বর্তমানে বেশিরভাগ সনাতনীই যজ্ঞ বলতেই বুঝে থাকে যে অগ্নিতে দ্রব্য আহুতি দেওয়া। মূলত যজ্ঞ বলতে কেবল তা বুঝায় না, তবে এটাও যজ্ঞ। চলুন পঞ্চমহাজ্ঞ তথা পাঁচটি যজ্ঞের সংজ্ঞা মনুস্মৃতি তৃতীয় অধ্যায় থেকে জেনে নিই -
अध्यापनं ब्रह्मयज्ञः पितृयज्ञस्तु तर्पणम् ।होमो दैवो बलिर्भौतो नृयज्ञोऽतिथिपूजनम्
অধ্যাপনং ব্রহ্মযজ্ঞঃ পিতৃযজ্ঞস্তু তর্পণম্।
হোমো দৈবো বলির্ভৌতো নৃযজ্ঞোহতিথিপূজনম্।। ৩/৭০
পদার্থঃ - (অধ্যাপং ব্রহ্মযজ্ঞঃ) অধ্যয়ন - অধ্যাপন, সন্ধ্যোপাসনা করাকে [সাবিত্রী মন্ত্রধীয়ীত-২/৭৮, ২/১০৪] ব্রহ্মযজ্ঞ বলে (তু) আর (তর্পণম্ পিতৃযজ্ঞ) মাতা- পিতার সেবা- সুশ্রুষা তথা ভোজন আদি দ্বারা তৃপ্ত করা পিতৃযজ্ঞ (হোমঃ দৈবঃ) সকাল সন্ধা হবন ও অগ্নি দ্বারা হোমযজ্ঞ করা দেবযজ্ঞ (বলিঃ ভৌতঃ) পোকামাকড়, পাখি, কুকুর এবং কুষ্ঠরোগী এবং ভূত ইত্যাদির মতো নির্ভরশীলদের খাবারের অংশ সংরক্ষণ করা- ভূতযজ্ঞ বা বলিবৈশ্বদেব যজ্ঞ বলে (অতিথিপূজনম্) অতিথিকে ভোজন এবং সেবা দ্বারা সৎকার করাকে (নৃযজ্ঞ) 'নৃযজ্ঞ' অথবা অতিথিযজ্ঞ বলে।
অনুবাদঃ - অধ্যয়ন - অধ্যাপন, সন্ধ্যোপাসনা করাকে [সাবিত্রী মন্ত্রধীয়ীত-২/৭৮, ২/১০৪] ব্রহ্মযজ্ঞ বলে। মাতা - পিতার সেবা- সুশ্রুষা তথা ভোজন আদি দ্বারা তৃপ্ত করাকে পিতৃযজ্ঞ বলে। সকাল সন্ধা হবন ও অগ্নি দ্বারা হোমযজ্ঞ করাকে দেবযজ্ঞ বলে। পোকামাকড়, পাখি, কুকুর এবং কুষ্ঠরোগী এবং ভূত ইত্যাদির মতো নির্ভরশীলদের খাবারের অংশ সংরক্ষণ করাকে - ভূতযজ্ঞ বা বলিবৈশ্বদেব যজ্ঞ বলে অতিথিকে ভোজন এবং সেবা দ্বারা সৎকার করাকে 'নৃযজ্ঞ' অথবা অতিথিযজ্ঞ বলে।
पण्डित राजवीर शास्त्री जी
पढ़ना - पढ़ाना, संध्योपासन करना ‘ब्रह्मयज्ञ’ कहलाता है और माता - पिता आदि की सेवा - शुश्रूषा तथा भोजन आदि से तृप्ति करना ‘पितृयज्ञ’ है प्रातः सांय हवन करना ‘देवयज्ञ’ है कीटों, पक्षियों, कुत्तों और कुष्ठी व्यक्तियों तथा भूत्यों आदि आश्रितों को देने के लिए भोजन का भाग बचाकर देना ‘भूतयज्ञ’ या ‘बलिवैश्वदेवयज्ञ’ कहलाता है अतिथियों को भोजन देना और सेवा द्वारा सत्कार करना ‘नृयज्ञ’ अथवा ‘अतिथियज्ञ’ कहाता है । सत्यार्थप्रकाश चतुर्थ समुल्लास में यह श्लोक आया है । वहां श्लोकार्थ सरल होने से नहीं दिया है । (सं०)
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ