যৌন পুরাণ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

07 August, 2022

যৌন পুরাণ

পুরাণে যৌনতা


কৃষ্ণের পরস্ত্রী গমন:একটি সমীক্ষা
ভাগবত পুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণে আমরা শ্রীকৃষ্ণের সাথে,অন্যের বৌদের কামলীলার বর্ণনা পাই‌।
গোপিকারা, সবাই কুমারী মেয়ে ছিলেন না, বেশিরভাগ গোপীকাই অন্যের বৌ,এটা আমরা ভাগবত পুরাণের বর্ণনা থেকেই জানতে পারি।
কৃষ্ণের এই অন্যের বৌদের সাথে কামলীলা দেখে মহারাজ পরীক্ষিতের সন্দেহ হয়েছিল যে,কৃষ্ণ যিনি কিনা স্বয়ং ঈশ্বর তিনি কিভাবে এইরকম অসামাজিক ও নিন্দিত কাজ করেছেন!!
একই সন্দেহ আমরা পদ্ম পুরাণেও দেবী পার্বতীর মনেও দেখতে পাই।
♦ পার্বতীর সন্দেহ
পার্বত্যুবাচ
ধর্মসংরক্ষণার্থায় জগত্যামবতীর্য্য সঃ।
পরদারাভিগমনং কথং
কুর্য্যাজ্জনর্দনঃ।।
পদ্ম পুরাণ
উত্তর খন্ড_অধ্যায়_245_শ্লোক_174
•অনুবাদ _ পার্বতী মহাদেবকে বললেন,
ধর্ম রক্ষা করার জন্য যিনি পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন সেই জনার্দন বা শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পরস্ত্রী গমন করলেন?
♦পরীক্ষিতের সন্দেহ -----
শ্রীপরীক্ষিদুবাচ
সংস্থাপনায় ধর্মস্য প্রশমায়েতরস্য চ । অবতীর্ণো হি ভগবানংশেন জগদীশ্বরঃ ।।
স কথং ধর্মসেতুনাং বক্তা কর্তাভিরক্ষিতা।
প্রতীপমাচরদ্ ব্রহ্মন্ পরদারাভিমর্শনম্ ॥
ভাগবত পুরাণ _স্কন্ধ_10_অধ্যায়_33_শ্লোক_26-27
•অনুবাদ_পরীক্ষিত মহারাজ বললেন-
হে ব্রাহ্মণ, যিনি পরমেশ্বর ভগবান, জগদীশ্বর, ধর্ম সংস্থাপন ও অধর্মের বিনাশের জন্য যাঁর অংশপ্রকাশ সহ এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে যিনি সমাজধর্মের মূল বক্তা, কর্তা ও সংরক্ষক, তিনি তা হলে কিভাবে পরস্ত্রীদের স্পর্শ করে প্রতিকূল আচরণ করলেন?
আপ্তকামো যদুপতিঃ কৃতবান্ বৈ জুগুস্পিতম্ ।
কিমভিপ্রায় এতয়ঃ সংশয়ং ছিন্ধি সুব্রত।।
ভাগবত পুরাণ _স্কন্ধ_10_অধ্যায়_33_শ্লোক_28
•অনুবাদ_হে নিষ্ঠাবান ব্রহ্মচারী, আত্মতৃপ্ত যদুপতি কি উদ্দেশ্যে এই ধরনের নিন্দিত আচরণ করেন, দয়া করে তা বর্ণনা করে আমাদের সন্দেহ ভঞ্জন করুন।
♦এইবার দেখুন শুকদেবের হাস্যকর উত্তর-----------
শ্রীশুক উবাচ
ধর্মব্যতিক্রমো দৃষ্ট ঈশ্বরাণাঞ্চ সাহসম্ । তেজীয়সাং ন দোষায় বহ্নেঃ সর্বভুজো যথা ॥
ভাগবত পুরাণ _স্কন্ধ_10_অধ্যায়_33_শ্লোক_29
•অনুবাদ_শ্রীশুকদেব গোস্বামী বললেন,
ঐশ্বরিক শক্তিমান নিয়ন্তাদের কার্যকলাপের মধ্যে আমরা আপাতদৃষ্টিতে সমাজনীতির দুঃসাহসিক ব্যতিক্রম লক্ষ্য করলেও, তাতে তাঁদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় না, কারণ তাঁরা আগুনের মতোই সর্বভুক হলেও নির্দোষ হয়ে থাকেন।
♦ভাগবত পুরাণে বর্ণিত শুকদেবের উক্তি কোনক্রমেই সমর্থনযোগ্য নয়।
♦কারণ গীতায় শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন যে-----
যদ্ যদাচরতি শ্রেষ্ঠস্তত্তদেবেতরো জনঃ।
স যৎ প্রমাণং কুরুতে লোকস্তদনুবর্ততে॥
গীতা_3/21
বঙ্গানুবাদ _মহাত্মারা যা করেন, সাধারণ মানুষ তা অনুসরণ করেন। তিনি যে লৌকিক বা বৈদিক কর্ম প্রামাণিক বলে অনুষ্ঠান করেন, অন্য লোক সেটাই অনুসরণ করেন।
♦তাহলে, সাধারণ মানুষ যদি শ্রীকৃষ্ণর দেখানো পথ অনুসরণ করে ব্যভিচার করেন,তাহলে এখানে দোষ কার হবে?!!
♦মনু স্মৃতিতেও বলা হয়েছে যে----
কার্ষাপণং ভবেদ্দ্যন্ড্যো যত্রান্যঃ প্রাকৃতো জনঃ।
তত্র রাজা ভবেদ্দন্ড্যঃ সহস্রমিতি ধারণা।।
মনু স্মৃতি_অধ্যায়_8_শ্লোক_336
•অনুবাদ _যে অপরাধের জন্য সাধারণ লোকের একগুণ শাস্তি হবে সেই একই অপরাধের জন্য রাজার একশগুণ শাস্তি হবে।
অর্থাৎ যিনি যত উচ্চবর্ণ ও উচ্চশ্রেণীতে অবস্থান করছেন তাঁর শাস্তির পরিমাণ তত বেশি হবে।
♦শ্রীকৃষ্ণ যিনি কিনা সমাজ ধর্মের প্রবর্তক, ধর্ম সংস্থাপন করতে পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন,তাঁর ব্যভিচাররূপ কর্মের ফলে শাস্তির পরিমাণ মনু স্মৃতি অনুযায়ী অনুমানযোগ্য!!
♦যদি কোনো বৈষ্ণব যুক্তি দেন যে, শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ঈশ্বর,তাই এগুলো তাঁর লীলা, তিনি মানব সমাজের নিয়মের ঊর্ধ্বে, এটাও একটা মিথ্যা অজুহাত মাত্র।
কারণ,ভাগবত পুরাণেই বর্ণিত হয়েছে শ্রীকৃষ্ণ মানব সমাজের নিয়ম অনুযায়ী আচরণ করতেন এবং শ্রীকৃষ্ণ নিজেও গীতাতে বলেছেন,মহাত্মাদের উন্নত আচরণ করতে হবে,বৃহৎ জনকল্যাণের স্বার্থে।
তথোদ্ধবঃ সাধুতয়াভিপূজিতো
ন্যষীদদদুর্ব্যামভিমৃশ্য চাসনম্। কৃষ্ণোঽপি তৃর্ণং শয়নং মহাধনং
বিবেশ লোকাচরিতান্যনুব্রতঃ
ভাগবত পুরাণ _স্কন্ধ_10_অধ্যায়_48_শ্লোক_4
•অনুবাদ_ উদ্ধবও একটি সম্মানের আসন পেয়েছিলেন, যেহেতু তিনি ছিলেন একজন সাধুপুরুষ তাই তিনি কেবলমাত্র তা স্পর্শ করে ভূমিতে আসন গ্রহণ করলেন।
♦তখন ভগবান কৃষ্ণ, মানব সমাজের আচারসমূহ অনুকরণ করে, শীঘ্রই একটি বহুমূল্য শয্যায় নিজেকে সুখাসীন করলেন।♦
এছাড়াও ভাগবত পুরাণে, শ্রীকৃষ্ণের বেদ শিক্ষা গ্ৰহণ, গায়ত্রী মন্ত্র দ্বারা উপাসনা করা,ইত্যাদি বর্ণিত আছে,যার দ্বারা বোঝা যায় যে, শ্রীকৃষ্ণ মানব সমাজের নিয়ম মেনে চলতেন।
♦বিশ্লেষণ _ভাগবত পুরাণে বর্ণিত শ্রীকৃষ্ণের পরস্ত্রী গমন আদি মিথ্যা ও অশ্লীল বর্ণনার ফলে সমাজের নৈতিকতার প্রভূত ক্ষতি হয়েছে----
♦1.যাত্রা, নাটক,সিনেমা,গান ও সাহিত্যে শ্রীকৃষ্ণকে নারীদেহ ভোগী বা লম্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
♦2.সাধারণ মানুষ বিশেষত যুব সমাজের মাথায় এটা প্রবেশ করেছে যে,অন্যের বৌয়ের সাথে যৌনমিলন অপরাধ নয়।
♦3.একশ্রেণীর লম্পট বৈষ্ণব এই কাহিনীগুলো দেখিয়ে নিজেদের লাম্পট্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
♦আমরা বৈদিকরা বিশ্বাস করি যে, শ্রীকৃষ্ণ একজন আপ্ত পুরুষ ছিলেন,যাঁর চরিত্র নিষ্কলঙ্ক ছিল।
♦আপনারা যাঁরা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর ভাবেন,তাঁরা কি সত্যিই শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসেন?
♦অন্য ধর্মের মানুষেরা যখন জিজ্ঞাসা করবেন, আপনাদের এ কেমন ঈশ্বর যিনি কিনা একজন পাকা লম্পট,তখন কি বলবেন, ভাগবত পুরাণ মানি না?!!!
কারণ, আপনাদের মিথ্যা লীলা কাহিনী
সব জায়গায় মান্যতা পাবে না!!
♦মিথ্যা পুরান কাহিনীকে নানারকম অপব্যাখ্যা দিয়ে ঢাকার না চেষ্টা করে,এইগুলো বর্জন করুন।
♦

বেদের আলোকে জীবন আলোকিত করুন।

যৌন পুরাণ

 

ভাগবত পুরাণে বলা হয়েছে,শিবের বীর্য মাটিতে পড়ে,সোনা ও রূপার খনিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

অথচ,ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বলা হয়েছে যে,শিবের বীর্য মাটিতে পড়ে,কার্তিকের জন্ম হয়েছে।
••••প্রমাণ দেখুন--------
♦ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ♦
ইত্যেব স্তবনং শ্রুত্বা যোগ-জ্ঞান-বিশারদঃ।
ত্যক্তুকামো ন তত্যাজ শৃঙ্গারং পার্বতীভয়াৎ।।39
দৃষ্ট্বা সুরান্ ভয়ার্তাংশ্চ পুনঃ স্তোতুং সমুদ্যতান্
বিজহৌ সুখসম্ভোগং কন্ঠলগ্নাঞ্চ পার্বতীম্।।40
উত্তিষ্ঠতো মহেশস্য ত্রস্তস্য লজ্জিতস্য চ।
ভূমৌ পপাত তদবীর্য্যং ততঃ স্কন্দো বভূব হ।।41
••ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ_গণেশ খন্ড_প্রথম অধ্যায়_শ্লোক_39-41
••বঙ্গানুবাদ---- যোগজ্ঞানে সুপন্ডিত মহেশ্বর বা শিব,দেবতাদের স্তব শুনেও ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও,
পার্বতীর ভয়ে,পার্বতীর সাথে সেক্স বা যৌনক্রিয়া করা থেকে বিরত হতে পারছিলেন না!!
(তখন) ভীতু দেবতাদের পুনরায় স্তব করার জন্য উদ্যত দেখে,মহাদেব পার্বতীর সাথে সেক্স বা যৌনক্রিয়া হতে বিরত হলেন এবং পার্বতীর শরীর থেকে নিজের শরীর আলাদা করলেন।
♦তখন,লজ্জিত হয়ে,তাড়াতাড়ি উঠার ফলে,মহাদেবের বীর্য্য মাটিতে পড়ে গেল।
মাটিতে পড়া,এই মহাদেবের বীর্য্য হতেই,কার্তিকের জন্ম হল।♦
♦ভাগবত পুরাণ♦
তস্যানুধাবতো রেতশ্চস্কন্দামোঘরেতসঃ।
শুষ্মিণো যূথপস্যেব বাসিতামনুধাবতঃ।।
••ভাগবত পুরাণ_স্কন্ধ_আট_অধ্যায়_12_ শ্লোক_32
••বঙ্গানুবাদ--- কামে মত্ত হাতি যেমন ঋতুবতী মেয়ে হাতিকে অনুসরণ করে মহাদেবও ঠিক তেমনি কামে মত্ত হয়ে,সেই সুন্দরী নারীর পিছনে পিছনে ছোটার সময় উত্তেজনা বশতঃ বীর্যপাত করে ফেলেছিলেন!!
যত্র যত্রাপতন্মহ্যাং রেতস্তস্য মহাত্মনঃ।
তানি রূপ্যস্য হেম্নশ্চ ক্ষেত্রাণ্যাসন্ মহীপতে।।
••ভাগবত পুরাণ_স্কন্ধ_আট_অধ্যায়_12_ শ্লোক_33
••বঙ্গানুবাদ--- ♦পৃথিবীর যে যে স্থানে মহাত্মা শিবের বীর্য পড়েছিল সেই সেই স্থান সোনা ও রূপোর খনিতে পরিণত হয়েছিল!!♦
♦বিশ্লেষণ--- ভাগবত পুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,দুটোই ব্যাসদেবের নামে চালানো হয়।
দুটো পুরাণই বৈষ্ণবদের অতি প্রিয় গ্ৰন্থ।
এখানে,মহাদেবকে যোগজ্ঞানে সুপন্ডিত বলা হয়েছে অথচ তাঁর যৌনক্রিয়ারূপ কর্মকে বর্ণনা করে,পরোক্ষে শিবের অপমান করা হয়েছে।
যাঁর মধ্যে সংযম নেই, তিনি যোগী হতে পারেন না!!!
একজন মহাযোগী এইরকম নোংরামি করতে পারেন না!!
বৈষ্ণব সম্প্রদায় হল,বেদ বিরোধী, কুসংস্কারগ্ৰস্থ সম্প্রদায়!!
এরা নিজেদের মূর্খতাপূর্ণ সাম্প্রদায়িক বই ছাড়া অন্য কোন কিছুকেই মান্যতা দেয় না!!!
সনাতন ধর্ম বাঁচাতে চাইলে,মূর্খ বৈষ্ণবদের দ্বারা লেখা এইরূপ নোংরা কাহিনীকে পরিত্যাগ করে,পবিত্র বেদের পথে ফিরে আসুন।
ভাগবত পুরান স্কন্ধ ৮ অধ্যায় ১২ শ্লোক ১৭-৩৬ এ শিব ও মোহিনীর কথা লেখা আছে।
ভাগবতে আছে,বিষ্ণুর মোহিনীরূপ দেখে মহাদেব বীর্যপাত করে ফেলেছিলেন।
(ভাগবত পুরাণ_8.12.33)
নিজেদের ঈশ্বরদের নিয়ে নোংরা কাহিনী রচনা করে,
হিন্দু ধর্মটাকে হাসির খোরাক, হিন্দুরাই বানিয়েছেন এবং এই অশ্লীল পুরাণ নামক গ্ৰন্থগুলোকে ধর্ম গ্ৰন্থ বলে প্রচার করে,নিজেদের ধর্মটাকে বিধর্মীদের কাছে,অশ্রদ্ধার পাত্র করে তুলছেন।

ভাগবত পুরাণ,10.84.13 শ্লোকে,
অতি পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে,
যে ব্যক্তি পার্থিব প্রতিমা বা মূর্তি আদিকে পূজনীয় দেবতা বলে মনে করেন, তিনি একজন গরু ও গাধার সমতুল্য।
অর্থাৎ,যে ব্যক্তি,মাটি,কাঠ,পাথর দিয়ে তৈরী মূর্তিকে ঈশ্বর ভাবেন তিনি অতি নিকৃষ্ট বুদ্ধির!

প্রসিদ্ধ পৌরানিক গ্রন্থ শব্দ কল্পদ্রুম কোশ " ৪ অঃ ১ কাণ্ড খণ্ড ২ য় বর্গ শিব লিঙ্গের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেই লিঙ্গ দ্বারা শিব কি করেছে তাহার বর্ণনা এসেছে ৷
একদা শিবের সঙ্গে যখন অত্যাধিক রমন মৌথুন করিতে করিতে অক্লান্ত কষ্টে অসহ্য হয়ে পার্বতী শিবের কাছে অনুনয় বিনয় করিতে থাকে যে হে জগৎগুরু। আপনার অপূর্ব শক্তিকে আমি সহ্য করিতে পারছি না। রমন মৌথুন করিবার এখন শক্তি নাই। হে জগৎপতে! আপনি আমাকে এখন ক্ষমা করুন! আমাকে ছেড়ে দিন। তখন মহাদেব এই কথা শুনে আরো নির্দয়তা অনুসারে মৌথুন করিতে করিতে পার্বতী অসহ্য হয়ে উঠিতে চেষ্টা করায় দুজনের বীর্য পৃথিবীর বুকে পড়ে যায়। সেই রজবীর্যের প্রভাবের দ্বারাই ত্রিভুবনে সর্বত্র যোনীর সাথে শিবলিঙ্গের উৎপন্ন হয়েছে।
১৮+ পুরানের নানা তথ্য প্রশ্ন উত্তর সহঃ
[১] অসুরদের জন্ম কিভাবে ?
উঃ ব্রহ্মার জঘন বা নি*তম্ব দিয়ে অসুরদের সৃষ্টি করেন।
[ভাগবত পুরাণ ৩/২০/২৩]
[২] ব্রহ্মার সাথে কারা জোরপূর্বক মৈথুন [ধর্ষণ] করার চেষ্টা করেছিল ?
উঃ অসুররা ব্রহ্মা কে ধ*র্ষণ করার চেষ্টা করেছিল, তাদের কামুকতা দেখে ব্রহ্মা ভয়ে পালিয়ে যায়।
[ভাগবত পুরাণ ৩/২০/২৩-২৪]
[৩] ভগবান শিব দারু বনে ঋষি পত্নীদের সামনে কেমন লীলা করেছিল ?
উঃ উল*ঙ্গ শরীরে গায়ে ভস্ম ভূষণ ধারণ করে হাত দিয়ে নিজ লি*ঙ্গ ধরে বিচিত্র লীলা শুরু করেন।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ৯-১০]
[৪] ভগাবন শিব বেদ বিরোধী কর্ম করেছিল ?
উঃ ভগবান শিব ঋষি পত্নীদের সাথে মিলন করার চেষ্টা করেন তাই ঋষিরা বলেন তিনি বেদমার্গ বিরুদ্ধ আচরণকারী।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ১৬-১৭]
[৫] কাদের অভিশাপে শিবের লি*ঙ্গ কেটে পড়েছিল ?
উঃ ঋষিদের অভিশাপে শিবের লিঙ্গ কেটে পড়েছিল।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ১৮]
[৬] ভগবান শিবের কাটা লি*ঙ্গ কোথায় কোথায় লাফাতে শুরু করেছিল ?
উঃ স্বর্গ পাতাল আদি সকল জায়গায়। সেই কাটা লি*ঙ্গ যেখানে যেখানে গিয়েছিল সেখানে সেখানে ভস্ম করে দিয়েছিল।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ১৯-২০]
[৭] ভগবান শিবের কাটা লি*ঙ্গ কিভাবে শান্ত হয়েছিল ?
উঃ যখন পার্বতী যো*নি রূপ ধারণ করেছিল তখন সেই লি*ঙ্গ যো*নিতে স্থাপন হওয়ার পর শান্ত হয়।
[শিব পুরাণ/ কোটিরুদ্রসংহিতা/ ১২ অধ্যায়/ ৪৫-৪৮]
[৮] শ্রীকৃষ্ণ রাধার সর্বাঙ্গে কি কি মাখিয়ে দিয়েছিল?
উঃ চন্দন, অগুরু, কস্তুরী ইত্যাদি গন্ধ দ্রব্য শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং রাধার পুরো শরীরে লাগিয়েছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়/ ১৪৯]
[৯] বৈষ্ণবদের শ্রেষ্ঠ ধর্ম গ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়/১৪৮ শ্লোকে কি লিখিত আছে ?
উঃ শ্রীকৃষ্ণ নিজের চিবানো তাম্বুল (পান) রাধা কে খাইয়ে দিলেন।
[১০] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়/১৫১-১৫৩ শ্লোকে বৈষ্ণবদের যে আধ্যাত্মিক বিদ্যা বিষয়ে লিখিত আছে তা বলুন ?
উঃ (ক) শ্রীকৃষ্ণ রাধা কে বুকে জড়িয়ে ধরে চার ধরনের চুম্বন দিয়ে রাধার কাপড় ঢিলে করে দেন।
(খ) তাদের মৈ*থুন যুদ্ধে সিঁদুর, তিলক, অতলা প্রভৃতি দূরীভূত হলো।
[১১] শ্রীকৃষ্ণের সাথে রাধার এই সঙ্গমে রাধার কিরূপ অবস্থা হয়েছিল ?
উঃ রাধার নতুন সঙ্গমে সর্বাঙ্গ পুলকিত হয়েছিল। মূর্ছিত অবস্থায় তার দিন রাত্রি জ্ঞান ছিল না।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ১৫ অধ্যায়/১৫৫]
[১২] বৈষ্ণবদের আধ্যাত্মিক বিদ্যা ও পদার্থ বিদ্যার শ্রেষ্ঠ ধর্ম গ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের কোথায় গরুর মাংস খাওয়ার কথা আছে ?
উঃ চৈত্র নামের এক রাজা প্রতিদিন ব্রাহ্মণদের গরুর মাংস খাওয়াতেন।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ প্রকৃতিখণ্ড/ ৬১ অধ্যায়/ ৯৬]
[১৩] বিরাট পুরুষের পায়ু ইন্দ্রিয় ও ম*লদ্বার থেকে কি কি উৎপত্তি হয়েছে ?
উঃ যম, মলদ্বার, হিংসা, মিত্র, অলক্ষ্মী, মৃত্যু ও নরকের উৎপত্তি।
[ভাগবত পুরাণ ২/৬/৮]
[১৪] বরাহ [শুয়োর] অবতারের জন্ম হয়েছিল কিভাবে ?
উঃ ব্রহ্মার নাকের ছিদ্র দিয়ে বরাহ অবতারের জন্ম হয়েছিল।
[ভাগবত পুরাণ ৩/১৩/১৮]
[১৫] পৃথিবীর সাথে বরাহ অবতার কতদিন ধরে সম্ভোগ করেছিল ?
উঃ এক বছর ধরে স*ম্ভোগ করেছিল, ফলে পৃথিবীর মূর্ছা হয়ে পড়েছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ প্রকৃত খণ্ড/ ৮ অধ্যায়/ ২৯-৩১]
[১৬] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ ১৩ অধ্যায়/৮ শ্লোকে কোন ধৰ্মীয় বিষয়ে আলোচনা রয়েছে ?
উঃ রম্ভার স্তন, উরুদেশ দেখে গন্ধর্বকুমারের বী*র্যপাত হয়েছিল।
[১৭] কারা স্ত্রীদের প্রিয় হয় এবং ধনরক্ষাকারী হয়ে থাকে ?
উঃ যাদের লিঙ্গের মাথা স্নিগ্ধ হয়ে থাকে তারা স্ত্রীদের প্রিয় হয় এবং ধনরক্ষাকারী হয়ে থাকে।
[ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/৮-৯]
[১৮] ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ অধ্যায়-৫/ ২৯ শ্লোক অনুযায়ী রাধার শারীরিক বর্ণনা কিরূপ ?
উঃ রাধার শ্রোণী অর্থাৎ নি*তম্বদেশ এবং পয়োধর অর্থাৎ স্ত*ন অতিশয় স্থূল।
[১৯] কাদের দীর্ঘায়ু হয়ে থাকে ?
উঃ যাদের দ্রুত মৈ*থুন হয় তারা দীর্ঘায়ু হয়ে থাকে।
[ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/১৫]
[২০] কারা ভোগী হয়ে থাকে ?
উঃ যাদের বীর্যের গন্ধ মাংসের মতন। [ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/১৬]
[২১] পৌরাণিকদের পঞ্চমবেদ ভাগবত পুরাণ ১০/২২/১৬-১৭ শ্লোকে কিরূপ ধর্মীয় বিষয় লিখিত আছে ?
উঃ শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের বললেন যে তারা জল থেকে উঠে এসে যেন তাদের বস্ত্র গুলো নিয়ে যায়। অতঃপর গোপীরা ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে দুই হাত দিয়ে যো*নি ঢেকে যমুনা নদী থেকে তীরে উঠে এলেন।
[২২] ভাগবত পুরাণ ৪/২/১৩-১৬ শ্লোকে ভগবান শিবের কোন কোন গুণের বর্ণনা রয়েছে ?
উঃ এখানে বলা হয়েছে শিব সর্বদা অপবিত্র, দুর্বিনীত, চিতাভস্ম নিজের শরীরে লেপন করে, তিনি উম্মত, দুরাত্মা, উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ান। [গীতাপ্রেস]
[২৩] কিরূপ স্ত*নের নারীরা প্রশংসনীয় হয় ?
উঃ যে সকল নারীর উভয় স্ত*ন সুডৌল, গোল, পুষ্ট এবং আয়তাকার তারা প্রশংসনীয় এবং এর বিপরীত যারা তারা দুঃখ দেয়।
[ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ অধ্যায়-৫/ শ্লোক-৪২]
[২৪] সাত সমুদ্র কিভাবে তৈরি হয়েছিল ?
উঃ প্রিয়ব্রতের রথচক্রের আঘাতে সাত সমুদ্র সৃষ্টি হয়েছে।
[ভাগবত পুরাণ ৫/১৬/২]
[২৫] শ্রীকৃষ্ণ নখ ও দাঁত দিয়ে কুব্জার কোথায় কোথায় আঘাত করেছিল ?
উঃ শ্রীকৃষ্ণ নখ আঘাত দ্বারা কুব্জার দুই স্ত*নের মাঝে, নি*তম্ব মণ্ডল এবং দাঁত দ্বারা কুব্জার ঠোঁট ক্ষতবিক্ষত করেছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ৭২ অধ্যায়/ ৬১-৬২]

এছাড়া ও দেখুন

[১] রাধার জন্ম কিভাবে হয়েছিল ?
উঃ শ্রীকৃষ্ণের বামপার্শ্ব হতে রাধার জন্ম হয়।
[ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ অধ্যায়-৫/শ্লোক- ২৫]
[২] রাধার জন্ম কিভাবে ?
উঃ রাধা বৃষভানুর কন্যা। তার স্ত্রী কলাবতী বায়ু প্রসব করে, আর সেই বায়ু থেকে রাধার আবির্ভাব হয়।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড/ ৪৯ অধ্যায়/৩৮]
[৩] রাধা দেবীর যখন জন্ম হয় তখন তার বয়স কত ছিল ?
উঃ ১৬ বছর। নতুন যৌবন অবস্থায় তার জন্ম হয়েছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড/ অধ্যায়-৫/শ্লোক- ২৮]
[৪] ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড/ অধ্যায়-৪৯/৩৯, ৪১ শ্লোক অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার সম্পর্ক কি ?
উঃ রায়াণের সাথে রাধার বিবাহ হয়, শ্রীকৃষ্ণের মাতা যশোদার ভাই ছিল রায়াণ, এই সম্পর্কে সে শ্রীকৃষ্ণের মামা ছিল অর্থাৎ রাধা শ্রীকৃষ্ণের মামী ছিল।
[৫] ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ ৭৩ অধ্যায়/ ২৬-২৮ শ্লোকে পৌরানিকদের কোন ধর্মীয় বিষয় লিখিত আছে ?
উঃ মদপান করে ওই সকল নারীদের স্মৃতি নষ্ট যাওয়ার কারণে সাম্ব কুমার কে দেখে তাদের জঘন ভিজে গেলো। পুরাণের এই বিষয় প্রসিদ্ধ যে ব্রহ্মচারিণী নারীদেরও যোনি সুন্দর পুরুষদের দেখে মৈথুন করার জন্য রসপূর্ণ হয়ে ওঠে।
[৬] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ অধ্যায়-২১/ ৩১-৩৪ শ্লোক। এখানে কিরূপ আধ্যাত্মিক বিদ্যা লিখিত আছে তা তুলে ধরুন ?
উঃ রম্ভা, উর্বশী, মেনকা, মোহিনী, রতি, প্রভাবতী, ভানুমতী, তিলোত্তমা, রত্নমালা, রেণুকা প্রভৃতি যুবতীদের নৃত্য গান দেখে, স্তন, শ্রোণী অর্থাৎ নিতম্ব, মুখ থেকে সকলেই মূর্ছিত ছিল।
[৭] ভবিষ্যপুরাণ, ব্রাহ্মপর্ব/ অধ্যায় -৫/ ৩২ শ্লোকে কিরূপ ভবিষ্যৎ বাণী রয়েছে ?
উঃ যার যোনি তিল এর ফুল সাদৃশ্য এবং পশুর খুঁরের সাদৃশ্য হয় সে দরিদ্র হয়।
[৮] বৈষ্ণবদের শ্রেষ্ঠ ধর্ম গ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড/ ৫৪ অধ্যায় /৪৭-৫০ শ্লোকে কি প্রকারের ধর্মীয় বিষয় রয়েছে ?
উঃ স্বায়ম্ভুব মনু গোমেধ যজ্ঞ করেন এবং ঘৃত দ্বারা গরুর মাংস রান্না করে ব্রাহ্মণদের খাইয়ে তৃপ্তি করাতেন।
[৯] বৈষ্ণবদের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ ৩০ অধ্যায়/ ৭৬ শ্লোকে যে আত্মজ্ঞান রয়েছে তা তুলে ধরুন ?
উঃ নির্জন স্থানে কোনো জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তির কাছে কোনো নারী সম্ভোগ করার জন্য এলে তা করা উচিত, নয়তো সে নরকগামী।
[১০] কারা ধনবান ও পুত্রবান হয়ে থাকে ?
উঃ যার বীর্যের গন্ধ মাছের মতন সে ধনবান এবং পুত্রবান হয়ে থাকে।
[ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/১৩]
[১১] কারা চতুর্দিকে ভ্রমণ করে ?
উঃ যাদের লিঙ্গের মাথা লম্বা তারা চতুর্দিক ভ্রমণ করে । [ভবিষ্যপুরাণ /ব্রাহ্মপর্ব/২৫ অধ্যায়/৮]
[১২] পৌরাণিক বন্ধুদের পঞ্চমবেদ ভাগবত পুরাণ ১০/৮২/১৬ শ্লোকে কি ধর্মীয় জ্ঞান রয়েছে ?
উঃ এখানে রয়েছে আলিঙ্গন দ্বারা এক মহিলা অপর মহিলার স্তন স্পর্শের মাধ্যমে আনন্দ নিলেন [গীতা প্রেস অনুবাদ]।
[১৩] কুব্জা মৃত্যু হয়েছিল কিভাবে ?
উঃ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী যৌন ক্রিয়ার দ্বারা শ্রীকৃষ্ণ কুব্জা কে হত্যা করেছিল।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ ১১৫ অধ্যায়/৬১]
[১৪] সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ কখন হয় ?
উঃ যখন রাহু প্রতি পর্বে পূর্ণিমা অমাবস্যায় সূর্য ও চন্দ্র কে আক্রমণ চালায়, তখন সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ হয়।
[ভাগবত পুরাণ ৮/৯/২৬]
[১৫] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শ্রীকৃষ্ণ কে রাধা নানান নামে ডেকেছে তার মধ্যে কয়েকটা নাম উল্লেখ করুন ?
উঃ লম্পট, লোল, রতিচোর।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড/ ৩ অধ্যায়/ ৫৮]
[১৬] শাল্মলদ্বীপ কেমন সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত ?
উঃ মদের সুমদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত।
[ভাগবত পুরাণ ৫/২০/৭]
[১৭] প্লক্ষদ্বীপ কেমন সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত ?
উঃ ইক্ষুরসের সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত।
[ভাগবত পুরাণ ৫/২০/৭]
[১৮] কুশদ্বীপ কিসের সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত ?
উঃ ঘৃত সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত।
[ভাগবত পুরাণ ৫/২০/১৩]
[১৯] নারদ কখন মহিলা হয়েছিল ?
উঃ এক সরোবরে স্নান করার কারণে মহর্ষি নারদ মহিলা যান। তারপর এক রাজা তাকে বিবাহ করেন এবং তার গর্ভ থেকে ৫০ পুত্রের জন্ম হয়।
[ভবিষ্যপুরাণ উত্তরপর্ব/ তৃতীয় অধ্যায়/ ৪৬-৪৮ শ্লোক এবং ৭১-৭৭ শ্লোক]
[২০] সতীর ৫১ পীঠ সম্পর্কে ভাগবত পুরাণ কি বলে ?
উঃ ভাগবত পুরাণ ৪/৪/২৭ অনুযায়ী সতী নিজেই অগ্নিতে আত্মহত্যা করেন। ৫১ পীঠের কথা ভাগবতে নাই।
[২১] শ্রীকৃষ্ণ যখন বীর্য্য নিক্ষেপ করলো তখন কুব্জা অবস্থা কিরূপ ছিল ?
উঃ তখন সুন্দরী কুব্জা সম্ভোগ সুখে মূর্ছা হয়ে যায় এবং দিন রাত কিছুই বোধ করতে পারছিল না।
[ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/ ৭২ অধ্যায়/ ৬৩-৬৪]
[২২] দেবীর স্তনের পূজা করে যাবে, এইটা পৌরাণিকদের কোন পঞ্চমবেদে লিখিত আছে ?
উঃ ভবিষ্যপুরাণ, উত্তরপর্ব/ ২৬ অধ্যায়/ শ্লোক-৪৭।
[২৩] নারদের পাপ ধুয়ে মুছে গিয়েছিল কিভাবে ?
উঃ উচ্ছিষ্ট খাওয়া খেয়ে নারদের সমস্ত পাপ ধুঁয়ে মুছে গিয়েছিল।
[ভাগবত পুরাণ ১/৫/২৫]
[২৪] ভাগবত পুরাণ ১০/৪৮/৬-৭ শ্লোকে আধ্যাত্মিক বিষয়ে যে ধর্মীয় জ্ঞান রয়েছে তা উল্লেখ করুণ ?
উঃ নতুন সঙ্গমের জন্য কুব্জা লজ্জিত ছিল, শয্যায় বসে দুইজনে ক্রীড়া করতে লাগল, কুব্জা নিজের স্তন শ্ৰীকৃষ্ণের পায়ে স্পর্শ করলো। [গীতাপ্রেস]


♦প্রভুপাদ: নারী শরীরের গবেষক ♦
♦ ভাগবত পুরাণ,10.5.10 বলা হয়েছে,
গোপদের বৌদের বিশাল পাছা ও সুগঠিত স্তন থাকার জন্য গোপদের বৌরা যখন হাঁটতেন তখন তাঁদের বিশাল পাছা ও সুগঠিত স্তন দুলত!!
(ভাগবত পুরাণকে মূর্খ বৈষ্ণবরা ব্রহ্মসূত্র বা উত্তর মীমাংসার ব্যাখ্যা গ্ৰন্থ বলেন!!
ব্রহ্মসূত্রের ব্যাখ্যা গ্ৰন্থে গোপদের বৌদের বিশাল স্তন ও পাছার বর্ণনার প্রয়োজন কি তা আমার জানা নেই!)
♦এই শ্লোকটির তাৎপর্যে,
শ্রীল প্রভুপাদ,282 পৃষ্ঠায় ব্যাখ্যা করেছেন যে,
গ্ৰামের গোপিকাদের মত আধুনিক মহিলারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন না বলে, আধুনিক মহিলাদের স্তন ও পাছা স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হচ্ছে না!!!
♦প্রভুপাদের মত শুদ্ধ কৃষ্ণ ভক্তের চোখ, মেয়েদের স্তন ও পাছার দিকে কেন?
প্রভুপাদ কি কসমেটিক সার্জন না যৌন ডাক্তার?
♦প্রভুপাদের নারী শরীর নিয়ে এত গবেষণার কারণ কি?!!
♦আসলে প্রভুপাদ একজন ইতর শ্রেণীর মানুষ যিনি ধর্মের আড়ালে নিজের বিকৃত মানসিকতা প্রকাশ করতেন!
♦ এছাড়াও,
ভাগবত পুরাণ,10.4.15 'র
তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শ্রীল প্রভুপাদ,249 পৃষ্ঠায় বলেছেন যে,
আধুনিক বাবা ও মায়েরা নিজেদের সন্তানদের ভ্রুণ মহা তৃপ্তিসহকারে খায়!!
♦প্রমাণ দেখুন:-------------
নবকুঙ্কুকুমকিঞ্জল্কমুখপঙ্কজভৃতয়ঃ।
বলিভিস্ত্বরিতং জগ্মুঃ পৃথুশ্রোণ্যশ্চলৎকুচাঃ ॥ ১০॥
ভাগবত পুরাণ
স্কন্ধ_10 _অধ্যায়_5 _শ্লোক_10
•অনুবাদ_নব বিকশিত কুঙ্কুমের কেশরে মুখপদ্ম সুশোভিত করে, গোপস্ত্রীগণ উপহার হাতে নিয়ে মা যশোদার গৃহাভিমুখে প্রস্থান করেছিলেন।
তাঁদের স্বাভাবিক সৌন্দর্যবশত তাঁদের নিতম্ব ছিল বিশাল ও স্তনযুগল সুডৌল, এবং দ্রুত গতিতে গমন করার ফলে তা সঞ্চালিত হচ্ছিল।
♦প্রভুপাদ কৃত তাৎপর্য ব্যাখ্যা ♦
গ্রামের গোপ এবং গোপীরা অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করে
এবং তার ফলে তাদের স্ত্রীসুলভ সৌন্দর্য বিশাল নিতম্ব এবং সুডৌল স্তনযুগলের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
♦আধুনিক যুগের স্ত্রীলোকেরা যেহেতু স্বাভাবিক জীবন যাপন করে না, তাই তাদের নিতম্ব এবং স্তন পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়ে স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হয় না।♦
অহো ভগিন্যহো ভাম ময়া বাং বত পাপমনা ।
পুরুষাদ ইবাপত্যং বহবো হিংসিতাঃ সুতাঃ ॥
ভাগবত পুরাণ
স্কন্ধ_10 _অধ্যায়_4 _শ্লোক_15
অনুবাদ_(কংস দেবকী ও বসুদেবকে সম্বোধন করে বলছেন)
হায় ভগিনী! হায় ভগ্নীপতি!
আমি এতই পাপী যে, রাক্ষসেরা যেমন নিজেদের সন্তান ভক্ষণ করে, আমিও তেমন তোমাদের বহু সন্তানকে হত্যা করেছি।
♦ প্রভুপাদ কৃত তাৎপর্য ব্যাখ্যা ♦
রাক্ষসেরা তাদের নিজেদের সন্তানদের ভক্ষণ করে। ঠিক যেমন সর্প আদি প্রাণীরাও কখনও কখনও করে থাকে।
♦সম্প্রতি কলিযুগে রাক্ষস পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদের গর্ভে হত্যা করছে, এবং কখনও মহাতৃপ্তি সহকারে সেই সমস্ত ভ্রুণ ভক্ষণ পর্যন্ত করছে। ♦
এইভাবে বর্তমান যুগের তথাকথিত সভ্যতা রাক্ষস উৎপাদনে ক্রমশ উন্নতি সাধন করছে।
♦বিশ্লেষণ _আমাদের সুস্থ মানসিক গঠনের জন্য শিক্ষা ও পরিবেশের বিশাল প্রভাব আছে।
♦প্রভুপাদের মত ব্যক্তিরা ভাগবতের মত অশ্লীল গ্ৰন্থকে ধর্ম গ্ৰন্থ ও বিজ্ঞানের আকর গ্রন্থ ভাবেন।
প্রভুপাদ দিন রাত্রি অশ্লীল বিষয় নিয়ে চর্চা করেছেন এবং তার ফলে তাঁর রুচি অত্যধিক নিম্নমানের গঠিত হয়েছে!!
♦প্রভুপাদ আধুনিক যুগের বিজ্ঞানের সমস্তরকম সুযোগ সুবিধা নিতেন কিন্তু সুযোগ পেলেই আধুনিক সভ্যতার সম্পর্কে মিথ্যাচার করতেন!
কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের বাবা-মা নিজের সন্তানের ভ্রুণ খায় না।
♦বৈষ্ণবদের মত ইতর ও মিথ্যাবাদী সম্প্রদায় খুব কম আছে।
বৈষ্ণবরা রাস নৃত্য,দোলযাত্রা ইত্যাদির অজুহাতে মেয়েদের সাথে নোংরামী করেন।
বৈষ্ণব হাতে মালা জপেন কিন্তু চোখ ও মন থাকে বিষয় ও নারীদের দিকে!


♦বন্ধুদের নিয়ে, শ্রীকৃষ্ণের কুমারী মেয়েদের বস্ত্রহরণ♦
♦গুরু-প্রসাদী বা পিতৃতুল্য গুরুর বীর্য গর্ভে ধারণ করে সন্তান লাভের, নোংরা নিয়মের প্রবর্তক কে?
•উত্তর _বৈষ্ণবরা।
♦ফুল শয্যার রাত্রিরে, সন্তানতুল্য
শিষ্যের বৌকে প্রথম ভোগ করবে,গুরু।
এই নিয়মের প্রবর্তক কে?
•উত্তর_বৈষ্ণবরা।
♦কিশোরী ভজনা বা কিশোরী মেয়েদের রাধা ভেবে ও নিজেকে কৃষ্ণ ভেবে তার সাথে যৌন মিলন করতে হবে,
এই নিয়মের প্রবর্তক কে?
•উত্তর _বৈষ্ণবরা।
♦শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রকে কলঙ্কিত করে লীলা বলে কারা চালিয়েছেন?
•বৈষ্ণবরা।
♦ভাগবত পুরাণে আছে যে, শ্রীকৃষ্ণ নিজের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে, কুমারী মেয়েদের কাপড় চুরি করে, কুমারী মেয়েদের ল্যাংটো হয়ে জল থেকে উঠে আসতে বাধ্য করেছেন!!
♦প্রমাণ দেখুন -------
নদ্যাঃ কদাচিদাগত্য তীরে নিক্ষিপ্য পূর্ববৎ ।
বাসাংসি কৃষ্ণং গায়ন্ত্যো বিজহ্রঃ সলিলে মুদা ॥
ভাগবত পুরাণ
স্কন্ধ_ 10_অধ্যায়_22_ শ্লোক_7
•অনুবাদ_একদিন কুমারী মেয়েরা নদীর তীরে এসে, আগের মতোই তাঁদের কাপড় নদীর পাড়ে রেখে,কৃষ্ণের গান গাইতে গাইতে নদীর জলে খেলা করছিলেন।
ভগবাংস্তদভিপ্রেত্য কৃষ্ণো যোগেশ্বরেশ্বরঃ ।
বয়স্যৈরাবৃতস্তত্র গতস্তৎকর্মসিদ্ধয়ে ॥
ভাগবত পুরাণ
স্কন্ধ_ 10_অধ্যায়_22_ শ্লোক_8
•অনুবাদ_ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সঙ্গী বা বন্ধুদের নিয়ে গোপীরা যেখানে স্নান করছিলেন সেখানে এলেন।
শ্রীকৃষ্ণ জানতেন যে,গোপীরা কোথায় চান করে এবং তাঁদের উদ্দেশ্য কি!
তাসাং বাসাংস্যুপাদায় নীপমারুহ্য সত্বরঃ ।
হসদ্ভিঃ প্রহসন বালৈঃ পরিহাসমুবাচ হ ৷
ভাগবত পুরাণ
স্কন্ধ_ 10_অধ্যায়_22_ শ্লোক_9
•অনুবাদ_কুমারী মেয়েদের কাপড়গুলো নিয়ে,একটা কদম গাছে শ্রীকৃষ্ণ তাড়াতাড়ি উঠে পড়লেন।
তারপর, শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর বন্ধুরা জোরে জোরে হাসলেন ও কুমারী মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বললেন,
অত্রাগত্যাবলাঃ কামং স্বং স্বং বাসঃ প্রগৃহ্যতাম্ ।
সত্যং ব্রুবাণি নো নর্ম যদ্ যূয়ং ব্রতকর্শিতাঃ ॥
ভাগবত পুরাণ
স্কন্ধ_ 10_অধ্যায়_22_ শ্লোক_10
•অনুবাদ_ [শ্রীকৃষ্ণ বললেন –]
কুমারীরা শোন সবাই!
তোমরা যদি তোমাদের পরনের কাপড় চাও তাহলে এখানে এসে তোমাদের কাপড় ফিরিয়ে নিয়ে যাও!
যেহেতু ব্রত করার ফলে তোমরা সবাই ক্লান্ত তাই আমি তোমাদের সত্যি কথাই বলছি কোনো পরিহাস করছি না!
ততো জলাশয়াৎ সর্বা দারিকাঃ শীতবেপিতাঃ ।
পাণিভ্যাং যোনিমাচ্ছাদ্য প্রোভেরুঃ শীতকর্শিতাঃ ॥ ১৭ ॥
ভাগবত পুরাণ
স্কন্ধ_ 10_অধ্যায়_22_ শ্লোক_17
•অনুবাদ_অন্য কোনো উপায় না দেখে, খুব শীতে কাঁপতে কাঁপতে কুমারী মেয়েরা হাতের তালু দিয়ে নিজেদের যোনী ঢেকে ল্যাংটো হয়ে জল থেকে উঠে এলেন!
♦বিশ্লেষণ _ বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে কুমারী মেয়েদের স্নান করা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা ও কুমারী মেয়েদের ল্যাংটো হয়ে জল থেকে উঠে আসতে বাধ্য করা এই ধরণের নোংরা কাজ ইতর শ্রেণীর ছেলেরাই করতে পারে!!
♦বৈষ্ণবরা শ্রীকৃষ্ণকে স্বয়ং ঈশ্বর বলে প্রচার করেন।
তো,আপনাদের ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণ কি এইসব অসভ্যতা করার জন্য জন্ম নিয়েছেন?
নাকি শ্রীকৃষ্ণ জন্ম নিয়েছেন কিভাবে পরের বৌকে নিয়ে ফস্টি-নষ্টি করতে হবে, আমাদের সেই শিক্ষা দেবার জন্য!!
♦শ্রীকৃষ্ণের উজ্জ্বল চরিত্রে,মিথ্যা কলঙ্ক লেপন করে,দিনরাত হরেকৃষ্ণ কীর্তন করা,কি ধরনের ভালোবাসার নমুনা?!!
♦বৈষ্ণবরা কি সত্যিই শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসেন না শ্রীকৃষ্ণের নাম ব্যবহার করে ধর্ম ব্যবসা করছেন,
আমাদের, এটা ভাবার সময় মনে হয় এসেছে!!

শ্রীমদ্ভাগবত পুরান = স্কন্দ ৮ অধ্যায় ১২ শ্লোক ১২-৩৩
ভাষ্যকারঃ শ্রীল প্রভুপাদ
👉👉প্রথমেই বলে নিই, যে এইসব লীলা ও লীলাপুরান বা অষ্টাদশ পুরান আমরা মানিনা তার কারণ তা সত্য নয় এবং সত্য সনাতন ধর্ম সম্পর্কে এইসব পুস্তকে তেমন কিছুই নেই, প্রায়ই মিথ্যা নোংরা কাহিনি। সকল সনাতনীদের অনুরোধ এইসব পুরান ত্যাগ করুন সত্য সনাতন ধর্মের পথে চলতে বেদ ও বৈদিক গ্রন্থ অধ্যয়ন করুন।
✍️এই লীলাতে শিব একটি নারীকে ধর্ষণ করেছে সেই নারীটি ছিলো বিষ্ণুর মোহিনী রূপ। সেই ধর্ষণের সময় বীর্য পড়েছিলে নারীর যোনির বাহিরে পৃথিবীতে পড়েছিলো। যে স্থানে বীর্য পড়েছে সেই স্থানে স্বর্ণ ও রূপার ক্ষনি হয়ে গিয়েছিল। নিম্নে পড়ে নিন বিস্তারিত।
✍️হে ভগবান আপনার চিন্ময় গুনের প্রভাবে আপনি যে সমস্ত অবতারে প্রকাশিত হয়েছেন তা সবই আমি দর্শন করেছি কিন্তু সম্প্রতি আপনি যে এক অপরূপ সুন্দরী রমনীরূপ ধারণ করেছিলেন তা আমি দর্শন করতে ইচ্ছা করি।১২
✍️হে ভগবান! যে রূপের দ্বারা আপনি দৈত্যদের সম্পূর্ণরূপে বিমোহিত করে দেবতাদের অমৃত পান করিয়েছিলেন আমরা সেইরূপ দর্শন করার বাসনায় এখানে এসেছি। সেই রূপ দর্শন করার জন্য আমাদের অত্যন্ত কৌতূহল হয়েছে। ১৩
✍️শূলপাণি মহাদেব এইভাবে প্রার্থনা করলে, ভগবান শ্রীবিষ্ণু হেসে অত্যন্ত গম্ভীরভাবে মহাদেবকে বললেন। ১৪
✍️হে সুরসত্তম যেহেতু আপনি ইচ্ছা করেছেন তাই আমি আপনাকে কামার্ত ব্যক্তিদের অত্যন্ত আদরনীয় আমার সেইরূপ দেখাবো। ১৬
✍️তারপর তৎক্ষনাৎ বিষ্ণু অন্তরনিহিত হলেন, মহাদেব চারদিকে তাঁকে খুজতে লাগলেন।১৭
✍️তারপর নিকটে এক উপবনে এক সুন্দরী রমনীকে খেলা করতে দেখলেন। ১৮
✍️যখন সেই রমনি খেলা করছিলো তখন তার স্তনদ্বয় কম্পিত হচ্ছিলো। তার স্তনের ভারে (অনেক বড় স্তন তাই অনেক ভারি) এবং ফুলমালার ভারে মনে হচ্ছিলো যেন দেহের মধ্যভাগ ভগ্ন হয়ে যাবে। ১৯
✍️[রমনি অনেক সুন্দর ছিলো, গায়ের রং, চোখ ইত্যাদি কেমন ছিলো তার বর্ননা ২০ নং শ্লোকে রয়েছে]
✍️বাতাশে মহাদেবের কটিদেশের সূক্ষ্ম বস্ত্র উড়িয়ে নিয়ে গেল। ২৪
✍️সেই রমনীর সঙ্গে রমন (সেক্স) করার বাসনায় শিব তার জ্ঞান হারিয়ে তাকে পাবার জন্য এমনই উন্মত্ত হয়েছিলেন যে, ভবানীর সামনেই নির্লজ্জভাবে সেই সুন্দরীর কাছে গিয়েছিলেন। ২৫
✍️সেই সুন্দরী রমনী ইতিমধ্যেই বিবসনা (নগ্ন) হয়ে পড়েছিলেন এবং তিনি যখন দেখলেন শিব তার দিকে এগিয়ে আসছেন তখন তিনি অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে হাসতে হাসতে বৃক্ষের অন্তরালে লুকিয়েছিলেন, তিনি এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকেননি। ২৬
✍️মহাদেবের ইন্দ্রিয় তখন অত্যন্ত বিচলিত হয়েছিল। কামান্ধ হস্তী যেভাবে হস্তিনীর প্রতি ধাবিত হয় মহাদেবও সেইভাবে সুন্দরীর প্রতি ধাবিত হয়েছিলো। ২৭
✍️অত্যন্ত দ্রুত বেগে তার পশ্চাতে ধাবিত হয়ে (অর্থাৎ দৌড়ে সুন্দরী নারীর কাছে গিয়ে) সুন্দরীর চুলের বেণি ধরে কাছে টেনে এনে তার বাহুর তারা আলিঙ্গন (সেক্স কার্য) করছিলেন। ২৮
✍️হে রাজন হস্তীর দ্বারা আলিঙ্গিতা হস্তিনীর মতো সেই ভগবানের যোগমায়া স্থূল নিতম্বিনী সুন্দরী মহাদেবের দ্বারা আলিঙ্গিতা হয়ে আলুলায়িত কেশে মহাদেবের বাহুপাশ থেকে নিজেকে মুক্ত করে দ্রুতবেগে পলায়ন করলেন। ২৯, ৩০
✍️কামরূপ শত্রুর দ্বারা বিচলিত হয়ে শিব যেন অদ্ভুতকর্মা মোহিনীরূপা বিষ্ণুর পথ অনুসরন করতে লাগলেন। ৩১
✍️মত্ত হস্তী যেমন ঋতুমতী হস্তীনির অনুগমন করে, অমোঘবীর্য মহাদেবও তেমন সেই সুন্দরীর অনুসরণ করতে লাগলেন এবং তখন তার বীর্য স্থলিত হয়েছিল।৩২
✍️হে রাজন, পৃথিবীর যে যে স্থানে মহাত্মা শিবের বীর্য পতিত হয়েছিলো সেই সেই স্থান স্বর্ণ এবং রৌপ্য খনিতে পরিণত হয়েছে। ৩৩
✍️অর্থাৎ শিবের বীর্য যে যে স্থানেতে পড়েছে সেই সেই স্থানে সোনা রূপার খনি হয়ে গেছে বীর্য পরার জন্য।














✍️আবারও বলছি প্লিজ সনাতনীগন সত্য জানুন সত্য সনাতন ধর্ম পালন করুন। এইসব পুরান ত্যাগ করুন।বৈদিক পথে ফিরে আসুন।বেদাধ্যয়ন করুন।

वेदवेदांगविज्ञानं बलं चाभ्यधिकं तथा।
नृणांलोकेहि कोऽन्योऽस्ति विशिष्टः केशवादृते।।
दानं दाक्ष्यं श्रुतं शौर्यं ह्रीः कीर्तिर्बुद्धिरुत्तमा ।
सन्नतिः श्रीर्धृतिस्तुष्टिः पुष्टिश्च नियताच्युते।।
মহাভারত /সভাপর্ব/৩৮ অধ্যায়/১৯-২০ শ্লোক
পিতামহ ভীষ্ম শ্রীকৃষ্ণের বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন- শ্রীকৃষ্ণ বেদ, বেদাঙ্গ বিজ্ঞানের জ্ঞাতা এবং সবার চেয়ে বলবান। মনুষ্য লোকে শ্রীকৃষ্ণের চেয়ে অধিক বিদ্বান এবং বলবান আর কে আছে ? দান, দক্ষতা, বিদ্যা, শূরতা, কীর্তি, উত্তম আদি সকল গুণ শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।
পিতামহ ভীষ্ম বলছেন শ্রীকৃষ্ণের মত বলবান ও মহান ধার্মিক সেই সময় আর কেউ ছিলেন না। আর এটাই হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রকৃত চরিত্র, তাই সকলের উচিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে জানার জন্য মহাভারত অনুসরণ করা, পুরাণ কাহিনী নয়, কারণ পুরাণ কাহিনীতে সেই মহান ধার্মিক শ্রীকৃষ্ণ নানান ভাবে কুলষিত করেছে দেখুন_____
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখন্ড/৭২ অধ্যায়/ ৫৩-৬৯ শ্লোক। অনুবাদক - পঞ্চানন তর্ক রত্ন, নবভারত পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত



এখানে যা বলা হয়েছে সংক্ষেপে বলছি- শ্রীকৃষ্ণ কামুক কুব্জা কে বুকে ধারণ করে শৃঙ্গার ও চুম্বন করতে লাগলেন। শ্রীকৃষ্ণ নিজের নখ দিয়ে কুব্জার স্তনযুগল ও শ্রোণীমণ্ডল ক্ষত বিক্ষত করলেন এবং দশন(দাঁত) দ্বারা দংশন (কামড় দেওয়া) করে অধরদেশ(ঠোঁট) ক্ষত বিক্ষত করলেন। শেষে শ্রীকৃষ্ণের বীর্যপাত হলো, কুব্জা মুর্চ্চাপন্ন হয়ে গেল এবং তার দিন রাত্রি কিছুই বোধ ছিল না।
এখানেই শেষ নয়, আরও আছে____
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখন্ড/১১৫ অধ্যায়/৬০-৬২ শ্লোক।
এখানে বলা হচ্ছে -পরম লম্পট দুষ্ট গোপাল, পুতনা কে হত্যা করে স্ত্রী হত্যাপাপে লিপ্ত হয়েছে, আবার মথুরায় এসে মৈথুন যোগে কুব্জা কে হত্যা করেন, তিনি অতি নিষ্ঠুর যোনিলোলুপ।
ওপরে দেওয়া লিঙ্কের মধ্যে পুরাণের পৃষ্ঠার ছবি সহকারে দেখে নেবেন, সাথে সংস্কৃত শ্লোকও। শ্রোণীমণ্ডল মানে কি, যোনিলোলুপ মানে কি, পরম লম্পট মানে কি, স্তনযুগল মানে কি, বীর্যপাত মানে কি, মৈথুন মানে কি, আমার মনে হয়না এই সমস্ত শব্দের অর্থ বিস্তারিত ভাবে বলতে হবে।এই ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মুসলিমদের ধর্ম গ্রন্থ ? খ্রিষ্টানদের ধর্ম গ্রন্থ ? বামপন্থী নাস্তিকদেরর গ্রন্থ ? এদের কারোর নয় বরং বৈষ্ণব সমাজের এক ধর্ম গ্রন্থ হলো ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ। আজ পর্যন্ত এমন কোনো বৈষ্ণব দেখলাম না যিনি এই পুরাণের বিরোধিতা করেছে, কিন্তু বৈষ্ণবরা এই পুরাণ কে ধর্ম গ্রন্থ খুবই সুন্দর ভাবে স্থান দিয়েছে

♦ পার্বতী ও সতীকে দেখে,ব্রহ্মার বীর্যপাত: পুরাণের উচ্চ আধ্যাত্মিক তত্ত্ব♦
শিব ও পার্বতীর বিবাহের সময়, পার্বতীর নখ দেখে,পিতামহ ব্রহ্মার বীর্যপাত হয়ে মাটিতে পড়লো।
ব্রহ্মা মাটিতে পতিত নিজের বীর্য,পা দিয়ে রগড়ালে,সেই বীর্য থেকে হাজার হাজার বালখিল্য ঋষির উৎপত্তি হলো।
শিব ও সতীর বিবাহের সময় ব্রহ্মার বীর্যপাত হলো ও শিব ব্রহ্মাকে হত্যা করতে উদ্যত হলেন।
♦প্রমাণ দেখুন:----
বর্তমানে চ যজ্ঞে চ ব্রহ্মা লোকপিতামহঃ।
দদর্শ চরণৌ দেব্যা নখেন্দুঞ্চ মনোহরম্।।(16)
দর্শনাৎ স্খলিতঃ সদ্যো বভুবাম্বুজসম্ভবঃ।
মদনেন সমাবিষ্টো বীর্য্যঞ্চ প্রাচ্যবদ্ভুবি।।(17)
রেতসা ক্ষরমাণেন লজ্জিতোহভুত পিতামহঃ।
চরণাভ্যাং মমর্দাথ মহদেগাপ্যং দুরত্যয়ম্।।(18)
বহবশ্চর্ষয়ো জাতা বালখিল্যাঃ সহস্রশঃ।
উপতস্থুস্তদা সর্বে তাততাতেতি চাব্রুবন।।(19)
•স্কন্দ পুরাণ
মহেশ্বর খন্ড_কেদারখন্ড_
ছাব্বিশ অধ্যায়_
শ্লোক_16-17-18-19
•বঙ্গানুবাদ_শিব ও পার্বতীর বিবাহ যজ্ঞ আরম্ভ হলে,পার্বতীর চাঁদের ন্যায় নখের প্রতি, সর্ব জগতের সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার দৃষ্টি পড়লো!
পার্বতীর নখে,দৃষ্টি পড়ামাত্র,পিতামহ ব্রহ্মার বীর্যপাত হলো।
ব্রহ্মার অনেকটা বীর্য মাটিতে পড়লো।
বীর্যপাতের জন্য ব্রহ্মা খুব লজ্জা পেলেন।
ব্রহ্মা মাটিতে পড়া নিজের বীর্য পা দিয়ে পা দিয়ে মাড়িয়ে রগরাতে লাগলেন।
এর ফলে, হাজার হাজার বালখিল্য ঋষির জন্ম হলো।
এর আগে,শিব যখন সতীকে বিবাহ করেছিলেন তখনও সতীকে দেখে ব্রহ্মার বীর্যপাত হয়েছিলো।
প্রমাণ দেখুন:---
শিব শুম্ভু এবং দক্ষকন্যা সতীর বিবাহ মন্ডপে ব্রহ্মা, বিষ্ণু সহ অন্যান্য দেবতা এবং নারদাদি মুনি ঋষিগণ উপস্থিত ছিলেন। সতীর অপরূপ রূপ দেখে জগৎ স্রষ্টা ব্রহ্মার বীর্য পতন হয়ে যায়। ব্রহ্মার এমন নির্লজ্জ আচরণ দেখে শিব রেগে গিয়ে ব্রহ্মাকে ত্রিশূল দিয়ে হত্যা করতে যান‌।
কিন্তু নারায়ণ ও নারদাদি মুনিগণের অনুরোধে শিব, ব্রহ্মাকে আর বধ করলেন না।
[ ♣বিঃদ্রঃ— প্রজাপতি দক্ষ ছিলেন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার পুত্র।আর, শিবের বৌ সতী ছিলেন দক্ষের কন্যা। সুতরাং, আত্মীয়তার সম্পর্ক অনুযায়ী সতী ছিলেন ব্রহ্মার দৌহিত্রী (নাতনী)। ]
অথ ব্রহ্মা তদা দৃষ্টা দক্ষজাং চারুহাসিনীম্ ৷
স্মরাবিষ্টমনা বক্ত্রং বীক্ষাঞ্চক্রে তদীকম্ ।।
•কালিকা পুরাণ_11.27
♦ অনুবাদ _সুন্দর হাসিমুখের সতীকে দেখে,ব্রহ্মা কামার্ত হলেন।
মুহুর্ম্মুহুস্তদা ব্রহ্মা পশ্যতি স্ম সতীমুখম্ ।
তদেন্দ্রিয়বিকারঞ্চ প্রাপ্তবানবশঃ পুনঃ ।।
•কালিকা পুরাণ_ 11.28
♦অর্থ_ব্রহ্মা কামার্ত হয়ে বারংবার সতীর দিকে তাকাতে থাকলেন।
ক্রমশঃ ব্রহ্মার কাম উত্তেজনা চরমে উঠলো।
★ অথ তস্য পপাতাশু তেজো ভূমৌ দ্বিজোত্তমাঃ ।
তজ্জলদ্দহনাভাসং মুনীনাং পুরতস্তদা ।।
•কালিকা পুরাণ_11.29
♦অর্থঃ–হে শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণগণ,মুনিদের সামনেই ব্রহ্মার বীর্যপাত হয়ে গেলো।
শম্ভুনোদ্যমিতে শূলে বিধিং হন্তুং দ্বিজোত্তমাঃ ।
মরীচিনারদাদ্যাস্তে চক্রুর্হাহাকৃতিং তদা ।।
•কালিকা পুরাণ_11.33
♦অর্থ_তখন,ব্রহ্মাকে হত্যা করার জন্য,শিব নিজের ত্রিশূল তুললে মরীচি,নারদ আদি হাহাকার করতে লাগলেন!!
♦ বিশ্লেষণ _ ব্রহ্মা,শিব ও বিষ্ণু এই তিনজন হলেন প্রধান পৌরাণিক দেবতা।
ব্রহ্মা যিনি কিনা সৃষ্টিকর্তা,চার বেদের জ্ঞাতা,তাঁর কখনোও নিজের মেয়েকে সরস্বতীকে দেখে যৌনমিলন করতে ইচ্ছা করে কখনোও অন্যের বৌকে দেখে বীর্যপাত হয়ে যায়!!
শিবের প্রথম বৌ সতীর মুখ দেখে ব্রহ্মার বীর্যপাত হয়।
শিবের দ্বিতীয় বৌ পার্বতীর নখ দেখেই ব্রহ্মার বীর্যপাত হয়।
পার্বতীর মুখ দেখলে না জানি ব্রহ্মার কি কি আরও পাত হতো!
শিবের বীর্যপাত থেকে সোনা রূপার খনি হয়।আর ব্রহ্মার বীর্যপাতের থেকে হাজার হাজার বালখিল্য ঋষির জন্ম হয়!!
এইসমস্ত নোংরা পুরাণ কাহিনীগুলোর মধ্যে যাঁরা উচ্চ আধ্যাত্মিক তত্ত্ব লুকিয়ে আছে বলেন, তাঁদের অবিলম্বে মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
একজন সাধারণ মানুষেরও এইভাবে সকলের সামনে বীর্যপাত হয় না।
সেখানে,ব্রহ্মার বীর্যপাতের ঘটনা কি প্রমাণ করে?
এইসব নোংরা পুরাণ কাহিনীগুলোর প্রকৃত উদ্দেশ্য কি?
এইগুলো কি ধর্মের মোড়কে "পর্ণ ষ্টোরি" নয়?!!
এই আমাদের গর্বের পুরাণ?!
এইগুলো নাকি ব্যাসদেবের মতো ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষ লিখতে পারেন বলে মনে হয়?!!
ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করার পর, এইরকম নোংরা কাহিনী লেখা যায়?!!

রাধা কর্তৃক শ্রীকৃষ্ণকে লম্পট বলা ও শ্রীকৃষ্ণের বিরজার সাথে ,যৌনমিলনের বর্ণনা।
2.♦ শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক বিরজার যোনীতে বীর্যপাত ও এর ফলে সাতটি সমুদ্রের উদ্ভব।
♦ভূমিকা:---একদা গোলোক বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ ও গঙ্গা যৌন আবেগের বশীভূত হয়ে পরস্পরকে দর্শন করছিলেন।
(ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ_
প্রকৃতি খন্ড_
একাদশ অধ্যায়_শ্লোক_40-41-42)
•শ্রীকৃষ্ণের গঙ্গার প্রতি এইরূপ কামভাব দেখে রাধা শ্রীকৃষ্ণকে বললেন:-----
ত্বমেব চৈবং দুর্বৃত্তং বারং বারং করোষি চ।
ক্ষমাং করোমি প্রেম্না চ স্ত্রীজাতিঃ স্নিগ্ধমানসা।।(43)
সংগৃহ্যেমাং প্রিয়ামিষ্টাং গোলোকাদগচ্ছ লম্পট।
অন্যথা ন হি তে ভদ্রং ভবিষ্যতি ব্রজেশ্বর।।(44)
দৃষ্টস্তং বিরজাযুক্তো‌ ময়া চন্দনকাননে।
ক্ষমা কৃতা ময়া পূর্বং সখীনাং বচনাদহো।।(45)
ত্বয়া মচ্ছব্দমাত্রেণ তিরোধানং কৃতং পুরা।
দেহং সন্ত্যজ্য বিরজা নদীরূপা বভূব সা।।(46)
কোটিযোজনাবিস্তীর্ণা ততো দৈর্ঘ্যে চতু্গুর্ণা।
অদ্যাপি বিদ্যমানা সা তব সৎকীর্তিরূপিণী।।(47)
গৃহং ময়ি গতায়াঞ্চ পুনর্গত্বা তদন্তিকম্।
উচ্চৈররোসীর্বিরজে বিরজেতি চ সংস্মরন্।।(48)
তদা তোয়াৎ সমুত্থায় সা যোগাৎ সিদ্ধযোগিনী।
সালঙ্কারা মূর্তিমতী দদৌ তুভ্যঞ্চ দর্শনম্।।(49)
ততস্তাঞ্চ সমাশ্লিষ্য বীর্য্যাধানং কৃতৎ ত্বয়া।
ততো বভূবুস্তস্যাঞ্চ সমুদ্রাঃ
সপ্ত এব চ।।(50)
(ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ_প্রকৃতি খন্ড_একাদশ অধ্যায়_শ্লোক_43-50)
♦ বঙ্গানুবাদ _রাধা শ্রীকৃষ্ণকে বললেন-------
হে শ্রীকৃষ্ণ,তুমি বারবার এইরকম দুর্বৃত্তের মতো আচরণ করো কিন্তু আমি নারী তাই আমার মন খুব সরল,তাই তোমার প্রতি প্রেমবশতঃ সব ক্ষমা করে দিই।(43)
হে লম্পট শ্রীকৃষ্ণ, তুমি তোমার প্রিয় স্ত্রী গঙ্গাকে নিয়ে এই গোলোক থেকে দূর হয়ে যাও।
ব্রজেশ্বর!নাহলে তোমার মঙ্গল নেই!
(44)
হে শ্রীকৃষ্ণ,আমি তোমাকে চন্দন বনে বিরজার সাথে যৌন মিলন করতে দেখেছি, কিন্তু তাও বান্ধবীদের অনুরোধে তোমাকে ক্ষমা করেছি!
(45)
তুমি যখন বিরজার সাথে যৌন মিলন করছিলে, তখন, আমার পায়ের শব্দ শুনে অদৃশ্য হলে এবং বিরজাও নিজের দেহ ত্যাগ করে নদীর রূপ ধারণ করলো।
(46)
সেই নদীরূপী বিরজার এক কোটি যোজন প্রস্থ ও চারকোটি যোজন দৈর্ঘ্য এবং তার সেই নদীরূপ এখনও বর্তমান রয়েছে।(47)
বিরজা নদীর রূপ ধারণ করলে আমি ঘরে চলে গেলাম এবং তুমি তার কাছে গিয়ে 'বিরজা বিরজা' বলে চিৎকার করে কাঁদছিলে।(48)
তোমার কান্না শুনে,যোগসিদ্ধা বিরজা, অলঙ্কার পরিহিতা দেহ ধারণ করে জল থেকে উঠে এসে তোমায় দর্শন দিলো।(49)
♦হে শ্রীকৃষ্ণ, তুমি তখন বিরজাকে জড়িয়ে ধরে,বিরজার যোনীতে বীর্যপাত করে দিলে।
এই বীর্যপাতের ফলেই সাতটি সমুদ্রের জন্ম হলো।♦(50)
♦ বিশ্লেষণ _শ্রীকৃষ্ণের বীর্যপাতে সাত সমুদ্রের উদ্ভব!!
অহো!কি মহান সৃষ্টিতত্ত্ব!
যাঁরা যাঁরা সমুদ্রের জলে স্নান করেছেন,তাঁরা কি তবে শ্রীকৃষ্ণের বীর্যে অবগাহন করেছেন?!!
ইস্কনের সনাতন ধর্ম প্রচার!!
গর্ব করে বলুন আমি বেদ বিরোধী ইস্কনী বৈষ্ণব!
সমুদ্র,সেতো আমার প্রভু শ্রীকৃষ্ণের বীর্য!!!

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ