বেদে অপসরা বা সুন্দরী নারী প্রাপ্তির দাবি - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

06 December, 2021

বেদে অপসরা বা সুন্দরী নারী প্রাপ্তির দাবি

 ঋগ্বেদ (৯/৬৭/১০)


অপপ্রচারঃ পূষা নামক দেবতা যিনি ছাগ বাহনে গমন করেনতিনি যেন যখন যখন আমরা যাত্রা করি, তখনই আমাদের রক্ষা করেন। তার প্রসাদে যেন আমরা সুশ্রী নারী প্রাপ্ত হই"।।


মন্ত্রঃ


" অবিতা নো অজাশ্বঃ পূষা যামনিযামনি। আ ভক্ষক্তন্যাসু নঃ"।।১০।।


ভাষ্যঃ- (পূষা) যিনি লালন-পালন করেন, (অবিতা) যিনি রক্ষা করেন [ রক্ষক ],যিনি সকলকে ভালবাসেন! (অজ্যাশ্বঃ) দ্রুতগামী অশ্বের সহিত যুক্ত [ সেই ] বিদ্বান্ (যামনি-যামনি) প্রত্যেক যম-নিয়মে অভ্যস্ত অথবা উত্তম বিবাহকার্যে (নঃ কন্যাসু) আমাদের কন্যার পাণিগ্রহণ করার নিমিত্ত (নঃ আ ভক্ষত্) আমাদের প্রাপ্ত হোক।।


[ ভাষ্যকারঃ পন্ডিত জয়দেব শর্মা ]


ঋগ্বেদ (৯/৬৭/১১)


অপপ্রচারঃ-


" কপর্দী নামক যে দেবতা তার উদ্দেশ্যে এ সোমরস ঘৃতের ন্যায়, মধুর ন্যায় ক্ষরিত হচ্ছে। আমরা যেন অনেক সংখ্যক সুশ্রী নারী লাভ করি"।।


মন্ত্রঃ-


" অয়ং সোমঃ কপর্দিনে ঘৃতং ন পবতে মধু। আ ভক্ষক্তন্যাসু নঃ"।।১১।।


ভাষ্যঃ- (অয়ং) যেই (সোমঃ) উত্তম-বিদ্বান, যিনি বধূর কামনা করেন, (কপর্দিনে) রাজার যোগ্য, উত্তম মুকুটে শোভিত  (মধু ঘৃতং ন পবতে) মধুর, আনন্দদায়ক খাদ্য দ্রব্য, মধুপর্ক আর জল, অর্ঘ্য, পাদ্য আদি প্রাপ্ত করে থাকেন সেই [ উত্তম বিদ্বান ] (নঃ কন্যাসু আ ভক্ষত্) আমাদের কন্যার নিমিত্ত আমাদের প্রাপ্ত হোক।।


[ ভাষ্যকারঃ পন্ডিত জয়দেব শর্মা ]


ঋগ্বেদ (৯/৬৭/১২) 


অপপ্রচারঃ-


হে তেজপুত্র! তোমার নিমিত্ত নিষ্পীড়িত হয়ে ঘৃতের ন্যায় নির্মলভাবে এ সোমরস ক্ষরিত হচ্ছে। আমরা যেন বহু সংখ্যক সুশ্রী নারী প্রাপ্ত হই।। 


মন্ত্রঃ


" অয়ং ন আঘৃণে সুতো ঘৃতং ন পবতে শুচি। আ ভক্ষক্তন্যাসু নঃ"।।১২।।


ভাষ্যঃ- হে (আঘৃণে) সকল প্রকারে তেজস্বী! যে (নঃ কন্যাসু আ মক্ষত্) আমাদের কন্যার নিমিত্ত প্রাপ্ত হোক। (অয়ং) যা (তে) তোমার ( শুচি) শুদ্ধ কান্তিযুক্ত (ঘৃতং ন) প্রকাশস্বরূপ (তে সুতঃ) তোমার অভিষিক্ত পুত্রস্বরূপ উৎপন্ন আলোকে ( পবতে) প্রাপ্ত হও।।


[ ভাষ্যকারঃ পন্ডিত জয়দেব শর্মা ]


#বিঃদ্রঃ এই মন্ত্রটির পরমাত্মা পক্ষে ও আধ্যাত্মিক পক্ষে ভাষ্য হয়। যা করেছেন পন্ডিত আর্যমুনি আর পন্ডিত হরিশরণ সিধান্তলংকার।। আর ড. তুলশীরাম শর্মা জী ওনি পন্ডিত আর্যমুনির মন্ত্রগুলোকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন যেগুলো ছিলো পরমাত্মার পক্ষে ও উপাসকের।। কিন্তু পন্ডিত জয়দেব শর্মার টি আদিদৈবিক ভাষ্য। যার থেকে এই বিধর্মীূের দাবির প্রকৃত খন্ডন হয়। বিধায় পন্ডিত জয়দেব শর্মার ভাষ্য দেওয়া হলো।।


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ