বেদ মন্ত্রে অলঙ্কার - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

17 February, 2022

বেদ মন্ত্রে অলঙ্কার



বেদ মন্ত্রে অলঙ্কার
‘বাচ্য’ শব্দের অর্থ- "বক্তব্য বলার যোগ্য কোনো কথা"। ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে বাচ্য বলে। বাচ্য ভাষার একটি বিশিষ্ট প্রকাশভঙ্গি বা রীতি। এক্ষেত্রে কর্তা বা কর্ম ক্রিয়াপদ সম্পর্কে কীভাবে কথিত বা কথিত হবে, তাই হচ্ছে বাচ্য। বাচ্য হলো ক্রিয়াপদ যে রূপভেদে বাক্যের মধ্যে কখনো কর্তা, কখনো কর্ম, আবার কখনো ক্রিয়াই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়।
প্রকাশভঙ্গির ভিন্নতা অনুযায়ী বাচ্য ৩ প্রকার:
১. কর্তাবাচ্য বা কর্তৃবাচ্য
২. কর্মবাচ্য
৩. ভাববাচ্য

কর্তাবাচ্য সর্বাধিক ব্যবহৃত বাচ্য। কথা বলার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্তাবাচ্য ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের বাচ্যে ক্রিয়াপদ কর্তাকে অনুসরণ করে, তাই এর নাম কর্তাবাচ্য। উদাহরণ:

আমি ভাত খাই।
এই বাক্যে খাই ক্রিয়াপদ আমি-কে (কর্তা) অনুসরণ করে।

কর্মবাচ্য
কর্মবাচ্যে ক্রিয়াপদ কর্মকে অনুসরণ করে, তাকে কর্মবাচ্য বলে। অর্থাৎ, ক্রিয়াপদ একটি কাজের (কর্ম) মধ্য দিয়ে যায় বা তার অবস্থা পরিবর্তিত হয়। তাই কর্মপদই এই বাচ্যে প্রধান। উদাহরণ:

আমার দ্বারা ভাত খাওয়া হয়।
এই বাক্যে ক্রিয়াপদ খাওয়া হয় কর্মপদ ভাতকে অনুসরণ করে।

কর্মপদে দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক, মাধ্যমে ইত্যাদি অনুসর্গের মাধ্যমে কর্তা ও কর্ম সংযুক্ত এবং ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে।

ভাববাচ্য
ভাববাচ্য বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত একটি "মধ্যম বাচ্য", অর্থাৎ বাচ্য গঠনের সাধারণ নিয়মের (কর্তা-ক্রিয়া নীতি) সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং কর্মবাচ্য ও কর্তাবাচ্য থেকে কিছুটা ভিন্ন। ভাববাচ্যে ক্রিয়া-বিশেষ্য বাক্যের ক্রিয়াপদকে নিয়ন্ত্রণ করে। ভাববাচ্যে কর্ম অনুপস্থিত। উদাহরণ:

আমার খাওয়া হয়েছে।
এই বাক্যে ত্রিয়াপদ খাওয়া বাক্যের কর্তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

কর্ম-কর্তাবাচ্য
কর্ম-কর্তাবাচ্যে (অন্যান্য নাম: অর্ধ-কর্মবাচ্য, মধ্যম-কর্মবাচ্য) কর্মপদ কর্তাপদের মতোই প্রতীয়মান হয়, বাক্যে কর্মপদ কর্তারূপে ব্যবহৃত হয়। এটিও এক প্রকার মধ্যম বাচ্য। কর্ম-কর্তাবাচ্য বাংলা ব্যাকরণে একটি অপ্রচলিত বাচ্য, কারণ এই বাচ্যে ক্রিয়াপদ কর্মকে অনুসরণ করে এবং একই নিয়ম কর্মবাচ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে কর্তা-কর্মবাচ্যকে কর্মবাচ্যের অংশ হিসেবে ধরা হয়। কর্ম-কর্তাবাচ্যের উদাহরণ:

ভাত খাওয়া হয়েছে।
এখানে খাওয়া হয়েছে ক্রিয়াপদ ভাত কর্মপদকে অনুসরণ করে বাক্য গঠন করেছে।

বাচ্যান্তর
বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে বাকভঙ্গির পরিবর্তন সাধন করার মাধ্যমে এক বাচ্যের বাক্যকে অন্য বাচ্যের বাক্যে পরিবর্তন করার নামই হচ্ছে- বাচ্য-পরিবর্তন বা বাচ্যান্তর।

অলঙ্কার বিষয় কিছু সংক্ষেপে বর্ণনা -

অলঙ্কার মধ্যে প্রথমে উপমালঙ্কারের আট প্রকার ভেদ আছে যথা :- ১ম বাচকলুপ্তা, ২য় ধৰ্ম্মবাচকলুপ্তা, ৪র্থ বাচকোপমেয়লুপ্তা, ৫ম উপমানলুপ্তা, ৬ষ্ঠ বাচকোপমানলুপ্তা, ৭ম ধর্ম্মোবাচকলুপ্তা এবং ৮ম ধর্মোপমানবাচকলুপ্তা।" 

*এই অষ্ট প্রকারের অলঙ্কারের সহিত পূর্ণোপমালঙ্কার পৃথক, যাহাতে এই সমস্ত গুলি থাকে, এরূপ পূর্ণোপমালঙ্কারের লক্ষণ এরূপ যে, উহা চারিপ্রকার পদার্থ দ্বারা উৎপন্ন হইয়া থাকে যথাঃ-১ম উপমান, ২য় উপমেয়, ৩য় উপমাবাচক ও ৪র্থ সাধারণ ধর্ম।


যে পদার্থের উপমা দেওয়া যায় তাহাকেই উপমান্ বলা যায়। যাহাকে উপমানের তুল্য বর্ণন করা যায় তাহাকেই উপমেয় বলে। যাহা তুল্য, সমান, সদৃশার্থ, ইব, বৎ ইত্যাদি শব্দের মধ্যে আসিয়া কোন অপর বা ভিন্ন পদার্থকে সমান বোধ করাইয়া থাকে তাহাকে উপমাবাচক বলা যায়, আর যে যে কর্ম উপমান ও উপমেয় এই দুইটীতে সর্বদা বর্তমান তথাকে তাহাকে সাধারণ ধর্ম বলা যায়। উপরোক্ত চারিপ্রকার লক্ষণ বিদ্যমান থাকিলে পূর্ণোপমালঙ্কার হইয়া থাকে এবং ইহাদিগের মধ্যে কোন একটীর লোপ হইলে পুর্বোক্ত অষ্ট প্রকারের ভেদ হইয়া যায়। পূর্ণোপমালঙ্কারের উদাহরণ এইরূপ যে – ‘স নঃ পিতেব সুনবেSগ্নে সুপায়নো ভব" যেমন পিতা স্বীয় পুত্রের সর্ব দিক দিয়া রক্ষা করিয়া থাকেন, তদ্রূপ পরমেশ্বর সকলের পিতা অর্থাৎ পালনকর্তা।


উপরোক্ত অলঙ্কার ভেদ ভিন্ন দ্বিতীয় প্রকার রূপালঙ্কারের ছয়রূপ ভেদ আছে যথাঃ- (১) অধিকাভেদরূপক, (২) ন্যুনাভেদরূপক, (৩) অনুভয়াভেদরূপক, (8) অধিকতাদ্ধপ্যরূপক, (৫) ন্যূনতাদ্ধপ্যরূপক এবং (৬) অনুভয়তাদ্ধপ্যরূপক।

ইহাদিগের লক্ষণ এইরূপ যথা :- উপমেয়কে উপমান করিয়া দেওয়া ও তাহাতে ভেদ না রাখা, যথা এই মনুষ্য সাক্ষাৎ সূৰ্য্য হন, কারণ ইনি আপন বিদ্যারূপ শ্রকাশবলে অবিদ্যারূপ অন্ধকারের নিত্যনাশ করিয়া থাকেন ইত্যাদি। তৃতীয় প্রকার অলঙ্কারকে শ্লেষালঙ্কার বলে।

ইহার তিনপ্রকার ভেদ আছে যথা:- (১) প্রকৃত, (২) অপ্রকৃত এবং (৩) প্রকৃতাপ্রকৃত বিষয়। ইহাদিগের লক্ষণ এইরূপ যথা :- যেখানে কোন এক বাক্য বা শব্দ প্রয়োগ দ্বারা অনেকার্থ প্রকাশিত হইয়া থাকে তাহাকে শ্লেষ বলা যায়,


যথা 'নব কম্বল' শব্দে দুই প্রকার অর্থ বুঝায়, য়থা নব অর্থাৎ নয়টি কম্বল এবং নব অর্থাৎ নবীন, পুরাতন নহে, এরূপ কম্বল।

 এইরূপে বেদশাস্ত্রে অগ্নি শব্দ প্রয়োগ দ্বারা শ্লেষালঙ্কার মতে অনেকাৰ্থ হইয়া থাকে। এইরূপ আরও অনেক অলঙ্কার আছে, তাহা দয়ানন্দ সরস্বতী জীর বেদভাষ্য দেখিয়া লইবেন।


অদিতিদৌরদিতিরন্তরিক্ষমদিতিমাতা স পিতা স পুত্রঃ ।

বিশ্বে দেবা অদিতিঃ পঞ্চ জনা অদিতির্জাতমদিতিৰ্জনিত্বম্।।

ঋগ্বেদ০ ১।৮৯।১০।।

अदित्तियोरदितिरन्तरिक्षमदितिर्माता स पिता स पुत्रः। विश्वे देवा अदितिः पक्ष जना अदितिर्जातमदितिर्जनित्यम्॥

ভাষ্যম্—অস্মিন্মন্ত্রে অদিতিশব্দার্থা দ্যৌরিত্যাদয়ঃ সন্তি, তেৎপি বেদভাষ্যে দিতিশব্দেন গ্রাহিষ্যন্তে। নৈবাস্য মন্ত্রস্য লেখনং সর্বত্র ভবিষ্যতীতি মতাত্র লিখিতম্।

।। ভাষাৰ্থ।।

(অদিতি) এই মন্ত্রে অদিতি শব্দ অনেকার্থে ব্যবহৃত হইয়াছে এবং এই শব্দেরও (বাস্তবিক) অনেকার্থ আছে, পরন্তু এই মন্ত্রে যতগুলি অর্থ আছে তৎসমুদায় বেদভাষ্যে অবশ্যই গৃহীত হইবে। অদিতি শব্দে দ্যৌঃ অন্তরিক্ষ, মাতা, পিতা, পুত্র, বিশ্বেদেবঃ পঞ্চজন, জাত ও জনিতৃ বুঝাইয়া থাকে।

Padarth (अदितिः) विनाशरहिता (य) प्रकाशमान परमेश्वर सूर्यादिव (अदितिः) (अन्तरिक्षम्) (अदितिः) (माता) मान्यहेतुर्जननी विद्या वा (ख) (पिता) जनकः पालको वा (सः) (पुत्रः) औरस क्षेत्रजादिर्विद्याजो वा (विश्वे) सर्वे (देवाः) विद्वासो दिव्यगुणाः पदार्थाचा (अदितिः) (पञ्च) इन्द्रियाणि (जनाः) जीवा: (अदितिः) उत्पत्तिनाशरहिता (जातम्) पक्तिचिदुत्पत्रम् (अदितिः) (जनिलम्) उत्पत्यमान।


Anvay: हे मनुष्या पुस्मभिर्वोरदितिरन्तरिक्षमदितिर्माताऽदितिः स पिता स पुत्रवादितिर्विषे देवा अदितिः पञ्चेन्द्रियाणि जनाच तथा एवं जातमात्र कार्य जनित्वं जन्यत्र सर्वमदितिरेवेति वेदितव्यम।


Pdarth Anvay Bhasha हे मनुष्यो तुमको चाहिये कि (योः) प्रकाशयुक्त परमेश्वर वा सूर्ण आदि प्रकाशमय पदार्थ (अदितिः) अविनाशी (अन्तरिक्षम्) आकाश (अदितिः) अविनाशी (माता) माँ वा विद्या (अदितिः) अविनाशी (स) वह (पिता) उत्पन्न करनेवा पालनेहारा पिता (स) वह (पुत्र) और अर्थात् निज विवाहित पुरुष से उत्पन्न वा क्षेत्रन अर्थात् नियोग करके दूसरे से क्षेत्र में हुआ विद्या से उत्पन्न पुत्र (अदितिः) अविनाशी है तथा (विश्वे) समस्त (देवाः) विद्वान् वा दिव्य गुणवाले पदार्थ (अदिति) अविनाशी हैं (पक्ष) पांचों जानेन्द्रिय और (जना) जीव भी (अदिति) अविनाशी है, इस प्रकार जो कुछ (जातम्) उत्पन्न हुआ वा (जनित्वम्) होनेहारा है, वह सब (अदितिः) अविनाशी अर्थात् नित्य है।

Sanskrit Bhavarth अत्र (योः) इत्यादीना कारणरूपेण प्रवाहरूपेण बाविनाशिलं मत्वा दिवादीनामदितिसंज्ञा क्रियते। अत्र पत्र वेदेष्वदितिशब्द पठितस्तत्र प्रकरणाऽनुकूलतया दिवादीना मध्याग्रस्य यस्य योग्यता भवेत्तस्य तस्य ग्रहण कार्यम्। ईश्वरस्य जीवाना कारणस्प प्रकृतेश्चाविनाशित्वाददितिसंज्ञा वर्त्तत एव१७ अत्र विदुषां विद्यार्थिना प्रकाशादीनां च विश्वे देवान्तर्गतत्वाद्वर्णन कृतमत एतदुक्तार्थस्य सूक्तस्य पूर्वसूक्तार्थेन सह सङ्गतिरस्तीति वेदम्"


Bhavarth. इस मन्त्र में परमाणुरूप वा प्रवाहरूप से सब पदार्थ नित्य मानकर दिव आदि पदार्थों की अदिति संज्ञा की है। जहाँ जहाँ वेद में अदिति शब्द पढ़ा है, वहाँ वहाँ प्रकरण की अनुकूलता से दिव आदि पदार्थों में से जिस जिस की योग्यता हो उस उस का ग्रहण करना चाहिये। ईश्वर, जीव और प्रकृति अर्थात् जगत् का कारण इनके अविनाशी होने से उसकी भी अदिति संज्ञा १० इस सूक्त में विद्वान विद्यार्थी और प्रकाशमय पदार्थों का विश्वेदेव पद के अन्तर्गत होने से वर्णन किया है। इससे इस सूक्त के अर्थ की पिछले सूक्त के अर्थ के साथ संगति है, ऐसा जानना चाहिये।

*বাচঞ্চলুপ্তা উদাহরণ যথা-"ভীম ইব বলী' ভীমবলী অর্থাৎ ভীমের ন্যায় বলবানকে ভীমবলী বলা যায়। ধর্মলুপ্তোদাহরণং যথা-"কমলনেত্র" অর্থাৎ কমল বা পদ্মের ন্যায় নেত্রসম্পন্ন। ধর্মবাচক লুপ্তোদাহরণম্ যথা “ব্যাঘ্রইব পুরুষঃ" পুরুষব্যায় অর্থাৎ বাঘের ন্যায় শৌর্য বীর্য সম্পন্ন পুরুষকে পুরুষব্যাম বলা যায়। বাচক উপমেয় লুপ্তোদাহরণম্ যথা-"বিদায়া পণ্ডিতায়ন্তে" অর্থাৎ বিদ্যা দ্বারা পণ্ডিত হয়, ইত্যাদি প্রকার জানিবে। 

ইত্যলঙ্কারভেদবিষয়ঃ সংক্ষেপতঃ

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ