মুসলিম ছেলে #রাহুল ব্রাদারের অপপ্রচার দেখুন সাথে বেদে #যম-যমী সূক্তের ব্যখ্যা
রাহুলের মতো বেশ কিছু বেজন্মা মুসলমান অথর্ব বেদের ১৮/১/৮ এ যম-যমী কে আদম ও হাওয়ার গর্ভজাত সন্তানের মতো কল্পনা করে তার অপপ্রচার চালাচ্ছে অনর্থ করে
"আমি এসেছি তোমার সাথে নিজের জীবন পাড় করতে, একি ঘরে ও একি বিছানায়।
আমি নিজের শরীরকে তোমার কাছে সপে দিতে চাই, যেভাবে স্ত্রী দেয় তার স্বামীকে।"
প্রকৃতপক্ষে উক্ত মন্ত্রের অর্থ কি নীচে দেওয়া হলো দেখুনঃ👇
य॒मस्य॑ माय॒म्यं काम॒ आग॑न्त्समा॒ने योनौ॑ सह॒शेय्या॑य।
जा॒येव॒ पत्ये॑ त॒न्वंरिरिच्यां॒ वि चि॑द्वृहेव॒ रथ्ये॑व च॒क्रा ॥[अथर्ववेद18/1/8]
देवता: आर्षी पङ्क्ति ऋषि: यम, मन्त्रोक्त छन्द: अथर्वा स्वर: पितृमेध सूक्त
पदार्थान्वयभाषाः -(यमस्य) यम [जोड़ियाभाई] की (कामः) कामना (मा) मुझ (यम्यम्) यमी [जोड़िया बहिन] को, (समाने योनौ) एकघर में (सहशेय्याय) साथ-साथ सोने के लिये, (आ अगन्) आकर प्राप्त हुयी है। (जायाइव) पत्नी के समान (पत्ये) पति के लिये (तन्वम्) [अपना] शरीर (रिरिच्याम्) मैंफैलाऊँ, (चित्) और (रथ्या) रथ ले चलनेवाले (चक्रा इव) दो पहियों के समान (विविरहेव) हम दोनों मिलें ॥
भावार्थभाषाः -स्त्री का वचन है। तूऔर मैं दोनों एक माता से एक साथ जोड़िया उत्पन्न हुए हैं[भुमि दोनों को माता, rigved 10/18/10-11-12, सो हम दोनों में अतिप्रीति है। हम दोनों ही आपस में विवाह करके पति-पत्नी बनें और मिलकर गृहस्थआश्रम चलावें, जैसे रथ के दो पहिये धुरा के साथ आपस में मिलकर रथ चलाते हैं ॥[stree ka vachan hai. tooaur main donon ek maata se ek saath jodiya utpann hue hain[bhumi donon ko maata], so ham donon mein atipreeti hai. ham donon hee aapas mein vivaah karake pati-patnee banen aur milakar grhasthaashram chalaaven, jaise rath ke do pahiye dhura ke saath aapas mein milakar rath chalaate hain .]
टिप्पणी:८−(यमस्य) यम परिवेषणे-अच्। एकगर्भजायमानस्य यमजस्य भ्रातुः (मा) माम् (यम्यम्)यम ङीष् गौरादित्वात्, यणादेशः। यमीम्। एकगर्भजायमानां यमजां भगिनीम् (कामः)कामना (आ अगन्) आगमत् (समाने) एकस्मिन्नेव (योनौ) गृहे (सहशेय्याय) अचो यत्। पा०३।१।९७। शीङ् शयने-यत्। शेयं शयनं स्वार्थेयत्। सहशयनाय (जाया) पत्नी (इव) यथा (पत्ये) स्वभर्त्रे (तन्वम्) तनूम्। स्वशरीरम् (रिरिच्याम्) रिचिर् विरेचने।विस्तारयेयम् (चित्) अपि च (वि वृहेव) परस्परसंश्लेषो विवर्हा। आवां संश्लेषंकरवाव (रथ्या) तद्वहति रथयुगप्रासङ्गम्। पा० ४।४।७६। इति यत्। विभक्तेः।पूर्वसवर्णदीर्घः। रथ्ये। रथवाहके (इव) यथा (चक्रा) चक्रद्वे ॥-पण्डित क्षेमकरणदास त्रिवेदी
■ জয়নব বিনতে জাহশ (জন্ম আনুমানিক ৫৯০– মৃত্যু ৬৪১) ছিলেন মুহাম্মদ এর ফুফাতো বোন এবং একইসাথে তার স্ত্রী। তার মা ছিলেন উমামা বিনতে আবদুল মুত্তালিব, কুরাইশ গোত্রের হাশিম বংশের সদস্য এবং মুহাম্মদের পিতা আবদুল্লাহর আপন বোন। যয়নব ও তার পাঁচ ভাইবোন ছিলেন মুহাম্মদের ফার্স্ট ব্লাড কাজিন বা আপন চাচাত ভাই বা বোন। একটি হাদিস এখানে প্রাসঙ্গিক,
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ (3298)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২. কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়
৩২৯৮-(৯/১৪০৩) আমর ইবনু আলী (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর বের হয়ে সাহাবীগণের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়ত্বানের বেশে এবং ফিরে যায় শায়ত্বানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ৩২৭৩, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী ছিলেন নবী মুহাম্মদের আপন চাচাতো ভাই। নবী মুহাম্মদ তার সাথে তার আপন মেয়েকে বিবাহ দিয়েছিলেন।
■ মুহাম্মাদের কন্যা জয়নব বিনতে মুহাম্মাদ এর কন্যা ছিলেন উমামা, পুরো নাম উমামা বিনতে আবিল আস মুহাম্মাদ। মুহাম্মদের চাচাতো ভাই এবং একইসাথে মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমার স্বামী হযরত আলী তাকে বিয়ে করেছিলেন। এর অর্থ হচ্ছে, হযরত আলী একই সাথে নবী মুহাম্মদের আপন চাচাতো ভাই, মেয়ের জামাই এবং নাতনীর জামাই।
■ ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমরও বিবাহ করেন তার চাচাতো বোন আতিকা বিনতে যায়েদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইলকে। তিনি দেখতে অনেক সুন্দরী ছিলেন। [al-Bidayah wa al-Nihayah 6/352 by ibn Kathir ]
■ ইসলামে ফার্স্ট ব্লাড এবং সেকেন্ড ব্লাড কাজিন বিবাহ বৈধ এবং আইনগতভাবে একে নিষিদ্ধ করা কিংবা নিরুৎসাহিত করা কোন ইসলামিক দেশে সম্ভব নয়। এই বিষয়ে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আলেমদের দ্বারা পরিচালিত প্রখ্যাত ইসলাম বিষয়ক ওয়েবসাইট ইসলামকিউএ থেকে একটি প্রশ্নোত্তর দেখে নিই [Ruling on marrying cousins - Islam Question & Answer (islamqa.info)].
সাম্প্রতিকতম গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০.৪ শতাংশ হয় কোন নিকটাত্মীয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ অথবা সমগোত্রীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ যুগলের অপত্য (Bittles and Black 2010)[Bittles, A. H. and M. L. Black (2010). “Evolution in health and medicine Sackler colloquium: Consanguinity, human evolution, and complex diseases.” Proc Natl Acad Sci U S A 107 Suppl 1: 1779-1786.]। North Africa, West Asia, and South India বহু জনগোষ্ঠীতে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বিবাহ সমগোত্রীয় বিবাহ হয়; সেখানে এই পদ্ধতিই বেশি পছন্দ করা হয়। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ বিবাহ first cousin এর মধ্যে হয় (Tadmouri, Nair et al. 2009) [Tadmouri, G. O., P. Nair, T. Obeid, M. T. Al Ali, N. Al Khaja and H. A. Hamamy (2009). “Consanguinity and reproductive health among Arabs.” Reprod Health 6: 17.]। জম্মু কাশ্মীরে সমগোত্রীয় বিবাহের প্রাদুর্ভাব প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ (Fareed and Afzal 2014[Fareed, M. and M. Afzal (2014). “Estimating the inbreeding depression on cognitive behavior: a population based study of child cohort.” PLoS One 9(10): e109585.], Fareed and Afzal 2014[Fareed, M. and M. Afzal (2014). “Evidence of inbreeding depression on height, weight, and body mass index: a population-based child cohort study.” Am J Hum Biol 26(6): 784-795.]। Middle East, Northern Africa, and South Asia-র বিভিন্ন দেশে সমগোত্রীয় বিবাহ প্রায় ১৬০০ বছর থেকেই বিদ্যমান। সেই সমস্ত দেশগুলিতে প্রথাগতভাবে এবং সামাজিকভাবে বৈধ (Bittles, Grant et al. 2002 [Bittles, A.H., et al., Does inbreeding lead to decreased human fertility? Ann Hum Biol, 2002. 29(2): p. 111-30.], Bener and Alali 2006 [Bener, A. and K.A. Alali, Consanguineous marriage in a newly developed country: the Qatari population. J Biosoc Sci, 2006. 38(2): p. 239-46.]। সমগোত্রীয় বিবাহের হার Egypt-এ 68 % (Mokhtar and Abdel-Fattah 2001[Al-Awadi, S. A., M. A. Moussa, K. K. Naguib, T. I. Farag, A. S. Teebi, M. el-Khalifa and L. el-Dossary (1985). “Consanguinity among the Kuwaiti population.” Clin Genet 27(5): 483-486.), Jordan-এ 51–58 %, United Arab Emirates-তে 50 % (Bener et al. 1996[Bener, A., Y. Abdulrazzaq and A. Dawodu (1996). “Sociodemographic risk factors associated with low birthweight in United Arab Emirates.” Journal of biosocial science 28: 339-346]), Kuwait-এ 54 % (Al-Awadi et al. 1985[Al-Awadi, S. A., M. A. Moussa, K. K. Naguib, T. I. Farag, A. S. Teebi, M. el-Khalifa and L. el-Dossary (1985). “Consanguinity among the Kuwaiti population.” Clin Genet 27(5): 483-486] ; Hijazi and Haider 2001[Hijazi, Z. and M. Z. Haider (2001). “Influence of consanguinity and IgE receptor genotypes on clinical manifestations of asthma in Kuwaiti children.” Journal of Tropical Pediatrics 47(1): 13-16], Saudi Arabia-তে 58 % (El-Hazmi et al. 1995[el-Hazmi, M. A., A. R. al-Swailem, A. S. Warsy, A. M. al-Swailem, R. Sulaimani and A. A. al-Meshari (1995). “Consanguinity among the Saudi Arabian population.” J Med Genet 32(8): 623-626.]), Yemen-এ 40 % to 47 % (Jurdi and Saxena 2003[Jurdi, R. and P. Saxena (2003). “The prevalence and correlates of consanguineous marriages in Yemen: Similarities and contrasts with other Arab countries.” Journal of biosocial science 35: 1-13.]; Gunaid et al. 2004 [Gunaid, A. and N. Hummad (2004). “Consanguineous marriage in the capital city Sana’a, Yemen.” Journal of biosocial science 36: 111-121]), এবং Oman-এ 50 % (Rajab et al. 2000) [Rajab, A., Q. Al Salmi, J. Jaffer, A. J. Mohammed and M. A. Patton (2014). “Congenital and genetic disorders in the Sultanate of Oman. First attempt to assess healthcare needs.” J Community Genet 5(3): 283-289.]।
ভারতে Kerala রাজ্যের Palakkad জেলার Mudugar and Irular উপজাতির মধ্যে সমগোত্রীয় বিবাহ 78.74 % and 72.20% (Joseph and Mathew 2005[oseph, S. and P. M. Mathew (2005). “Effects of Inbreeding in the Mudugar and Irular Tribal Populations in Kerala.” Journal of Human Ecology 17(4): 247-250])। দক্ষিণ ভারতের বহু অঞ্চলে বিভিন্ন জাতি ও উপজাতির মধ্যে সমগোত্রীয় বিবাহের বহুল প্রচলন আছে। ভারতে Mudugar and Irular উপজাতির মধ্যে শিশুমৃত্যুর হারও অনেক বেশী (Joseph and Mathew 2005[oseph, S. and P. M. Mathew (2005). “Effects of Inbreeding in the Mudugar and Irular Tribal Populations in Kerala.” Journal of Human Ecology 17(4): 247-250])। ভারতের সমগ্র জনসংখ্যার মধ্যে সমগোত্রীয় বিবাহের হার প্রায় ২০ থেকে ৫০ শতাংশ। এবং এর প্রধান কারণ বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ এবং জাতির বিভাজন। এর মধ্যে মুসলিমদের মধ্যেই এই হার সব থেকে বেশী (Bittles 2002) [Bittles, A. H. (2002). “Endogamy, consanguinity and community genetics.” J Genet 81(3): 91-98]।
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ যেখানে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বাস। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯০% এর বেশি মুসলমান। তীব্র ধর্মীয় অনুভূতি এবং সামাজিক বন্ধন সহ এই আধা-রক্ষণশীল সমাজ সমগোত্রীয় বিবাহ সমর্থন করে। তবে এই সমগোত্রীয় বিবাহের প্রাদুর্ভাব ও তার প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য খুব বেশী পাওয়া যায় না (Anwar, Taslem Mourosi et al. 2020) [Anwar, S., J. Taslem Mourosi, Y. Arafat and M. J. Hosen (2020). “Genetic and reproductive consequences of consanguineous marriage in Bangladesh.” PLOS ONE 15(11): e0241610]
বিভিন্ন দেশের সমগোত্রীয় বিবাহ এবং আন্তঃপ্রজননের সাথে জড়িত কিছু সাধারণ রোগ
Disease/Condition | Country | p-values | Reference |
---|---|---|---|
Cancer | |||
Different cancer types (Breast, Skin, Leukaemia and lymphoma, Colorectal, Thyroid, Female genital and Prostate cancer) | Qatar | 0.116 | Bener, A., H. R. El Ayoubi, L. Chouchane, A. I. Ali, A. Al-Kubaisi, H. Al-Sulaiti and A. S. Teebi (2009). “Impact of consanguinity on cancer in a highly endogamous population.” Asian Pac J Cancer Prev 10(1): 35-40. |
Thyroid cancer | Italy | <0.05 | Thomsen, H., B. Chen, G. Figlioli, R. Elisei, C. Romei, M. Cipollini, A. Cristaudo, F. Bambi, P. Hoffmann, S. Herms, S. Landi, K. Hemminki, F. Gemignani and A. Försti (2016). “Runs of homozygosity and inbreeding in thyroid cancer.” BMC Cancer 16(1): 227. |
Cardiovascular diseases | |||
Hypertension (systolic and diastolic blood pressure), Diabetes (Fasting blood glucose) | India | <0.001 | Fareed, M. and M. Afzal (2016). “Increased cardiovascular risks associated with familial inbreeding: a population-based study of adolescent cohort.” Ann Epidemiol 26(4): 283-292. |
Cognitive traits | |||
Intelligence quotient (IQ) | India | 0.0001 | Badaruddoza and M. Afzal (1993). “Inbreeding depression and intelligence quotient among north Indian children.” Behav Genet 23(4): 343-347, Fareed, M. and M. Afzal (2014). “Estimating the inbreeding depression on cognitive behavior: a population based study of child cohort.” PLoS One 9(10): e109585. |
Sensorineural hearing loss (SNHL) | Less developed countries (with high consanguinity rates) | NA | Smith, R. J., J. F. Bale, Jr. and K. R. White (2005). “Sensorineural hearing loss in children.” Lancet 365(9462): 879-890. |
Common Variable Immunodeficiency | |||
Autoimmunity, Bronchiectasis, Chronic diarrhea, Granuloma | France | <0.01 | Bakri, F. G., C. Martel, N. Khuri-Bulos, A. Mahafzah, M. S. El-Khateeb, A. M. Al-Wahadneh, W. A. Hayajneh, H. A. Hamamy, E. Maquet, M. Molin and M. J. Stasia (2009). “First report of clinical, functional, and molecular investigation of chronic granulomatous disease in nine Jordanian families.” J Clin Immunol 29(2): 215-230. |
Late-onset combine immune deficiency (LOCID) | France | 0.004 | Malphettes, M., L. Gérard, M. Carmagnat, G. Mouillot, N. Vince, D. Boutboul, A. Bérezné, R. Nove-Josserand, V. Lemoing, L. Tetu, J. F. Viallard, B. Bonnotte, M. Pavic, J. Haroche, C. Larroche, J. C. Brouet, J. P. Fermand, C. Rabian, C. Fieschi and E. Oksenhendler (2009). “Late-onset combined immune deficiency: a subset of common variable immunodeficiency with severe T cell defect.” Clin Infect Dis 49(9): 1329-1338. |
Lymphoma | Bakri, F. G., C. Martel, N. Khuri-Bulos, A. Mahafzah, M. S. El-Khateeb, A. M. Al-Wahadneh, W. A. Hayajneh, H. A. Hamamy, E. Maquet, M. Molin and M. J. Stasia (2009). “First report of clinical, functional, and molecular investigation of chronic granulomatous disease in nine Jordanian families.” J Clin Immunol 29(2): 215-230. | ||
Congenital heart disease (CHD) | |||
Egypt | NA | Bassili, A., S. A. Mokhtar, N. I. Dabous, S. R. Zaher, M. M. Mokhtar and A. Zaki (2000). “Risk factors for congenital heart diseases in Alexandria, Egypt.” Eur J Epidemiol 16(9): 805-814. | |
India | <0.001 | Badaruddoza, M. Afzal and Akhtaruzzaman (1994). “Inbreeding and congenital heart diseases in a north Indian population.” Clin Genet 45(6): 288-291. | |
India | 0.0001 | Ramegowda and Ramachandra 2006 | |
Iran | NS | Roodpeyma, Kamali et al. 2002 | |
Israel | <0.02 | Gev, Roguin et al. 1986 | |
Lebanon | <0.0001 | Nabulsi, Tamim et al. 2003 | |
Lebanon | <0.001 | Yunis, Mumtaz et al. 2006 | |
Lebanon | <0.0001 | Chehab, Chedid et al. 2007 | |
Saudi Arabia | <0.003 | El Mouzan, Al Salloum et al. 2008 | |
Saudi Arabia | <0.001 | Becker, Al Halees et al. 2001 | |
Fundus albipunctatus (Mutations in RLBP1) | Pakistan | Naz, Ali et al. 2011 | |
Genetic diseases | |||
Chromosomal abnormalities, Haematologic disorders, Neuromuscular disorders and others | Egypt | NA | Shawky, Elsayed et al. 2012 |
Sperm defects | Italy | 0.05 | Baccetti, Capitani et al. 2001 |
Hurler disease (mucopolysaccharidosis type IH) | Tunisia | NS | Chkioua, Khedhiri et al. 2011 |
Infectious diseases | |||
Tuberculosis (TB), hepatitis and leprosy | West Africans (Gambia), India and Italy | Lyons, Frodsham et al. 2009 | |
Chronic granulomatous disease (CGD) | Iran | 0.001(AR-CGD) <0.0001 (XL-CGD) | Segal, B. H., T. L. Leto, J. I. Gallin, H. L. Malech and S. M. Holland (2000). “Genetic, biochemical, and clinical features of chronic granulomatous disease.” Medicine (Baltimore) 79(3): 170-200. |
Jordan | NA | Rudan, I., T. Skarić-Jurić, N. Smolej-Narancić, B. Janićijević, D. Rudan, I. M. Klarić, L. Barać, M. Pericić, R. Galić, M. Lethbridge-Cejku and P. Rudan (2004). “Inbreeding and susceptibility to osteoporosis in Croatian island isolates.” Coll Antropol 28(2): 585-601. | |
Mycobacterial disease | Egypt | Galal, Boutros et al. 2012 | |
Malformations in Pregnancies/at Birth | Israel | 0.002 | Zlotogora and Shalev 2010 |
Israel | Bromiker, Glam-Baruch et al. 2004 | ||
Israel | Jaber, Merlob et al. 1992 | ||
Turkey | Demirel, Kaplanoğlu et al. 1997 | ||
Norway | Demirel, Kaplanoğlu et al. 1997 | ||
Childhood mortality | Tunisia | 0.008 | Kerkeni, Monastiri et al. 2007 |
Pakistan | 0.05 | Grant and Bittles 1997 | |
Pre-eclampsia | Netherland | <0.001 | Berends, Steegers et al. 2008 |
Iran | 0.014 | Anvar, Namavar-Jahromi et al. 2011 | |
Neurological disorders | |||
Amyotrophic lateral sclerosis (ALS) | Ireland | <0.01 | McLaughlin, Kenna et al. 2015 |
Spinal muscular atrophy (SMA) | Pakistan | NA | Ibrahim, Moatter et al. 2012 |
Primary glomerular diseases | Lebanon | NA | Karnib, Gharavi et al. 2010 |
Psychiatric disorders | |||
Mental retardation | India | NS | Sridhara Rama Rao and Narayanan 1976 |
Alzheimer’s disease | India | <0.05 | Kaur and Balgir 2005 |
Schizophrenia | Egypt | 0.001 | Ben Arab, Hmani et al. 2000 |
Retinitis pigmentosa | Indonesia | NA | Siemiatkowska, Arimadyo et al. 2011 |
আজ বিভিন্ন দেশ এই সমস্যার গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্তঃপ্রজনন তথা নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হয় নিষিদ্ধ করেছে অথবা এই রীতির প্রচলন সীমিত করার প্রচেষ্টা করছে। USA-তে রাজ্য স্তরে, the Peoples Republic of China, Taiwan, the Republic of Korea and the Democratic People’s Republic of Korea এই ধরনের সম্পর্কের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। Arizona, Mississippi, Nevada, North Dakota, Oklahoma, South Dakota, Texas, Utah and Wisconsin এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে ‘first-cousin marriage’ একটি ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হয়।
এখানে একটা প্রশ্ন এসেই যায়। আন্তঃপ্রজননের প্রভাব সম্পর্কে কি আধুনিক বিজ্ঞানই কি আমাদের প্রথম অবগত করলো? উত্তরটা হোল, না। প্রাচীনকালেও মানুষ আন্তঃপ্রজননের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেছে। এই কারণেই বিভিন্ন হিন্দু ধর্ম (রিলিজিওন) বা বৈদিক শাস্ত্রে এই প্রথাকে অবৈধ হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে ধর্মের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে একরকম taboo-তে। যারা যারা এই ধরনের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন তারা সমাজ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। বিবাহের লক্ষণ বিষয়ে আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী তাঁর অমর গ্রন্থ সত্যার্থ প্রাকাশে মনুস্মৃতি ৩।১৭ এর শ্লোক উদ্ধৃতি করে বৈদিক মতের ব্যখ্যা দিয়েছেন। এছাড়া এই গ্রন্থের চতুর্থ সমুল্লাসে বিবাহ সংক্রান্ত বিশদ বিবরন দেওয়া হয়েছে।
পাণিনীয় শাস্ত্রে উল্লেখ আছে - অপত্যাম পৌত্রপ্রভৃতি গোত্রম্।
অর্থাৎ, অপত্য (সন্তান), পৌত্র এবং এভাবে চলতে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে হয় গোত্র। আর্যগণ অনেক আগেই এই গোত্র সৃষ্টি করেছিল, মূলত বিবাহের এবং বংশ পরিচয়ের জন্য। এবং স্বগোত্রে বিবাহ নিষিদ্ধ করেছেন, কারণ -
১. স্বগোত্রে বিবাহ মানে নিজের ভাই-বোনদের মধ্যে বিবাহ।
২. স্বগোত্রে বিবাহে বংশধর বিকলাঙ্গ হয়, এমনকি প্রতিবন্ধী বা মৃত সন্তানের জন্মও হতে পারে।
৩. বংশগত রোগ প্রকটভাবে দেখা দিতে পারে।
৪. বংশ ধ্বংস হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা - বিজ্ঞান মতে প্রতিবার কোষ বিভাজনে Chromosome-এর শেষাংশে কিছু ক্ষয় দেখা দেয়। এবং যা বিরাট ক্ষয়ের সৃষ্টি করে যখন একজন ব্যক্তি বড় হতে থাকে। এবং ভাই বোনের মধ্যে তার রূপ প্রায় একই থাকে। জননের সময় Crossing-Over প্রক্রিয়ায় যা ঠিক হতে পারে যদি তা নতুন Gene-এর সঙ্গে পরিবর্তন করে। কিন্তু সেই Gene যদি একই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে তাতে লাভ হয় না। যেই ক্ষয় সেই ক্ষয়ই রয়ে যায়। এবং এরকম চলতে থাকলে, এক পর্যায়ে তা বিরাট রূপ ধারণ করে। এবং Gene নষ্ট করে ফেলে। তাতে মানুষের মৃত শিশু তথা দুর্বল শিশুর জন্ম হয়। এবং এরা বেশিদিন বাঁচতে পারে না। প্রথম পর্যায়ের বা ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভ মানে আপন চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে। আর দ্বিতীয় বা সেকেন্ড ডিগ্রি রিলেটিভ মানে বাবা বা মায়ের চাচাতো, মামাতো, খালাতো বা ফুফাতো ভাইবোনের সন্তানদের মধ্যে বিয়ে। এই দুই ধরনের কাজিন ম্যারেজের কারণে জন্ম নেওয়া সন্তানের মধ্যে নানা বংশগত রোগের ঝুঁকি বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। বিশেষত জিনবাহিত বংশধারার রোগগুলোর প্রকোপ এতে বাড়ে।
অসুস্থ জিনগুলোর কার্বন কপি যখন মা-বাবা দুই বাহক থেকে সন্তানে বাহিত হয়, তখন তা তীব্র আকারে প্রকাশ পায়। নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ের কারণে সন্তানের যেসব ঝুঁকি বাড়ে তা হলো:
১. গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব
২. শারীরিক ত্রুটিসংবলিত শিশুর জন্ম স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ গুণ বেশি হয়
৩. প্রথম বছর বয়সে শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু
৪. হঠাৎ অজানা কারণে শিশুমৃত্যু
৫. যথাযথভাবে শিশু বৃদ্ধি না হওয়া
৬. শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা
৭. মৃগী রোগ
৮. অজানা রোগ
৯. নানা রকমের রক্তরোগ যেমন সিকেল সেল ডিজিজ ও বিটা থ্যালাসেমিয়া।
বাংলাদেশে এমনিতেই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক বেশি, হিমোগ্লোবিন ই ডিজিজের বাহকও কম নয়। নিকটাত্মীয়ের বিয়েতে এ ধরনের রোগ নিয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
যেসব পরিবারে জন্মগত বিভিন্ন রোগের ইতিহাস আছে, সেখানে আত্মীয় বিয়ের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকা উচিত। রানী ভিক্টোরিয়া, চার্লস ডারউইন, আলবার্ট আইনস্টাইন এরা সকলেই তাদের কাজিনের সাথে বিবাহে জড়িয়েছিলেন। হয়তো আপনাদের মনে হতে পারে এদের মতো লোকে যদি এ কাজ করতে পারেন তবে আমরা করলে কী সমস্যা? মনে স্বাভাবিক প্রশ্ন আসতে পারে কাজিনদের বিয়ে করা কতটা নিরাপদ? বিভিন্ন গবেষণায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে কাজিনদের মধ্যে বিয়ের ফলে যে বাচ্চা হয় তার কিছু ত্রুটি থাকে। মৌলিক জেনেটিক নীতিগুলো বোঝা গেলে এ ব্যাপারে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। আমেরিকার ২৪টি স্টেটে ফার্স্ট কাজিন অর্থাৎ সরাসরি চাচাতো ভাই-বোনকে বিয়ে করা সম্পূর্ণ নিষেধ। কারণ হিসেবে অনাগত শিশুর সম্ভাব্য জন্মগত ত্রুটিকেই দেখা হয়।
কাজিন দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ের বা ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভ মানে আপন চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে। আর দ্বিতীয় বা সেকেন্ড ডিগ্রি রিলেটিভ মানে বাবা বা মায়ের চাচাতো, মামাতো, খালাতো বা ফুফাতো ভাইবোনের সন্তানদের মধ্যে বিয়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞান অবশ্য রক্ত সম্পর্কের বিবাহকে বেশি উৎসাহ দিতে রাজি নয়। বলা হয় ফার্স্ট কাজিনদের (সরাসরি খালাতো, মামাতো, চাচাতো বা ফুফাতো ভাইবোন) জিনগত মিল প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ, অর্থাৎ তারা বংশপরম্পরায় অনেক জিন একইভাবে বহন করে চলেছেন। এ কারণে যেসব রোগবালাই তাদের বংশে রয়েছে, সেসব তাদের সন্তানদের মধ্যে আরো প্রকটভাবে দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিশেষ করে অটোসোমাল রিসেসিভ কিছু রোগ (যেমন, থ্যালাসেমিয়া, সিকল সেল অ্যানিমিয়া, সিস্টিক ফাইব্রোসিস) পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তীব্রতর হয়ে দেখা দিতে পারে। নিজ বংশ এবং নিজ গোত্রে বিবাহরীতির কারণে থ্যালাসেমিয়া ও জিনগত রক্তরোগ মধ্যপ্রাচ্যে একসময় এত প্রকট আকার ধারণ করেছিল যে, আরব সরকার বিয়ের আগে বর-কনের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে দেয়। এ ছাড়া গবেষণা বলছে পরস্পরের আত্মীয় স্বামী-স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে জন্মগত জটিলতা, ডাউনস সিনড্রোম, গর্ভপাত বা নবজাতক মৃত্যুর হার অন্যদের তুলনায় সামান্য হলেও বেশি।
ইসলামী দেশ বাংলাদেশে এমনিতেই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক বেশি, হিমোগ্লোবিন ই ডিজিজের বাহকও কম নয়। নিকটাত্মীয়ের বিয়েতে এ ধরনের রোগ নিয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
অর্থাৎ এমন কাজিনের মধ্যে বিবাহের ফলে প্রতি চারটি সন্তানের মধ্যে একটি সন্তানের শারিরীক সমস্যা হতে পারে। শুধু যে কাজিনের সাথে বিবাহ করলে এমন হবে তা না। বরং একই এলাকায় বা একই পরিবেশে যারা থাকেন তাদের জিনগত সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যত পারা যায় দূরে গিয়ে বিয়ে করা উচিত। এতে সমস্যার আশঙ্কা কম।
২০১০ সালের এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বধিরতা, দৃষ্টি ক্ষমতার ত্রুটি, মানসিক বিকারগ্রস্ততার মতো সমস্যাও বিবাহিত কাজিনদের সন্তানের মাঝে প্রকট। এক্ষেত্রে ব্রিটেনে জন্মত্রুটি নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুদের ওপর করা এক গবেষণা উল্লেখযোগ্য। দেখা গেছে, ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে ৬.১ শতাংশ শিশুর পিতামাতা কাজিন। আরো চমকপ্রদ তথ্য হলো, এই ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৯৮ শতাংশই হচ্ছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। ব্রিটেনের পাকিস্তানি অভিবাসীদের মধ্যে নিজেদের মধ্যে বিবাহপ্রথা চলে আসছে লম্বা সময় ধরে।
নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে নানা মতবাদ প্রচলিত। কেউ মনে করেন একই পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা আত্মীয় দুটি ছেলেমেয়ের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হবে এবং মানিয়ে নেওয়াটাও সহজ হবে। অনেক পরিবারে বা গোত্রে মনে করা হয় এতে করে পরিবারের সম্পত্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবারের মধ্যেই থাকবে।
তবে শেষ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিবারের মধ্যে বিয়ে ঠিক করার আগে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে জন্মগত ত্রুটি, কম বয়সে দৃষ্টি ও শ্রবণ সমস্যা, জিনগত রক্তরোগ, খিঁচুনি ইত্যাদি রোগের প্রকোপ আছে কি না দেখে নেওয়া উচিত। অনেক দেশে কাজিন ম্যারেজের আগে বিবাহপূর্ব কাউন্সেলিং ও স্ক্রিনিংয়েরও ব্যবস্থা আছে।
এমন কথা অনেকেই বলেছেন যে, বিভিন্ন দুর্লভ, হানিকারক বংশগত রোগ আন্তঃপ্রজননের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তার কারণ হিসাবে তারা বলেছেন, আন্তঃপ্রজনন এই প্রচ্ছন্ন গুণগুলিকে প্রকট করে তোলে এবং প্রজননে অক্ষম অপত্যের মৃত্যুর ফলে এই বৈশিষ্ট্যগুলি ধীরে ধীরে লোপ পায়। তারা আরও বলেছেন যে দূর সম্পর্কে বিবাহ করলে এই গুণগুলি প্রচ্ছন্ন ভাবে বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হতে থাকে। এই যুক্তি দেখতে যতই ভালো মনে হোক বাস্তবে প্রয়োগ করা যায় না। তার কারণ এই পদ্ধতিতে বহু মানুষের মৃত্যুর আশাঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি সমাজে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবও (disease load) বাড়তে থাকে। তাছাড়া এই প্রছন্ন গুণগুলি অনেক আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ ব্যক্তির মধ্যেও প্রবাহিত হতে থাকবে। তাই আন্তঃপ্রজনন রীতি অব্যাহত রাখলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে অনেক বেশী। শুধু তাই নয়, এই আন্তঃপ্রজননের মাধ্যমে এই ভাবে বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য নিরসন করতে গেলে কৃত্রিমভাবে নারী পুরুষের যুগল চয়ন করতে হবে, যা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব।
বিভিন্ন বিজ্ঞান ভিত্তিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের সামনে আজ বহু তথ্য প্রমান আছে। আমাদের কাছে বিভিন্ন তত্ত্ব আছে যার সাহায্যে সঠিক ভাবে কার্যকারণ ব্যাখ্যা করতে পারি। আজ আমরা জানি বংশগতি কিভাবে কাজ করে। আমরা যেমন নিকটাত্মীয়ের সাথে বিবাহের ফলে পরবর্তী প্রজন্মের উপর কুপ্রভাবের কথা যেমন জানি, তেমনি এটাও জানি দূর সম্পর্কে বিবাহ হলে তার ফলে উৎপন্ন genetic variation এর সুবিধা।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ