ঋগ্বেদ ৮/৩৩/১৯ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

14 February, 2022

ঋগ্বেদ ৮/৩৩/১৯

पश्यस्व मोपरि संतरों पादको हर मा ते कशप्लको दृशन्त्स्त्री हि ब्रह्मा बभूविथ ॥

 Rishi (ऋषि):मेधातिथिः काण्वः Mantra Devta (मंत्र देवता): इन्द्र


অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাং পাদকৌ হর।
মা তে কাশপ্লকৌ বৃশান্ স্ত্রী হি ব্রহ্মা বভূবিথ।।

 (ঋ০ ৮/৩৩/১৯)

পদার্থঃ হে নারী! (অধঃ পশ্যস্ব) নিচে দেখো, বিনয়শীল হও (মা উপরি) উপরে দেখিও না ,উদ্ধত হইও না (পাদকৌ) দুই পা (সন্তরাম্ হর) উত্তম প্রকারে একত্র করে রাখো, অসভ্যের মতো চলিও না (তে) তোমার (কশপ্লকৌ মা দৃশন্) কনুই আদি যেন কেহ না দেখে, এইরূপ বিনয়াচার দ্বারা তুমি (স্ত্রী হি) নারী হয়েও অবশ্যই (ব্রহ্মা বভূবিথ) বেদবেত্তা তথা পূজিতা হইতে পারবে।

                                        ঋগ্বেদ ৮/৩৩/১৯

ভাবার্থঃ মন্ত্রে নারীর শালীনতার যথেষ্টই সুন্দর চিত্রণ করেছেন। প্রত্যেক স্ত্রীর এই গুণ গুলো নিজের জীবনে ধারণ করা উচিত।

১. স্ত্রীকে নিজের দৃষ্টি সদা নীচে রাকা উচিত, উপরে নয়। নিচে দৃষ্টি রাখা লজ্জা আর শালীনতার চিহ্ন।        উপরে দেখা নির্লজ্জতা আর অশালীনতার দ্যোতক।

২. স্ত্রীর চলার সময় দুই পাকে মিলিয়ে যথার্থ সাবধানে অগ্রসর হওয়া উচিত। হেলে দুলে, হাব-ভাবের           প্রদর্ন করে, চঞ্চালতা আর অস্থিরতা দ্বারা চলা উচিত নয়।

৩. নারিদের বস্ত্র ইহা প্রকার ধারণ করা উচিত যে তাহাদের গুপ্ত-অঙ্গ-স্তন, পেট, পীঠ, জঙ্ঘা, কনুই 

     আদি দেখতে দেবে না। নিজের অঙ্গের প্রদর্শন করা বিলাশিতা আর লম্পটতার দ্যোতক।

৪. নারীর জন্য এমন বন্ধন কেন?  এমন কঠোর সাধনা কিজন্য? এইজন্য যে নারী ব্রহ্মা, সে জীবন-           নির্মাত্রী আর সৃজনকর্ত্রী। যদি নারীই বিগড়ে যায় তখন সৃষ্টিও বিগড়ে যায়। মাতারা আর বনেরা             ! নিজের অঙ্গের প্রদর্শন করবে না।।


যেরূপ উত্তম ফলের জন্য উত্তম বীজের  চয়ন করতে হয় , কেননা যদি বীজই নিকৃষ্ট, হীনবীর্য, দোষ যুক্ত হয় তবে উৎপন্ন উৎকৃষ্ট হয় না। ঐরূপই স্ত্রী যদি সংযমী,  লজ্জাগুণশালী, গম্ভীর, শালীন, পুরুষার্থী, ত্যাগী, তপস্বী হয়, চরিত্রবান হয় তখন সন্তানও ঐরূপই হয়।


আজ উচ্ছৃঙ্খল, স্বচ্ছন্দী, লম্পট, অলস, প্রমাদী, কামুক, ক্রোধী সন্তানের মূখ্য কারণ মা-ই হয়। মায়ের পদবী কেবল বাচ্চার উৎপন্ন করাতে অথবা তাহাদিগের রুটি খাওয়াতে অথবা লাল, নীল, হলুদ কাপর পরিধানের জন্য হয় না। মা, মা তখনই হয় যখন সে বাচ্চাকে চরিত্রবান, রাষ্ট্র ভক্ত, ঈশ্বর বিশ্বাসী, সমাজ সেবা বানিয়ে। এই সবই  হওয়া উচিত যখন সে স্বয়ং এই গুণের দ্বারা যুক্ত থাকে।


আজ সমাজে যে স্ত্রীদের সাথে উত্তক্ত, খারাপ দুষ্ট কৌশল, দুরাচার, বলাৎকার আদির ঘটনা বানিয়ে যায়, ইহাতে স্ত্রীরাও কারণ। তাহারা যদি উত্তম অরঞ্জিত বস্ত্র পরিধান করত, নিজের স্তন, নিতম্ব আদি কামোক্তজনক অঙ্গের প্রদর্শন না করত, নিজের চোখ নিচের দিকে রেখে, সোজা রাস্তাতে চলত  তখন দুষ্টের সাহস হতো না যে তাহার উত্তক্ত করা। যখন স্ত্রীরা স্বয়ংই ঢঙ্গ করে, রঙ্গ-তামাসা, চুছ বস্ত্রকে পরিধান করে, হেলে-দুলে, আকর্ণ শ্রৃঙ্গার করে ঘর থেকে বাহিরে যায়, বাজারে কেনাকাটা করে তখন ঐ দুরাত্মার ইহার দুরাচার করার সাহস হয়। যদি ঐরকম না করত। স্তন, নিতম্ব আদি গোপানঙ্গের প্রদর্ন করা লম্পটতা, এই লম্পটতার প্রদর্শন দর্শনকারীর মনে বিষয়াক্তি উৎপন্ন হয় আর বিষয়াক্ত ব্যক্তিই ব্যভিচারী, দুরাচারী বানানোর প্রয়াস করেন আর যে সমাজে দুরাচার, ব্যভিচার, অনাচার েবিস্তার হয় ওই সমাজে শৌর্য, পরাক্রম, উৎসাহ, আদর্শ পরম্পরার বিনাশ হয়ে যায়।


বিশ্বের এক বহুত বড় সমস্যা যে বাচ্চা খারাপ হয়ে যায়। সকলেই বরে থাকেন যে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বৈদিক জীবন পদ্ধত্তি দ্বারা পরীক্ষা করা যায় তো এই নিষ্কর্ষ নিবারণে বাচ্চা নষ্ট হতো না, বিগড়ে যাওয়া আর বিগড়ানোকারীর মধ্যে মা-র নাম শীর্ষস্থ হত। স্ত্রী নতুন সন্তানের জননীই নয় পরন্তু জীবন নির্মাত্রীও  হয় এজন্য বেদে ব্রহ্মা শব্দ প্রয়োগ করেছেন।

                                                                                                  ভাষ্যঃ স্বামী জগদীশ্বরানন্দ সরস্বতী

ঋগ্বেদ ৮।৩৩।১৯ -উক্ত মন্ত্র অনুসারে যজ্ঞে নারীর গুরুত্ব বেশি, তাকে বিনয়ী হতে হবে। মন্ত্র বলে যে নিচের দিকে তাকাও, উপরে নয়। আপনার সাথে অভদ্র হবেন না। আপনি অবশ্যই বাড়ির শাসক, তবে আপনিই সেই ব্যক্তি যিনি আপনার পা একসাথে রাখেন, আপনার পা অভদ্রতার সাথে ছড়িয়ে রাখবে না,তাহলে এইভাবে আপনার নিজেকে সঠিকভাবে ঢেকে রাখা উচিত যাতে আপনার গোড়ালি এবং নীচের অঙ্গগুলি দৃশ্যমান না হয়। কাপড় দিয়ে নিজেকে ভালোভাবে ঢেকে রাখুন যাতে আপনার নিচের অঙ্গগুলো দৃশ্যমান না হয়। 

প্রকৃতপক্ষে, এই ধরনের আচরণ যজ্ঞের নির্দেষ,  একজন মহিলা অবশ্যই গৃহকর্তার যজ্ঞে ব্রহ্মা (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঋত্বিজ) হয়। 


টীকা, (পন্ডিত হরিশরন সিদ্ধালঙ্কার) কেবলমাত্র একজন গর্বিত এবং ভদ্র মহিলাই গৃহস্থের যজ্ঞে ব্রহ্মা হন, তিনি গৃহস্থের যজ্ঞকে ত্রুটিহীন ও বাধাহীন করে সম্পন্ন করেন। তাকে নম্র হতে হবে, শালীন চালচলন হতে হবে এবং সঠিক পোশাক পরতে হবে।

1 comment:

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ