পুরানগুলো কি বেদবিরোধী ? - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

22 February, 2022

পুরানগুলো কি বেদবিরোধী ?

 পৌরাণিকগন যদিও পুরানগুলোকে ভিত্তি করে নিজেদের সনাতনী মনে করে, তবুও পুরান গুলোর মধ্যে কি আছে, সে বিষয়ে তারা প্রায়ই অজ্ঞাত। কোক শাস্ত্র, অবতারবাদ, অশ্লীলতা, মহাপুরুষদের নামে দুরাচারের কলঙ্ক, সৃষ্টিক্রমের বিরুদ্ধে কাহিনী/গল্প আদি পুরাণগুলোর মধ্যে পূর্ণ রয়েছে। এই পুরানগুলো যদিও নিজেদের উৎস বেদ হিসেবে পরিগণিত করে, তবুও এর বিষয়গুলো আদৌ বেদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না। যেমন বেদের মধ্যে ব্রহ্মচর্য, সংযম, জিতেন্দ্রিয়তার কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন,----

ব্রহ্মচর্য়েণ কন্যা য়ুবানং বিন্দতে পতিম্। __________ (অথর্ববেদ ১১/৫/১৮)
অর্থঃ-- ব্রহ্মচর্য ব্রত ধারণ করে কন্যা যুবক স্বামীকে প্রাপ্ত করে।
আরো বলা হয়----
উত্সক্থ্যাব গুদং ধেহি সমঞ্জি চারয়া বৃষন্। য়ঃ স্ত্রীণাং জীবভোজনঃ॥ --- (যজুর্বেদ ২৩/২১)
অর্থ-- হে শক্তিমন্ রাজন্ ! স্ত্রীদের মাঝে যে মাংসভোজী ব্যভিচারী পুরুষ বা পুরুষদের মধ্যে মাংসভোজী ব্যভিচারিণী স্ত্রী বিদ্যমান আছে, সেই পুরুষ ও স্ত্রী-কে বেঁধে উপরে পা ও নিচে মাথা করে, প্রহার করে, নিজের প্রজাদের মাঝে উত্তম সুখকে ধারণ করো এবং নিজের প্রকট ন্যায় ব্যবস্থাকে ভালোভাবে চালাও।--- মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীকৃত ভাষ্য অনুবাদ
পাঠকগণ! বুঝতেই পারছেন যে বেদের মধ্যে ব্যভিচারকে ও মাংসাহারকে ভীষণ অপরাধ মনে করা হয়। কিন্তু পুরানগুলো পড়লে বোঝা যায় যে, ব্যাভিচারীকে কোথাও শাস্তি দেওয়া হয়নি বা দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কৃষ্ণ কূব্জার সঙ্গে ব্যভিচার করল, তাতে কৃষ্ণের কি শাস্তি হলো? শিব মহানন্দা কঞ্জরীর সাথে ব্যভিচার করলো, তাতে শিবের কি শাস্তি হলো? ব্রহ্মা-বিষ্ণু- মহাদেব একদম নগ্ন হয়ে অনসূয়ার সঙ্গে ব্যভিচার করল, তাতেও তাদের কোন শাস্তি হলো না। বৃহস্পতি গর্ভবতী মমতাকে বলাৎ ধর্ষণ করলো তারও কোনো শাস্তি হয়নি। এ থেকে এটাই বোঝা যায় যে, পুরানগুলোতে এই রকম শত শত প্রমাণ আছে, যেখানে দুরাচারী পুরুষ ও স্ত্রীর কোন শাস্তি নেই। উপরন্তু পুরান গুলোতে তো বেশ্যাগমন ও দুরাচারের খুলা অনুমতি দেওয়া আছে, যা পরে আমি বর্ণনা করব।

শিব পুরাণের রুদ্র সংহিতা, সতীখন্ড, অধ্যায় ১৯-এ লেখা আছে-- "যখন ব্রহ্মা নিজের নাতনি সতীর বিবাহ মহাদেবের সঙ্গে করাচ্ছেন, তখন তার মুখমণ্ডল দেখে ব্রহ্মার পরনের ধুতি খারাপ হয়ে যায়"। এবং শিবপুরানের রুদ্র সংহিতার সতী খন্ডের অধ্যায় ২-তে লেখা আছে,-- "ব্রহ্মার মন থেকে একজন সুন্দরী মেয়ে উৎপন্ন হল। ব্রহ্মা ও ব্রহ্মাপুত্র মরিচি আদি সকলে তার উপর আসক্ত ছিল এবং তারা সকলেই স্খলিত হয়ে গেল।"-- এই গল্প গুলোর মধ্যে কোন ফিলোসোফি দেখতে পাবেন না।
শিব পুরাণের রুদ্রসংহিতা, সতীখণ্ড, অধ্যায় ২৬ থেকে একটি কাহিনীর হুবহু উদ্ধৃত করছি। যাতে পাঠকগণ সত্যাসত্যের যথাযথ অনুমান করতে পারবেন---
নন্দীগ্রামে কোন মহানন্দা নামে কঞ্জরী নিবাস করত। সে শিবের অত্যন্ত ভক্ত ও অতি সুন্দরী এবং সুন্দর আভূষণে অলংকৃত ছিল। গান বিদ্যায় সে অতি কুশলা ছিল। তার গানে রাজাগন মুগ্ধ হতেন। একদিন শিব নিজে বৈশ্যের রূপ ধারণ করে তার ঘরে গেল। তাকে আসতে দেখে কঞ্জরী অতি প্রশন্ন হল এবং তাকে ভালো জায়গায় বসালো। সেই বৈশ্যের হাতে সুন্দর কঙ্কন দেখে, লোভে পড়ে, মুচকি হাসতে হাসতে সে বলল,-- আপনার হাতে এত সুন্দর কঙ্কন আমার মনকে হরণ করছে। বৈশ্য বলল,-- এই কঙ্কনটি যদি তোমার ভালো লাগে, তুমি পরে নাও। কিন্তু তুমি এর মূল্য কি দেবে? তখন কঞ্জরী বলল,--
বয়ং হি স্বৈরচারিন্যো বৈশ্যাস্তু ন পতিব্রতাঃ। অস্মত্ কুলোচিতো ধর্মো ব্যাভিচারো ন সংশয়ঃ॥
অর্থঃ-- আমরা দুরাচারিনী স্ত্রী; পতিব্রতা নই। ব্যাভিচারই হল আমাদের কুলের উচিত ধর্ম। এতে একটুও সন্দেহ নেই। যদি আপনার মন চায় তবে এই কঙ্কনের বদলে তিন দিনের জন্য আপনার আমি ধর্মপত্নী হয়ে থাকতে পারি। বৈশ্য তা মেনে নিল। এবং সেই কঞ্জরী তিন বার সূর্য ও চন্দ্রকে সাক্ষী করে, সেই বৈশ্যের হৃদয় স্পর্শ করে, তাঁর পত্নী হওয়ার প্রতিজ্ঞা করল। তখন বৈশ্য সেই কঙ্কনটি তাকে দিয়ে দিল এবং এক রত্নের দ্বারা নির্মিত শিবলিঙ্গ কঞ্জরীকে সাবধানে রাখার জন্য দিল। শিবলিঙ্গটি নিয়ে নৃত্য মণ্ডপে সাবধান পূর্বক রেখে দিল। তারপর দুজনে সমাগম করতে লাগলো।
সা তেন সঙ্গতা রাত্রৌ বৈশ্যেন বিটধর্মিনা। সুখং সুষ্বাপ পর্য়ঙ্কে মৃদুতল্পোপশোভিতে॥ ৩০॥
অর্থ:-- সেই রাতে কঞ্জরী সেই বৈশ্বের সাথে একই পালঙ্কে একসঙ্গে সুখ পূর্বক নরম বিছানায় সুয়ে গেল। অর্ধেক রাতে সেই মণ্ডপে আগুন লেগে গেল এবং সেই শিবলিঙ্গটি আগুনে পুড়ে খন্ড খন্ড হয়ে গেল। এটি দেখে বৈশ্যের অনেক কষ্ট হল, সে চিতা বানিয়ে আগুনে প্রবেশ করল। এই দৃশ্যটি দেখে সেও নিজের প্রতিজ্ঞার কারণে সেই আগুনে প্রবেশ করতে লাগল। তখন মহাদেব এসে তার হাত ধরে নিলো এবং তাকে সত্যপ্রতিজ্ঞ জেনে ভৃত্য -চাকর সহিত সপরিবারের সকলকে পরমপদ প্রাপ্ত করালো।
এই পুরাণোক্ত কাহিনী দ্বারা স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে মহাদেব, মহানন্দা কঞ্জরীর সঙ্গে সম্ভোগ করেছিল। এবং যেহেতু বেশ্যাগমন ও ব্যভিচারকে বেদে অধর্ম বলা হয়, সেহেতু শিবের চরিত্রের দ্বারা বেশ্যাবৃত্তি ও ব্যভিচার কে সমর্থন করায়, পুরান বেদ-বিরোধী গ্রন্থ প্রমাণিত হয়।

২) ভবিষ্য পুরাণের প্রতি সর্গ পর্ব-৩, খণ্ড-৪, অধ্যায়-১৭তে কাহিনীটি লেখা আছে এইভাবে----
"কোনো এক সময়ে অত্রিমুনি, পত্নী অনসূয়াকে সাথে নিয়ে গঙ্গার তীরে প্রচন্ড তপস্যা করছিলেন। তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহাদেবও নিজ নিজ বাহনে করে অত্রিমুনির পাশে এল এবং বলল, 'বর চাও'। কিন্তু পরমাত্মার ভক্তিতে লীন অত্রি মুনি তাদের কথা শুনে কিছুই বললেন না, তারা তাঁর মনের ভাবনাকে জেনে তাঁর স্ত্রী অনসূয়ার পাশে এসে এভাবে বলল----
লিঙ্গহস্তঃ স্বয়ং রুদ্রো বিষ্ণুস্তদ্রসবর্ধনঃ।
ব্রহ্মা কামব্রহ্মলোপঃ স্থিতস্তস্যা বশং গতঃ॥
রতিং ধেহি মহাঘূর্ণে নো চেত্প্রাণাস্ত্যাজাম্যহম্॥৭১॥
নৈব কিঞ্চদ্বচঃ প্রাহ কোপভীতা সুরান্ প্রতি॥৭২॥
মোহিতাস্তত্র তে দেবা গৃহীত্বা তং বলাত্তদা।
মৈথুনায় সমুদ্যোগং চক্রুর্মায়া বিমোহিতাঃ॥৭৩॥
অর্থ: মহাদেব হাতে লিঙ্গ নিয়ে, বিষ্ণু তার রস বাড়াতে২ এবং ব্রহ্মা বেদজ্ঞান লোপ করে তার বশে বশীভূত হয়ে দাঁড়িয়ে বলল-- হে সুন্দরনয়না! আমাদের মৈথুন দান করো, অন্যথা আমরা প্রাণ ত্যাগ করব। পতিব্রতা অনসূয়া এমন খারাপ পাপের কথা শুনে দেবতাদের ক্রোধে ভয়ভীত হয়ে কিছুই বললেন না। যখন সেই দেবতারা মোহিত হয়ে তাঁকে বলাত্ ধরে, তাঁর সাথে মৈথুন করার প্রয়াস করল, তখন সে সতী ক্রুদ্ধ হয়ে তাদের অভিশাপ দিলেন যে, - তোমরা আমার পুত্র হয়ে জন্মাবে এবং মহাদেবের লিঙ্গ, ব্রহ্মার মাথা ও বিষ্ণুর পায়ের পূজা হবে।
এই কাহিনীতে ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহাদেবের লিঙ্গ হাতে ধরে অনসূয়ার সাথে ব্যভিচারের স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায়। এখানে লিঙ্গ নাম কোন চিহ্নের হতে পারে না। কেননা বিষ্ণুর দ্বারা রস বৃদ্ধি, ব্রহ্মার বেদজ্ঞান লুপ্ত হওয়া, অনসূয়ার সঙ্গে মৈথুনের দান চাওয়া, এবং তাকে বলাত্ মৈথুনের জন্য জাপটে ধরা, লিঙ্গের সঙ্গে মাথা ও পায়ের বর্ণনা হওয়ায় প্রমাণিত হয় যে, এখানে লিঙ্গ শব্দটি মূত্রেন্দ্রিয়ের জন্য ব্যবহার হয়েছে। অনসূয়া এই কাহিনীতে কোন বর চাননি। বরং বলা হয়েছে যে তিনি চুপ ছিলেন, এবং মৈথুনের প্রয়াসে দেবতাদের অভিশাপ দিলেন।
৩) ভবিষ্য পুরাণে কোন একটি প্রসঙ্গে যুধিষ্ঠির কৃষ্ণকে প্রশ্ন করল, মহারাজ!
বর্ণাশ্রমাণাং প্রভবঃ পুরাণেষু ময়া শ্রুতঃ। পণ্যস্ত্রীণাং সমাচারং শ্রোতুমিচ্ছামি তত্ত্বতঃ॥
---- (ভবিষ্য: উত্তর ১১১/১)
অর্থ: আমি বর্ণাশ্রমগুলোর ধর্মগুলোকে পুরান গুলিতে শুনে নিয়েছি। আমি বেশ্যাদের ধর্ম ভালোকরে শুনতে চাই। এদের দেবতা কে হন? এদের ব্রত(সংকল্প) কি এবং কোন ধর্মের পালন করলে এরা স্বর্গ পেতে পারে?
তখন কৃষ্ণ উত্তর দিলেন-- হে যুধিষ্ঠির! আমার ১৬০০০ রানীরা অত্যন্ত সুন্দরী এবং মনে করো যেন তারা কামদেবের ঘরই ছিল। তাদের সঙ্গে আমি একবার উদ্যানে মদ্যপানে মত্ত ছিলাম। সেই সময় আমার সেই স্ত্রীরা পাশের মার্গে চলতে চলতে কামদেবের সমান সুন্দর সাম্বকে দেখলো। তাকে দেখে শরীরে কামদেবের বৃদ্ধিতে স্ত্রীদের সমস্ত অঙ্গে বিকার উৎপন্ন হয়ে গেল। এই সমস্ত কথা জ্ঞান নেত্রের সাহায্যে দেখে আমি তাদের অভিশাপ দিলাম, --- তোমরা ডাকাতদের হাতে চলে যাবে। এগুলো সব আমার মৃত্যুর পরে ঘটবে। এসব শুনে তারা সবাই কাঁদতে২ জিজ্ঞেস করল যে, হে গোবিন্দ! এটি কি করে হবে? আপনার মত স্বামী, দ্বারিকার মতো পুরী, রত্নে ভরা ঘরগুলো, দ্বারিকায় থাকা আরও অনেক কুমারদের থাকতে থাকতে আমরা সকলে সংসারী ব্যক্তিদের দ্বারা কি করে ভোগ্যা হতে পারি? এবং সেই সময় আমাদের কি অবস্থা এবং কি ধর্ম হবে? তথা আমাদের ব্যবসা কি হবে? সেই কান্নারত স্ত্রীদের আমি বললাম, সন্তাপ করোনা। একবার তোমরা নারদকে প্রমাণ করেছিলে না, এইজন্য নারদের ও আমার অভিশাপে,---
চৌরৈরপহৃতাঃ সর্বা বেশ্যাত্বং সমবাপ্স্যথ॥১৮॥
অর্থ: তোমরা সকলে চোরের দ্বারা অপহৃত হয়ে বেশ্যা হয়ে যাবে।
সেই সময় তোমাদের ধর্ম এটা হবে যে, একজনের সাথেই শুধু তোমাদের ভোগ করতে হবে না। যে তোমাদের টাকা দেবে তাদেরকে দেবতার সমান পূজা করবে। যে কেউ তোমাদের শুল্ক দেবে, সে যদি সুরুপ হোক বা কুরুপ হোক, তার সাথে সম্ভোগ করতে হবে। যদি তুমি তার সাথে ছল করো তো তোমায় ব্রহ্মহত্যার পাপ লাগবে। তোমরা সকলে দেবতাদের মন্দিরগুলোতে ও ব্রাহ্মণদের ঘরগুলোতে নিবাস করবে। এবং তাদের দাসী হয়ে থাকবে। কিন্তু সাবধান সেই ব্রাহ্মণ স্বামীদের সাথে ব্যভিচার কখনো করবে না। তোমার সন্তান তাদের সন্তান বলা হবে। তোমাদের মুক্তির জন্য (ব্রত)সংকল্প বলছি, যে দিন রবিবার হবে সেই দিন ভাল করে স্নান করে কামদেবের মূর্তির পূজা করবে এবং কামদেবের ভালোভাবে পূজা করে---
অত্র চাহূয় ধর্মজ্ঞং ব্রাহ্মণং বেদপারগম্।
অব্যঙ্গাবয়বং পূজ্য গন্ধপুষ্পাদিভিস্তথা ॥৪২॥
য়থেষ্ঠাহারভুক্তং চ তমেব দ্বিজসত্তমম্।
রত্যর্থং কামদেবোয়মিতি চিত্তেবধার্য় চ॥৪৪॥
য়দ্যদিচ্ছতি বিপ্রেন্দ্রস্তত্তত্কুর্য়াদ্বিলাসিনী।
সর্বভাবেন চাত্মানমর্পয়েত্স্মিতভাষিণী॥৪৫॥
এবমাদিত্যবারেণ সদা তদ্ ব্রতমাচরেত্।
তণ্ডুলপ্রস্থদানং চ য়াবন্মাসাংস্তু দ্বাদশঃ॥৪৬॥
অর্থ: সেখানে একজন ধার্মিক বেদপাঠী ব্রাহ্মণকে, যার সমস্ত অঙ্গ সুন্দর, তাকে ডেকে, তাকে সুগন্ধিত পুষ্প দিয়ে পূজা করে ভোজন করাবে। যখন সে ভালো করে ভোজন করে নেবে তখন সেই ব্রাহ্মণকে ভোগের জন্য কামদেব-ই বুঝবে। এমনটি হৃদয়ে ধারন করে, যেমন২ প্রকারে ব্রাহ্মণটি চাইবে, সেই সেই প্রকারে ব্রাহ্মণের সাথে ভোগবিলাস করবে। সম্পূর্ণ ভক্তি দিয়ে নিজের দেহকে সমর্পিত করে দেবে। এইভাবে প্রতি রবিবার এইরকম করবে এবং চালের এক প্রস্থ(২কিলো) ১২ মাস দান দিতে থাকবে। ১৩ তম মাসে সেই ব্রাহ্মণকে অনেক দান দিয়ে, সেই ব্রাহ্মণের "ক ইদং কোদাত্" এই বেদ মন্ত্র দ্বারা পূজা করে সমস্ত বস্তুগুলো তার ঘরে পৌঁছে দেবে।
ততঃ প্রভৃতি য়োন্যোপি রত্যর্থং গৃহমাগতঃ।
স সম্যক্ সূর্য়বারেণ সমং পূজ্যো য়থেচ্ছয়া॥৫৫॥
এবমেকং দ্বিজং শান্তং পুরাণজ্ঞং বিচক্ষণম্।
তমর্চয়েত্ চ সদা অপরং বা তদাজ্ঞয়া॥৫৬॥
করোতি য়া শেষমখণ্ডমেতত্কল্যাণিনী মাধবলোকসংস্থা। সা পূজিতা দেবগণৈরশৈষৈরানন্দকৃত্স্থানমুপৈতি বিষ্ণো:॥৬২॥
অর্থ: তারপর আরও যে কেউ কাম ভোগের ইচ্ছা নিয়ে ঘরে আসবে, তাদেরও রবিবার সমানই, তাদের ইচ্ছানুসারে পূজা করবে। এইভাবে একজন শান্ত স্বভাব ও পুরান গুলিকে জানে এমন একজন বুদ্ধিমান ব্রাহ্মণের অথবা তার আজ্ঞা দ্বারা কোন অন্যের সর্বদা পূজা করবে। যে কঞ্জরী (বেশ্যা) সম্পূর্ণরূপে এই বিধির অনুষ্ঠান করবে সে কৃষ্ণলোকে সমস্ত দেবতাদের পুজ্য হয়ে বিষ্ণুর সুখধামকে প্রাপ্ত হয়।
এই কাহিনী টি আমার লেখা অনুসার ভবিষ্য পুরাণে বিদ্যমান আছে। পৌরাণিক পোপেরা এই কাহিনীগুলোকে সাক্ষাত্ মহর্ষি ব্যাসের লেখা, ধর্মের অনুশাসন রূপে মানে। এখন প্রমাণ করে দিলাম যে, ভবিষ্য পুরাণের মতো ১৮ টি পুরাণ ব্যাভিচারকে শুধু প্রশ্রয় দেয়নি বরং তাকে করার শিক্ষা দিয়েছে। তাই পুরাণগুলো নদীতে ভাসিয়ে বেদের দিকে ফিরে আসুন।

৪) ভাগবত পুরাণের দশম স্কন্ধ, অধ্যায় ৪৮তে লেখা----
"তখন কৃষ্ণ কামতপ্ত কুব্জার সন্তাপ জেনে তার ভালো করার উদ্দেশ্যে তার ঘরে গেল। তার ঘর কামশাস্ত্রে বর্ণিত কাম উত্তেজক পদার্থ দ্বারা পূর্ণ ছিল। কৃষ্ণকে আসতে দেখে কুব্জা কিংকর্তব্যবিমূঢ় এবং ঝটপট উঠে কৃষ্ণকে আসন আদি দিয়ে পূজা করল। তখন কৃষ্ণ একেবারেই নগ্ন হয়ে পালঙ্কে শুয়ে পড়লো। সেদিকে কুব্জাও স্নান, বস্ত্র ও আভূষণগুলো দ্বারা অলংকৃত হয়ে সেজে কৃষ্ণের সঙ্গে ক্রীড়া করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়ে কৃষ্ণের পাশে এল। তখন,--
আহূয় কান্তাং নবসংগমহ্রিয়া বিশংকিতাং কঙ্কনভূষিতে করে। প্রগৃহ্য শয়্যামধিবেশ্য রাময়া রেমেনুলেপার্পণপুণ্যলেশয়া॥৬॥
সানঙ্গতপ্তকুচয়োরুরসস্থাক্ষ্ণোর্জিঘ্রন্ত্যনন্তচরণেন রুজো মৃজন্তী। দোর্ভ্যাং স্তনান্তর্গতং পরিরভ্য কান্তমানন্দমূর্তিমজহাদতিদীর্ঘতাপম্॥ ৭॥
অর্থঃ তখন কৃষ্ণ নতুন মিলনের ভয়ে শঙ্কিত সুন্দরী কুব্জাকে নিজের কাছে ডেকে, তার কঙ্কন ভূষিত হাতটি ধরে তাকে পালঙ্কে তুলে নিল এবং তার সঙ্গে সম্ভোগ করলো। এই কুব্জা শ্রীকৃষ্ণকে চন্দনের লেপ করেছিল, এটি তারই ফল ছিল। সে শ্রীঅনন্তের চরণগুলোকে কাম দ্বারা সন্তপ্ত নিজের হৃদয়, বক্ষস্থল ও নেত্রগুলোর উপর রেখে তাকে সুঁঘে২ নিজের কামপীড়াকে দূর করে, নিজের মনোকামনা পূর্ণ করল। তারপর নিজের হৃদয়ের মাঝে আনন্দমূর্তি প্রিয়তমকে পেয়ে এবং তার ভূজাগুলোকে আলিঙ্গন করে নিজের চিরকালের বিরহব্যাথা শান্ত করল। কুব্জার প্রার্থনায় শ্রীকৃষ্ণ অনেকদিন পর্যন্ত তার ঘরে এই ভাবেই তার কামবাসনা পূর্ণ করে তথা খুব ভোগবিলাস করে নিজের ঘরে চলে গেল। এটি হলো ভাগবতের কথা। এবার একটু ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের কৃষ্ণ জন্মখন্ড৪, অধ্যায় ৭২তে এইভাবে বর্ণনা আছে যে,----
"সূর্যাস্ত হওয়ার পর অক্রুর নিজের ঘরে চলে গেল। নন্দ ও বলদেব সহিত কৃষ্ণ গোবিন্দ ভক্তের কাছে আশ্রয় নিল। ভক্ত সকলের সৎকার করল। যখন সবাই পালঙ্কে শুয়ে গেল এবং কুব্জাও শুয়ে পড়ল, তখন কৃষ্ণও কুব্জার ঘরে গেল। সেখানে গিয়ে কুব্জাকে পালঙ্কে শুয়ে থাকতে দেখল। কৃষ্ণ দাসীদেরকে জাগালো না, কেবল কুব্জাকে জাগিয়ে তুলল। তাকে কৃষ্ণ বলল হে সুন্দরী! নিদ্রা ছেড়ে আমাকে শৃঙ্গার দান করো, অর্থাৎ আমার সঙ্গে মৈথুন করো।
ইত্যুক্ত্বা শ্রীনিবাসশ্চ কৃত্বা ত্বামেব বক্ষসি।
নগ্নাং চকার শৃঙ্গারং চুম্বনং চাপি কামুকীম্॥ ৫৯॥
সা সস্মিতা চ শ্রীকৃষ্ণং নবসঙ্গমলজ্জিতা।
চুচুম্বে গণ্ডে ক্রোড়ে তাং চকার কমলাং য়থা॥৬০॥
সুরতের্বিরতির্নাস্তি দম্পতী রতিপণ্ডিতৌ।
নানাপ্রকারসুরতং বভূব তত্র নারদ॥৬১॥
স্তনশ্রোণিয়ুগং তস্যা বীক্ষিতং চ চকার হ।
ভগবান্নখরৈস্তীক্ষ্ণৈর্দশনৈরধরং বরম্॥৬২॥
নিশাবসানসময়ে বীর্য়াধানং চকার স।
সুখসম্ভোগভোগেন মূর্চ্ছামাপ চ সুন্দরী॥৬৩॥
অথাজগাম গোলোকাদ্রথো ভূষণভূষিতং।
জগাম তেন তং লোকং ধৃত্বা দিব্যকলেবরম্॥৬৬॥
অর্থঃ এটি বলে কৃষ্ণ কুব্জাকে নিজের হৃদয়ে লাগিয়ে নগ্ন করল এবং কামক্রীড়াতে সেই কামুকিকে চুম্বন করল। সে নব সমাগমে লজ্জা বোধ করল। কৃষ্ণকে দেখে কুব্জা মৃদু হাসল। কৃষ্ণ তাকে লক্ষ্মীর মত নিজের কোলে তুলে তার গাল দুটোতে খুব চুম্বন করল। কেননা ভোগ করার বিদ্যায় দুজনেই পন্ডিত ছিল। সুতরাং তাদের মৈথুন সমাপ্ত হচ্ছিল না। হে নারদ! সে অনেক প্রকারের রতিক্রিয়া করল। ভগবান কৃষ্ণ নিজের তেজ নখগুলো দ্বারা তার দুটি স্তনকে আহত করে দিল, এবং তীক্ষ্ন দাঁতগুলির সাহায্যে তার ঠোঁট দুটোকে কেটে দিলো। রাতের শেষে কৃষ্ণ বীর্যাধান করল। সেই কুব্জা আনন্দদায়ক ভোগ করাতে চেতনাশূন্য হয়ে গেল। এরপর গোলক থেকে একটি রত্ন জড়িত রথ এসে গেল এবং দিব্য শরীর ধারণ করে কুব্জা সেই রথে বসে গোলোকে চলে গেল।"
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের কাহিনীতে কুব্জার সঙ্গে কৃষ্ণের ব্যভিচার এবং তাকে হত্যা করে গোলোকে নিয়ে যাওয়ার এই স্পষ্ট বর্ণনাটি আছে। তবুও কেউ যদি পুরানে ব্যভিচারের অনুমতি প্রসঙ্গটি না মানে, তবে তাকে আরো প্রমাণ দিতে পারি। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের শ্রীকৃষ্ণ জন্মখন্ড অধ্যায় ১০৬, শ্লোক ২২তে লেখা আছে---
কুব্জা মৃতা চ সম্ভোগাদ্বাসসা রজকো মৃতঃ॥২২॥
অর্থঃ সেই কৃষ্ণের দ্বারা ভোগের ফলে কব্জা মারা গেল এবং কাপড়ের কারণে ধোপা মরলো।
আবার এই-ই খন্ডে অধ্যায় ১১৫, শ্লোক ৬২তে লেখা আছে---
আগত্য মথুরাং কুব্জাং জঘান মৈথুনেন চ॥৬২॥
অর্থঃ কৃষ্ণ মথুরা এসে কুব্জাকে মৈথুন করে মেরে ফেলল।
এর দ্বারা প্রমাণিত হয়,-- পুরানগুলোতে দুরাচারের শিক্ষা বিদ্যমান আছে। সুতরাং অষ্টাদশ পুরাণগুলো সর্বদা বেদবিরোধী।
৫) শুধু ব্যভিচার নয় ভবিষ্য পুরাণে তো মদ্যপানেরও অনুমতি দেওয়া আছে। নারদ মুনি কৃষ্ণের দর্শন হেতু সর্বদা দ্বারিকাতে আসতো। যদুকুলের সমস্ত কুমার নারদকে প্রণাম আদি করে তার পূজা করত। কিন্তু সাম্ব নিজের সৌন্দর্যের অভিমানে নারদের সর্বদা অপমান করত। কৃষ্ণের পত্নী জাম্ববতীর গর্ভজাত সন্তান ছিল সে। নারদ সেই সুযোগে ছিল যে সাম্ব দ্বারা নিজের অপমানের বদলা কি করে নেওয়া যায়। একদিন নারদ শ্রীকৃষ্ণকে বলল,-- আপনার সকল স্ত্রী আপনার পুত্র সাম্বের উপরে অনুরক্ত। কৃষ্ণ বলল,- আমি একথা বিশ্বাস করিনা। নারদ তখন বলল আপনাকে আমি বিশ্বাস করিয়ে দেবো। এটি বলে নারদ স্বর্গে চলে গেল। এই ঘটনাটির কিছুদিন পরে নারদ আবার এলো। সেইদিন কৃষ্ণ স্ত্রীদের সঙ্গে মদ্যপান করে উদ্যানে জলক্রীড়া করছিল। তাতেই স্ত্রীরা নেশায় চেতনাশূন্য হলো। তখন নারদ গিয়ে সাম্বকে বলল,- তোমাকে তোমার বাবা কৃষ্ণ ডাকছে, দেরি করো না। নারদের ছলনাকে না বুঝে সেখানে গেল, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ বসে ছিল এবং গিয়ে কৃষ্ণ কে প্রণাম করলো।
এতস্মিন্নন্তরে তত্র য়াস্তু স্বল্পসাত্বিকাঃ।
তং দৃষ্ট্বা সুন্দরং সাম্বং সর্বাশ্চক্ষুভিরে স্ত্রিয়ঃ॥ ২৫॥
ন স দৃষ্টঃ পুরা য়াভিরন্তঃ পুরনিবাসিভিঃ।
মদ্যদোত্ততস্তাসাং স্মৃতিলোপাত্তথা নৃপঃ॥২৬॥
স্বভাবতোল্পসত্ত্বানাং জঘনানি বিসুস্রুবুঃ।২৭॥
নারদোপ্যথ তং সাম্বং প্রেষয়িত্বা ত্বরান্বিতঃ।
আজগাম তত্রৈব সাম্বস্যানুপদেন তু॥৩২॥
আয়ন্তং তাশ্চ তং দৃষ্ট্বা প্রিয়ং সৌমনসমৃষিম্।
সহসৈবোত্থিতাঃ সর্বাঃ স্ত্রিয়স্তং মদ্বিহ্বলাঃ॥৩৩॥
তাসামোত্থিতাং তু রজং বাসুদেবস্য পশ্যতঃ।
ভিত্বা বাসাংসি শুভ্রাণি পত্রেষু পতিতানি তু॥৩৪॥
অর্থঃ তাতেই সেখানে যে অল্প সামর্থ্যযুক্তা স্ত্রীরা ছিল, সেই সুন্দর সাম্বকে দেখে সকলের মন চলায়মান হল। রাজপ্রাসাদে থাকা যে স্ত্রীরা আগে কখনো সাম্বকে দেখেনি, হে রাজন! মদ্যপানের নেশায় ও স্মৃতিলোপের কারণে অল্পসামর্থ্যা স্ত্রীদের জংঘা ঝরতে লাগল। সেদিকে নারদও সাম্বকে পাঠিয়ে শীঘ্রই সাম্বের পেছনে পেছনে সেখানে পৌঁছে গেল। সেই প্রিয় ঋষি নারদকে আসতে দেখে নেশায় বিভোর স্ত্রীরা তখনই উঠে দাঁড়ালো। কৃষ্ণের দেখতে দেখতে সেই স্ত্রীদের বীর্য তাদের সাদা কাপড়কে ভেদ করে পাতার ওপরে পড়ছে।
এধরনের পুরানোক্ত অশ্লীল বর্ণনা শুধু মহাপুরুষদের কলঙ্কিত করছে না তার সাথে আমাদের সনাতন ধর্মকেও কলঙ্কিত করছে। ব্যভিচারের শিক্ষা দিতে পুরানগুলো কোক শাস্ত্রকেও হার মানায়।
১) জন্মেজয়ের স্ত্রী যজ্ঞে ঘোড়াদেরকে দেখার জন্য গিয়েছিল। ইন্দ্র ঘোড়ার আড়ালেই তাকে জাপটে ধরল এবং তার সাথে এত বেশি মৈথুন করল যে, সে মারা গেল।
২) এই পুরান গুলোতে কৃষ্ণ জন্ম খন্ড ৩০/৮৮তে লেখা আছে---
গ্রাহ্যা চোপস্থিতা স্ত্রী চ গৃহিনা ন তপস্বিনা। ত্যাগে দোষঃ কামিনীনাং শাপভাক্ পাপভাক্গৃহী॥
অর্থঃ আগতা স্ত্রীকে গ্রহণ করে নিতে হয়। এই নিয়মটি গৃহস্থের জন্য, তপস্বীর জন্য নয়। তার ত্যাগে দোষ হয়। সেই গৃহস্থ স্ত্রীদের দ্বারা অভিশপ্ত ও পাপভাগী হয়, যে ত্যাগ করে আগতা স্ত্রীকে।
৩) ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, কৃষ্ণজন্মখন্ড অধ্যায় ৩০, শ্লোক ৭৭তে লেখা আছে---
রহস্যুপস্থিতাং কান্তাং ন ভজেদ্যো জিতেন্দ্রিয়ঃ। গাত্রলোমপ্রমানাব্দং কুম্ভীপাকে বসেদ্ধ্রুবম্ ॥
অর্থ- যে জিতেন্দ্রিয় পুরুষ নির্জনে আসা স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়, শরীরে লোম যত সংখ্যায় তত বছর সে কুম্ভীপাক নরকে বাস করে।
৪) এই-ই পুরানে একই খন্ডে অধ্যায় ৩৩, শ্লোক৫২- ৫৩তে লেখা আছে---
য়দি তদ্ ভারতে দৈবাত্ কামিনী সমুপস্থিতা।৫২॥
স্বয়ং রহসি কামার্তা ন সা ত্যাজ্যা জিতেন্দ্রিয়ৈঃ। ত্যাক্ত্বা পরত্র নরকং ব্রজেদিতি বিড়ম্বিতঃ॥৫৩॥
অর্থঃ যদি ভারতবর্ষেও সংযোগ বসত কোন কামিনী কামপীড়িত হয়ে নির্জনে এসে যায়, তো জিতেন্দ্রিয় লোকেদের তাকে বিনা ভোগ করে ছেড়ে দিতে নেই। যদি ছেড়ে দেয় তবে নিন্দার পাত্র হয়ে ইহলোকে ও পরলোকে দুঃখ ভোগ করবে।
৫) ভবিষ্য পুরাণ প্রতিস্বর্গ ৩, খন্ড ৩, অধ্যায় ২৮, শ্লোক ৪৬ তে লেখা আছে যে,-- বিশ্বামিত্র ও ঋষ্যশৃঙ্গ বেশ্যাগমন করেছিল।
৬) ভবিষ্য পুরাণ প্রতিসর্গ ৩, খন্ড ৪, অধ্যায় ৯, শ্লোক ৫-৬তে লেখা আছে,-- নারদ কামনাবশতঃ স্নান করা মেয়েদেরকে জলেই জাপটে ধরেছিল।
৭) শিব পুরাণের রুদ্রসংহিতা, যুদ্ধখন্ড, অধ্যায় ৫২তে লেখা আছে যে,- কৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধ রাক্ষস বানের কন্যার সাথে ব্যবহার করেছিল।
৮) সূর্যের পুত্র এক ব্রাহ্মণীর সঙ্গে বলাত্ সম্ভোগ করেছিল। --( ব্রহ্মবৈ; ১/১০/২২৬)
৯) রতিকে দেখে ব্রহ্মা স্খলিত হয়ে গেল। -- (ব্রহ্মবৈ: ১/৪/১৩)
১০) দুর্বাসা কন্দলী নামে স্ত্রীর সঙ্গে দুরাচার করেছিল। --- (ব্রহ্মবৈ: ৪/২৪/৪৬)
১১) বিশ্বকর্মা ঘৃতাচীর সাথে ব্যভিচার করেছিল। -- (ব্রহ্মবৈ: ব্রহ্মখণ্ড ১০/৮৭)
১২) রম্ভাকে দেখে গন্ধর্বের বীর্যপাত হল। --- (ব্রহ্মবৈ: ব্রহ্ম ১৩/৮)
১৩) মেনকাকে দেখে নারদের বীর্যপাত হয়ে গেল। --- (ব্রহ্মবৈ: ব্রহ্ম: ২০/৩৯)
১৪) কুবেরের পুত্র নলকুবের রম্ভার সঙ্গে দুরাচার করল।--- (ব্রহ্মবৈ: ১/১৪/৩১-৩৩)
১৫) ইন্দ্র রম্ভার সাথে দুরাচার করল। --- (ব্রহ্মবৈ: গণপতি অধ্যায় ২০)
১৬) মহাদেব মৃত স্ত্রীকে এক বছর পর্যন্ত আলিঙ্গন করে ঘুরে ফিরে ছিল। -- (ব্রহ্মবৈ: ৪/৪৩/১৬-১৭)
১৭) বরাহ ও বসুন্ধরার সঙ্গে ব্যভিচার করল। --- (ব্রহ্মবৈ: প্রকৃতি ৮/৩১)
নিষ্কর্ষ এটাই, অষ্টাদশ পুরান ব্যভিচারের কাহিনীগুলোর ভান্ডার। এখানে ব্যভিচার ছাড়া কিছুই নাই। যেহেতু ব্যভিচার বেদবিরুদ্ধ সুতরাং অষ্টাদশ পুরাণ হল সর্বদা বেদ-বিরোধী।

( সূত্রঃ পৌরাণিক পোপ পর বৈদিক তোপ )

বাস্তবে পুরাণ শাস্ত্র বলতে বেদের ব্যাখ্যা ঐতরেয়, শতপথ, গোপথ আদি ব্রাহ্মণ শাস্ত্র কে বোঝায়। ভাগবত আদি কথিত পুরাণ কাহিনী গুলোতে নানান অশ্লীলতা, বর্ববতা, অবৈজ্ঞানিক আদি কথন পাওয়া যায়, যা থেকে স্পষ্ট ধারণা হয় যে এই সকল গ্রন্থ লেখা হয়েছে সনাতন ধর্ম কে ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু একথা মানতে নারাজ কথিত হিন্দু বা পৌরাণিক বন্ধুরা। তারা মনে করেন ভাগবত আদি পুরাণ কাহিনী ধর্মগ্রন্থ। তাই আমি ঠিক করলাম এই সকল পুরাণ কাহিনীতে উল্লিখিত কিছু কিছু ধর্মীয়বাণী তথ্য প্রমাণ সহকারে প্রশ্নোত্তর শৈলীতে তুলে ধরবো। আসুন দেখি___
[১] অসুরদের জন্ম কিভাবে ?
উঃ ব্রহ্মার জঘন বা নি*তম্ব দিয়ে অসুরদের সৃষ্টি করেন।
[ভাগবত পুরাণ ৩/২০/২৩]
[২] ব্রহ্মার সাথে কারা জোরপূর্বক মৈথুন [ধর্ষণ] করার চেষ্টা করেছিল ?
উঃ অসুররা ব্রহ্মা কে ধ*র্ষণ করার চেষ্টা করেছিল, তাদের কামুকতা দেখে ব্রহ্মা ভয়ে পালিয়ে যায়।
[ভাগবত পুরাণ ৩/২০/২৩-২৪]
[৩] ভগবান শিব দারু বনে ঋষি পত্নীদের সামনে কেমন লীলা করেছিল ?
উঃ উল*ঙ্গ শরীরে গায়ে ভস্ম ভূষণ ধারণ করে হাত দিয়ে নিজ লি*ঙ্গ ধরে বিচিত্র লীলা শুরু করেন।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ৯-১০]
[৪] ভগাবন শিব বেদ বিরোধী কর্ম করেছিল ?
উঃ ভগবান শিব ঋষি পত্নীদের সাথে মিলন করার চেষ্টা করেন তাই ঋষিরা বলেন তিনি বেদমার্গ বিরুদ্ধ আচরণকারী।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ১৬-১৭]
[৫] কাদের অভিশাপে শিবের লি*ঙ্গ কেটে পড়েছিল ?
উঃ ঋষিদের অভিশাপে শিবের লিঙ্গ কেটে পড়েছিল।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ১৮]
[৬] ভগবান শিবের কাটা লি*ঙ্গ কোথায় কোথায় লাফাতে শুরু করেছিল ?
উঃ স্বর্গ পাতাল আদি সকল জায়গায়। সেই কাটা লি*ঙ্গ যেখানে যেখানে গিয়েছিল সেখানে সেখানে ভস্ম করে দিয়েছিল।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ১৯-২০]
[৭] ভগবান শিবের কাটা লি*ঙ্গ কিভাবে শান্ত হয়েছিল ?
উঃ যখন পার্বতী যো*নি রূপ ধারণ করেছিল তখন সেই লি*ঙ্গ যো*নিতে স্থাপন হওয়ার পর শান্ত হয়।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ৪৫-৪৮]
[৮] শ্রীকৃষ্ণ রাধার সর্বাঙ্গে কি কি মাখিয়ে দিয়েছিল?
উঃ চন্দন, অগুরু, কস্তুরী ইত্যাদি গন্ধ দ্রব্য শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং রাধার পুরো শরীরে লাগিয়েছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়/ ১৪৯]
[৯] বৈষ্ণবদের শ্রেষ্ঠ ধর্ম গ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়/১৪৮ শ্লোকে কি লিখিত আছে ?
উঃ শ্রীকৃষ্ণ নিজের চিবানো তাম্বুল (পান) রাধা কে খাইয়ে দিলেন।
[১০] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়/১৫১-১৫৩ শ্লোকে বৈষ্ণবদের যে আধ্যাত্মিক বিদ্যা বিষয়ে লিখিত আছে তা বলুন ?
উঃ (ক) শ্রীকৃষ্ণ রাধা কে বুকে জড়িয়ে ধরে চার ধরনের চুম্বন দিয়ে রাধার কাপড় ঢিলে করে দেন।
(খ) তাদের মৈ*থুন যুদ্ধে সিঁদুর, তিলক, অতলা প্রভৃতি দূরীভূত হলো।
[১১] শ্রীকৃষ্ণের সাথে রাধার এই সঙ্গমে রাধার কিরূপ অবস্থা হয়েছিল ?
উঃ রাধার নতুন সঙ্গমে সর্বাঙ্গ পুলকিত হয়েছিল। মূর্ছিত অবস্থায় তার দিন রাত্রি জ্ঞান ছিল না।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়/১৫৫]
[১২] বৈষ্ণবদের আধ্যাত্মিক বিদ্যা ও পদার্থ বিদ্যার শ্রেষ্ঠ ধর্ম গ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের কোথায় গরুর মাংস খাওয়ার কথা আছে ?
উঃ চৈত্র নামের এক রাজা প্রতিদিন ব্রাহ্মণদের গরুর মাংস খাওয়াতেন।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ প্রকৃতিখণ্ড/ ৬১ অধ্যায়/ ৯৬]
[১৩] বিরাট পুরুষের পায়ু ইন্দ্রিয় ও ম*লদ্বার থেকে কি কি উৎপত্তি হয়েছে ?
উঃ যম, মলদ্বার, হিংসা, মিত্র, অলক্ষ্মী, মৃত্যু ও নরকের উৎপত্তি।
[ভাগবত পুরাণ ২/৬/৮]
[১৪] বরাহ [শুয়োর] অবতারের জন্ম হয়েছিল কিভাবে ?
উঃ ব্রহ্মার নাকের ছিদ্র দিয়ে বরাহ অবতারের জন্ম হয়েছিল।
[ভাগবত পুরাণ ৩/১৩/১৮]
[১৫] পৃথিবীর সাথে বরাহ অবতার কতদিন ধরে সম্ভোগ করেছিল ?
উঃ এক বছর ধরে স*ম্ভোগ করেছিল, ফলে পৃথিবীর মূর্ছা হয়ে পড়েছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ প্রকৃত খণ্ড/ ৮ অধ্যায়/ ২৯-৩১]
[১৬] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ ১৩ অধ্যায়/৮ শ্লোকে কোন ধৰ্মীয় বিষয়ে আলোচনা রয়েছে ?
উঃ রম্ভার স্তন, উরুদেশ দেখে গন্ধর্বকুমারের বী*র্যপাত হয়েছিল।
[১৭] কারা স্ত্রীদের প্রিয় হয় এবং ধনরক্ষাকারী হয়ে থাকে ?
উঃ যাদের লিঙ্গের মাথা স্নিগ্ধ হয়ে থাকে তারা স্ত্রীদের প্রিয় হয় এবং ধনরক্ষাকারী হয়ে থাকে।
[ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/৮-৯]
[১৮] ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ অধ্যায়-৫/ ২৯ শ্লোক অনুযায়ী রাধার শারীরিক বর্ণনা কিরূপ ?
উঃ রাধার শ্রোণী অর্থাৎ নি*তম্বদেশ এবং পয়োধর অর্থাৎ স্ত*ন অতিশয় স্থূল।
[১৯] কাদের দীর্ঘায়ু হয়ে থাকে ?
উঃ যাদের দ্রুত মৈ*থুন হয় তারা দীর্ঘায়ু হয়ে থাকে।
[ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/১৫]
[২০] কারা ভোগী হয়ে থাকে ?
উঃ যাদের বীর্যের গন্ধ মাংসের মতন। [ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/১৬]
[২১] পৌরাণিকদের পঞ্চমবেদ ভাগবত পুরাণ ১০/২২/১৬-১৭ শ্লোকে কিরূপ ধর্মীয় বিষয় লিখিত আছে ?
উঃ শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের বললেন যে তারা জল থেকে উঠে এসে যেন তাদের বস্ত্র গুলো নিয়ে যায়। অতঃপর গোপীরা ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে দুই হাত দিয়ে যো*নি ঢেকে যমুনা নদী থেকে তীরে উঠে এলেন।
[২২] ভাগবত পুরাণ ৪/২/১৩-১৬ শ্লোকে ভগবান শিবের কোন কোন গুণের বর্ণনা রয়েছে ?
উঃ এখানে বলা হয়েছে শিব সর্বদা অপবিত্র, দুর্বিনীত, চিতাভস্ম নিজের শরীরে লেপন করে, তিনি উম্মত, দুরাত্মা, উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ান। [গীতাপ্রেস]
[২৩] কিরূপ স্ত*নের নারীরা প্রশংসনীয় হয় ?
উঃ যে সকল নারীর উভয় স্ত*ন সুডৌল, গোল, পুষ্ট এবং আয়তাকার তারা প্রশংসনীয় এবং এর বিপরীত যারা তারা দুঃখ দেয়।
[ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ অধ্যায়-৫/ শ্লোক-৪২]
[২৪] সাত সমুদ্র কিভাবে তৈরি হয়েছিল ?
উঃ প্রিয়ব্রতের রথচক্রের আঘাতে সাত সমুদ্র সৃষ্টি হয়েছে।
[ভাগবত পুরাণ ৫/১৬/২]
[২৫] শ্রীকৃষ্ণ নখ ও দাঁত দিয়ে কুব্জার কোথায় কোথায় আঘাত করেছিল ?
উঃ শ্রীকৃষ্ণ নখ আঘাত দ্বারা কুব্জার দুই স্ত*নের মাঝে, নি*তম্ব মণ্ডল এবং দাঁত দ্বারা কুব্জার ঠোঁট ক্ষতবিক্ষত করেছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ৭২ অধ্যায়/ ৬১-৬২]

#সনাতন ধর্ম কে ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই সকল ১৮+ পুরাণ কাহিনী। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেগুলোকে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মেনে চলছে আমাদের সনাতনী সমাজ। আসুন জানি সেই সেই পুরাণ কাহিনী গুলোতে কিরূপ আধ্যাত্মিক বিদ্যা, ভৌতিকবিদ্যা লিখিত আছে_____
১] মহান ধর্মাত্মা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে কি পুরাণ কাহিনীতে অধার্মিক বলা হয়েছে ?
উঃ হ্যাঁ। পুতনাকে হত্যা করার জন্য ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শ্রীকৃষ্ণ কে অধার্মিক বলা হয়েছে।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ ১১৫ অধ্যায়/৬১]
[২] নিষ্পাপ মহান যোগী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে বৈষ্ণবদের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আর কি উপাধি দেওয়া হয়েছে ?
উঃ যো*নি লোভী এবং অতি নিষ্ঠুর বলা হয়েছে।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ ১১৫ অধ্যায়/৬২]
[৩] আগে কি পর্বতেরা উড়ে বেড়াতো ?
উঃ হ্যাঁ, আগে পাখিদের মতন পর্বত উড়ে বেড়াতো। তারা যেখানে পড়তো সেখানে অনেক ক্ষতি হতো তাদের ভারের জন্য।
[ভাগবত পুরাণ ৮/১১/৩৪]
[৪]কে কোন জিনিস দিয়ে পর্বতদের ডানা কেটেছিল ?
উঃ ইন্দ্র বজ্র দিয়ে পর্বতদের ডানা কেটেছিল।
[ভাগবত পুরাণ ৮/১১/৩২-৩৪]
[৫] ভাগবত পুরাণ ১০/৮৪/১৩ শ্লোকে কি রয়েছে ?
উঃ এখানে বলা হয়েছে যারা কাট, মাটি, পাথর ইত্যাদি বিকার সমূহ পদার্থে ইষ্ট ভক্তি রাখে তারা প*শুদের মধ্যেও অধম। [গীতাপ্রেস অনুবাদ]
[৬] সাগর কারা বানিয়েছিল ?
উঃ সগরের ছেলেরা পৃথিবী খনন করে সাগর নির্মাণ করেন।
[ভাগবত পুরাণ ৯/৮/৫]
[৭] ভগবান শঙ্কর ভগবান বিষ্ণুর সাথে জোর পূর্বক মৈথু*ন করছিল ?
উঃ যখন ভগবান বিষ্ণু মোহিনী রূপ ধারণ করেছিল।
[৮] বিষ্ণু যখন মোহিনী রূপ ধারণ করলেন তারপর কন্দুক নিয়ে খেলা করার সময় কি কম্পিত হচ্ছিল ?
উঃ তখন মোহিনীর স্ত*ন কম্পিত হচ্ছিল।
[ভাগবত পুরাণ ৮/১২/১৯]
[৯] যখন ভগবান শঙ্কর মোহিনী রূপ বিষ্ণুকে ধরার জন্য ধাবিত হলো তখন কি ঘটলো ?
উঃ তখন বাতাসে মোহিনী বস্ত্র উড়ে নিয়ে গেল এবং উল*ঙ্গ হয়ে গেল। [ভাগবত পুরাণ ৮/১২/২৩-২৬]
[১০] ভগবান শঙ্কর যখন মোহিনীর সাথে এমন কার্য করেছিল তখন স্ত্রী পার্বতী বা ভবানী কোথায় ছিল ?
উঃ তখন তিনি শঙ্করের কাছেই ছিলেন। ভবানীর সামনেই ভগবান শঙ্কর মোহিনী রূপ বিষ্ণুর দিকে ধাবিত হয়েছিল।
[ভাগবত পুরাণ ৮/১২/২৫]
[১১] শঙ্কর মোহিনীকে কিসের সাদৃশ্য আলিঙ্গন করলেন ?
উঃ পুরুষ হাতি নারী হাতিকে যেভাবে আলিঙ্গন করে।
[ভাগবত পুরাণ ৮/১২/২৯]
[১২] ভগবান শঙ্কর মোহিনী রূপী বিষ্ণুর পেছনে কিরূপে ধাবিত হয়েছিল ?
উঃ যেমন ঋতুমতী নারী হাতির পেছনে পুরুষ ধাবিত হয় ঠিক তেমনি।
[ভাগবত পুরাণ ৮/১২/৩২]
[১৩] শঙ্করের বী*র্যপাত হওয়ার পর সেই বী*র্য থেকে কি তৈরি হলো ?
উঃ শঙ্করের বীর্য যেখানে যেখানে পড়লো সেখানে সেখানে সোনা রুপার ক্ষেত্র তৈরি হলো।
[ভাগবত পুরাণ ৮/১২/৩৩]
[১৪] বৈষ্ণবদের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড, ২৩ অধ্যায়, ২৫ শ্লোকে কোন ধর্মীয় বিষয় লিখিত আছে ?
উঃ বলি পুত্র কে দেখে তিলোত্তমার যো*নি চুলকাতে শুরু করলো এবং তা ভিজে গেলো।
[১৫] ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ অধ্যায় -৫/ ৪৭ শ্লোকে কিরূপ ভৌতিক বিদ্যা রয়েছে ?
উঃ যে নারীর বুকে মাংস নাই সে নারী বিধবা হয়, যে নারীর বুক বড়ো সে নারী ঝগড়া পছন্দ করে।
[১৬] ভাগবত পুরাণ ১০/৩১/১৯ শ্লোকে কি ধরণের ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা রয়েছে ?
উঃ গোপীরা শ্রীকৃষ্ণ কে বলছে যে শ্রীকৃষ্ণের সুকুমার চরণ তাদের কর্কশ স্ত*নে রাখতেও ভয় হয়।
[১৭] প্রিয়ব্রত কত বছর ধরে পৃথিবীকে শাসন করেছিল ?
উঃ মাত্র ১১০ কোটি বছর।
[ভাগবত পুরাণ ৫/১/২৯]
[১৮] পৃথিবী সূর্যের চারদিক ঘোরে নাকি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে ?
উঃ সূর্যের সমান বেগবান এক রথে চড়ে প্রিয়ব্রত সূর্যের পেছনে পেছনে পৃথিবীকে সাতবার প্রদক্ষিণ করলেন।
[ভাগবত পুরাণ ৫/১/৩০]
#অর্থাৎ সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে।
[১৯] বেদ অবতীর্ণ হয়েছিল কিভাবে ?
উঃ প্রলয়কাল বশে ব্রহ্মা নিদ্রাভিভূত হলে শয়নের ইচ্ছা করেন এবং তখন তার মুখ থেকে বেদ বেরিয়ে আসে।
[ভাগবত পুরাণ ৮/২৪/৮]
[২০] ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ অধ্যায় -৫/ ৩০ শ্লোকে কিরূপ ভবিষ্যৎ বাণী রয়েছে ?
উঃ যে নারীর যো*নিতে লোম নেই, যার যো*নি সমান সে রাজার পত্নী হয়।
[২১]শ্রীকৃষ্ণ কি মদ পান করতেন ?
উঃ পৌরাণিকদের ধর্ম গ্রন্থ ভবিষ্যপুরাণে লিখিত আছে শ্রী*কৃষ্ণ নানান নারীদের সাথে মদ পান করতেন।
[ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ ৭৩ অধ্যায়/ ২০-২১]
[২২] রতিকে দেখে ব্রহ্মার কি অবস্থা হয়েছিল ?
উঃ রতিকে দেখে ব্রহ্মার বী*র্যপাত হলো এবং সে লজ্জিত হয়ে নিজের বস্ত্র দিয়ে তা মুছে ফেললেন।
[ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ অধ্যায়-৪/ ১৩]
[২৩] ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রাহ্মখণ্ড/ অধ্যায়-৪/ ১৪ শ্লোকে কিরূপ পদার্থ বিজ্ঞান রয়েছে ?
উঃ ব্রহ্মার বী*র্য অগ্নিরূপে জ্বলে উঠলো।
[২৪] ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/অধ্যায়-২৫/ ২১ শ্লোকে কিরূপ ভবিষ্যৎ বাণী রয়েছে ?
উঃ যার একটা অ*ণ্ডকোষ, তার মৃত্যু হয় জলে।
[২৫] জলমগ্ন পৃথিবীকে কিভাবে রক্ষা করেছিল বরাহ অবতার ?
উঃ বরাহ অবতার তার দাঁত দিয়ে পৃথিবীকে রসাতল থেকে ওপরে উঠে নিয়ে আসেন।
[ভাগবত পুরাণ ৩/১৩/৩১]

১৮+ পুরাণ কাহিনীর অশ্লীলতা, অবৈজ্ঞানিক কথন সনাতনীদেরকে ইসলাম, খ্রিস্টান, নাস্তিক আদি বানানোর জন্য বিশাল ভূমিকা রাখে ।
[১] রাধার জন্ম কিভাবে হয়েছিল ?
উঃ শ্রীকৃষ্ণের বামপার্শ্ব হতে রাধার জন্ম হয়।
[ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ অধ্যায়-৫/শ্লোক- ২৫]
[২] রাধার জন্ম কিভাবে ?
উঃ রাধা বৃষভানুর কন্যা। তার স্ত্রী কলাবতী বায়ু প্রসব করে, আর সেই বায়ু থেকে রাধার আবির্ভাব হয়।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড/ ৪৯ অধ্যায়/৩৮]
[৩] রাধা দেবীর যখন জন্ম হয় তখন তার বয়স কত ছিল ?
উঃ ১৬ বছর। নতুন যৌবন অবস্থায় তার জন্ম হয়েছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ অধ্যায়-৫/শ্লোক- ২৮]
[৪] ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড/ অধ্যায়-৪৯/৩৯, ৪১ শ্লোক অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার সম্পর্ক কি ?
উঃ রায়াণের সাথে রাধার বিবাহ হয়, শ্রীকৃষ্ণের মাতা যশোদার ভাই ছিল রায়াণ, এই সম্পর্কে সে শ্রীকৃষ্ণের মামা ছিল অর্থাৎ রাধা শ্রীকৃষ্ণের মামী ছিল।
[৫] ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ ৭৩ অধ্যায়/ ২৬-২৮ শ্লোকে পৌরানিকদের কোন ধর্মীয় বিষয় লিখিত আছে ?
উঃ মদপান করে ওই সকল নারীদের স্মৃতি নষ্ট যাওয়ার কারণে সাম্ব কুমার কে দেখে তাদের জঘন ভিজে গেলো। পুরাণের এই বিষয় প্রসিদ্ধ যে ব্রহ্মচারিণী নারীদেরও যোনি সুন্দর পুরুষদের দেখে মৈথুন করার জন্য রসপূর্ণ হয়ে ওঠে।
[৬] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ অধ্যায়-২১/ ৩১-৩৪ শ্লোক। এখানে কিরূপ আধ্যাত্মিক বিদ্যা লিখিত আছে তা তুলে ধরুন ?
উঃ রম্ভা, উর্বশী, মেনকা, মোহিনী, রতি, প্রভাবতী, ভানুমতী, তিলোত্তমা, রত্নমালা, রেণুকা প্রভৃতি যুবতীদের নৃত্য গান দেখে, স্তন, শ্রোণী অর্থাৎ নিতম্ব, মুখ থেকে সকলেই মূর্ছিত ছিল।
[৭] ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ অধ্যায় -৫/ ৩২ শ্লোকে কিরূপ ভবিষ্যৎ বাণী রয়েছে ?
উঃ যার যোনি তিল এর ফুল সাদৃশ্য এবং পশুর খুঁরের সাদৃশ্য হয় সে দরিদ্র হয়।
[৮] বৈষ্ণবদের শ্রেষ্ঠ ধর্ম গ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড/ ৫৪ অধ্যায় /৪৭-৫০ শ্লোকে কি প্রকারের ধর্মীয় বিষয় রয়েছে ?
উঃ স্বায়ম্ভুব মনু গোমেধ যজ্ঞ করেন এবং ঘৃত দ্বারা গরুর মাংস রান্না করে ব্রাহ্মণদের খাইয়ে তৃপ্তি করাতেন।
[৯] বৈষ্ণবদের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ ৩০ অধ্যায়/ ৭৬ শ্লোকে যে আত্মজ্ঞান রয়েছে তা তুলে ধরুন ?
উঃ নির্জন স্থানে কোনো জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তির কাছে কোনো নারী সম্ভোগ করার জন্য এলে তা করা উচিত, নয়তো সে নরকগামী।
[১০] কারা ধনবান ও পুত্রবান হয়ে থাকে ?
উঃ যার বীর্যের গন্ধ মাছের মতন সে ধনবান এবং পুত্রবান হয়ে থাকে।
[ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/১৩]
[১১] কারা চতুর্দিকে ভ্রমণ করে ?
উঃ যাদের লিঙ্গের মাথা লম্বা তারা চতুর্দিক ভ্রমণ করে । [ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/৮]
[১২] পৌরাণিক বন্ধুদের পঞ্চমবেদ ভাগবত পুরাণ ১০/৮২/১৬ শ্লোকে কি ধর্মীয় জ্ঞান রয়েছে ?
উঃ এখানে রয়েছে আলিঙ্গন দ্বারা এক মহিলা অপর মহিলার স্তন স্পর্শের মাধ্যমে আনন্দ নিলেন [গীতা প্রেস অনুবাদ]।
[১৩] কুব্জা মৃত্যু হয়েছিল কিভাবে ?
উঃ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী যৌন ক্রিয়ার দ্বারা শ্রীকৃষ্ণ কুব্জা কে হত্যা করেছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ ১১৫ অধ্যায়/৬১]
[১৪] সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ কখন হয় ?
উঃ যখন রাহু প্রতি পর্বে পূর্ণিমা অমাবস্যায় সূর্য ও চন্দ্র কে আক্রমণ চালায়, তখন সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ হয়।
[ভাগবত পুরাণ ৮/৯/২৬]
[১৫] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শ্রীকৃষ্ণ কে রাধা নানান নামে ডেকেছে তার মধ্যে কয়েকটা নাম উল্লেখ করুন ?
উঃ লম্পট, লোল, রতিচোর।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ ৩ অধ্যায়/ ৫৮]
[১৬] শাল্মলদ্বীপ কেমন সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত ?
উঃ মদের সুমদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত।
[ভাগবত পুরাণ ৫/২০/৭]
[১৭] প্লক্ষদ্বীপ কেমন সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত ?
উঃ ইক্ষুরসের সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত।
[ভাগবত পুরাণ ৫/২০/৭]
[১৮] কুশদ্বীপ কিসের সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত ?
উঃ ঘৃত সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত।
[ভাগবত পুরাণ ৫/২০/১৩]
[১৯] নারদ কখন মহিলা হয়েছিল ?
উঃ এক সরোবরে স্নান করার কারণে মহর্ষি নারদ মহিলা যান। তারপর এক রাজা তাকে বিবাহ করেন এবং তার গর্ভ থেকে ৫০ পুত্রের জন্ম হয়।
[ভবিষ্যপুরাণ উত্তরপর্ব/ তৃতীয় অধ্যায়/ ৪৬-৪৮ শ্লোক এবং ৭১-৭৭ শ্লোক]
[২০] সতীর ৫১ পীঠ সম্পর্কে ভাগবত পুরাণ কি বলে ?
উঃ ভাগবত পুরাণ ৪/৪/২৭ অনুযায়ী সতী নিজেই অগ্নিতে আত্মহত্যা করেন। ৫১ পীঠের কথা ভাগবতে নাই।
[২১] শ্রীকৃষ্ণ যখন বীর্য্য নিক্ষেপ করলো তখন কুব্জা অবস্থা কিরূপ ছিল ?
উঃ তখন সুন্দরী কুব্জা সম্ভোগ সুখে মূর্ছা হয়ে যায় এবং দিন রাত কিছুই বোধ করতে পারছিল না।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ৭২ অধ্যায়/ ৬৩-৬৪]
[২২] দেবীর স্তনের পূজা করে যাবে, এইটা পৌরাণিকদের কোন পঞ্চমবেদে লিখিত আছে ?
উঃ ভবিষ্যপুরাণ, উত্তরপর্ব/ ২৬ অধ্যায়/ শ্লোক-৪৭।
[২৩] নারদের পাপ ধুয়ে মুছে গিয়েছিল কিভাবে ?
উঃ উচ্ছিষ্ট খাওয়া খেয়ে নারদের সমস্ত পাপ ধুঁয়ে মুছে গিয়েছিল।
[ভাগবত পুরাণ ১/৫/২৫]
[২৪] ভাগবত পুরাণ ১০/৪৮/৬-৭ শ্লোকে আধ্যাত্মিক বিষয়ে যে ধর্মীয় জ্ঞান রয়েছে তা উল্লেখ করুণ ?
উঃ নতুন সঙ্গমের জন্য কুব্জা লজ্জিত ছিল, শয্যায় বসে দুইজনে ক্রীড়া করতে লাগল, কুব্জা নিজের স্তন শ্ৰীকৃষ্ণের পায়ে স্পর্শ করলো। [গীতাপ্রেস]
এইবার পৌরাণিক বন্ধুরা নিজে বিচার করুণ তো যারা এই সকল পুরাণ লিখেছে এবং যারা আজও এই সকল পুরাণ কে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মেনে চলেন তারা আদৌ কি সনাতন ধর্ম কে মেনে চলে ? আর তাদের মতানুসারে এগুলোই কি সনাতন ধর্মের অংশ ? পুরাণ কাহিনী গুলো পড়লেই বোঝা যায় শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত আদি সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেদের স্বার্থে ঋষি ব্যাসদেবের নামে শিব পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ আদি লিখেছে, কিন্তু একথা কোনো পৌরণিকরা বিশ্বাস করেনা। কোনো বৈদিক বন্ধু এই যদি সকল পুরাণ কাহিনীর বিরোধিতা করে এবং সকলকে বেদের পথে ফিরতে বলে তাহলে তাকে পৌরাণিক বন্ধুদের কাছে অনেক বাজে কথা শুনতে হয়। কিন্তু কোনো মুসলিম বা নাস্তিক আদিরা যখন এই সকল পুরাণ কাহিনী থেকে তথ্য দিয়ে শিব, শ্রীকৃষ্ণ, ব্রহ্মা আদি মহাপুরুষদের চরিত্রহীন বলে তখন পৌরাণিক বন্ধুরা উত্তর খুজে না পেয়ে কোনো বৃহৎ গর্তে প্রবেশ করে মৌনব্রত পালন করে থাকে। যেকোনো যুক্তিবাদী, তার্কিক সনাতনী ছেলে মেয়েরা যদি এই সকল পুরাণ পড়ে তাহলে তারা আদৌ কি সনাতন ধর্মকে শ্রদ্ধা করবে ? এই সকল গ্রন্থ পড়লে একজন বিজ্ঞান মনস্কের সনাতন ধর্ম কে বিশ্বাস তো দূরের কথা ঘৃণা ছাড়া কিছুই করবে না ফলে তারা ইসলাম, খ্রিস্টান আদি মতবাদের দিকে এগিয়ে যাবে নয়তো নাস্তিকতা গ্রহণ করবে। এই বিষয়ে কোনো পৌরাণিক বন্ধুরা কি ভেবে দেখেন ? কোনো কোনো পৌরাণিক বন্ধুরা বলে থাকে যে পুরাণ গুলোকে মুসলিমরা বিকৃত করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পুরাণ কাহিনী গুলোকে যদি কেউ বিকৃত করেও থাকে তাহলে সেগুলোকে শুদ্ধ করার দায়িত্ব কাদের, যারা এগুলোকে ধর্মগ্রন্থ মনে করে তাদের নাকি মুলিমদের ? আজ পর্যন্ত শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, মায়াবাদী আদি নানান সম্প্রদায়ের কোনো পণ্ডিতরা কি পুরাণ কে শুদ্ধ করার কোনো চেষ্টা করেছে অথবা এই বিষয়ে পৌরাণিক পণ্ডিতরা কোনো ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে কি ? কোনো চেষ্টাই করেনি। কারণ পৌরাণিকদের সকল সম্প্রদায়ই পুরাণ গুলোকে অবিকৃত হিসাবে মেনে চলে।তাহলে তাদের উচিত মিথ্যা কে বর্জন এবং সত্যকে ধারণ করতে সদা উদ্যত থাকা।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

अथर्ववेद 6/137/1

  एक वरिष्ठ वैदिक विद्वान् ने मुझे अथर्ववेद के निम्नलिखित मन्त्र का आधिदैविक और आध्यात्मिक भाष्य करने की चुनौती दी। इस चुनौती के उत्तर में म...

Post Top Ad

ধন্যবাদ