য়ত্তে বাসঃ পরিধানং য়াং নীবিং কৃণুষে ত্বম্।
শিবং তে তন্বে৩ তত্কৃণ্মঃ সংস্পর্শেহদ্রূক্ষ্ণমস্তু তে।। (অথর্ব০ ৮/২/১৬)
পদার্থঃ হে মনুষ্য! (তে) তোমার (য়ত্) যে (পরিধানম্) শরীরকে আচ্ছাদনের জন্য (বাসঃ) কাপড় আছে আর (য়াম্) যে বস্ত্রকে (ত্বম্) তোমরা (নীবিম্) কোমরের নীচে ধুতি, গুহ্যদেশ আদির রূপে (কৃণুষে) ধারণ করে আমরা (তত্) ওই বস্ত্রকে (তে তন্বে) তোমার শরীরের জন্য (শিবম্) সুখকারী (কৃণ্মঃ) তৈরী করো, যাহাতে সে বস্ত্র (তে) তোমার জন্য (সংস্পর্শে) স্পর্শে (অদ্রূক্ষ্ণম্) অমসৃণ-খসখসে, শুষ্ক আর খারাপ না হয়ে কোমল আর মুলায়ম (অস্তু) হবে।।
ভাবার্থঃ মনুষ্য দেহের আচ্ছাদন বস্ত্র, অঙ্গরক্ষা আদি বস্ত্র শরীরের জন্য সুখদায়ক বানাবে।।
বৈদিক সভ্যতা আর সংস্কৃতি সর্বপ্রাচীন। মনুশ্যের জ্হান আর বিজ্ঞানের শিক্ষা বেদের দ্বারাই প্রাপ্ত হয়েছে। তাহার সভ্যতা আর সংস্কৃতির প্রথম পাঠ বেদ দ্বারাই শিখেছে। মনুষ্য অস্ত্র-শস্ত্র আর নানা প্রকারের যান আর যন্ত্রের নির্মাণ করা বেদ দ্বারাই শিখেছে। যে সময় ইংল্যাণ্ড আর আমেরিকার নিবাসী অসভ্য আর জঙ্গলী ছিল ওই সময় ভারতবর্ষ জ্ঞান আর বিজ্ঞানে অনেক আগে মহান ছিল। মহাভারতের যুদ্ধ থেকে ভারতের এমন ধাক্কা লিগেছিল যে সে এখনো পর্যন্তও সবল হয়নি। প্রস্তুত মন্ত্রে কোমল আর সুখ স্পর্শ বস্ত্র তৈরীর বর্ণন অত্যন্ত স্পষ্ট। মনুষ্য দুই প্রকারের বস্ত্র পরিধান করেন-কমর থেকে উপরে, দ্বিতীয় কোমর-প্রদেশ থেকে নিচে। এই উভয় প্রকারের বস্ত্র এমন প্রকারের হবে যা শরীরের সুখ প্রদানকারী হবে। যে শরীরে অসজ্যকারী না হবে। সুখ প্রদানকারী বস্ত্র এমনই হবে যাহা গরম আর ঠান্ডায় আমাদের রক্সা করতে পারে আর কোমল তথা মুলায়ম হবে।।
ভাষ্যঃ স্বামী জগদীশ্বরানন্দ সরস্বতী ও পণ্ডিত ক্ষেমকরণদাস ত্রিবেদী
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ