ভারতবর্ষ বনাম ইন্ডিয়া - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

10 January, 2022

ভারতবর্ষ বনাম ইন্ডিয়া

 ভূমিকা


শাসক হিসাবে ইংরাজরা তাদের উপনিবেশ ভারতবর্ষের জন্য যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিল এখন থেকে তার বয়স ১৭০-১৮০ বছরের বেশী নয়। সোনার ডিম পাড়া এই উপনিবেশটি যাতে হাতছাড়া না হয় তার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তারা সেই মতই তৈরী করেছিল। তাদের স্বার্থে তা করা তাদের পক্ষে প্রয়োজন ছিল- সে জন্য তাদের দোষ দেওয়া যায় না। আশা করা গেছিল যে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা আমাদের স্বদেশীয় ভাবনায় জারিত হয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তা হয়নি। কারণ যারা এদেশের শাসন ব্যবস্থায় এলেন - তাদের সে রকম কোন অভিপ্রায় ছিল না। তারা ছিলেন ইংরাজদের গুণমুগ্ধ (স্তাবক শব্দটি প্রয়োগ করলাম না)। ইংল্যাণ্ড এবং ইংরাজদের সম্পর্কে তাঁদের যে জ্ঞান ছিল ভারত ও ভারতীয়দের সম্পর্কে সেই জ্ঞান ছিল না।

সর্বক্ষেত্রেই ইংরাজ উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত ধ্যান ও ধারণাগুলি বজায় থাকল এবং এদেশের পন্ডিত সমাজ ও বিদ্বজ্জন সরকারী আনুকূল্যে সেই সব ধ্যান ধারণাকে সার ও সিঞ্চন দিয়ে বহু শাখা প্রশাখা যুক্ত মহীরূহে পরিণত করলেন। শাস্ত্রে একটা কথা আছে – বিষ বৃক্ষোপি সংবর্দ্ধ স্বয়ং চ্ছেত্যুম্ অসাম্প্ৰ্যতম্ অর্থাৎ নিজের লাগানো বিষ বৃক্ষকেও নিজের হাতে কাটতে ইচ্ছা হয় না। তাই সেই বিষাক্ত মহীরূহগুলি থেকেই গেল। কেউ কেউ যে সত্যানুসন্ধান করে বিরোধ প্রতিবাদ করলেন না তা নয়। কিন্তু সরকারী আনুকূল্যের প্রবাহের বিরুদ্ধে তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারলেন না। কিন্তু সন্তরণ বদ্ধ হল না। এখনও চলছে স্রোতের বিরুদ্ধে সন্তরণ।


আমার এই প্রবন্ধ সঙ্কলনের প্রত্যেকটি প্রবন্ধই প্রচলিত ধ্যান ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। সমস্ত বক্তব্যই আমার নিজস্ব গবেষণালব্ধ নয়। আমি অনেক ঋণ করেছি। যাদের কাছে আমার ঋণ আমি যথাস্থানে তাঁদের নাম ও সেই ঋণ অবনত মস্তকে ও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছি।


প্রবন্ধগুলি প্রচলিত ধারণার বিপক্ষে লেখা হয় নি। সত্যানুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে প্রবন্ধগুলি প্রচলিত ধ্যান ধারণার বিপক্ষে চলে গেল। প্রবন্ধগুলির মধ্যে একাত্ম মানববাদ প্রবন্ধটিতে অতি সংক্ষেপে ভারতীয় দর্শনের সঙ্গে পাশ্চাত্য দর্শনের মৌলিক পার্থক্যটি দেখান হয়েছে। বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, ভারতীয় দর্শনই পৃথিবীর পক্ষে বর্তমান অবস্থায় একমাত্র গ্রহণীয় দর্শন। আর্য আক্রমণতত্ব যে একটি কল্পিত কাহিনী সে বিষয়ে বহু গ্রন্থ লিখিত হয়েছে। এই প্রবন্ধে অতিশয় সংক্ষেপে তা উল্লিখিত হল।


যোদ্ধা ভারতবাসী প্রবন্ধটিতে আধ্যাত্মিক ভারতের ক্ষাত্ররূপটি উল্লেখ করা হয়েছে। যে রূপটি ভারতের বর্তমান প্রজন্ম জানেন না, সে রূপটি ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায়

চলবে

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ