কোরান ৫/৩২ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

19 August, 2021

কোরান ৫/৩২

 “যে কোন একজনকে হত্যা করলে সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করলো, যে কাউকে রক্ষা করলো সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করলো। (কোরান ৫:৩২)

কোরান ৫/৩২

মনে হবে কোরান কত ভাল কথা বলেছে, ইশ্বর মানুষকে সাবধান করে দিয়েছেন যেন কেউ কাকে হত্যা না করে। এখন মুমিন ভাইদের সাথে তর্ক করলে তারা এ আয়াতটা দেখিয়ে দেন। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না এ কথাটা মোহাম্মদ বা তার তৈরি সন্ত্রাসী আল্লাহর শিক্ষা নয় যেহেতু সন্ত্রাসীরা কখনোই এমন শিক্ষা দিতে পারে না। এ কথাটা অথাত্‍ আয়াতের কথাটা ছিল জুডায়িজম (judaism) বা জিউসদের গ্রন্থের। দেখুন: যে একটি আত্মাকে ধংস করে সে যেন পুরো পৃথিবী ধংস করে,আর যে একটি আত্মাকে রক্ষা করে সে যেন পুরো পৃথিবীকে রক্ষা করে (Jerusalem talmud sanhedrin 4:1)


কাউকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা নয়, এ বানীর মাধ্যমে আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে শেখায় যে আমরা যেন মানুষ হত্যা না করি। এ বানীর কাহিনীটি ছিল abel এবং cain দুই ভাইকে নিয়ে যেখানে মুসলিমরা বলে হাবিল এবং কাবিল। আমরা দেখছি মোহাম্মদ ইহুদীদের বইয়ের বক্তব্য মেরে দিয়েছেন। আমরা কিভাবে মোহাম্মদকে / আল্লাহকে এখানে শ্রদ্ধা করবো। সমস্যা এখানেই শেষ নয়।

ঐ বানীর উত্‍স talmud. ঐ talmud কে ইশ্বরের বই হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। এটা ছিল sanhedrin এর নৈতিকতার শিক্ষার বিবরনী। যা মোহাম্মদ এনে আল্লার বলে চালিয়ে দিয়েছে। আরো সমস্যা, এ বানী অথবা আয়াতটা আমাদের শিখায় মানুষ হত্যা করা জঘন্য কাজ।

 অথচ মোহাম্মদ নিজেই বহু মানুষ হত্যা করে গেছেন। ধর্ষন লুটপাট হত্যা তার ছিল স্বাভাবিক কাজ। এমনকি মোহাম্মদ যে ইসলাম ত্যাগ করে তার জন্য মৃত্যেদন্ডের কথা বলে গেছেন (বুখারী:4:52:260) এবং তার সমালোচকেদেরও হত্যা করেছেন শুধু তার বিরুদ্ধে কবিতা লিখায়(বুখারীঃ59:369) এবং বলে গেছেন এসব সমালোচকদের হত্যা করার কথা (বুখারী ৩:১০৬)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করো।  সুনানে ইবনে মাজাহ [সহীহ বুখারী (তাওহীদ) (3929) অধ্যায়ঃ ৩০] ৩/৩৯২৯।

সহীহ বুখারী৩০৩২. জাবির (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কা’ব ইবনু আশরাফকে হত্যা করার দায়িত্ব কে নিবে?’ তখন মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) বললেন, ‘আপনি কি পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি?’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) বললেন, ‘তবে আমাকে অনুমতি দিন, আমি যেন তাকে কিছু বলি।’ তিনি বললেন, ‘আমি অনুমতি দিলাম।’ (২৫১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮১৭)

পরিচ্ছদঃ ৮৭/৩১. কাফেরের বদলে মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না।
৬৯১৫. আবূ জুহাইফাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের কাছে এমন কিছু আছে কি যা কুরআনে নেই? তিনি বললেন, দিয়াতের বিধান, বন্দী-মুক্তির বিধান এবং (এ বিধান যে) কাফেরের বদলে কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না। (১১১) (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৪৭)

আল্লাহ্ তালা বলেছেন ইসলাম থেকে বিমুখ হলে হত্যা করো

তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।-কুরআন ৪ঃ৮৯

মূর্তিপুজারীদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন কুরআনের দয়ালু আল্লাহ্

"..অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"-কুরআন ৯ঃ৫

কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহবান দিয়েছেন কোরানের আল্লাহ্

  • -হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্খান।-কুরআন ৬৬ঃ৯
  • -হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।- তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা। কুরআন ৯ঃ৭৩
  • -তা এই যে, তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্খাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।-কুরআন ৬১ঃ১১
  • -তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।-কুরআন ২ঃ২১৬
  • -যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।-কুরআন ৯ঃ১৪
  • -সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়।-কুরআন ৮ঃ৫৭
  • -মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল।-কুরআন ৪৮ঃ২৯
  • -আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।-কুরআন ২ঃ১৯১
  • -আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অত:পর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)-কুরআন ২ঃ১৯৩
  • -যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।-কুরআন ৫ঃ৩৩
  • -যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট আঙ্গুলের জোড়ায় জোড়ায়।
    কুরআন ৮ঃ১২
  • -হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।
    কুরআন ৮ঃ১৫
  • -আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহ্র সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ্ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।
    কুরআন ৮ঃ৩৯
  • -আর কাফেররা যেন একা যা মনে না করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না। কুরআন ৮ঃ৫৯
  • -আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যরে মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহ্র শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ্ তাদেরকে চেনেন। বস্তুত: যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহ্র রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।-কুরআন ৮ঃ৬০
  • -অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।-কুরআন ৯ঃ৫
  • -তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।-কুরআন ৯ঃ২৯
  • -হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।-কুরআন ৯ঃ১২৩
  • -বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হ্রাস করে আনছি। এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?-কুরআন ২১ঃ৪৪
  • -অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন।-কুরআন ২৫ঃ৫২
  • -তিনিই কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়ী-ঘর থেকে বহিস্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমনদিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়ী-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল। অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।-কুরআন ৫৯ঃ২

গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদেরকে বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন।-কুরআন ৪৮ঃ১৬

তাছাড়া আরো অনেক সংশ্লিষ্ট হাদিশ আছে যেখানে এমন কোন অপরাধ নেই যা উনি করেন নি। যাহোক,আমরা হিটলার, মুসোলিনির কথা জানি, এরা পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক, এদের ব্যাক্তিগত হয়তো কিছু ভাল ব্যাপার থাকতে পারে কিন্তু তাই বলে আমরা এদেরকে মহামানব কখনোই বলবো না।মোহাম্মদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। তার ব্যাক্তিগত দু একটা ভাল জিনিস থাকতে পারে তাই বলে কি আমরা তাকে মহামানব বলব?না। হিটলার মুহাম্মদ এরা ছিল শয়তানের ত্রিনিটি।পৃথিবীতে মাঝে মাঝে কিছু বদমাশ তৈরি হয়।তাই বলা যায়, উক্ত আয়াতটা অথাত্‍ ভালো কথাটা ইসলামের শিক্ষা নয় বরং ইহুদী নাসারাদের শিক্ষা।

  • তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। কুরআন ৯ঃ২৯
  • হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না। কুরআন ৫ঃ৫১
  • মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে যদি তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ভয়ের আশঙ্কা থাকে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন এবং আল্লাহর নিকটই প্রত্যাবর্তন। কুরআন ৩ঃ২৮
  • হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের সর্বনাশ করতে ত্রুটি করবে না। তারা তোমাদের মারাত্মক ক্ষতি কামনা করে। তাদের মুখ থেকে তো শত্রুতা প্রকাশ পেয়ে গিয়েছে। আর তাদের অন্তরসমূহ যা গোপন করে তা অধিক ভয়াবহ। অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্ট বর্ণনা করেছি। যদি তোমরা উপলব্ধি করতে। কুরআন ৩ঃ১১৮
  • তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহ্র পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। কুরআন ৪ঃ৮৯
  • যারা মুমিনদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি তাদের কাছে সম্মান চায়? অথচ যাবতীয় সম্মান আল্লাহর। কুরআন ৪ঃ১৩৯
  • হে মুমিনগণ, তোমরা মুমিনগণ ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহর জন্য তোমাদের বিপক্ষে কোন স্পষ্ট দলীল সাব্যস্ত করতে চাও? কুরআন ৪ঃ১৪৪
  • হে মুমিনগণ, তোমরা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যারা তোমাদের দীনকে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছে, তাদের মধ্য থেকে তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে ও কাফিরদেরকে। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক। কুরআন ৫ঃ৫৭
  • আর তুমি পরিত্যাগ কর তাদেরকে, যারা নিজদের দীনকে গ্রহণ করেছে খেল-তামাশা রূপে এবং প্রতারিত করেছে যাদেরকে দুনিয়ার জীবন। আর তুমি কুরআন দ্বারা উপদেশ দাও, যাতে কোন ব্যক্তি তার কৃতকর্মের দরুন ধ্বংসের শিকার না হয়, তার জন্য আল্লাহ ছাড়া নেই কোন অভিভাবক এবং নেই কোন সুপারিশকারী। আর যদি সে সব ধরণের মুক্তিপণও দেয়, তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। এরাই তারা, যারা ধ্বংসের শিকার হয়েছে তাদের কৃতকর্মের দরুন। তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানীয় এবং বেদনাদায়ক আযাব, যেহেতু তারা কুফরী করত। কুরআন ৬ঃ৭০
  • মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে। কুরআন ৬০ঃ১৩
  • -হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরীকে প্রিয় মনে করে। তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারাই যালিম। কুরআন ৯ঃ২৩
  • -আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে। কুরআন ২৯ঃ৮
  • -পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো। কুরআন ৩১ঃ১৫
  • -আর তুমি আশা করছিলে না যে, তোমার প্রতি কিতাব (কুরআন) নাযিল করা হবে, বরং তা তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। অতএব, তুমি কখনো কাফিরদের জন্য সাহায্যকারী হয়ো না।-কুরআন ২৮ঃ৮৬
কোন কাফেরকে হত্যার অপরাধে কোন মুসলমানকে হত্যা করা যাবে না।
সহীহুল বুখারী ১১১, ১৮৭০, ৩০৪৭, ৩০৩৪, ৩১৭২, ৩১৮০, ৬৭৫৫, ৬৯০৩, ৬৯১৫, ৭৩০০, মুসলিম ১৩৭০, তিরমিযী ১৪১২, ২১২৭, নাসায়ী ৪৭৩৪, ৪৭৩৫, ৪৭৪৪, ৪৭৪৫, ৪৭৪৬, ৪৫৩০, আহমাদ ৬০০, ৬১৬, ৪৮৪, ৯৬২, ৯৯৪, ১০৪০, দারেমী ২৩৫৬, ইরওয়া ২২০৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

মক্কায় একে অপরের প্রতি সালাম (শান্তি বর্ষণ ) দিয়ে ইসলামের শুরু করলো নবী মোহাম্মাদ । আল্লাহও শুরু করলেন ব্যক্তি কেন্দ্রিক “শান্তির” আয়াত দিয়ে –

তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে। [সুরা কাফিরূন: ৬

দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী `তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন। সুরা বাকারা: ২৫৬।

কিন্তু শেষ করলেন নিজের জন্য শান্তি রেখে অন্যের প্রতি (তাঁকে যারা মানে নাই) অশান্তি বর্ষণ দিয়ে । সাথে সাথে আল্লাহও অন্যের ধংস কামনা করতে কিভাবে এগিয়ে এলেন দেখুন –

“আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে,এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।“ ( সুরা লাহাব ১-৫)

যে শুধু নিজেদের ভাল চায় কিন্তু সব সময় অন্যের অমঙ্গল কামনা করে তাকে সভ্য সমাজের জন্য ক্ষতিকর হিসাবে চিহ্নিত করেছিল প্যাগন ধর্মাবলম্বী মক্কা বাসিরা । বিজ্ঞ আলেমগন সেই প্যাগনদেরকে বর্বর ও অসামাজীক বলেই চিহ্নিত করেছেন । ইসলামের এই ন্যায় নীতি বোধ কি বিচিত্র তাই না ? সত্যি সত্যিই কারা বর্বর সেটা এখন আপনারা চিহ্নিত করবেন আপনাদের জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেক দিয়ে ।

দীর্ঘ সময়েও সুবিধা করতে না পেরে মূলত নিজেদের শান্তির জন্য অন্যদের জীবন অশান্তি দিয়ে পূর্ণ করার মানসে মক্কা থেকে পালিয়ে ইসলামের যাত্রা শুরু হলো মদিনার উদ্দেশ্যে । সংক্ষেপে যাকে হিজরত করা বলে ।


৬২২ খ্রীস্টাব্দে ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার দিন মদিনার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছার আগে প্রথমে কোবা নামক পল্লীতে নও মুসলিম বনি আমর ইবনে আওফের মেহমান হন যার সাহায্যে মোহাম্মদ এই মদিনায় আশ্রয় লাভ করেছিলেন । এখানে তিনি ১৪ দিন অবস্থান করেন। হজরত কুলসুম ইবনে হাদাম (রাঃ) নামক জনৈক প্রবীণ সাহাবির এক খণ্ড ভূমির ওপর সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মিত হয়। কোবা পল্লীর এ মসজিদ খানাই ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম মসজিদ।

মসজিদে কোবার বৈশিষ্ট্য : – হজরত নবী করিম (সাঃ) নিয়মিত কোবার মসজিদ জিয়ারত করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও এ ব্যাপারে উত্সাহিত করতেন।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর বর্ণনা করেন, হজরত নবী কর নিয়মিতভাবে প্রতি শনিবার কোবার মসজিদে জিয়ারত করতেন। কখনও কোনো সরওয়ারীতে আরোহণ করে আবার কখনও বা হেঁটে যেতেন (বুখারি শরিফ ১ম খণ্ড, মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড)।অন্য এক হাদিসে রয়েছে, কোবার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা একটি ওমরাহর সমতুল্য পুণ্যের কাজ (তিরমিযি শরিফ, ইবনে আবিশাইবা ২য় খণ্ড)।

মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদের বর্ণনা করেন যে, হজরত নবী করিম (সা.( প্রতি রমজানের ১৭ তারিখ কোবার মসজিদে তশরিফ আনতেন।(অধ্যাপক কে. আলী, পৃষ্ঠা-৫৩ )


এই মসজিদেই সর্ব প্রথম কৃতদাস থেকে মুক্তি পাওয়া বেলাল নামাজে ডাকার (আযান) জন্য স্বাক্ষ্য দিলো – “ আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নাই, মোহাম্মদ আলালহর প্রেরিত রাসুল “। যার ধারাবাহিকতা আজও দিনে পাঁচ বার শুনতে হয় । বেলাল মোহাম্মদের কারণে মুক্তিলাভ করেছিল ফলে তার কাছে মোহাম্মদ নবী হইতেই পারে কিন্তু এখনও যারা তেমনই স্বাক্ষী দিচ্ছেন তাদের স্বাক্ষী দেওয়ার কারনটা দুর্বোদ্ধ ! আযানের পরের নবীর বেহেস্তের জন্য যে সুপারিশ ও আল্লাহর প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য নবীর জান্নাত লাভের উদ্দেশ্যে দোয়া করা হয় সেটা কবে থেকে চালু তার সঠিক হিসাব জানা যায় না । কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, যে নবীর সুপারিশে মুমিনরা জান্নাতে যাবে সেই নবীর জান্নাত প্রাপ্তির জন্যই দিনে ৫বার মুমিনদেরকেই সুপারিশ করতে হয় । আপসুস !!


এখানেই শুরু হলো যুদ্ধ করার জন্য সাহাবী নামে খ্যাত মুজাহিরদেরকে সংগঠিত ও উৎসাহিত করার কাজ । আর কাজে সর্বাগ্রে এগিয়ে এলেন আল্লাহ, নাজিল করলেন তার আয়াত –



“ তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সঙ্কল্প নিয়েছে রসূলকে বহিস্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে। তোমরা কি তাদের ভয় কর? অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও।


যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।


এবং তাদের মনের ক্ষোভ দূর করবেন। আর আল্লাহ যার প্রতি ইচ্ছা ক্ষমাশীল হবে, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। [সুরা তাওবা:১৩,১৪, ১৫]

হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।[সুরা আনফাল: ৬৫]


অর্থাৎ মক্কা বাসী প্যাগনদের চিরাচরিত ধর্মের বিরুদ্ধে হঠাত মোহাম্মদ নিজের নবী দাবী করে তাদের ধর্মকে মিথ্যা বলাটা কি মোহাম্মদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করা ? নাকি মোহাম্মদই হুদাই এক ধর্মের কথা বলে তাদের সাথে বিবাদের সৃস্টি করেছে ? এখন যদি কোন মসজিদে গিয়ে কেউ বলে এই ইসলাম ধর্ম ভুয়া , তাইলে সেই বিবাদের জন্য কে দায়ী হবে ? অথচ দেখুন আলালহ কাকে দায়ী করে ন্যায় বিচারক হলেন এবং এই মক্কা থেকে পালিয়ে আসা মুসলমানদের যুদ্ধে উৎসাহিত করতে আল্লাহ পাক নিজেই মুসলমানদের জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিলেন ।


কিন্তু আয়াত দিয়ে পরের ঘাড়ে বসে খেয়ে তো আর পেট ভরবে না তাই না ? কপর্দক শূন্য কোন কাজ না জানা মোহাম্মদ ও তার দলবল মদিনায় খাদ্য সংকটে পড়ায় পেশা হিসাবে বেছে নিলো কুরাইশদের বানিজ্য কাফেলায় ডাকাতি । সেই জন্য সংগের মক্কা থেকে সাথে আসা সাহাবীদের নিয়ে গঠিত হলো “মুজাহিদ” বাহিনী এবং স্থানীয় গরীব মদিনাবাসী নব্য মুসলিমদের নিয়ে গঠিত হলো “আনসার” বাহিনী । আল্লাহও তাদেরকে আয়াতের সাহায্যে নৈতিক ভাবে সাহায্য করলেন । ডাকাতির মত পেশাও ন্যায়ের পেশা হিসাবে ন্যায় বিচারক আল্লাহ অনুমোদন দিলেন –


“ সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর জবর দস্তি করেছে, তোমরা তাদের উপর জবরদস্তি কর, যেমন জবরদস্তি তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। [সুরা বাকারা: ১৯৪]


তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল। [সুরা ইমরান: ১৪২]


হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি কাফেরদের কথা শোন, তাহলে ওরা তোমাদেরকে পেছনে ফিরিয়ে দেবে, তাতে তোমরা ক্ষতির সম্মুখীণ হয়ে পড়বে।বরং আল্লাহ তোমাদের সাহায্যকারী, আর তাঁর সাহায্যই হচ্ছে উত্তম সাহায্য।[সুরা ইমরান: ১৪৯- ১৫০]


জিহাদের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে সবাই প্রস্তুত কিন্তু গোল বাধালো ৪ মাসের সংযম প্রথা । সেই সময়ে মক্কা ও মদিনাবাসীরা বছরের ৪ টা মাসকে খুব সন্মান দিতো । ঐ ৪ মাস দন্দ্ব কলহ বিবাদ ও রক্তপাত থেকে তারা বিরত থাকতো কিন্তু এত দিন কি না খেয়ে থাকবে নওমুসলিমরা ? ঠিক সেই মূহুর্তেই ন্যায় বিচারক আল্লাহ আবার এগিয়ে এসে জিহাদকে যুক্তিযুক্ত করার জন্য তাঁর ন্যায় দন্ড নিয়ে । ধন সম্পদ পাওয়া ও জান্নাতের নিশ্চয়তার কেমন যুক্তি বুদ্ধি দিলেন দেখুন –


“সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারা মের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে”।[সুরা বাকারা: ২১৭]


“আর যারা ঈমান এনেছে, নিজেদের ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহায়তা করেছে, তাঁরা হলো সত্যিকার মুসলমান। তাঁদের জন্যে রয়েছে, ক্ষমা ও সম্মানজনক রুযী”। [সুরা আনফাল: ৭৪]


“আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন “। (কোরান ৪৮:২০)


সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান। [সুরা আনফাল: ৬৯]


“তিনি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করবেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করবেন”। অতঃপর তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যা তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। কোরান ৪৭-৫,৬


হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম ) না হয়ে কোনো অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো না।(আলে ইমরান ১০২ )।


আললাহর পথে জিহাদে বের হলে তাকে জান্নাত কিংবা গণীমাতসহ নিজ বাসস্থানে ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ যামিন হয়ে যান (বুখারী-৬৯৩৯)।


জানা যায় অনেকেই শহীদের মর্যাদা পেয়ে যুদ্ধের যায়গাতেই মারা গেছে বাসস্থানে ফিরতে পারে নাই । তাতে তাদের নিজ বাসস্থানে ফিরিয়ে আনার আল্লাহর যামিন হওয়াটাকে কেউ আল্লাহ ও নবীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি হিসাবে চিহ্নিত করার সাহস দেখিয়েছে কিনা তা জানা যায় নাই ।


অর্থাৎ ধর্মের বিষয়ে কোন ন্যায়, নীতি বিবেক নাই । সাথে লাভ হিসাবে থাকবে সন্মান জনক রুজি হিসাবে হালাল (?!) গনিমতের মাল ও জান্নাতের নিশ্চয়তা । আর কিছু লাগে ? শুরু হয়ে গেল কুরাইশদের কাফেলা আক্রমনের মাধ্যমে জিহাদী কার্যক্রম ও হালাল ভক্ষন । হালাল খেয়ে আস্তে আস্তে মুসলমানরা আর্থিক ভাবেও শক্তিশালী হওয়া শুরু করল সাথে সাথে বাড়লো মনোবল ।


এরই মধ্যে আল্লাহ নবীকে সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসাবে তার কথা শোনার জন্য আয়াতের পর আয়াত নাজিল করে গেলেন এবং এসব যুদ্ধকে কিভাবে ইবাদতের মতই ফরজ হিসাবে ঘোসনা দিলেন দেখুন –


আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। [সুরা আহযাব: ৩৬]


তোমাদের ওপর যুদ্ধ ফরজ করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোনো একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর । (সুরা আল বাকারাহ ২ : ২১৬)।


যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না। (কোরান ৪৭-৪ )


এরই মধ্যে জিহাদীরা যুদ্ধে বা ডাকাতিতে ভয়ে পলায়নকারী কাফিরদের বউ মেয়েদেরকেও পেইয়ে গেলো । ধন সম্পদ না হয় গনিমতের মালের মতই ভোগ করল কিন্তু অন্যের বউ মেয়েদেরকে কি করবে; বিব্রত হলেন জিহাদীরা । এ থেকে বুঝা যায় তৎকালীন সমাজ-ব্যবস্থাকে যে ইসলামে আইয়ামে জাহেলিয়াত বলা হতো সেটা সর্বৈব মিথ্যাচার । প্রমান দেখুন –


আবু সাইদ আল খুদরি(রাঃ)বলেছেন যে হুনায়েনের যুদ্ধকালে আল্লাহর রাসুল (দ) আওতাস গোত্রের বিরুদ্ধে একদল সৈন্য পাঠান। তারা তাদের মুখোমুখি হলো এবং তাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। যুদ্ধে পরাজিত করার পর কিছু বন্দী তাদের হাতে আসল। রাসুলুল্লার কিছু সাহাবি ছিলেন যারা বন্দিনীদের সাথে সহবাস করতে বিরত থাকতে চাইলেন, কারণ তাদের স্বামীরা ছিল জীবিত কিন্তু বহু ঈশ্বরবাদী। সহি মুসলিমঃ বুক নং-৮, হাদিস নং-৩৪৩২


যাহোক, এক্ষেত্রেও বরাবরের মত সবার আগেই মহান ন্যায় বিচারক আল্লাহ পাক এগিয়ে এলেন বিবেককে ধংসকারী আয়াত নিয়ে দেখুন প্রমান –


“তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে নারীদের মধ্যে সধবাগণকে (অন্যের বিবাহিত স্ত্রীগণকেও); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”।(সুরা ৪:২৮)


“মুশরিকদের স্ত্রী অথবা বন্দী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে আমাদের যৌনাঙ্গকে সংযত না রাখলে আমরা তিরস্কৃত হবে না”(কুরআন ২৩: ৫-৬)।


অর্থাৎ বল প্রয়োগের মাধ্যমে (ডান হাতের মাধ্যমে) প্রাপ্ত ধন সম্পদ ও বিধর্মি নারীকে ভোগ করা আল্লাহর দৃষ্টিতে হালাল বা বৈধ । অর্থাৎ বিবেক, ন্যায়, নীতি বিসর্জন দিয়ে শুরু হলো “জোর যার মুল্লুক তার” তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার কাজ । এই বৈধ কাজের প্রশ্নে মহামানব মোহাম্মদও কোন রাখ ঢাক না করে নিজের মেয়ের জামাইকেও তিনি গনিমতের মালের ভাগ হিসাবে নারী সম্ভোগ করিয়ে কিভাবে নৈতিকতার এক নজির সৃস্টি করেছেন দেখুন অথচ তার উম্মতরাই মেয়েদের ছোট পোশাক দেখলেই অশ্লিল বলে ভুরু কুচকায় । জামাইয়ের গনিমতের মাল ভোগের হাদিস –


বুরায়দা বর্ণনা করলেন: রসুলুল্লাহ আলীকে খালেদের কাছে পাঠালেন খুমুস (যুদ্ধে লব্ধ মাল) নিয়ে আসার জন্যে। আমি আলীকে ঘৃণা করতাম। সে সময় আলী গোসলে ছিল((এক যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সহবাস করার পর ) । আমি খালেদকে বললাম: আপনি কি তাকে দেখলেন (অর্থাৎ আলীকে)? আমরা নবীজির কাছে পৌঁছিলে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করলাম। তিনি বললেন: “হে বুরায়দা, তুমি কি আলীকে ঘৃণা কর?” আমি বললাম: “জী হ্যাঁ”। তিনি বললেন: “তুমি তাকে ঘৃণা করছ, তবে সে তো ঐ খুমুস থেকে আরও বেশী পাবার যোগ্য”। সহিহ বোখারি, ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৬৩৭ ।


একই সাথে ধন সম্পদ অন্যদিকে নিত্য নতুন সুন্দরী নারী সম্ভোগের ক্ষমতা পেলে জীবনে কি আর কিছুর অপূর্নতা থাকে ? এর চেয়ে শান্তির জীবন কি আর কিছু হতে পারে ? দরকার শুধু বিবেক বোধ বিসর্জন দেওয়া। অতএব শুরু হলো ইসলামের মাধ্যমে মুসলমানদের আর্থিক ও যৌন সমস্যার সমাধান, সাথে ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসাবে প্রচারের কাজ । লজ্জা ঢাকতে এই ডাকাতি গুলিকেই অবশ্য ইসলামী পন্ডিতগন যুদ্ধ হিসাবে চিহ্নিত করে নিজেদেরকে ঈমানদার ও বিবেকবান বলেই পরিচয়ের স্বাক্ষর রেখে গেছেন । তাই আজও তারা মুসলমানদের কাছে সন্মানিত । আশ্রয়ে থেকে আশ্রয় দাতাকে কিভাবে সমূলে উচ্ছেদ করে নিজে একজন আদর্শবান মহা মানব হন সেটার প্রমান আছে মদিনার প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে । একটা নমুনা দেখুন –


মদিনায় আদিবাসি বনু নজির ও বনু কুরাইজা ইহুদি গোত্র ইয়েমেন থেকে এসে মদিনায় আশ্রয় নেওয়া আউস আর খাজরাজ দুই পৌত্তলিক গোত্র মিলেমিশেই এতকাল বসবাস করছিল যখনই আউস আর খাজরাজ ইসলামের দীক্ষা নিল এরপরই দীর্ঘদিনের প্রতিবেশি গোত্রকে তাড়িয়ে দিতে এদের একটুও বাঁধে নি। এদের পুরোপুরি প্রভাবিত করেছিল মুহম্মদের ইসলাম । মক্কায় প্রাক ইসলামের যুগে মুহম্মদের মুরিদদের আশ্রয় দিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী ইথিওপিয়ার খ্রিষ্টানরা। পরবর্তীতে এই ইথিওপিয়াও মুসলিমরা কব্জা করে । আমাদের ভারত বর্ষের পাকিস্তান ও আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের দিকে তাকালেই পুরাটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । সেই ১৪০০ বছর আগের তত্ত্ব আজও তারা মনে প্রানে পালন করে যাচ্ছে আর তার বিনিময়ে স্বপ্ন দেখছে ৭২টা হুরের ।


এভাবে প্ররোচিত করে ও বিভিন্ন কৌশলে ইহুদিদের মদিনায় আশ্রিতা হিসাবে মোহাম্মাদ মদিনাকে ইহুদি মুক্ত করে শতভাগ মুসলিম অঞ্চলে রূপান্তর করলেন “হয় মানো অথবা মরো” – এই নৈতিকতার উপরে ভিত্তি করে । ইহাকেই ইসলামী দাওয়াত বলে ।


ধার্মিক ইসলামী ইতিহাসবিদদের দ্বারা লিখিত নবী মুহাম্মদের জীবনীতে মদীনায় বসবাসকালীন তাঁর জীবনের শেষ ১০ বছরে নবী কর্তৃক পরিচালিত বা নির্দেশিত ৭০ থেকে ১০০টি ব্যর্থ বা সফল আক্রমণ, লুণ্ঠন অভিযান ও যুদ্ধের উল্লেখ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৭ থেকে ২৯টিতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নীচে নবীর পরিচালিত বা নির্দেশিত প্রধান প্রধান অভিযান ও যুদ্ধসমূহের একটি তালিকা দেওয়া হলো:-


৬২৩ সাল – ওয়াদ্দানের যুদ্ধ , ৬২৩ ” – সাফওয়ানের যুদ্ধ , ৬২৩ ” – দুল-আশিরের যুদ্ধ,

৬২৪ ” – নাখলার যুদ্ধ , ৬২৪ ” – বদরের যুদ্ধ , ৬২৪ ” – বানু সালিমের যুদ্ধ,

৬২৪ ” – ঈদ-উল-ফিতর ও যাকাত-উল-ফিতরের যুদ্ধ , ৬২৪ ” – বানু কাইনুকার যুদ্ধ,

৬২৪ ” – সাউইক-এর যুদ্ধ , ৬২৪ ” – ঘাতফানের যুদ্ধ , ৬২৪ ” – বাহরাইনের যুদ্ধ,

৬২৫ ” – ওহুদের যুদ্ধ , ৬২৫ ” – হুমরা-উল-আসাদের যুদ্ধ , ৬২৫ ” – বানু নাদিরের যুদ্ধ,

৬২৫ ” – ধাতুর-রিকার যুদ্ধ , ৬২৬ ” – বাদরু-উখরার যুদ্ধ , ৬২৬ ” – দুমাতুল-জান্দালের যুদ্ধ, ৬২৬ ” – বানু মুস্‌তালাক নিকাহ’র যুদ্ধ , ৬২৭ ” – খন্দকের যুদ্ধ ,

৬২৭ ” – আহজাব’এর যুদ্ধ , ৬২৭ ” – বানু কুরাইজার যুদ্ধ , ৬২৭ ” – বানু লাহিয়ানের যুদ্ধ,

৬২৭ ” – ঘাইবা’র যুদ্ধ , ৬২৭ ” – খাইবারের যুদ্ধ , ৬২৮ ” – হুদাইবিয়া অভিযান , ৬৩০ ” – মক্কা বিজয়, ৬৩০ ” – হুনসিনের যুদ্ধ , ৬৩০ ” – তাবুকের যুদ্ধ, ৬৩২ সালে নবী মুহাম্মদ মৃত্যুবরণ । এই মৃত্যুতে ইহুদি নারীর হাত ছিল বলে জানা যায় ।


নবী তো নাই, এবার কি হবে ? সেই সমস্যার সমাধানও কিন্তু ইসলামে পরিস্কার ভাবেই আছে । আসুন দেখি পরবর্তি খলিফা ইসলাম কিভাবে পালন করলেন –


যুগ যুগ ধরে ধর্ম পালনের রিতি নীতিই হলো আগের জনকে অনুসরন করা । এক্ষেত্রেও তার কোন ব্যত্যয় হলো না । ৬৩২ সালে নবী মুহাম্মদ মৃত্যুর পরে তাঁর শ্বশুর আবু বকর ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম খলীফা হন। উনি সেই একই আদর্শে আদর্শিত হওয়ার কারনে ইসলামের ধর্মীয় প্রসার ও আওতা সমপ্রসারণে নবীর দেখানো পথেই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ অব্যাহত থাকে । অর্থাৎ সেই “সালাফি” প্রয়োগ দেখুন উনার সময়কার যুদ্ধের তালিকা –


৬৩৩ সালে – ওমান, হাদ্রামাউত, কাজিমা, ওয়ালাজা, উলেইস ও আনবারের যুদ্ধ

৬৩৪ সালে – বসরা, দামাস্কাস ও আজ্‌নাদিনের যুদ্ধ এবং খলীফা আবু বকর মারা যান ।

এই মৃত্যুতে ইহুদি নাসাদের হাত আছিল কিনা জানা যায় না ।


৬৩৪ সালে আবু বকর মারা যাওয়ার পরে নবীর অপর এক শ্বশুর ও সহচর ওমর আল-খাত্তাব দ্বিতীয় খলীফা হন। তার পরিচালনাধীনে ইসলামের ভূখণ্ড বিস্তারে যুদ্ধবিগ্রহ জোরদার হয়ে উঠে:

৬৩৪ সালে – নামারাক ও সাকাতিয়ার যুদ্ধ , ৬৩৫ সালে – সেতু (ব্রীজ), বুওয়াইব, দামাস্কাস ও ফাহ্‌ল-এর যুদ্ধ , ৬৩৬ সালে – ইয়ারমুক, কাদিসিয়া ও মাদাইনের যুদ্ধ

৬৩৭ সালে – জালুলার যুদ্ধ , ৬৩৮ সালে – ইয়ারমুকের যুদ্ধ, জেরুজালেম ও জাজিরা বিজয়, ৬৩৯ সালে – খুজইজিস্তান বিজয় ও মিসর আক্রমণ, ৬৪১ সালে – নিহাওয়ান্দ-এর যুদ্ধ, ৬৪২ সালে – পারস্যের রেই-এর যুদ্ধ, ৬৪৩ সালে – আজারবাইজান বিজয়, ৬৪৪ সালে – ফারস ও খারান বিজয় এবং খুন হন ।


এই খুনে ইহুদি নাসারা জড়িত ছিল না বলেই জানা যায় ।


খলীফা ওমর ইসলামী রাষ্ট্রের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ৬৪৪ সালে খুন হলে নবীর এক জামাতা ও সহচর ওসমান পরবর্তী খলীফা হন এবং ইসলামের বিস্তারে একই ভাবে যুদ্ধ অব্যাহত থাকে:

৬৪৭ সালে – সাইপ্রাস দ্বীপ বিজয় , ৬৪৮ সালে – বাইজেনটাইনের বিরুদ্ধে অভিযান

৬৫১ সালে – বাইজেনটাইনের বিরুদ্ধে নৌযুদ্ধ, ৬৫৪ সালে – উত্তর আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে ইসলাম ।

খলীফা ওসমান খুন হন ৬৫৬ সালে।


এই খুনে ইহুদি নাসাদের ষড়যন্ত্র কেউ খুজে পায় নাই ।


৬৫৬ সালে খলীফা ওসমান খুন হওয়ার পরে নবীর কন্যা ফাতিমার স্বামী আলী পরবর্তী খলীফা হন। মুহাম্মদের মৃত্যুর দুই দশক পরবর্তী এ সময়ে আভ্যন্তরীণ মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব মুসলিম সমপ্রদায়কে দুর্দশাগ্রস- করে তোলে। এ সময় ইসলামের ভিতরে দলাদলি ও যুদ্ধ শুরু হয়, যেমন আলী ও নবীর স্ত্রী আয়েশার মধ্যে সংঘটিত ‘উটের যুদ্ধ’ এবং আলী ও মুয়াবিয়ার মধ্যে সংঘটিত সিফিনের যুদ্ধ। এর ফলে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অনেকটা নিস্তেজ হয়ে যায়। খলীফা আলীর অধীনে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে মাত্র দু’টি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়:

৬৫৮ সালে – নাহ্‌রাওয়ানের যুদ্ধ, ৬৫৯ সালে – মিসর বিজয়, ৬৬১ সালে বিষাক্ত ছুরির আঘাতে আলী খুন হন ।


এই খুনে ইহুদি নাসা মুক্ত অঞ্চলে তাদের চক্রান্ত থাকার প্রশ্ন আসে কি ?


আলীর খুন সঠিকভাবে পরিচালিত খলীফাদের রাজত্ব বা খলীফায়ে রাশেদীনের যুগের সমাপ্তি টানে। এরপর মুয়াবিয়ার নেতৃত্বে উমাইয়া বংশ ক্ষমতায় আসে এবং ইসলামী সাম্রাজ্যের বিজয়যুদ্ধ পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠে:

৬৬২ সালে – মিসর ইসলামের শাসনাধীনে আসে, ৬৬৬ সালে – মুসলিমদের দ্বারা সিসিলি আক্রান্ত হয়, ৬৭৭ সালে – কনস্টান্টিনোপল অবরোধ, ৬৮৭ সালে – কুফার যুদ্ধ

৬৯১ সালে – দ্বার-উল-জালিক-এর যুদ্ধ, ৭০০ সালে উত্তর আফ্রিকায় সামরিক অভিযান,

৭০২ সালে – দ্বার-উল-জামিরার যুদ্ধ, ৭১১ সালে – জিব্রাল্টার আক্রমণ ও স্পেন বিজয়

৭১২ সালে – সিন্ধু বিজয় ,৭১৩ সালে – মুলতান বিজয় , ৭১৬ সালে – কনস্টান্টিনোপল আক্রমণ, ৭৩২ সালে – ফ্রান্সের টুর-এর যুদ্ধ, ৭৪০ সালে – নোবল-এর যুদ্ধ

৭৪১ সালে – উত্তর আফ্রিকার বাগদৌরার যুদ্ধ, ৭৪৪ সালে – আইন আল জুর-এর যুদ্ধ

৭৪৬ সালে – রূপার ঠুঠার যুদ্ধ, ৭৪৮ সালে – রেই’এর যুদ্ধ, ৭৪৯ সালে – ইসপাহান ও নিহাওয়ান্দ-এর যুদ্ধ, ৭৫০ সালে – জাব-এর যুদ্ধ, ৭৭২ সালে – উত্তর আফ্রিকার জানবী’র যুদ্ধ, ৭৭৭ সালে – স্পেনের সারাগোসার যুদ্ধ ।


এই এত এত যুদ্ধ কি ইহুদি নাসারা ষড়যন্ত্র করে লাগাইছে বলে এখনও আপনি মনে করছেন ? জিহাদ যদি ফরজ নাই হতো তাইলে কি ইসলাম আজ এই যায়গায় আসতে পারতো ? আপনার নিজের অস্তিত্ব থাকতো ?


৭১২ সালে – সিন্ধু বিজয় ও ৭১৩ সালে – মুলতান বিজয় করার পরেঅ তারা কিন্তু কোন দিনই ভারতীয় হয়ে উঠে নাই, তার প্রমান পাকিস্তান ।


ইসলামের প্রচার ও বিজয় তো দেখলাম । এবার আসুন দেখি আধুনিক সভ্যতা সন্ত্রাসবাদ হিসাবে কি বলে –


জাতিসংঘ ১৯৯৬ সালে ৫১/২১০ নং রেজুলেশনে জঙ্গিবাদের যে সংজ্ঞা নির্ধারন করেছে তা নিম্নরূপ:

“Criminal acts intended or calculated to provoke a state of terror in the general public, a group of persons or particular persons for political purposes are in any circumstance unjustifiable, whatever the considerations of a political, philosophical, ideological, racial, ethnic, religious or any other nature that may be invoked to justify them”

(সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Definitions_of_terrorism)

বাংলা অনুবাদ: সাধারন জনগনের মনে বা কোন গোত্রের মানুষদের মনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে ভীতি সঞ্চার করা- এটা্ই সন্ত্রাসবাদ। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে সঠিক প্রমান করতে এর পক্ষে যে কোন ধরনের রাজনৈতিক , দার্শনিক, আদর্শিক, জাতিগত, নৃতাত্ত্বিক, ধর্মীয় বা যে কোন ধরনের আদর্শ প্রচার করা হলেও সেটা অবৈধ ও অন্যায়।


উপরোক্ত আইন অনুযায়ী নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আল্লাহ কোন রূপ ভীতি সৃস্টি করেছেন এমন কোন প্রমান আছে কিনা সেটা দেখি –


“ খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো। কারণ, ওরা আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি। আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন। বস্তুতঃ জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট। [সুরা ইমরান: ১৫১]


দেখলেন তো ? এবার কি বলবেন , এই আয়াত কি সন্ত্রাসবাদের জন্ম ঘর নয় ? এবার দেখুন নবী নিজেও কি সেই সন্ত্রাসবাদের গডফাদার কিনা যা আজও প্রতিটা মুসলমান তাদের অন্তরে লালন করে চলছে –


সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ২২০:


ইয়াহ্ইয়া ইব্ন বুকাইর (র)……………আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, অল্প শব্দে ব্যাপক অর্থবোধক বাক্য বলার শক্তি সহ আমি প্রেরিত হয়েছি এবং শত্রুর মনে ভীতির সঞ্চারের মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। একবার আমি নিদ্রায় ছিলাম, এমতাবস্থায় পৃথিবীর ধনভান্ডার সমূহের চাবি আমার হাতে অর্পণ করা হয়। আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তো চলে গেছেন আর তোমরা তা বের করছ।


আমি যদি জীবিত থাকি তবে সব ইহুদি ও খ্রিষ্টানকে অবশ্যই আরব উপদ্বীপ থেকে বহিষ্কার করব (তিরমিজি:১৬০৬)।


“সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করা হয়েছে।” সহি বুখারি , ভলিউম-৪, বই -৫২, হাদিস- ২২০ ।


“আমাকে সুমিষ্ট কণ্ঠস্বর ও ভয়াবহতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ” সহি বুখারি, ভলিউম-৯, বই -৮৭, হাদিস -১২৭ ।


নবী (স) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মারা গেল কিন্তু যুদ্ধ করল না, এমনকি যুদ্ধ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করল না, সে এক প্রকারের মুনাফিক হিসেবে মারা গেল (আবুদাউদ-২৪৯৪)


কি বুঝলেন ? এসব কথা কিন্তু আমার মন গড়া কথা নয় । ইসলামের ঈমানদার মুমিনবান্দাদেরই তৈরি ইতিহাস থেকেই উদৃতি দিচ্ছি মাত্র । এখন কি মনে হচ্ছে না যে শুধু একলা আলালহ নন , দুনিয়ার শ্রেশঠ মহা মানব, আলালহর দোস্ত বলে খ্যাত নবীও একই অপরাধে অপরাধী ? এমন কি এই অপরাধ করাটাও মুসলমানদের কাছে অবশ্য পালনীয় ফরজ, যা একজন প্রকৃত মুমিনের মূল দায়িত্বও । কিন্তু কেন ?


এবার আসুন একটু জেনে নেই আল্লাহ মুসলমানদের কি কি দায়িত্ব দিয়েছেন –


ধর্ম মানেই অনুসরন বা অনুকরন । ইসলামের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয় কিন্তু কেন ? তার কারন হালাল, হারাম, ফরজ, নফল ইত্যাদি নির্ধারণ করে যাতে সহি ভাবে ইসলাম পালন করে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে জান্নাত লাভ করতে পারে সেই জন্য । কিন্তু তার জন্য কি কি অনুসরন (“সালাফি”) করতে হবে সেটাও ইসলাম পরিস্কার করে দিয়েছে । ইসলামে অনুসরন বা অনুকরনের জন্য প্রথমে প্রাধান্য দিতে হবে কুরআন ও সহীহ হাদিস (আন-নাস) এর পর গুরুত্ব দিতে হবে ইজমা’ (সাহাবা বা কোনও যুগের সকল আলেমের ঐক্যমত)। তাতেও যদি কোনো বিষয়ের ফিকহ নির্ধারণ করা না যায় তাইলে “কিয়াস” ব্যবহার করতে হবে । আপনি যে মাজহাবেরই ( “মাজহাব” শব্দের অর্থ হলো পথ বা মত ) সালাফি কিন্তু একই । অর্থাৎ গন্তব্য সবারই এক শুধু যানবাহন ও রাস্তা আলাদা । অর্থাৎ সুরা তাওবা: ১৩, ১৪, ১৫ অনুযায়ী সকল মুসলমানকেই কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে এবং দুনিয়ার মাটিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে যার জন্য মুসলমানরা কোন ভাবেই দায়ী হবে না । বিগত কয়েক দিনের ঘটনায় তো আমাদের দেশেই তার যথার্থ প্রয়োগ দেখছেন । অর্থাৎ একদিকে জিহাদ চলবে অন্য দিকে এসকল কিছুতেই ইহুদি নাসাদের ষড়যন্ত্র খুজে বের করে মুসলমানেরা তাদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করেই চলবে । যার ধারা বাহিকতাতেই সবাই একই কথাই বলে চলেছে পাশাপাশি চলছে জিহাদী কার্যক্রম যা শুরু হয়েছিল সেই ৬২৩ সাল থেকে যা আজও বিদ্যমান । পিছিয়ে রয়েছে শুধু জ্ঞান, বিজ্ঞানের অভাবের কারনে ।


জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পরে কোন কারন ছাড়া ও জাতিসংঘের বিনা অনুমতিতেই কি আমেরিকা কোন দেশকে দখল করতে গেছে ? কিন্তু মাথা মোটা সাদ্দাম ঠিকই কুয়েত দখল করেছে । সেই দখলের অজুহাতে আমেরিকাও সেখানে ঘাটি গেড়েছে । ঘাঁটি গেড়েছে সৌদিতেও । আনবিক বোমা মেরে ২য় বিশ্ব যুদ্ধ বন্ধের পরে জাপানেও আমেরিকার ঘাটি করেছে । তাইলে জাপানে আইএস, বোকোহারামের মত কোন দল তৈরি হচ্ছে না কেন ?


যাদের কাছে গান, বাজনা, শিল্প চর্চা, নাটক, কবিতা সহ বিধর্মিদের শিক্ষা গ্রহন ও দেখাও গুনাহ । একমাত্র ইবাদত (নিজস্ব তরিকায়) ও জিহাদ ছাড়া বাকী সবই যাদের কাছে হারাম ঘোসনা করে হত্যা করা ফরজ কাজ তারা কি এই সভ্য দুনিয়ার জন্য সন্ত্রাসী নয় ? তারা কি বর্তমানের জ্ঞান বিজ্ঞানের বহু মতের সমাজের জন্য জংলী নয় ? তাদের এই ইসলামী মতবাদ কি সন্ত্রাসবাদের মতবাদ নয় ? এই অন্যকে হত্যা করার মতবাদ কি আমেরিকা বা ইস্রাইল দিয়েছে ? আমেরিকা অস্ত্র দিয়েছে বলেই আমেরিকা সন্ত্রাসের মদদদাতা হয় তাইলে যখন ফিলিস্থিনি শিশু যখন ইস্রাইল সেনার দিকে পাথর ছুড়ে মারে তখন সন্ত্রাসের মদদ দাতা হিসাবে কি পাথর তৈরি ও সাপ্লাইকারী হিসাবে আপনাদের আল্লাহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান ? আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে ভারত আমাদেরকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে যাহায্য করেছে বলে কি স্বাধীনতার জন্য ভারতকেই সম্পূর্ন রূপে দায়ী বা পুরস্কার দিবেন ?


দোজখের শাস্তির ভয়ে জিহাদে গিয়ে আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্ত হতে কে কাকে আটকাবে ? বিবেক যেখানে ধর্মের শিকলে বন্দি সেখানে কত দিন শুধু সহি নয়, সহি নয় বলে আকটাবেন,? এই জন্য একজন মুসলমান যতক্ষন পর্যন্ত নিজেকে শুধু মুসলমান হিসাবে দাবী করে ততক্ষন পর্যন্ত সে নিজের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ (জিহাদ) লালন করে আর এই কারনেই আইএস, তালেবান, বোকোহারাম সহ সকল মুসলিম সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে প্রায় সকল মুসলিম সাফাই স্বাক্ষী দেয়– “ ওরা আমেরিকার তৈরি “।


এর পরেও যারা বলেন –“ইসলাম শান্তির ধর্ম” এবং “ সবই মুসলমান ও ইসলামের বিরুদ্ধে ইহুদি নাসাদের ষড়যন্ত্র “ তারা ঈমানদার / “সালাফি”র পাহাড়াদার নাকি বিবেকবান সেটা বিচার করার দায় আপনাদের । শুধু একটাই আপসুস ইতিহাস যে কাউকে ক্ষমা করে না সেটা তারা জীবন না দেওয়া পর্যন্ত স্বীকার করে না ।


এত কিছুর পরেও যখন এই আয়াত পাবেন “ জেনে নাও, নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তি দাতা ও নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল-দয়ালূ। [সুরা মায়েদা: ৯৮] । তখন কি এমনই ভাববেন না যে, আল্লাহ মুসলমানদের জন্য ক্ষমাশীল দয়ালু হলেও বিধর্মিদের বেলায় একজন শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী ?


মুসলমানদের সকল কাজের পিছনেই যদি ইহুদি নাসাদের ষড়যন্ত্র দেখতে পায় তাইলে বিধর্মিদেরকে কাফের হিসাবে চিহ্নিত করাও কি আলালহর চক্রান্ত নয় ? তাইলে ইহুদি নাসাদের চক্রান্ত স্বীকার করলেও আল্লাহ বা নবীর চক্রান্ত স্বীকার করে না কেন ?


টীকা:

“মাজহাব” শব্দের অর্থ হলো পথ বা মত। ইসলামী আইনের পরিভাষায়, মাজহাব হলো এমন কিছু “উসুল” যা অনুসরণ করে কোনও কাজের শারঈ’ বিধান (অর্থাৎ হালাল, হারাম, ফরজ, নফল ইত্যাদি) নির্ধারণ করা হয় ।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ