* এই মন্ত্র (ব্যাহৃতি রহিত রূপে) যজুঃ ৩৬।৩, ৩।৩৫;২২।৯;৩০।২ ঋগ্বেদ ৩।৬২।১০ ও সাম০ ১৪৬২ মধ্যে বিদ্যমান। ইহা ঐতরেয় ব্রাহ্মণেও অনেক জায়গায় আসিয়াছে ইহার মধ্য হইতে যজুর্বেদ ৩০।২ মধ্যে এই মন্ত্রের ঋষি নারায়ণ তথা অন্যত্র বিশ্বামিত্র আছে। দেবতা সবিতা, ছন্দ নিচৃদ্ বৃহতী এবং স্বর ষড়জ। ব্যহৃতির ছন্দ দৈবী বৃহতী তথা স্বর ব্যাহৃতির সহিত সম্পূর্ণ মন্ত্রের মধ্য ষড়জ আছে। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী সর্বপ্রথম ইহার আধ্যাত্বিক ভাষ্য করিয়াছেন। কেবল যজুঃ ৩০।২ এর ভাবার্থে আধিভৌতিক এর স্বল্প সংকেতও আছে; শেষে আধ্যাত্বিকই আছে।
সবিতা বিষয়ে ঋষি অভিপ্রায়ঃ-
"সবিতা সর্বস্য প্রসবিতা" [নিরুক্ত ১০।৩১]
"সবিতা বৈ দেবানাং প্রসবিতা" [শঃব্রাঃ১।১।২।১৭]
"মনো বৈ সবিতা" [শঃব্রাঃ৬।৩।১।১৩]
"বিদ্যুদেব সবিতা"[গোঃব্রাঃপূ ১।৩৩]
"পশবো বৈ সবিতা"[শঃব্রাঃ৩।২।৩।১১]
"প্রাণো বৈ সবিতা" [ঐঃব্রাঃ১।১৯]
"বেদা এব সবিতা" [গোঃব্রাঃপূ ১।৩৩]
"সবিতা রাষ্ট্রং রাষ্ট্রপতিঃ" [তৈঃব্রাঃ ২।৫।৭।৪]
- ইহা হইতে প্রাপ্ত অর্থঃ নিম্নরূপ
#সবিতা নামক পদার্থ সবার উৎপত্তি বা প্রেরণার স্রোত বা সাধন।
# এই সমস্ত প্রাকাশিত বা কামনা অর্থাৎ আকর্ষণাদি বল হিতে যুক্ত কণার উৎপাদাক বা প্রেরক।
# এই সমস্ত পদার্তের নিয়ন্ত্রক।
# "ওম্" রশ্মি রূপ ছন্দ রশ্মি এবং মনস্তত্বই সবিতা।
#বিদ্যুৎ কে ও সবিতা বলা হয়।
#বিভিন্ন মরুদ্ রশ্মি এবং দৃশ্য কণাকে "সবিতা" বলা হয়।
#বিভিন্ন প্রাণ রশ্মি "সবিতা।
#সমস্ত ছন্দ রশ্মিও 'সবিতা"।
#তারা কেন্দ্রীয় ভাগ রূপ রাষ্ট্রকে প্রকাশিত বা তাহার পালনকারী সম্পূর্ণ তারাও "সবিতা"।
মন্ত্রে দেবতা মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়। এই কারণ এই মন্ত্রের মুখ্য প্রতিপাদ্য "ওম্" ছন্দ রস্মি, মনস্তত্ত্ব, প্রাণ তত্ত্ব এবং যত ছন্দ রশ্মি আছে। এই ঋচার উৎপত্তি বিশ্বামিত্র ঋষি "বাগ্ বৈ বিশ্বামিত্রঃ (কৌঃব্রাঃ১০।৫); 'বিশ্বামিত্রঃ সর্বমিত্রঃ (নিরুক্ত ২।২৪) অর্থাৎ সবার আকৃষ্ট করিতে সমর্ত "ওম্" ছন্দ রশ্মি দ্বারা হয়।
[আধিদৈবিক / বৈজ্ঞানিক ভাষ্য]
ও৩ম্ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎ সবিতুর্বরেণ্যং
ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।।[যজুঃ ৩৬।৩]
পদার্থ : (ভূঃ) ‘ভূঃ’ নামক ছন্দরশ্মি কিংবা অপ্রকাশিত কণা বা লোক, (ভুবঃ) ‘ভুবঃ’ নামক রশ্মি কিংবা আকাশ তত্ত্ব, (স্বঃ) ‘সুবঃ’ নামক রশ্মি কিংবা প্রকাশিত কণা , আকাশ কণা বা সূর্যাদি তারা আদিতে যুক্ত । (তত্) ওই অগোচর বা দূরস্থ সবিতা অর্থাৎ মন, ‘ওম্’ রশ্মি, সমস্ত ছন্দরশ্মি, বিদ্যুৎ সূর্যাদি আদি পদার্থকে (বরেণ্যম্ ভর্ঘঃ দেবস্য) সাধারণ-ভাবে আচ্ছাদিতকারী ব্যাপক [ভর্গঃ=অগ্নি বৈ ভর্গঃ শ০ ব্রা০ ১২.৩.৪.৮; আদিত্য বৈ ভর্গঃ জৈ০ উ০ ৪.১২.২.২; বীর্যং বৈ ভর্গহত্রর্ষ বিষ্ণুর্য়জ্ঞঃ শ০ ব্রা০ ১২.৩.৪.৭] আগ্নেয় তেজ, যে সম্পূর্ণ পদার্থকে ব্যাপ্ত করে অনেক সংযোগ সংকোচকারী বল দ্বারা যুক্ত হয়ে প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত লোকের নির্মাণ যুক্ত প্রেরিত করতে সমর্থ, (ধীমহি) প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ সে সম্পূর্ণ পদার্থ ঐ আগ্নেয় তেজ, বল আদিকে ব্যাপক রূপে ধারণ করেন । (ধিয়ঃ য়ঃ নঃ প্রচোদয়াত্) যখন সে উপযুক্ত অগ্নিতেজ ঐ পদার্থকে ব্যাপ্ত করেন, তখন বিশ্বামিত্র ঋষি জ্ঞান ভিত্তিক মন বা ‘ওম্’ রশ্মি রূপ পদার্থ [ধীঃ=কর্মনাম নিঘ০ ২.১; প্রজ্ঞানাম নিঘ০ ৩.৯; বাক্ বৈ ধীঃ ঐ০ আ০ ১.১.৪] নানা প্রকারের বাক্ রশ্মির বিবিধ দীপ্তি বা ক্রিয়া দ্বারা যুক্ত করিয়ে উত্তম প্রকার প্রেরিত বা নিয়ন্ত্রিত করতে থাকেন ।
-মন এবং "ওম্" রশ্মি ব্যাহৃত রশ্মির সাথে যুক্ত হয়ে ক্রমশঃ সমস্ত মরুদ্, ছন্দ আদি রশ্মিকে সক্রিয় করে।সমস্ত কণাদি এবং আকাশ তত্ত্বকে উচিত বল বা নিয়ন্ত্রন করে যুক্ত করে। এই সমস্ত লোক তথা অন্তরিক্ষে বিদ্যমান পদার্থ নিয়ন্ত্রিত উর্জাতে যুক্ত হয়ে থাকার কারণে তাদের ক্রিয়াগুলি যথাযথভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম হয়। ইহাদ্বারা সমস্ত বৈদ্যুতিক শক্তিও যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
এই ঋচার উৎপত্তি পূর্ব বিশ্বামিত্র ঋষি অর্থা 'ওম্' চন্দ রশ্মি বিশেষ সক্রিয় হয়। ইহার ছন্দ দৈবী বৃহৃতী+নিচৃদ্ গায়ত্রী ইইয়া ইহার ছন্দস প্রভাব দ্বারা বিভিন্ন প্রকাশিত কনা বা রশ্মি আদি পদার্ত তীক্ষ্ন তেজ বা বল প্রাপ্ত করিয়া সম্পীডিত হইতে থাকে। ইহার দৈবত প্রভাব দ্বারা মনস্তত্ত্ব এবং 'ওম্' ছন্দ রশ্মি রূপ সূক্ষ্মতম পদার্থ হইতে বিভিন্ন প্রাণ, মরুৎ চন্দ রশ্মি, বিদ্যুতের সাথে-সাথে সমস্ত দৃশ্য কণা বা কোয়ান্টাজ প্রভাবিত অর্থাৎ সক্রিয় হয়। এই প্রক্রিয়াতে 'ভূঃ', 'ভুবঃ' এবং 'সুবঃ' নামক সূক্ষ চন্দ রশ্মি 'ওম্' চন্দ রশ্মির দ্বারা বিশেষ সংগত বা প্রেরিত হইয়া কণা, কোয়ান্টা, আকাশ তত্ত্ব পর্যন্ত প্রভাবিত করেন। ইহা হিতে এই সমস্তে বল এবং ঊর্জ্বার বৃদ্ধি হইয়া সমস্ত পদার্থ বিশেষ সক্রিয়তাকে প্রাপ্ত হয়। এই সময় বিদ্যমান সমস্ত ক্রিয়াতে যে-যে- ছন্দ রশ্মি নিজের ভূমিকা নির্বাহ করেন, সেই সমস্ত বিশেষ উত্তেজিত হইয়া নানা কর্মকে সমৃদ্ধ করেন। বিভিন্ন লোকের ইচ্ছদ, সেই তারাদি প্রকাশিত লোক আছে অথবা পৃথিবাদি গ্রহ বা উপগ্রহাদি অপ্রকাশিত লোক আছে, সবার রচনার সময় এই ছন্দ রশ্মি নির্বাহ করেন। ইহার প্রভাব দ্বারা সম্পূর্ণ পদার্থে বিদ্যুৎ এবং ঊষ্মার বৃদ্ধি হয় পরন্তু এই স্থিতিতে ও এই চন্দ রশ্মি বিভিন্ন কণা বা কোয়ান্টাজের সক্রিয়তা প্রদান করাইয়াও অনূকুলতা হইতে নিয়ন্ত্রিত রাখতে সহায়ক হয়।
ভাবার্থ : মন এবং ‘ওম্’ রশ্মি ব্যাহৃতি (পরিব্যাপ্ত) রশ্মির দ্বারা যুক্ত হয়ে ক্রমশঃ সমস্ত মরুত, ছন্দরশ্মির অনুকূলতা থেকে সক্রিয় করিয়ে সমস্ত কণা, পরিণাম এবং আকাশ তত্ত্বকে উচিত বল বা নিয়ন্ত্রণ দ্বারা যুক্ত করেন । ইহাতে সমস্ত লোক তথা অন্তরিক্ষে বিদ্যমান পদার্থ নিয়ন্ত্রিত শক্তি দ্বারা যুক্ত হয়ে নিজে-নিজে ক্রিয়ায় উপযুক্ত রূপে সম্পাদিত করতে সমর্থ হয় । ইহাতে বিদ্যুৎ বলও উত্তমরূপে নিয়ন্ত্রিত থাকে । সৃষ্টির প্রথমে দৈবী গায়ত্রী ছন্দ পরাওম্ প্রকট হয় । পরা ওম্ ২৪ অক্ষর রশ্মির গায়ত্রী ছন্দের নির্মান করে সর্বপ্রথম বিদ্যুৎ বলের নির্মান করেন । উক্ত বিদ্যুৎ তথাকথিত ব্যবহার্য বিদ্যুৎ নন । প্রতিটি ২৪ টি অক্ষরই সূক্ষ সূক্ষ কম্পনরূপী ছন্দ বল যাহা আকাশ আদিকে অবকাশ মুক্ত করে সৃষ্টি নির্মানের জন্য গতি , বল , স্থান , প্রাণ সব কিছুই দান করে থাকে ।
সরলার্থঃ "ভূ" নামক ছন্দ রশ্মি কিংবা অপ্রকাশিত কণা বা লোক, 'ভুবঃ' নামক রশ্মি কিংবা আকাশ তত্ত্ব, 'সুবঃ' নামক রশ্মি কিংবা প্রকাশিত কণা, ফোটন বা সূর্যাদি তারা আদিতে যুক্ত। সেই অগোচর বা দূরহ সবিতা অর্থাৎ মন,'ওম্' রশ্মি, সমস্ত ছন্দ রশ্মি, বিদ্যুৎ সূর্যাদি পদার্থকে সর্বত্র আচ্ছাদিতকারী ব্যাপক আগ্নেয় তেজ, যাহা সম্পূর্ণ পদার্থকে ব্যাপ্ত করিয়া অনেক সংযোজক বা সম্পীডক বল দ্বারা যুক্ত হইয়া প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত লোকের নির্মাণ হেতু প্রেরিত করিতে সমর্থ ও প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ সেই সম্পূর্ণ পদার্থ ওই আগ্নেয় তেজ, বল আদির ব্যাপক রূপে ধারণ করেন। যখন সেই উপযুক্ত আগ্নেয় তেজ পদার্থকে ব্যাপ্ত করিয়া নেয়, তখন বিশ্বামিত্র ঋষি সংজ্ঞক মন বা 'ওম্' রশ্মি রূপ পদার্থ নানা প্রকারের বাগ্ রশ্মিকে বিবিধ দীপ্তির বা ক্রিয়া হিতে যুক্ত করাইয়া উত্তম প্রকার প্রেরিত বা নিয়ন্ত্রিত্ করিতে থাকেন।
কৃতজ্ঞতাঃ আচার্য অগ্নিব্রত নৈষ্টিক জী
(আধিদৈবিক ভাষ্যঃ যজুর্বেদ ৩৬।৩)
ব্রাহ্মণহস্য মুখসাসীদ্ৰাহ্ রাজন্যঃ কৃতঃ।
উরূ তদস্য অদ্বৈশ্যঃ পদ্ধ্যাং শূদ্রোহঅজায়ত।। যজু০ ৩১।১১
পদার্থঃ হে জিজ্ঞাসু গণ! (অস্য) ঈশ্বরের সৃষ্টিতে (ব্রাহ্মণঃ) গায়ত্রী ছন্দরশ্মি অন্য ছন্দরশ্মির স্থলে মূখ্য স্থানীয় ব্রাহ্মণ' এই ছন্দশ্মি সৃষ্টিতে প্রথম উৎপন্ন হয় [গায়ত্রো বৈ ব্রাহ্মণাঃ।' ঐ০ ব্রা ১.২৮] (মুখ) গায়ত্রী ছন্দরশ্মিই মুখ [ছন্দ সাম মুখ গায়ত্রী।' তা ব্রা ৭.৩.৩.] (আসীত) হইয়া থাকে (ৰাহ্) সূত্ৰাত্মা বায়ু সহ একাদশ প্রাণই বাহু’ (রুদ্রস্য বাহ্।' তৈ০ ব্রা ১.৫.১.১) (রাজন্যঃ) বাল বা পরাক্রমই রাজন্য' ('বীয় বাহ এতদ্ৰাজন্যস্য য় বাহু।' শo ব্রা ৫.৪.১.১৭] (কৃতঃ) করিয়াছে (য়) যে (উর) অনুষ্টুপ ছন্দ সহ সকল প্রকাশক বলই উরূ [অনুষ্টুপছন্দো বিশ্বে দেবা দেবতােরূ।' শo ব্ৰ০ ১০.৩.২.৯] (তত্) সেই (অস্য) তাহাকে (বৈশ্যঃ) সর্বত্র বিস্তারকারী মরুত রশ্মিই বৈশ্য' ('মারুতাে হি বৈশ্য। তৈ০ ব্রা ২.৭.২.২] (প্যা) সেবা এবং অভিমান রহিত (শূদ্রঃ) অগ্নি, সূর্য প্রকাশক বলই শূদ্র' ('তপাে বৈ শূদ্র। শo ব্রা ১৩.৬.২.১০] (অজায়ত) উৎপন্ন হইয়াছে, এই উত্তম ক্রম জানিৰে।।
ভাবার্থঃ হে জিজ্ঞাসু গণ ! গায়ত্রী ছন্দরশ্মিই ব্রাহ্মণ, প্রাক সৃষ্টিতে গায়ত্রী ছন্দই মূখ্য স্থানীয় হইয়া থাকে। সূত্রত্মা বায়ু সহ প্রাণ, অপান, ব্যান, সমান, উদান, নাগ, কূর্ম, কৃকল, দেবদত্ত, ধনঞ্জয় এই একাদশ প্রাণ এবং উপ-প্রাণরশ্মিই রাজন্য ক্ষিত্রিয়]। অনুষ্টুপ্ ছন্দরশ্মিই বৈশ্য, অনুষ্টুপ্ ছন্দরশ্মি পূর্বক্ত ছন্দ [গায়ত্রী, উষ্ণিক ছন্দরশ্মির সাথে কার্যের গতি বৃদ্ধির সাথে-সাথে সৃষ্টি প্রকাশের সহায়ক ভূমিকা পালন করেন এবং গায়ত্রী ও উষ্ণিক ছন্দরশ্মির বল পরাক্রম অর্জনই বৈশ্য কর্ম। তপা বলই শুদ্র, অগ্নি, সূর্য, বিদ্যুৎ এবং কারণরূপ অগ্নি
আদি প্রকাশক বলই সমগ্র সৃষ্টিকে ধারণ করেন এবং পালন-পােষণ-ধারণ করেন এই ধারণ কার্যই তপাে কর্ম জানিবে।।
ঐতরেয় আরণ্যকে, সূর্যমণ্ডলে অবস্থিত 'মহাব্রত' নামে যে প্রাণশক্তি পরিচিত, তাকে বলা হয় বিশ্বামিত্র। সৌরজগতে তিন প্রকার প্রাণশক্তি অধিব্যপ্ত। এক প্রাণের নাম 'মহোক্ত', যা শতপথব্রাহ্মণে (১০.৫.২) ঋগ্বেদের নামে উল্লেখ আছে। এটি সূর্যমণ্ডলের রূপ। দ্বিতীয় 'মহাব্রত' প্রাণ হল যা সূর্যের রশ্মি দ্বারা প্রকাশিত এবং সামবেদে বলা হয়েছে। আবার তৃতীয়ত প্রাণতত্ত্ব বলা হয়েছে যা সৌরজগতে পুরুষরূপে প্রকাশিত এবং যাকে শ্রুতিতে অগ্নি নামে অভিহিত করা হয়েছে এবং যজুর্বেদেও বর্ণনা করা হয়েছে। এই তিনটি বেদের সমুদায়কে সূর্য বলা হয়। তাদের মধ্যে "মহাব্রত" নামক প্রাণশক্তিকে বলা হয় বিশ্বামিত্র। তিনি সমগ্র জগতের বন্ধু, অর্থাৎ সর্বত্র তিনি প্রাণশক্তি অর্পণ করেন, এই জন্যই তাঁকে 'বিশ্বামিত্র' বলা হয়। সংস্কৃত ব্যাকরণে শুধুমাত্র বিশ্বের মিত্রকে "বিশ্বামিত্র" বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি ছিল বিশ্বামিত্রের অধিদৈবিক রূপ। সূর্য থেকেই সমস্ত প্রাণীর মধ্যে শক্তি আসে ,প্রাণ আসে। তাদের মধ্যে সেই প্রাণশক্তি, যা খাদ্যের পরিপাকে নিয়োজিত, তা হল 'বিশ্বামিত্রের আধ্যাত্মিক রূপ। সমস্ত জীবই প্রাথমিকভাবে খাদ্যভোজন এবং পরিপাক দ্বারা জীবিত, এবং যে ব্যক্তি প্রাণীকে এবং তাঁর প্রাণশক্তিকে প্রথম দেখেছেন এবং বেদসংহিতার মাধ্যমে সকলকে তার স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি হলেন পুরুষ রূপ, আধিভৌতিক মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি'বিশ্বামিত্র'।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ