গুরােঃ প্রেতস্য শিষ্যস্তু পিতৃমেধং সমাচরন্।।
প্রেতহারৈঃ সমং তত্র দশরাত্রেণ শুদ্ধতি ॥
মনু (৫। ৬৫)
অর্থ – যখন গুরুর মৃত্যু হয়, তখন মৃতদেহের নাম হয় ‘প্রেত’ মৃত দেহের দাহকারী শিষ্য প্রেতহার অর্থাৎ শব-বাহীদের সহিত দশম দিবসে শুদ্ধ হয়।
দাহান্তে সেই মৃতদেহের নাম হল ‘ভূত’ অর্থাৎ তিনি অমুক ব্যক্তি ছিলেন – এইরূপ বলা হয়। যাহা কিছু উৎপন্ন হইয়া বর্তমান কালে থাকে না তাহা ভূতস্থ হয় বলিয়া তাহার নাম ‘ভূত’। ব্রহ্মা হইতে আজ পর্যন্ত বিদ্বান্ ব্যক্তিদের এইরূপ সিদ্ধান্ত। কিন্তু যাহার মধ্যে শঙ্কা, কুসঙ্গ প্রভৃতি কুসংস্কার থাকে তাহার ভয় ও শঙ্কা-রূপী ভূত, প্রেত, শাকিনী, ডাকিনী নানাবিধ ভ্ৰম-জাল দুঃখজনক হয়। কাল্পনিক ভূত প্রেত ধান্দাবাজদের ফাঁদে যেন কেউ না পড়ে কখনোই দেখ, যখন কোনও প্রাণীর মৃত্যু হয়, তখন তাহার জীবাত্মা পাপ-পূণ্যের বশীভূত হইয়া পরমেশ্বরের ব্যবস্থানুসারে সুখ দুঃখের ফল ভােগার্থে জন্মান্তর গ্রহণ করে। কেহ কি অবিনাশী পরমেশ্বরের এই ব্যবস্থার নাশ করিতে পারে? অজ্ঞানী লােকেরা বৈদ্যক শাস্ত্র বা পদার্থ বিদ্যা পড়াশােনা না করিয়া, বিচারশূন্য হইয়া, সন্নিপাত জ্বরাদি শারীরিক এবং উন্মাদাদি মানসিক ব্যাধিকে ভূত প্রেতাদি নাম দিয়া থাকে। প্রত্যেকেই মৃত্যুর পর নিজের কর্ম অনুযায়ী ফল প্রাপ্ত হয় ও আত্মা দেহ ধারণ করে নতুন জন্মে চলে যায় বা মুক্তি লাভ করে। কাজেই ভূত প্রেত বলে কিছু থাকা অসম্ভব।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ