বর্ত্তমান সময়ে কৃস্তমাস বা ক্রিসমাস যা বাস্তবে কৃষ্ণনাস উৎসব। এই তেহার / উৎসব মধ্যরাত্রি ঠিক বারোটায় ঘন্টা বাজিয়ে পালন করা হয় আর এটাই সমগ্র আর্য্যবর্ত্তের প্রথা যা মহাভারতের যুদ্ধের পর থেকে শুরু হয়েছে। এটি রাত ১২ টায় পালিত হওয়া শুরু হয়ে ছিলো করাণ দীর্ঘ অন্ধকার রাত শেষ হওয়ার পরে, উত্তরায়ণে দিন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। এইজন্য এই উৎসব কে "বড় দিন" বলা হয়। সেই দিন মধ্যরাত্রি কে দীর্ঘ অন্ধকার রাত্রের ক্লাইম্যক্স (চরমসীমা) মনে করা হতো। এটি কৃষ্ণমাস অর্থাৎ কালা মহীনা (মাস) বা দীর্ঘ অন্ধকার রাতের মাস থেকে এর নাম করণ হয়।
এটা কৃষ্ণমাস অর্থাৎ কৃষ্ণপুজার [পূজা অর্থ সন্মান বা সৎকার] মাস বলা হয়। মাসানাং মার্গশীর্ষোऽহম্।। -গীতা ১০।৩৫ অর্থাৎ সমস্ত মাসে মার্গশীর্ষ মাস ভগবানের মাস, এইভাবে ডিসেম্বর হল মার্গশীর্ষ। এভাবে ২৩-২৪-২৫ ডিসেম্বর দক্ষিণায়নের সমাপ্তি ও উত্তরায়ণের সূচনা সেখান থেকে কৃষ্ণমাসের উৎসব সূচনা সমগ্র বিশ্বে এটি খ্রীষ্টের পূর্বের সময় থেকে উদযাপিত হয়েছিলো। এই মাসে কৃষ্ণ পূজন রূঢ় হওয়ার আর এক কারণ এই সময় মহাভারীয় যুদ্ধেও মার্গশীর্ষে সমাপ্ত হয়েছিল। ভীষ্ম পিতামহ উত্তরায়ন পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন, কৌরব পক্ষের প্রায় সকলে নিহত ও পান্ডবেরা যারা ছিলেন সকলে উদাসীন ছিলেন, এই অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণই একমাত্র দেবতুল্য ব্যক্তি বিবেচিত হত।
যুদ্ধ সমাপ্তিতে বিজয় উৎসব বা আনন্দ উৎসব ও পালন করা শুরু হয় কৃষ্ণমাসের নামে মধ্যরাত্রি থেকে বড় হর্ষউল্লাস সহকারে। সংযোগ বসত কৃষ্ণজন্ম সময় এবং দীর্ঘ রাত্রির চরমসীমা একই ছিল, অতঃ মধ্যরাত্রি ১২টায় ঘন্টাধ্বনির মাধ্যমে আনন্দউৎসব আজ পর্যন্ত পালিত হয়।
পাঠকদেরও কুস্তী জনগণকে [খ্রীষ্টানদের] জিজ্ঞাসা করা উচিত যে কৃসমাস (Christmas) কে X-mas হিসেবে লেখা হয় কেন ? তার সঠিক বর্ণনা তারা দিতে পারবে না। ১৭৫২ সাল পর্যন্ত ইংলন্ডের নববর্ষ ২২মার্চ এ হতো।
তথ্যসূত্রঃ "বৈদিক বিশ্ব রাষ্ট্রের ইতিহাস"-লেখকঃ- পুরুষোত্তম নাগেশ ওক
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ