গীতা রহস্য - বাল গঙ্গাধর তিলক, বাংলা পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'গীতা রহস্য'
লেখক- বাল গঙ্গাধর তিলক
অনুবাদ: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
বইয়ের ধরন- ধর্মমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪০৭ (ডাবল পেজ)
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২৫০এমবিস
সৌজন্যে- অরিজিনাল আপলোডার
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
গীতার বহিরঙ্গপরীক্ষা, মূলসংস্কৃত শ্লোক, ভাষা অনুবাদ, অর্থনির্ণায়ক রহস্য, প্রাচ্য ও প্রতীচ্য মতের তুলনা, ইত্যাদি সহিত
বিশ্বমনীষার শ্রেষ্ঠ সম্পদ শ্রীমদভগবদগীতা ভারতীয় শাশ্বত সংস্কৃতির নির্যাস। জগতের সারস্বত সমাজে ভারতের শ্রেষ্ঠ দান এই সদগ্রন্থ। বহুদিন পূর্বে প্রতীচ্যভূখণ্ডে ইংরেজ মনীষী কালহিল মার্কিণ মনীষী এমারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে গীতা উপহারের মাধ্যমে সৌহৃদ্যকে সুদৃঢ় করেছেন। বিশ্বের সমন্নতষটত্রিংশৎটিভাষায় এই গ্রন্থের প্রায় তিন সহস্র সংস্করণ হয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে যথার্থ গণসাহিত্য এই গীতা। পণ্ডিত-মুর্খ, ধনী-দরিদ্র, স্ত্রী-পুরুষ, শিক্ষক-সৈনিক, কর্মী-ব্যবসায়ী, ছাত্র-শ্রমিক, ত্যাগী-ভোগী সকলের কাছেই এই গ্রন্থের আবেদন। নির্জন গুহাবাসী নিকিঞ্চন তপস্বী হতে রাজপ্রাসাদবাসী ধনী, সর্বকর্মত্যাগী সাধু হতে সদা কর্মনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা পর্যন্ত সকলেই জীবন-পথের পাথেয় এই গীতা হতে পেয়ে থাকেন। গীতা মানব-সমাজে জ্ঞান-কল্পতরু। তাই যুগে যুগে গীতার উপর রচিত হয়েছে অসংখ্য ভাষ্য। মনীষী দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাকে বলেছেন ভারতের কুটীরে বিনা তৈলের প্রদীপ। মহাত্মাগান্ধীর মতে গীতা হচ্ছে শান্তি ও শক্তিপ্রদায়িনী মাতা। অধ্যাত্ম জগতে গীতার সাধনা সুবিদিত। কিন্তু দেশের রাষ্ট্রীয় মুক্তি সংগ্রামে এবং আন্তর্জাতিক মৈত্রীসাধনায় গীতার অনন্যসাধারণ ভূমিকা অবিস্মরণীয়। গীতা নিষ্কাম কৰ্ম্মযোগ, আত্মসমর্পণ যোগ, আত্মতত্ত্ব এবং স্থিতপ্রজ্ঞত্বের আদর্শের দ্বারা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তি যোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। ভারতের প্রায় সকল বিপ্লবীরই অবশ্যপাঠ্য গ্রন্থ ছিল এই গীতা। আবার অহিংস সংগ্রামীরাও গীতার বাণীতেই পেয়েছেন আদর্শের প্রেরণা। সহিংস এবং অহিংস ভারতে মুক্তিসংগ্রামের উভয় পথের পথিকদের পথের পার্থক্য থাকলেও লক্ষ্য যেমন ছিল এক, তেমনি পাথেয়ও ছিল এক – আর তা হ’ল শ্রীমদভগবদগীতা ! তাই বিপ্লবী যোগী ঋষি অরবিন্দ, চরমপন্থী নেতা লোকমান্য তিলক, আবার অহিংস সংগ্রামী মহাত্মা গান্ধী, ভূদান আন্দোলনের প্রবর্তক নিরীহ বিনোবাভাবে গীতপ্রবচনে সমুৎসক, রচনাও করেছেন স্ব স্ব অদর্শের আলোকে গীতার বিশাল ভাষ্য। আবাল্য এঁরা গীতধ্যায়ী। মহাসংগ্রামী নেতাজী সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস নেতা হিসেবে কারাগার হতে সহকৰ্ম্মী তরুণদের নিত্য গীতাপাঠের প্রবর্তনা দিচ্ছেন। আবার আজাদ হিন্দ ফৌজের মহানায়ক রূপে রণক্ষেত্রের বোমবর্ষণের মধ্যেও বুকপকেটে রেখেছেন ছোট্ট গীতা, আলেখ্যধৃতা মাতা কালিক এবং তুলসীমালিকা। ক্ষুদিরাম-কানাইলাল-বিনয়-বাদল-দিনেশ-প্রফুল্ল প্রভৃতি দধীচির দলে এবং জেলে গীতা ছিল নিত্যপাঠ্য। অবস্তা, বাইবেল, কোরাণ, ত্রিপিটক এই রকম প্রত্যক্ষভাবে কোন দেশের রাষ্ট্রীয় মুক্তিসংগ্রামে মরণপণ সৈনিকদের প্রবুদ্ধ করেছিল কিনা জানা নেই। তাই বলি গীতা শুধ, ধর্মগ্রন্থ নয়, ধর্মার্থকামমোক্ষ, তথা চতুবর্গের তথা সামগ্রিক জীবনপথের সময়সারণী তথা টাইমটেবল, সকল পথের যাত্রীরই অপরিহার্য গ্রন্থ। শুধু ব্যক্তির বা রাষ্ট্রবিশেষের নয়, সমগ্র বিশ্বের সংকট নিরসনেও গীতা অপরিহার্য গ্রন্থ।
প্রতিটি মানুষই জীবনসংগ্রামে রণক্লান্ত সৈনিক, অর্জুনের ন্যায় বিষাদগ্রস্ত। বিষাদ হতে মুক্তি সবারই কাম্য। অর্জুনকে উপলক্ষ্য করে শাশ্বতকালের নিখিল মানবের বিষাদ হতে মুক্তি তথা মোক্ষের যোগমাগ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় প্রদর্শন করেছেন।
এহেন গ্রন্থের বিবিধ ভাষায় বহুবিধ ভাষ্যের মধ্যে লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলকের “গীতারহস্য” বা কর্মযোগশাস্ত্র স্বকীয় মহিমায় প্রোজ্জ্বল। মূল গ্রন্থ মারাঠী ভাষায় রচিত হলেও রবীন্দ্রনাথের দাদা মনীষী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বঙ্গানুবাদ করেন বহুদিন পূর্বে।... শ্রী ধ্যানেশ নারায়ণ চক্রবর্তী
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ