মহাভারতের অষ্টাদশ পর্বের অতিরিক্ত অংশ বা খিল পর্বের অন্তর্গত একে আবার হরিবংশ পুরাণ বলা হয। আঙ্গিক ও রচনারীতির দিক থেকে পুরানের সঙ্গে এর সমজাতীয়তা লক্ষ্য করে পন্ডিতদের মধ্যে কেউ কেউ একে হরিবংশপুরান নামে অভিহিত করেন। এখানে প্রধানভাবে হরি বা কৃষ্ণের জীবন কাহিনী আদোপান্ড বর্ণিত। পন্ডিতদের অনুমান হরিবংশ মহাভারতের চেয়ে অর্বাচীন কালের রচনা। হরিবংশ মহাভারতের অষ্টাদশ পর্বের অতিরিক্ত অংশ বা খিল পর্বের অন্তর্গত একে আবার হরিবংশ পুরান বলা হয। (ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্ত)
হরিবংশের বিষয়বস্তু-
এই অংশের প্রবক্তা ব্যাসদেব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্ত এর মূল বিষয়বস্তু তাছাড়া নানা প্রকার স্তব-স্তুতির দ্বারা বিষ্ণুর মহিমা কীর্তন দেখা যায় এর মোট শ্লোক সংখ্যা ১৫৩৭৪টি। হরিবংশ-এ ৩১৮ অধ্যায় ও ১৮০০০ শ্লোক আছে। অন্যমতে হরিবংশের শ্লোকসংখ্যা ১৬৩৭৪। মহাভারতের বৃষ্ণি বংশের কথা বলা নেই বলে মহারাজ জন্মেন্জয় মহর্ষি বৈশম্পায়ণের কাছে বৃষ্ণিবংশের ইতিহাস শুনতে চাইলে বৈশম্পায়ণ পুরানের ক্রমে হরিবংশ (অর্থাৎ কৃষ্ণের বংশ ও তাঁর চরিত কথা বর্ণনা করেন। এখানে শ্রীকৃষ্ণকে বিষ্ণুর অবতার রূপে বর্ণনা করে তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেবতার স্তব, স্তুতি এই অংশে দেখা যায়। এর শ্লোক সংখ্যা ১৬৩৭৪ টি।
হরিবংশের বিভাগঃ-
তিনটি অংশে বিভক্ত।
I) হরিবংশ পর্বঃ-
এই পর্বে দেখা যায় রাজা জন্মেঞ্জয় বৈশম্পায়ন এর কাছ থেকে বৃশ্চিক বংশের ইতিহাস শুনতে চাইলে তিনি ক্রমে হরি বংশের বর্ণনা করেন এখানে শ্রীকৃষ্ণকে বিষ্ণুর অবতার রূপে বর্ণনা করা হয়েছে।
Ii) বিষ্ণু পর্বঃ-
বিষ্ণু পর্বে বর্ণিত হয়েছে বিষ্ণুরূপি শ্রীকৃষ্ণের জীবন ইতিহাস।
Iii) ভবিষ্য পর্বঃ-
এই পর্বে ভবিষ্যৎ কালের বর্ণনা করা হয়েছে বিষ্ণুর বিভিন্ন অবতার যেমন বরাহ নৃসিংহ প্রভৃতি বর্ণনা করে বিভিন্ন উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে এই পর্বটি পৌরাণিক কাহিনীর সংকলন।
উপসংহারঃ-
ভাষা ও বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে এটি সম্পূর্ণ পুরাণের মতো বা মহাভারতের প্রক্ষিপ্ত অংশ যা একজনের দ্বারা বা এক সময়ের রচনা নয।
হে মহারাজ! ভগবান বশিষ্ঠ এই রূপে অযোনিজ সৃষ্টি সমাপ্ত করিয়া স্বকীয় শরীরার্দ্ধ দ্বারা পুরুষ রূপ ধারণপূৰ্ব্বক অপরাৰ্দ্ধসম্ভূতা শতরূপাকে পত্নী রূপে লাভ করিলেন। তদীয় মহিমা ও ধৰ্ম্ম বলে শতরূপা স্বীয় নামকে অর্থ করিয়া তুলিলেন। ঐ বহুরূপধারিণী শত রূপ দশ সহস্র বৎসর অতিদুশ্চর তপশ্চৰ্য্যা করিয়া দীপ্ততপাঃ ঐ মহাপুরুষকে সন্তানোৎপাদনাৰ্থ পতিত্বে লাভ করেন। ইঁহার অপর নাম স্বায়ম্ভুব মনু। তাঁহারই এক সপ্ততি যুগে এক মন্বন্তর হইয়া থাকে। এই বিরাট পুরুষের ঔরসে শতরূপার গর্ভে বীর নামে এক পুত্র জন্ম পরিগ্রহ করেন। এই বীরপুরুষ হইতে প্রজাপতি বশিষ্ঠকন্যা কাম্যা প্রিয়ব্রত ও উত্তানপাদ নামে দুই পুত্র প্রসব করেন। হে মহাবাহো! কর্দ্দম নামক প্রজাপতির কাম্যা বলিয়া এক কন্যা ও সম্রাট, কুক্ষি, বিরাট ও প্রভু এই চারি পুত্র হয়। এই কাম্যা প্রিয়ব্রতকে পতি লাভ করিয়া বহু পুত্র প্রসব করেন। প্রজাপতি অত্রি, উত্তানপাদকে পুত্র রূপে গ্রহণ করিলেন। উত্তানপাদ অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্ভূতা সূনৃতা নাম্নী দিব্য লাবণ্য সম্পন্না ধৰ্ম্ম তনয়ার পাণি গ্রহণ করেন। সুনৃতা যথাকালে ধ্রুব, কার্ত্তিমান্, আয়ুস্মন্ ও বসু নামে চারি পুত্র প্রসব করিলেন। হে মহারাজ! ধ্রুব সুমহৎ যশঃ প্রাপ্তির আশয়ে তিন সহস্র দিব্য বৎসর কাল অতি কঠোর তপস্যা করলে ভগবান নারায়ণ প্রীত হইয়া সপ্তর্ষিগণের পুরোভাগে বৈকুণ্ঠধাম সদৃশ এক অচল স্থান প্রদান করিলেন। ধ্রুবের এইরূপ অভিমান, সমৃদ্ধি ও মহিমা সন্দর্শন করিয়া দেবাসুর গুরু শুক্রাচার্য্য ইঁহার যশোগান করিতে লাগিলেন। কহিলেন, ধ্রুবের কি অদ্ভুত তপোবল। কি চমৎকারই বা তপস্যা! যাঁহাকে সম্মুখে করিয়া সপ্তর্ষিগণ অবস্থিত রহিয়াছেন। ধ্রুবের পুত্র শ্লিষ্টি ও ভব্য। ভব্যের শম্ভু নামক এক পুত্র জন্মে। স্বকীয় পত্নী সুচ্ছায়ার গর্ভে শ্লিষ্টির পবিত্র স্বভাব পাঁচ পুত্র উৎপন্ন হয়। ইহা দের নাম রিপু, রিপুঞ্জয়, রিপ্র, বৃকল ও বৃকতেজা। রিপু বৃহতী গর্ভে অতি তেজস্বী চাক্ষুষ নামে এক পুত্র উৎপাদন করেন। চাক্ষুষ হইতে মহাত্মা অরণ্য প্রজাতির দুহিতা বীরণী পুষ্করিণীর গর্ভে মনুর জন্ম হয়। হে ভরতশ্রেষ্ঠ! মহাত্মা বৈরাজ প্রজাপতির দুহিতা লড্বলার গর্ভে মহাতেজা মনুর, ঊরু, পূরু, শতদ্যুম্ন, তপস্বী, সত্যবাক্, কবি, অগ্নিষ্ট, অতিমাত্র, শ্রদ্যুম্ন ও অভিমন্যু এই দশ পুত্র জন্মলাভ করিল। ঊরু হইতে অগ্নিকন্যা অঙ্গ, সুমনা, স্বাতি, ক্রতু, অঙ্গিরা ও গয় এই ছয় পুত্র প্রসব করেন। সুনীথ কন্যা এই অঙ্গ হইতে বেণ নামে এক পুত্র লাভ করিলেন। এই সময়ে বেণের দেব দ্রোহিতা প্রভৃতি অহিতাচায় আরম্ভ হইলে অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া ঋষিগণ প্রজাগণের হিত কামনা করিয়া ঐ বেণের দক্ষিণ হস্ত মন্থন করেন। উহাতে এক তেজঃপুঞ্জ ঋষির জন্ম হয়। তদ্দর্শনে ঋষিগণ পরস্পর কহিতে লাগিলেন—এই মহা তেজাই প্রকৃতিবর্গের আনন্দবর্দ্ধন করিয়া অতি গরীয়সী কীর্ত্তিলাভ করিবে। এই বেণপুত্র পৃথু নামে বিশ্রুত হইয়াছিলেন। ইনিই ক্ষত্ররাজন্য কুলের প্রথম রাজা। অনন্তর অনল সদৃশ অতিদ্যুতিশালী সেই মহারাজ পৃথু ধনুর্দ্ধারণ ও কবচ পরিধানপূর্ব্বক প্রজাপালন করিতে লাগিলেন এবং রাজসূয় যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া রাজসূয়াভিষিক্ত নৃপতিগণের অগ্রগণ্য হইলেন। উহা হইতে কার্য্যকুশল সূত ও মাগধ সমুদ্ভূত হইয়াছিলেন। প্রকৃতিবর্গের হিত কামনা করিয়া উহাদের জীবিকা সম্পাদনার্থ মহারাজ পৃথু দেব, দানব, ঋষি, পিতৃগণ, যক্ষ, রাক্ষস, গন্ধর্ব্ব, অপ্সরাগণ, নাগলোক, উদ্ভিদ পর্ব্বতাদি সমন্বিত হইয়া গোরূপ-ধরা ধরাকে দোহন করেন। বসুন্ধরা এইরূপে দুহ্যমান হইয়া পৃথক পৃথক পাত্রে প্রার্থনানুরূপ যথেপ্সিত বস্তুজাত প্রদান করিয়াছিলেন। তদ্বারাই জীবলোক প্রাণ ধারণ করিতে সমর্থ হইয়াছে। অনন্তর পৃথুর অন্তর্দ্ধান ও পালী নামে দুই পুত্র জন্মে। এই অন্তর্দ্ধানের ঔরসে শিখণ্ডিনীর গর্ভে হবির্দ্ধান নামে এক পুত্র জন্ম গ্রহণ করেন। হবির্দ্ধানের ছয় পুত্র। ইহার প্রাচীন-বর্হি, শুক্র, গয়, কৃষ্ণ, ব্রজ ও অজিন নামে বিখ্যাত হইয়াছিল। উহাদের মাতার নাম আগ্নেয়ধিষণা। হে মহারাজ! এই সময়ে প্রাচীনবৰ্হি হইতে প্রজা সৃষ্টির বাহুল্য হওয়াতে ইনি পিতা অপেক্ষাও অধিকতর মহত্ত্ব লাভ করিয়াছিলেন, এই প্রাচীন বর্হির ঔরসে সমুদ্র তনয়া সবর্ণার গর্ভে প্রাচীনা কুশ প্রভৃতি দশ পুত্র জন্মে। ইহারা সকলেই প্রচেতা নামে অভিহিত হইয়া ধনুর্ব্বেদ বিশারদ এবং অভিন্ন ধর্ম্মাবলম্বী হইয়া উঠিলেন। এই প্রচেতা সকল সমুদ্রশায়ী হইয়া দশ সহস্র বৎসর অতি কঠোর তপশ্চৰ্য্যা করিলে পৃথিবী বৃক্ষলতাদি দ্বারা পরিপূর্ণ.
হইয়া উঠিল। এমন কি নভোমণ্ডলকেও আচ্ছন্ন করিয়া বায়ুর গতি পর্য্যন্ত রোধ করিল। দশ সহস্র বৎসর পৰ্য্যন্ত প্রজাগণের আর বিচরণ করিবার স্থান রহিল না, সুতরাং ভূরি ভূরি প্রজাক্ষয় আরম্ভ হইল, এবং সমুদায় প্ৰজাই চাক্ষুষ মনুর শরীরাভ্যন্তরে প্রত্যাহৃত হইল। তখন তপোবলে এই অদ্ভুত ব্যাপার অবগত হইয়া প্রচেতাগণ তপশ্চৰ্য্যায় বিরত হইলেন এবং রোষ পরবশ হইয়া তৎক্ষণাৎ মুখ হইতে বায়ু ও অগ্নিকে সৃষ্টি করিলেন। এই বায়ু ভীষণতর প্রবল হইয়া বৃক্ষ সকল উন্মূলিত ও শুষ্ক করিতে লাগিল। এ দিকে প্রচণ্ড অগ্নি প্রজ্জ্বলিত হইয়া ঐ সমস্ত বিটপিশ্রেণী ভস্মাবশেষ করিতে আরম্ভ করিল। পৃথিবী প্রায় বৃক্ষ শূন্য হইয়া উঠিল, অল্পমাত্র অবশিষ্ট থাকিতে বৃক্ষাধিপতি সোম দেব প্রচেতাগণের সন্নিধানে গমন করিয়া তাহাদিগকে বিনয় নম্র বচনে কহিতে লগিলেন হে প্রচেতাগণ! তোমরা ক্রোধ পরিহার কর, পৃথিবী বৃক্ষ শূন্য হইয়াছে, এক্ষণে তোমাদের বায়ু ও অগ্নিকে শান্ত কর। আমি ভবিষ্য তত্ত্ব জানিতে পারিয়া এই বরবর্ণিনী কন্যারত্নকে গর্ভে ধারণ করিয়াছি। এ কন্যা সমুদায় বৃক্ষের তেজোরূপে নির্ম্মিত হইয়াছে ইহার নাম মারিষা। হে মহাভাগগণ! তোমরা ইহাকে ভাৰ্য্যাত্বে পরিগ্রহ করিলে সোম কুল বিস্তৃত হইবে। তোমাদিগের ও আমার তপোবলের অৰ্দ্ধাৰ্দ্ধ ভাগ দ্বারা ইহাতে দক্ষপ্রজাপতি নামে এক পুত্র জন্ম গ্রহণ করিবে। সেই দক্ষ আপনাদিগের তেজঃপ্রভাবে অনল সদৃশ প্রখর তেজস্বী হইয়া এই দগ্ধ প্রায় ধরণীকে পুনর্ব্বার রক্ষা করিবে এবং প্রজাকুলের বৃদ্ধি করিবে। হে ভরতবংশাবতংস! তদনন্তর প্রচেততাগণ সোমদেবের বচনানুসারে ক্রোধ সংবরণ করিয়া যথাবিধি মারিষার পাণি পীড়ন করিলেন। অনন্তর ঐ দশ প্রচেতার মানসে মারিষার গর্ভাধান হইল। অতঃপর যথা সময়ে সোম দেবের অংশে ঐ গর্ভে মহাতেজা প্রজাপতি দক্ষ সমুৎপন্ন হইলেন। দক্ষপ্রজাপতি সোমবংশবিবৰ্দ্ধন অনেকগুলি পুত্রোৎপাদন করিলেন। অনন্তর তিনি স্থাবর জঙ্গম দ্বিপদ চতুষ্পদ প্রভৃতি বিবিধ পদার্থ সৃষ্টি করিয়া কতকগুলি মনঃকল্পিত কন্যার সৃষ্টি করিলেন। এই সকল কন্যার মধ্যে দশটী ধৰ্ম্মকে, ত্রয়োদশটী কশ্যপকে অবশিষ্ট নক্ষত্র নামধেয় একবিংশতি কন্যা সোমদেবকে প্রদান করিলেন। ইহাদেরই গর্ভে গো, পক্ষী, নাগ, দৈত্য, দানব, গন্ধর্ব্ব, অরোগণ প্রভৃতি নানা জাতির সৃষ্টি হইল। হে রাজেন্দ্র! এই সময় হইতে স্ত্রী পুরুষ সহযোগে প্রজা সৃষ্টির আরম্ভ হয়। ইতঃপূৰ্ব্বে, যে, মনন দর্শন ও স্পর্শ দ্বারা প্রজা সৃষ্টি হইয়া আসিতেছিল উহা রহিত হইয়া গেল। জনমেজয় কহিলেন, হে তপোধন! আপনি পূর্ব্বে যখন দেব, দানব, গন্ধৰ্ব্ব, উরগ ও মহাত্মা দক্ষের জন্ম বৃত্তান্ত কীৰ্ত্তন করেন তৎকালে ব্ৰহ্মার দক্ষিণাঙ্গুষ্ঠ হইতে দক্ষ, বামাঙ্গুষ্ঠ হইতে তৎপত্নী সমুদ্ভূত হইয়াছেন বলিয়া উল্লেখ করিয়াছিলেন। এখন আবার সেই মহাত্মা দক্ষ, কি রূপে প্রচেতোগণের পুত্রত্ব প্রাপ্ত হইলেন এবং কি রূপেই বা প্রজাপতি সোমদেবের দৌহিত্র হইয়া আবার তাঁহারই শ্বশুর হইলেন। এ বিষয়ে আমার মহান্ সংশয় উপস্থিত হইয়াছে। আপনি সম্যকরূপে ব্যাখ্যা করিয়া আমায় বুঝাইয়া দেন। বৈশম্পায়ন কহিলেন, মহারাজ! উৎপত্তি নিরোধ অর্থাৎ জন্ম মৃত্যু প্রাণিমাত্রেরই নিয়ত ধর্ম্ম, তাহাতে ঋষি ও জ্ঞানিগণের মোহের বিষয় কি? যুগে যুগেই দক্ষ প্রভৃতি নৃপতিগণের এক বার উৎপত্তি আবার লয় প্রাপ্তি হইতেছে উহাতে বিচক্ষণ ব্যক্তির সংশয় হয় না। হে নরাধিপ! পূর্ব্বে উহাদের জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠত্ব কিছুই ছিল না। কারণ তপোবলই ইহাদের উৎকৰ্ষাপকর্ষের হেতু হইত। হে মহারাজ! এই প্রজাপতি দক্ষ নৃপতির চরাচর সৃষ্টির বিষয় যিনি সম্যক্ অবগত হন তিনি পুত্রবান্ হইয়া চরমে স্বর্গলোক লাভ করিয়া থাকেন। [এই স্থানে নানা পুস্তকে নানা রকম পাঠ দেখা যায়। কোন পুস্তকে লিখিত আছে ধ্রুব হইতে শম্ভূ দুই পুত্র উৎপাদন করেন। উহাদের নাম শ্লিষ্ট ও ভব্য। অপর পুস্তকে ভব্য স্থানে ধন্য পাঠ আছে।].
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ