গীতা ৯/৩২ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

22 February, 2022

গীতা ৯/৩২

 মাং হি পার্থ ব্যপাশ্রিত্য যেহপি স্যুঃ পাপযোনয়ঃ।

স্ত্রিয়ো বৈশ্যাস্তথা শূদ্রাস্তোহপি যান্তি পরাং গতিম্।। গীতা-৯/৩২

পদাঃ- মাম্। হি। পার্থ। ব্যপাশ্রিত্য। যে। অপি। স্যুঃ। পাপযোনয়ঃ। স্ত্রিয়ঃ। বৈশ্যঃ। তথা। শূদ্রাঃ। অপি। যান্তিঃ। পরাম্। গতিম্।

পদার্থ-( পার্থ) হে পার্থ! ( হি) নিশ্চয়ই ( মাম্) আমাকে ( ব্যপাশ্রিত্য) আশ্রয় করে ( যে) যে ( পাপযোনয়ঃ) পাপ থেকে জন্মকারী ( অপি) ও ( স্যুঃ) হোক,স্ত্রী হোক,বা বৈশ্য হোক তথা শূদ্র হোক ( তে অপি) তবুও ( পরম্,গতি,যন্তি) পরম গতি প্রাপ্ত হয়।

ভাবার্থ-এখন কৃষ্ণজী প্রাক্তানকে জোড় দিয়ে বলেছেন যারা পারধ কর্মে নিন্দিত, তারা নারীই হোক,বৈশ্যই হোক তথা শূদ্রই হোক না কেন,তারাও পরমেশ্বরকে ভক্তি করে শুদ্ধ হয়,এই শ্লোকে প্রায় সকল ভাষ্যকারের মতে,বিবেচ্য নারী,বৈশ্য ও শূদ্ররা জন্মগত ভাবে দুষ্ট ছিল। মনে হয় এই অনুভূতি ব্যাসজীর নয়,যদি ব্যাসজীর এই অনুভূতি থাকতো,তবে "অপশুদ্রাধিকরণে" সামর্থ দ্বারা বেদাধ্যয়নের ব্যাবস্থা করা হয় না এমনকি একটি অজ্ঞাত গোত্র সত্যকামজকারীকে ব্রহ্মবিদ্যা শেখানো উচিত নয়,তাহলে কি,উপনিষদের সময়ে নারীদের পৌরাণিক বোধ ছিলো গার্গী,মৈত্রেয়ী,কাত্যায়নী যদি পরোহিতদের ধর্মতত্বের অধিকার না থাকে তবে ত্রিয় কে কখনও ব্রহ্মবাদিনী বলা যায় না, অতএব ভাষ্যকারগণের উক্ত ভাব ঠিক নয়।।-( ভাষ্য-আর্যমুনি পরিব্রাজক)
গীতা ৯/৩২
অনুবাদঃ- হে পৃথানন্দন !
যারা আমাকে আশ্রয় করে, তারা স্ত্রী হোক ও বৈশ্য হোক অথবা শূদ্র হোক তথা পাপের ফলে প্রাপ্ত জন্মগ্রহণকারী হোক তারাও পরম গতি প্রাপ্ত হয়।
উক্ত শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণজী জোর দিয়ে এটাই বলেছেন যে, পূর্ব প্রারব্ধ কর্ম দ্বারা প্রাপ্ত জন্মগ্রহণকারী হোক বা স্ত্রী হোক, বা বৈশ্য কিংবা শূদ্র হোক সেও পরমাত্মপরায়ণ হওয়ার দ্বারা শুদ্ধ হয়ে যায় এবং পরম গতি প্রাপ্ত হয়। এই শ্লোকে প্রায় টিকাকার - স্ত্রী, বৈশ্য, শূদ্রকে জন্ম দ্বারাই দুষ্ট মেনেছেন, কিন্তু উক্ত শ্লোকের ভাব এমন নয়। গীতা-৪/১৩, ১৮/৪১ শ্লোকেই বলা হয়েছে যে কর্মানুযায়ী বৈশ্য, শূদ্র... বর্ন নির্ধারণ করেছেন। শুক্রনীতিতে বলা হয়েছে-
তজাত্যাব্রাহ্মণশ্রাত্রক্ষত্রিয়োবৈশ্যএবন।
নশূদ্রোনর্চবম্লেচ্ছোভেদিতাগুণকর্মভিঃ। (শুক্রনীতি - ১/৪/৩৮)
অনুবাদঃ- এই জগতে জন্মদ্বারা ব্রাহ্মণ - ক্ষত্রিয় - বৈশ্য - শূদ্র - ম্লেচ্ছ হয় না, কিন্তু গুণ এবং কর্মভেদে হয়।
যদি জন্ম দ্বারা বৈশ্য কিংবা শূদ্রই না হয় তাহলে জন্মদ্বারা বৈশ্য, শূদ্র দুষ্ট এই মান্যতা কিভাবে সঠিক হয়?
"নাস্তি মাতঃ পরম্ গুরু" (অত্রিস্মৃতি-১৪৯)
অর্থাৎ মাতা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ গুরু নেই।
"শ্রুতৌ পত্ন্যা সহোদিতঃ" (মনুস্মৃতি-৯/৯৬)
অর্থাৎ বেদে - সাধারণ হতেও সাধারণ [ধর্মকার্য্যের] অনুষ্ঠানও পত্নীর সহিত করার বিধান করেছে।
"গেহেষু স্ত্রিয়ঃ শ্রিয়ঃ চ" (মনুস্মৃতি-৯/২৬)
অর্থাৎ স্ত্রীই গৃহের লক্ষ্মী।
যদি নারী জন্ম দ্বারাই দুষ্ট হতো তাহলে শ্রেষ্ঠ গুরু, গৃহের লক্ষ্মী বলা হতো না আর না বিধান দেওয়া হতো স্ত্রীর সহিত ধর্মানুষ্ঠান করার। অতঃ স্ত্রী,বৈশ্য, শূদ্র জন্মদ্বারা দুষ্ট এই ভাব ভুল তথা অমান্য।


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ