বৈষ্ণব ফন্ডিতরা তাঁদের ব্যবসার সার্থে কি ভাবে মিথ্যাচার করে দেখুনঃ
সম্পূর্ণ গ্রন্থ টি পড়ুন👇👇📚কৃষ্ণ তত্ত্ব বিনির্ণয়📚 বৈষ্ণবদের মিথ্যাচার এবং নীচে উপনিষদের পৃষ্টায় দেখুন প্রকৃত সত্য কি।
https://gaudiyascripture.blogspot.com/2019/03/supreme-persoality-of-godhead-krishna.html?m=1
বৈষ্ণব বিদ্বেষী দের কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে দশ উপনিষদের মধ্যে কৃষ্ণের নাম নেই। কৃষ্ণের কথা কেবল কৃষ্ণোপনিষদ, গোপালতাপনী ইত্যাদি শ্রুতিতেই পাওয়া যায়। তার জন্য এই পোষ্ট।
ছান্দোগ্য উপনিষদ দশ উপনিষদের মধ্যে প্রধান একটি উপনিষদ। যা সাম বেদের অন্তর্গত।
বৈষ্ণব আচার্য্যরা ব্রহ্ম সূত্রের ভাষ্যে, উপনিষদভাষ্যে এই মন্ত্র গুলি প্রমাণ হিসাবে ব্যাবহার করেছেন।
পরবর্তীকালে অনেক উপনিষদ রচিত হয় এগুলি শ্রুতি নয়। বিভিন্ন সম্প্রদায়ীরা তাদের সম্প্রদায় কে প্রতিষ্ঠা করতে তাদের মতবাদ পুষ্ট উপনিষদ রচনা করেন। পাণিণির সূত্র “জীবিকোপনিষদাবৌপম্যে" ১/৪/৭৯ থেকেই জানা যায় এক শ্রেণীর পন্ডিত উপনিষদ রচনা করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কেবল নাম ই নয় সামবেদীয় ছান্দোগ্য উপনিষদে তার নাম, রূপ গুণ লীলা ধাম পরিকর বর্গ সকলের কথাই পাওয়া যায়। সেগুলি এখানে দেওয়া হল।
নাম যথা ছান্দোগ্য ৩/১৭/৬ “কৃষ্ণায় দেবকীপুত্রায়"
রূপ যথা ছান্দোগ্য ১/৬/৫ “নীলং পরঃ কৃষ্ণ"
লীলা মাধুরী ছান্দোগ্য ৮/১২/৩ "ক্রীড়ণঃ রমমান"
ধাম যথা ছান্দোগ্য ৮/১/২
গুণ যথা ছান্দোগ্য ৮/১৩/১ “শ্যামাচ্ছবলং প্রপদ্যে"
তাই শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে সামবেদ বিবিধ ছন্দ, তাল সুরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথাই গান করে।
যং ব্রহ্মা বরূণেন্দ্ররুদ্রমরুতঃ স্তুবন্তি দিব্যৈ স্তবৈ
র্বেদৈঃ সাঙ্গপদক্রমোপনিষদৈর্গায়ন্তি যং সামগাঃ।।
ভাঃ১২/১৩/১
সেই পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ কে উপনিষদের মন্ত্র সমূহ ও সামবেদের শ্রুতি সমূহ বিবিধ ছন্দে গান করে।
আসুন এবার আমরা ছান্দোগ্য উপনিষদের উক্ত শ্লোকে কি বলা হয়েছে
ছান্দোগ্য ৩/১৭/৬ “কৃষ্ণায় দেবকীপুত্রায়োক্তোবাচ অপিপাস এব স বভূব"= আঙ্গিরস অর্থাৎ অঙ্গিরা নামক ঋষির বংশজাত ঘোর নামক ঋষি যজ্ঞবিষয়ক জ্ঞান নিজ শিষ্য দেবকীপুত্র শ্রীকৃষ্ণকে উপদেশ করিয়াছিলেন।
ছান্দোগ্য ১/৬/৫ “অথ যন্নীলং পরঃ কৃষ্ণ তৎ সাম"= সূর্য্যের শুক্লবর্ণ প্রথা, ইহা ঋক (রশ্মী) আর যে নীল অর্থাৎ গাঢ়কৃষ্ণ, তাহাই সাম (রশ্মী)
ছান্দোগ্য৮/১২/৩ "স তত্র পর্য্যোতি জক্ষৎ ক্রীড়ণঃ রমমানঃ স্ত্রীভির্ব্বা.."=আত্মা দেহাদি হইতে ভিন্য, এখানে "ক্ষর" ও "অক্ষর" পুরুষের কথা বলা হয়েছে [ক্ষর পুরুষ জন্ম গ্রহণ করে,অপরপক্ষে অক্ষর পুরুষ অজ, নিত্য ও শ্বাশত]।
ছান্দোগ্য ৮/১/২ আকাশের কথা বলা হয়েছে
ছান্দোগ্য৮/১৩/১ “শ্যামাচ্ছবলং প্রপদ্যে"= শ্যাপ অর্থাৎ গভীর বা প্রগাঢ় বর্ণ, শ্যামের ন্যায়, হৃদপদ্মে অবস্থিত ব্রহ্মের কথা বলা হয়েছে..
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ