ইন্দ্রিয়ার্থসন্নিকর্ষোৎপন্নং জ্ঞানমব্যপদেশ্যমব্যভিচারিব্যবসায়াত্মকং প্রত্যক্ষম্। ন্যায়দর্শন ১/১/৪
বর্ণ, ত্বক্, চক্ষু, জিহ্বা, ঘ্রাণ এবং মনের শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, গন্ধ, সুখ, দুঃখ এবং সত্যাসত্য বিষয়ের সহিত সম্বন্ধ হওয়ায় যে জ্ঞান উৎপন্ন হয়, তাকেই ‘প্রত্যক্ষ' বলে।
কিন্তু সেই জ্ঞান অভ্রান্ত হওয়া উচিত। এখানে বিচার্য্য এই যে, ইন্দ্রিয় এবং মন দ্বারা গুণের প্রত্যক্ষ হয়, গুণীর প্রত্যক্ষ হয় না। যেমন ত্বক প্রভৃতি চারি ইন্দ্রিয় দ্বারা স্পর্শ, রূপ, রস এবং গন্ধের জ্ঞান হয় বলে গুণবিশিষ্ট পৃথিবীকে, আত্মা সংযুক্ত মন দ্বারা প্রত্যক্ষ করা যায়। সেইরূপ এই প্রত্যক্ষ সৃষ্টিতে রচনা বিশেষ প্রভৃতি (কর্ম ও) জ্ঞান আদি গুণের প্রত্যক্ষ হওয়ায় পরমেশ্বরও প্রত্যক্ষ।
আর যখন আত্মা মনকে এবং মন ইন্দ্রিয় সমূহকে কোন বিষয়ে নিযুক্ত করে, বা চৌৰ্য্যাদি কুকর্ম অথবা পরোপকার আদি সৎকর্ম করতে যখনই আরম্ভ করে, তখন জীবের ইচ্ছা, জ্ঞানাদি সেই ইচ্ছিত বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়। সেই মুহূর্তে আত্মার ভিতর হতে কুকর্ম করতে ভয়, সংশয় ও লজ্জা তথা সৎকর্মে নিশান্ধতা, অভয়, আনন্দ ও উৎসাহ জাগ্রত হয়ে উঠে। এটি জীবাত্মার দিক হতে নয়, কিন্তু পরমাত্মার দিক্ হতে হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ