देवता: गणपतिर्देवता ऋषि: प्रजापतिर्ऋषिः छन्द: शक्वरी स्वर: धैवतः
ग॒णानां॑ त्वा ग॒णप॑तिꣳहवामहे प्रि॒याणां॑ त्वा प्रि॒यप॑तिꣳहवामहे निधी॒नां त्वा॑ निधि॒पति॑ꣳ हवामहे वसो मम।
आहम॑जानि गर्भ॒धमा त्वम॑जासि गर्भ॒धम् ॥ [আহমজানি গর্ভধমা ত্বমজাসি গর্ভধম্]
গণনাম্ ত্বা গণপতিম্ হবামহে প্রিয়াণাম্ ত্বা প্রিয়পতিম্ হবামহে নিধীনাম্ ত্বা নিধিপতিম্ হবামহে বসো মম। আহমজানি গর্ভধমা তুমজাসি গর্ভধম্।।
अन्वय:
(गणानाम्) समूहानाम् (त्वा) त्वाम् (गणपतिम्) समूहपालकम् (हवामहे) स्वीकुर्महे (प्रियाणाम्) कमनीयानाम् (त्वा) (प्रियपतिम्) कमनीयं पालकम् (हवामहे) (निधीनाम्) विद्यादिपदार्थपोषकाणाम् (त्वा) (निधिपतिम्) निधीनां पालकम् (हवामहे) (वसो) वसन्ति भूतानि यस्मिन्त्स वसुस्तत्सम्बुद्धौ (मम) (आ) (अहम्) (अजानि) जानीयाम् (गर्भधम्) यो गर्भं दधाति तम् (आ) (त्वम्) (अजासि) प्राप्नुयाः (गर्भधम्) प्रकृतिम् ॥
पदार्थान्वयभाषाः -हे जगदीश्वर ! हम लोग (गणानाम्) गणों के बीच (गणपतिम्) गणों के पालनेहारे (त्वा) आपको (हवामहे) स्वीकार करते (प्रियाणाम्) अतिप्रिय सुन्दरों के बीच (प्रियपतिम्) अतिप्रिय सुन्दरों के पालनेहारे (त्वा) आपकी (हवामहे) प्रशंसा करते (निधीनाम्) विद्या आदि पदार्थों की पुष्टि करनेहारों के बीच (निधिपतिम्) विद्या आदि पदार्थों की रक्षा करनेहारे (त्वा) आपको (हवामहे) स्वीकार करते हैं। हे (वसो) परमात्मन् ! जिस आप में सब प्राणी वसते हैं, सो आप (मम) मेरे न्यायाधीश हूजिये, जिस (गर्भधम्) गर्भ के समान संसार को धारण करने हारी प्रकृति को धारण करने हारे (त्वम्) आप (आ, अजासि) जन्मादि दोषरहित भलीभाँति प्राप्त होते हैं, उस (गर्भधम्) प्रकृति के धर्त्ता आपको (अहम्) मैं (आ, अजानि) अच्छे प्रकार जानूँ ॥-स्वामी दयानन्द सरस्वती
भावार्थभाषाः -हे मनुष्यो ! जो सब जगत् की रक्षा, चाहे हुए सुखों का विधान, ऐश्वर्य्यों का भलीभाँति दान, प्रकृति का पालन और सब बीजों का विधान करता है, उसी जगदीश्वर की उपासना सब करो ॥
হে মানবজাতি! সেই জগদীশ্বরের উপাসনা কর, যিনি সমস্ত জগৎকে রক্ষা করেন, কাঙ্খিত আনন্দ প্রদান করেন, ঐশ্বর্য দান করেন, প্রকৃতির রক্ষণাবেক্ষণ করেন এবং সমস্ত বীজের ব্যবস্থা করেন। -স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী
ব্রাহ্মণ আদি শাস্ত্র দ্বারা উক্ত মন্ত্রের বাস্তবিক ব্যাখ্যা- গনানাং ত্বা গণপতিং হবামহে ইতি ব্রাহ্মণস্পত্যং, ব্ৰহ্ম বৈ বৃহস্পতির্ব্ৰহ্মণৈবৈনং তদ্ভিষজাতি, প্রথশ্চয়সা সপ্রথশ্চ নামেতি।
ঐতরেয় ব্রাহ্মণ, পঞ্চিকা -১/ কণ্ডিকা- ২১
প্রজাপতির্বৈ জমদগ্নিঃ সোঽশ্বমেধঃ। ক্ষত্রং বাশ্বো বিডিতরে পশবঃ। ক্ষত্রস্যৈতদ্রূপং য়দ্ধিরণ্যং। জ্যোতির্বে হিরণ্যম্।
শতপথ ব্রাহ্মণ, কাণ্ড -১৩/অধ্যায়-২/ব্রাহ্মণ-২/কণ্ডিকা-১৪, ১৫, ১৬, ১৭
ন বৈ মনুষ্যঃ স্বৰ্গং লোকমঞ্জসা বেদাশ্বো বৈ স্বৰ্গং লোকমঞ্জসা বেদ।
শতপথ ব্রাহ্মণ ১৩/২/৩/১
রাষ্ট্রমশ্বমেধো জ্যোতিরেব তদ্রাষ্ট্রে দধাতি। ক্ষত্রায়ৈব তদ্বিশং কৃতানুকরামনুবর্তমানং করোতি।। অথো ক্ষত্রং বা অশ্বঃ ক্ষত্ৰস্যৈতদ্রূপং যুদ্ধিরণ্যং, ক্ষত্রমেব তৎ ক্ষত্রেণ সমর্ধয়তি।। বিশমেব তদ্বিশা সমর্থয়তি।
শতপথ ব্রাহ্মণ ১৩/ ২/ ২/ ১৫,১৬, ১৭,১৯
'গণানাং ত্বা' ঐতরেয় ব্রাহ্মণে গণপতি শব্দের এরূপ ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে উপরোক্ত মন্ত্র ঈশ্বরার্থ প্রতিপাদন হয়। যেরূপ ব্রহ্মের অপর নাম বৃহস্পতি, ঈশ্বর আদি তেমন বেদেরও অপর একটি নাম ব্রহ্ম। যেরূপ সুবৈদ্য রোগীকে বিশুদ্ধ ঔষধ প্রদান করে তার দুঃখ বা কষ্ট নিবারণ করেন, তেমন পরমেশ্বর ও বেদ উপদেশ করে মনুষ্যকে বিজ্ঞানরূপ ওষধি প্রদান পূর্বক, অবিদ্যারূপ দুঃখ হতে ত্রাণ করে থাকে। 'প্রথ' অর্থাৎ যে পরমাত্মা বিস্তৃত ও সমস্ত পদার্থে ব্যাপ্ত এবং সপ্রথ অর্থাৎ আকাশাদি বিস্তৃত পদার্থের সহিতও ব্যাপক হয়ে রয়েছেন। এই প্রকার উক্ত মন্ত্রেও ঈশ্বরের ভিন্ন-ভিন্ন নাম সকল যথাবহ প্রতিপাদিত হয়েছে। শতপথ ব্রাহ্মণে রাজ্যপালনরূপ কার্যকে 'অশ্বমেধ' বলে এবং রাজার নাম অশ্ব এবং প্রজার নাম ঘোটক ভিন্ন অপরাপর 'পশু' রাখা হয়েছে। রাজ্যের শোভা স্বরূপ ধন হয়ে থাকে, এবং জ্যোতিকেও হিরণ্য বলা যায়।
পুনশ্চ 'অশ্ব' শব্দে পরমেশ্বরকেও বুঝায়, কারণ কোন মনুষ্য সহজে নিজ সামর্থ বলে স্বৰ্গলোককে জ্ঞাত হতে সমর্থ হন না, কিন্তু 'অশ্ব' অর্থাৎ ঈশ্বরই মনুষ্যকে স্বর্গসুখ জ্ঞাত করান। যারা প্রেমী ও ধর্মাত্মা হন, তাকেই পরমাত্মা সর্বপ্রকারে স্বর্গসুখ প্রদান করিয়ে থাকেন।
পুনশ্চ (রাষ্ট্রমশ্বমেধঃ শব্দের অর্থ এইরূপ যে) যার সাহায্যে রাজ্যের প্রকাশ বা উন্নতি হয়, তাহা ধারণ করাই রাজ্যসভার কার্য্য, ঐ রাজ্যসভা নিজ পক্ষ হতে প্রজার প্রতি কর ধার্য্য করে থাকে, যেহেতু রাজ্যসভাকেই (প্রকৃত) রাজা বলা যায়, রাজ দ্বারাই রাজ্য ও প্রজাগণ দ্বারাই প্রজার বৃদ্ধি (বা উন্নতি) ঘটে থাকে।
(গণানাং ত্বা) এর অর্থ এইরূপ যে স্ত্রীগণও রাজ্য পালন জন্য (অর্থাৎ রাজ্য পালন বিষয়ের সুশৃঙ্খলা জন্য অনুবাদক) নিজ নিজ সন্তানগণকে বিদ্যা শিক্ষা প্রদান করবে যে জন যজ্ঞ প্রাপ্ত হয়েও সন্তানোৎপত্তি কর্মে মিথ্যাচরণ করে থাকেন, তাদের ঐরূপ কর্মে বিদ্বানগণ প্রসন্ন হন না। যে পুরুষ সন্তানদের শিক্ষা বিষয়ে আলস্য করেন, অন্যরা তাকে বন্ধন করে তাড়না করে থাকেন, এইরূপে তিন, ছয় বা নয়বার এর রক্ষা দ্বারা (শিক্ষা প্রদান পূর্বক) আত্মা ও শরীরের বল সিদ্ধ করবেন। যে জন পরমেশ্বরের উপাসনা করে থাকেন, তার বলাদি গুণ কদাপি নষ্ট হয় না। (আহমজানি) প্রজার কারণ স্বরূপকে গর্ভ বলে, এবং প্রজাসভা ঐ গর্ভের সমতুল্য হয়ে থাকে, (কারণ ঐ সভা) প্রজারূপ পুত্রকে নিজ আত্মা মধ্যে ধারণ করে রাখে অর্থাৎ যেরূপ সকলে নিজ নিজ মুখ চায়, সেইরূপ প্রজাগণ আপনাপন পশুগণেরও সুখপ্রাপ্তির ইচ্ছা করে থাকে।।
*মহিধর ভাষ্যঃ
হে অশ্ব। গর্ভধং গর্ভং দধাতি গর্ভধং গর্ভধারকং রেতঃ, অহম্ আ অজানি আকৃষ্য ক্ষিপামি। তুং চ গর্ভধং রেতঃ আ অজাসি আকৃষ্য ক্ষিপসি।।
[মহিষী অর্থাৎ রাজা বা যজমানের প্রথম স্ত্রী, ঘোড়ার পাশে শুয়ে এই মন্ত্রটি বলবেন] হে অশ্ব,আমি তোমার বীর্যকে গর্ভধারণের বিশেষ উপযোগী জানি,অতএব আমার গর্ভ-ধারণ-ক্ষম এই স্থানে বা যোনীতে বীর্যপাত কর!!!] এই মন্ত্রের ব্যাখ্যায় মহীধর বলেছেন যে গণপতি শব্দে ঘোড়া গ্রহণ করা যায়, ঋত্বিজের সম্মুখে যজমানের স্ত্রী ঘোড়ার নিকট শয়ন করবে এবং শয়ন করার পর ঘোড়া কে সম্বোধন করবে যে, হে অশ্ব। যার দ্বারা গর্ভধারণ হয়, এরূপ যে তোমার বীর্যকে আমি আকর্ষণ করে নিজ যোনিতে ফেলছি এবং তুমি ঐ বীর্য আমাতে স্থাপনকারী হয়ে থাক।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ