খ্রীষ্টানের শিক্ষা মানুষে জন্য কি হিতকর ? - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

17 March, 2022

খ্রীষ্টানের শিক্ষা মানুষে জন্য কি হিতকর ?

 শাস্ত্রার্থ বিষয়: ইসাই (Christian) মতের শিক্ষা মানুষ মাত্রের জন্য কি হিতকর?

স্থান: চুহূড়পুর (বিকাশ নগর) জেলা দেহরাদূন, ইউ পি
দীনাঙ্ক: ২৮ এপ্রিল ১৯৫৪ (সকাল ৮টা)
শাস্ত্রার্থকর্তা আর্য সমাজের পক্ষ থেকে: শ্রী পণ্ডিত ঠাকুর অমরসিংহ জী শাস্ত্রার্থ কেশরী
শাস্ত্রার্থকর্তা ইসাই(ক্রিশ্চিয়ান) মতের পক্ষ থেকে: শ্রী পাদরী আব্দুল হক সাহেব
আর্য সমাজের পক্ষ থেকে প্রধান: শ্রী পণ্ডিত অমরনাথ জী বৈদ্য বাচস্পতি
ইসাই মতের পক্ষ থেকে প্রধান: শ্রী পাদরী রফী সাহেব
শ্রী পণ্ডিত ঠাকুর অমর সিংহ জী শাস্ত্রার্থ কেশরী -
সত্যাসত্যের সন্ধানকারী সজ্জন পুরুষগণ! আজকের শাস্ত্রার্থে আপনারা জানবেন যে, ক্রিশ্চিয়ানদের (ইসাই) মতের শিক্ষা মানুষ মাত্রের জন্য কল্যাণের পথ দেখায় নাকি মানুষ মাত্রকে পথভ্রষ্ট করে তার সর্বনাশ করে দেয়। আজ ইসাই মতের বিখ্যাত মুনাজির পাদরী আব্দুল হক সাহেব জী আমার সম্মুখ উপস্থিত আছেন। আমি তার সামনে ইসাই মত আর তার মান্য ইলহামী কিতাব (ঈশ্বরীয় পুস্তক) বাইবেল - এর শিক্ষার কিছু উদাহরণ রাখছি। আপনারা দেখবেন যে - পাদরী সাহেব তার কি ব্যাখ্যা করেন।
বাইবেলের প্রথম শিক্ষা এটা হল যে, বাপ নিজের কন্যার সঙ্গে বিয়ে করুক। দেখুন - বাইবেলে তোরেতের প্রথম পুস্তক উৎপত্তি পর্ব ২ বচন ২১ থেকে ২৪ পর্যন্ত। অর্থাৎ পরমেশ্বর আদমকে গভীর নিদ্রায় রেখে তার পাঁজরগুলো থেকে একটা পাঁজর বের করে নেয়, আর তার জায়গায় মাংস ভরিয়ে দেয় আর সেই পাঁজর থেকে এক নারী বানায় যাকে আদমের পত্নী বানিয়ে দেয়। আয়ত (বচন) ২৩শে আদমের বচন হল - "সে তো হল আমার হাড়ের হাড্ডি, আর আমার মাংসের মাংস"। "তাকে নারী বলা হয় কারণ সে বেরিয়েছে নর থেকে"।
আয়ত (বচন) ২৪ তে আছে, "এইজন্য মানুষ নিজের মাতা-পিতাকে ত্যাগ করবে আর নিজের পত্নীর সঙ্গে থাকবে, আর তারা মাংসের হবে।"
এখানে ইসাই মত হতে দুটি শিক্ষা পাওয়া যায়, এক এটা হল যে বাপ নিজের কন্যার সঙ্গে বিয়ে করবে। আর দ্বিতীয় হল যে, নিজের মাতা-পিতাদের ত্যাগ করে দিবে।
দ্বিতীয় প্রমাণ এইরকম এই "উৎপত্তি পুস্তকের" পর্ব ১৯শে আয়ত ৩১ থেকে ৩৮ পর্যন্ত এটা হল যে - হজরত লূতের দুই কন্যা নিজের বাপ লূতের দ্বারাই গর্ভবতী হয়, বড় কন্যা নিজের বাপের সঙ্গে গর্ভবতী হয়ে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।
বলুন! ইসাইগণ! আপনাদের ইসাই মতের তালীম (প্রশিক্ষণ) পছন্দ হচ্ছে? যদি পছন্দ হয় তো আপনারা এর উপর অমল (মান্যতা) করেন কি করেন না? যদি না করেন তবে কেন আপনারা নিজেদের এই অধিকারকে ছেড়ে দিলেন? পাদরী আব্দুল হক সাহেব কৃপা করে বলুন যে তিনি এই শিক্ষার প্রচার ক্রিস্টিয়ানদের মধ্যে করেন কি না, যদি না করেন তবে কেন করেন না? এটা পরিষ্কার, এই উপদেশ এরকম যে যাকে কোনো ভদ্র আর বুদ্ধিমান ও সুসংস্কারী ব্যাক্তি মানবেই না। আর কোনো ইসাইও একে মানে না। এটা ঠিক যে - এই তালীম (প্রশিক্ষণ) ব্যাক্তিকে আর তার ইখলাক (নৈতিকতা/গুণ)কে ধ্বংস আর নষ্ট করে দেওয়ার মতো। তবুও আমি জিজ্ঞেস করছি যে, এইরকম তালীম (প্রশিক্ষণ) দেওয়া পুস্তক বাইবেল (Bibel) আর এই মজহবকে যে এই কিতাব (পুস্তক)কে মানে, তারা একে পরিত্যাগ করলে হয় না? অর্থাৎ মুছে দিলে হয় না?
শ্রী পাদরী আব্দুল হক সাহেব -
সাহিবান (সজ্জনগণ)! আমি আজ কোথায় কার সামনে ফেঁসে গেছি? আমি তো চেয়েছিলাম যে কোনো মন্তক (মহত্ব) আর ফিলসফে (philosophy) - র তর্ক হবে আর মজা লাগবে। যদি পণ্ডিত রামচন্দ্র জী দেহলবী হতেন তো মজা লাগতো। আমি আজ এমন একজনের পাল্লায় পড়েছি যে না জানে মহত্ব আর না ফিলসফা (philosophy)! আমি জিজ্ঞেস করছি যে - মা হব্বা হজরত আদমের কন্যা কি করে হল? তাকে তো আদম জন্ম দেয় নি, খুদা তাকে বানিয়ে ছিল। সে আদমের কন্যা কি করে হল? কি তর্ক করবো? না এই তর্কে কোনো মহত্ব আছে আর না আছে ফিলসফা (philosophy), তর্ক কর্তার এটাই জ্ঞান নেই যে, হব্বা আদমের কন্যা ছিল না। তার সঙ্গে কি তর্ক হবে? সেই আদম আর হব্বার শাদী (বিবাহ) খুদার হুকুমে (আদেশে) হয়েছিল। আমার সন্মুখ এই প্রশ্ন কখনও কেউ করে নি।
শ্রী পণ্ডিত ঠাকুর অমর সিংহ জী শাস্ত্রার্থ কেশরী -
পাদরী আব্দুল হক সাহেব আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না, আর না কখনও দিতে পারবেন। আমার প্রশ্ন থেকে বেঁচে ভেগে যাওয়ার জন্য মন্তক আর ফিলসফির কান্না করছেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি যে - আপনি না তো মন্তক জানেন আর না জানেন ফিলসফি। আর আপনি ইসাইয়ের মন্তক আর ফিলসফির সঙ্গে কোনো সম্বন্ধও রাখেন না। মুসলিমদের কিছু এঁটো সংগ্রহ করেছেন। আর দুই-চার ইস্তলাহাত মন্তকের স্মরণ করেছেন, "আর হয়ে গেলেন মন্তকী"! আমি এটা গভীর ভাবে পড়েছি। আপনি যদি কিছু জানেন তো মন্তক আর ফিলসফি দ্বারাই আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে তার সহায়তা নিন। আপনাকে আটকাচ্ছে কে? আপনি বলছেন যে, আমার সামনে কেউ এই প্রশ্ন করে নি।
ইব্তদায়ে ইশ্ক হ্যা, রোতা হ্যা ক্যা?
আগে আগে দেখনা, হোতা হ্যা ক্যা?
এখন তো এভাবেই আরও অনেক প্রশ্ন করবো। শুনুন নোট করুন আর উত্তর দিন। ইসাই (Christian) মতের পরবর্তী তালীম (শিক্ষা) হল এটা যে, ভাই বোনও শাদী (বিবাহ) করুক।
তোরেত উৎপত্তির পুস্তক পর্ব ১২ আয়ত ১০ থেকে ১৩ পর্যন্ত, আছে যে - মিশ্র দেশে "অব্রাহাম" নিজের বোন "সারা"- কে নিজের স্ত্রী বানায়। আর এই উৎপত্তির পুস্তক পর্ব ২০ এর আয়তে আছে যে - দেশ জিরারেও অব্রাহাম নিজের বোন সারাকে নিজের স্ত্রী বানায়। এই পর্ব ২০ এর আয়ত ১২ তে সে বলেছে যে, "নিশ্চয় সে আমারই বোন, সে আমার পিতার কন্যা কিন্তু আমার মায়ের কন্যা নয়। তাই আমার পত্নী হয়ে গেলো।"
এইভাবে অব্রাহামের পুত্র ইসহাকও নিজের বোন রিজকাকে পত্নী বানায়, উৎপত্তি পর্ব ২৬ আয়ত ৬-৭।
ইসাই (Christian) মতের অন্য একটা তালীম (শিক্ষা) হল যে, নিজের স্ত্রীকে অন্যের ঘরে রেখে লাভ উঠাতে পারলে খুব উঠাও। উৎপত্তি পর্ব ১২ আয়ত ১৫-১৬তে "ফিরঊনের অধ্যক্ষগণ তাকে (সারাকে) দেখে আর ফিরঊনের সম্মুখ তার সরাহনা (প্রশংসা) করে তাই সেই স্ত্রীকে ফিরঊনের ঘরে নিয়ে যায়। তখন সেই কারণে ফিরঊন অব্রাহামের উপকার করে আর ভেরা, ছাগল, গরু, গাধা আর দাস ও দাসী সঙ্গে গাধী আর উট সে এই উপকারের পরিবর্তে পায়। উৎপত্তি পর্ব ২০ আয়ত - ২, "জিরারের রাজা অবিমলক নিজের চাকরকে পাঠিয়ে সারাকে নিজের ঘরে নিয়ে আসে।" মিশ্র দেশে রাজা ফিরঊনের ঘরে অব্রাহামের স্ত্রী থাকে যাকে জিরারের রাজা অবিমলকের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। হব্বা আদমের কন্যা না - এটা আপনি বলেছেন। আপনি বলেছেন যে, তাকে খুদা তৈরি করেছিল, এইজন্য আদমের কন্যা ছিল না। ভাই পাদরী সাহেব! তৈরি তো আপনাকেও খুদা করেছে, কিন্তু আপনি নিজের মায়ের সন্তান বলেন নাকি খুদার সন্তান? মায়েরই বলেন তাই না! আর আসলেই মা বাপের, কারণ তাদের শরীর থেকে জন্ম হয়েছে। হব্বাকে আমি আদমের কন্যা বলি, কারণ সে আদমের শরীর থেকে জন্ম হয়েছিল। আর সে ছিল নারী তাই তাকে আমি কন্যা বলেছি। যদি সে পুরুষ হত তবে আমি তাকে আদমের পুত্র বলতাম। আদম স্বয়ং বলে যে - "সে আমার হাড়ের হাড় আর আমার মাংসের মাংস", উৎপত্তি পর্ব ২ আয়ত ২৩। যে যার হাড্ডির হাড্ডি আর মাংসের মাংস সে তার যদি কন্যা না হয় তবে সে কি? লূতের কন্যারা লূতের দ্বারা হামিলা (গর্ভবতী) হয়, এর কোনো উত্তর নেই। তাকে তো আপনি দাখরসের মতো পান করে ফেললেন। বাইবেল উৎপত্তি পর্ব ১৯ আয়ত ৩২ - ৩৩ - ৩৪ তে দাখরস হল "আঙ্গুরের মদের" নাম।
"লূত তার নিজের দুই ব্যভিচারী কন্যাকে ব্যভিচারের জন্য পেশ করে" (উৎপত্তি পর্ব ১৯ আয়ত ৮) আয়ত ১ থেকে ৫ পর্যন্ত আছে যে, লূতের ঘরে দুইজন পুরুষ থাকে। "সদূম" নগরের লোকেরা ঘরকে চতুর্দিকে ঘিরে ফেলে। সেসব লোকজন সেই দুজনের সঙ্গে বদফেলী (দুর্ব্যবহার) করতে চাচ্ছিল। তখন লূত বলে - হে ভাইগণ! এমনটা খারাপ করো না, দেখো আমার দুটি কন্যা আছে, যারা হল পুরুষ হতে অপরিচিত, যদি বলো তো তাদেরকে তোমাদের সামনে নিয়ে আসি। আর যা তোমাদের দৃষ্টিতে ভালো লাগে তাই তোমরা তাদের সঙ্গে করো। কেবল সেই পুরুষদের কিছু করো না।
"আয়ত ৮" বাইবেলের এটাও তালীম (শিক্ষা) হল যে, "নিজের দাসীদের (কাজের মেরের) সঙ্গেও সম্ভোগ করো।" অব্রাহাম নিজের পত্নী সারার লোউন্ডী (দাসী) "হাজিরা"র সঙ্গে সম্ভোগ করে এবং গর্ভবতী করে।" (উৎপত্তি পর্ব ১৬ আয়ত ৪) উৎপত্তি পর্ব ৩০ আয়ত ৪ থেকে ৫ এ য়াকুব নিজের দাসী "বিলহা" আর আয়ত ৯ ও ১০তে য়াকুব নিজেরই দাসী "জিলফা" থেকে সন্তান জন্ম করায়।
আপনি বলেছেন যে, আদম আর হব্বার বিয়ে খুদার হুকুমে (আদেশে) হয়েছিল। আমার কথার মানে তো এটাই যে - ইসাইদের (Christian) খুদা বাপকে কন্যার সঙ্গে বিয়ে করার হুকুম (আদেশ) দেয়। এইজন্য ইসাই (Christian) মজহবে বাপের সঙ্গে কন্যার বিয়ে আর সন্তান জন্ম দেওয়া হল বৈধ।...(বিঘ্ন)
Note - পাদরী সাহেব পণ্ডিত অমর সিংহ জীকে কিছু অপশব্দ বলে তথা রেগে লাল হয়ে যায়। এই জন্য অনেক কোলাহল হয় তো ঠাকুর অমর সিংহ জী সকলকে অনেক কষ্টে শান্ত করিয়ে বলেন -
শ্রী পণ্ডিত ঠাকুর অমর সিংহ জী শাস্ত্রার্থ কেশরী -
পাদরী সাহেবের বড় রাগ আসে! তাছাড়া দুর্বল আর পরাজিতদের রাগ এসেই থাকে। আর অন্যদিকে এটা হল যে , পাদরী আব্দুল হক সাহেবের গলা থেকে নীচে সম্পূর্ণ শরীরটাই হল ইসলাম, গলার উপরে-উপরেই ইসাইগিরী রয়েছে মাত্র। তাই কখনও সখনও বেচারা ইসাই নিচে ডেবে যায় আর ইসলাম উপরে এসে যায়। ব্যাস্ এটাই রাগের কারণ আর কিছু নয়।।
শ্রী পাদরী আব্দুল হক সাহেব -
ফজুল ভোকনে (ফালতু ডেকে) কি হবে? লূত যে গ্রামে নিজের কন্যাদের থেকে সন্তান জন্ম করায়, সেই গ্রামকে খুদা গন্ধক আর আগুনের বর্ষা করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
শ্রী পণ্ডিত ঠাকুর অমর সিংহ জী শাস্ত্রার্থ কেশরী -
ঠিক বলেছেন, সম্পূর্ণ গ্রামকে জ্বালিয়ে দেয়, এমনটা লেখা আছে, কিন্তু এটাও লেখা আছে যে - লূত, আর তার স্ত্রী, তার দুই কন্যাদেরকে বাঁচিয়ে নেয়। কারণ খুদা স্বয়ং লূতকে ভালবাসতো। খুদা সেই তিনজনকে মারে নি। এতে সিদ্ধ হচ্ছে যে, খুদা কন্যার দ্বারা সন্তান জন্মানোকে ভালো মনে করতো। তথা বাইবেলের আরও একটা তালীম (শিক্ষা) হল যে - "নূহ কৃষিকাজ করতে লাগলো আর সে একটি দাখের বৃক্ষ লাগায়। আর সে তার রস (অঙ্গুরী মদ) পান করে। আর তাতে তার অমল (নেশা) হয় আর নিজের তাবুতে উলঙ্গো থাকে, আর "কনআন"- এর পিতা "হাম" নিজের পিতার নগ্নতা দেখে। আর বাইরে গিয়ে নিজের ভাইদের জানায়, তখন সিম আর যাফত একটি ওড়না নেয় আর নিজের দুই কাঁধে ধরে আর পিছন হতে গিয়ে নিজের পিতার নগ্নতা ঢাকে, আর তার মুখ পিছনে ছিল তাই সে নিজের পিতার নগ্নতা দেখে নি"। দেখুন - (উৎপত্তি পর্ব ৯, আয়ত ২০ থেকে ২৩ পর্যন্ত) তথা উৎপত্তি পর্ব ৬ আয়ত ৯ তে আছে যে, "নূহ একসময় ধার্মিক আর সিদ্ধ পুরুষ হয়েছিল" স্পষ্ট সিদ্ধ হচ্ছে যে - মদ পান করাও ইসাই (Christian) মতের তালীমে (প্রশিক্ষায়) শামিল (উপস্থিত) আছে। লূতও মদ পান করতো! খুদা - মাতালদের ভালবাসতো।
Note - পাদরী সাহেব চেচিয়ে বললেন - আমি এরকম কোনো প্রশ্নের উত্তর দিবো না, এগুলো সব ফাজলামি হচ্ছে। শ্রী পণ্ডিত অমর সিংহ জীর দিকে ইশারা করে বললেন যে - "এটা খুবই ফাজলামি"। এর ফলে বড় অশান্ত হয় আর চতুর্দিক থেকে আওয়াজ আস্তে থাকে যে পাদরী সাহেব ক্ষমা চাক।
শ্রী পণ্ডিত ঠাকুর অমর সিংহ জী শাস্ত্রার্থ কেশরী -
(পণ্ডিত জী লোকেদের বোঝান যে) - পাদরী আব্দুল হক আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে অসমর্থ তাই তিনি চান গালি দিয়ে মুবাহিসা (শাস্ত্রার্থ) শেষ করবেন। যাতে বাইবেল, ইসাই (Christian) মত আর পাদরী তিনটারই মিথ্যার পোল না খুলে যায়, কিন্তু আমি চাই যে গালি দিয়েও তিনি মুবাহিস (শাস্ত্রার্থ) যেন বন্ধ না করতে পারেন তথা তাদের পোল যেন আরও খোলে। উনি মুবাফী (ক্ষমা) চাক অথবা না চাক পরন্তু আপনারা তাকে মুআফ (ক্ষমা) করে দিন। উনি বলেন যে - এই প্রশ্ন আমার সম্মুখ এর আগে আসেনি, উনি বেচারা ঠিক বলছেন। সত্য এটাই যে, মন্তক আর ফিলসফির নাম করে খেল খেলে যেতেন। মুবাহিসার (শাস্ত্রার্থের) মুখ উনি আজ দেখেছেন।
(চলবে)
অনুবাদঃ- আশীষ আর্য

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

अथर्ववेद 6/137/1

  एक वरिष्ठ वैदिक विद्वान् ने मुझे अथर्ववेद के निम्नलिखित मन्त्र का आधिदैविक और आध्यात्मिक भाष्य करने की चुनौती दी। इस चुनौती के उत्तर में म...

Post Top Ad

ধন্যবাদ