ সাদার ওপরেই ছবি ফোটে ভালো। বড়সড় সিনেমার মতো পর্দা হওয়া উচিত, তবে আবার এতো বড় যেন না হয় যেটা মনের সৃষ্টির সবটুকু জুড়ে থাকে। পর্দাটাকে চোখের পাতার কাছাকাছি কল্পনা না করে কল্পনা করুন আপনার কাছ থেকে আফিট সামনে। মনোনিবেশের জন্যে যা আপনি নির্বাচন করবেন, সেটার ছবি এই পর্দায় দেখতে হবে আপনাকে। পরে এই পর্দা আরো অনেক কাজে ব্যবহার করা হবে।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ