সর্বেহপ্যেতে যজ্ঞবিদো যজ্ঞক্ষপিতকল্মষাঃ।
যজ্ঞশিষ্টামৃতভুজো যান্তি ব্রহ্ম সনাতনম্।।৩০
নায়ং লোকোহস্ত্যযজ্ঞস্য কুতোহন্যঃ কুরুসত্তম।।৩১।।
পদার্থঃ (যজ্ঞশিষ্টামৃতভুজঃ) যজ্ঞের অবশিষ্ট যে অমৃত থাকে তাকে ভক্ষণকারী (সনাতনম্, ব্রহ্ম) সনাতন যে ব্রহ্ম আছে উহাকে (য়ান্তি) প্রাপ্ত হয় (কুরুসত্তম্) হে কুরুশ্রেষ্ঠ অর্জুন! (অয়জ্ঞস্য) যে ব্যক্তি যজ্ঞ করে না (অয়ম্, লোকঃ) উহার এই লোক (ন, অস্তি) ঠিক হয় না (অন্যঃ) অন্য লোক (কুতঃ) কিভাবে অর্থাৎ যে লোক যজ্ঞ করে উহার এই লোকই ঠিক হয় না, অন্য লোক তো দূরের কথা।
ভাবার্থঃ হে অর্জুন! একমাত্র যজ্ঞ দ্বারাই সনাতন ব্রহ্ম কে প্রাপ্ত হওয়া যায়, যারা যজ্ঞ করেনা তাদের এই লোকেই সুখ হয়না, আর পরলোক তো দূরের কথা।।
ভাষ্যঃ 'যজ্ঞ' শব্দের অর্থ এখানে অনেক প্রকারে, কোনো স্থানে পরমাত্মার উপাসনা দ্বারা যজ্ঞের তাৎপর্য, কোনো জায়গায় ব্রহ্মাগ্নিতে আত্মসমর্পণের নাম যজ্ঞ, কোথাও প্রাণায়ামের নাম যজ্ঞ, এবং অনেক অর্থ হয়, কিন্তু ওই সমস্ত অর্থ এর মধ্যে চলে আসে, আত্মিক সংস্কারের জন্য যে বৈদিক কর্ম করা হয় তার নাম 'যজ্ঞ'। যেমন 'ইজ্যতে স যজ্ঞঃ' যেরূপে সৎকার আদি কর্ম করার নাম 'যজ্ঞ'। এই বিষয় কে নিম্নলিখিত শ্লোকে এই প্রকারে কথন করা হয়েছে---
এবম্ বহুবিধাঃ যজ্ঞাঃ বিততাঃ ব্রাহ্মণঃ মুখে।
কর্মজান্ বিদ্ধি তান্ সর্বান্ এবম্ জ্ঞাত্বা বিমোক্ষ্যসে।।৪।৩২
পদার্থঃ (এবম্) এই প্রকারে (বহুবিধাঃ) বহু প্রকারের (যজ্ঞাঃ) যজ্ঞের কথা (বিততাঃ) বিস্তার পূর্বক (ব্রাহ্মণঃ) বেদ মুখে দ্বারা কথন করা হয়েছে (তান্, সর্বান্) ওই সমস্ত যজ্ঞ কে (কর্মজান্, বিদ্ধি) কর্ম হতে উৎপন্ন হয়েছে এমন জানো (এবম্, জ্ঞাত্বা) এই প্রকার জেনে তুমি (বিমোক্ষ্যসে) কর্ম বন্ধন হতে মুক্ত হবে।।
ভাবার্থঃ হে অর্জুন! এই প্রকারের বহু যজ্ঞের কথা বেদ শাস্ত্রে বিস্তার পূর্বক বর্ণিত আছে, ওই সমস্ত যজ্ঞ কর্ম হতে উৎপন্ন হয়েছে এমন জানবে, এই প্রকার জেনে তুমি কর্ম বন্ধন হতে মুক্ত হবে।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ