ঋষিঃ-স্বয়ম্ভু ব্রহ্ম। দেবতা-হিরণ্যগর্ভঃ পরমাত্মা। ছন্দঃ-নিচৃত্ পঙক্তিঃ। স্বরঃ-পঞ্চমঃ।।
ন তস্য প্রতিমাঅস্তি য়স্য নাম মহদ্যশঃ।
হিরন্যগর্ভহত্যেষ মা মা হিংসীদিত্যেষা যস্মান্ন জাতঃ ইত্যেষঃ।।
যজুর্বেদ০ ৩২।৩
ন। তস্য। প্রতিমেতি প্রতিমা। অস্তি।যস্য। নাম। মহত্। যশঃ। হিরণ্যগর্ভ ইতি হিরণ্যগর্ভ। ইতি। এষঃ। মা। মা। হিংসীত্। ইতি এষাঃ। যস্মাত্। ন। জাতঃ। ইতি। এষঃ।
পদার্থ- হে মনুষ্য! ( যস্য) যাঁহার ( মহৎ) উপাসনাপূর্ণ বৃহৎ ( যশঃ) কীর্ত্তিকর ধর্মযুক্ত কর্মের আচরণে যাঁহার ( নাম) নামস্মরণ হয় যিনি ( হিরণ্যগর্ভ) সূর্য বিদ্যুৎ আদি পদার্থের আধার ( ইতি) এই প্রকার ( এষঃ) অন্তর্যামী হতে প্রকাশ যা ( মা) আমাকে ( মা হিসীত্) তাড়না দিবেন না বা বিমুখ করিবেন না, ( ইতি) এই প্রকার ( এষা) এই প্রার্থনা বা বুদ্ধি এবং ( যস্মাত্) যে কারণ ( ন) না ( জাতঃ) উৎপন্ন হয়, ( ইতি) এই প্রকার ( এষঃ) এই পরমাত্মার উপাসনা যোগ্য হয়। ( তস্য) সেই পরমেশ্বরের ( প্রতিমা) প্রতিমা-পরিমাণ তাঁহার তুল্য অবধির সাধন প্রতিকৃতি,মূর্তি বা আকৃতি ( ন অস্তি) না আছে। অথবা দ্বিতীয় পক্ষ এই হয় যে ( হিরণ্যগর্ভঃ০) পঁচিশতম অধ্যায়ে,১০ মন্ত্র থেকে ১৩ মন্ত্র পর্যন্ত ( ইতি, এষঃ) এই অনুবাকে বলা আছে ( মা, মা,হিসীত্) ( ইতি) একই প্রকার ( এষা) এই মন্ত্র দ্বাদশ অধ্যায়ের ১০২ ( বা) মন্ত্র এবং ( যস্মান্ন জাতঃ-ইত্যেষঃ০) এই অষ্টম অধ্যায়ের ৩৬.৩৭ দুই মন্ত্রের অনুবাকে (যস্য) যে পরমেশ্বরের ( নাম) প্রসিদ্ধ ( মহত্) মহতী ( যশঃ) কীর্ত্তি আছে,( তস্য) তাঁহার ( প্রতিমা) প্রতিবিম্ব ( তস্বীর) (ন,অস্তি) না আছে।
ভাবার্থ-হে মনুষ্য!যিনি কখনও দেহধারী হোন না,যাঁহার কোনও পরিমাণ সীমার কারণ হয় না,যাঁহার আজ্ঞার পালন নাম স্বরণ হয়,যাঁহার উপাসনা করা হয় তিনি তাঁহার উপাসকদের প্রতি অনুগ্রহ করেন,বেদে অনেক স্থানে যাঁহার মহত্ত্ব বলা হয়েছে,যাঁহার মৃত্যু হয় না,বিকৃত হয় না, বিনিষ্ট হয় না,তাঁহাকে নিরন্তর উপাসনা করো। যারা এর থেকে ভিন্ন কিছুর উপাসনা করে তারা এই মহাপাপ দ্বারা যুক্ত হয়ে নিজ দুঃখ দ্বারা বিনিষ্ট হইবে।।
( ভাষ্য-মহির্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী)
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ