ঋগ্বেদ ১/৩৭/১ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

02 September, 2022

ঋগ্বেদ ১/৩৭/১

 

ক্রীळম্ বঃ শর্ধো মারুতমনর্বাণম্ রথেশুভম্। 

কণ্বা অভি প্র গায়ত।।

(ঋগ্বেদ মণ্ডল ১, সূক্ত ৩৭, মন্ত্র ১)
অর্থাৎ - হে বিদ্বানগণ! তোমরা বায়ুর দ্বারা বলকে তৈরি করে বিনা ঘোড়ার রথ দ্বারা ক্রিয়ার জন্য বিশেষ সাধন তৈরি করো।

কিছু লোক রথ শব্দের কেবল এটাই তাৎপর্য নিয়ে নেয় যে যার সঙ্গে ঘোড়া যুক্ত থাকে। বাস্তবে রথ শব্দটি স্থান ও স্থিতিনুসার সকল প্রকারের তীব্র গতিতে চলমান বাহনের জন্য প্রযুক্ত হয়ে থাকে। এখানেই শেষ নয়, বেদের মধ্যে তো বিদ্যুৎ দ্বারা চলমান রথয়ানেরও স্পষ্ট বর্ণন রয়েছে।
যজুর্বেদে লেখা আছে যে, "বায়ুর গতি তথা বিদ্যুতের দীপ্তি দ্বারা যুক্ত রথকে প্রাপ্ত হয়ে তথা দেশ-দেশান্তরে গিয়ে প্রসিদ্ধ হও।" (যজুর্বেদ ৯|৮)
এছাড়াও একই রথে শত-শত মানুষ বসে যাত্রা করার রথের বর্ণনা বেদের মধ্যে করা হয়েছে -
অনু ত্রিশোকঃ শতমাবহন্নৃন্ কুত্সেন রথো য়ো অসত্
সসবান। (অথর্ববেদ কাণ্ড ২০, সূক্ত ৭৬, মন্ত্র ২)
অর্থাৎ - যে তিন প্রকারের (বিদ্যুৎ, সূর্য, অগ্নি) প্রকাশ দ্বারা প্রকাশিত রথ হবে সেখানে শত শ্রেষ্ঠ পুরুষদের নিয়ে আসবে তথা নিয়ে যাবে।
বাস্তবে সত্য আসলেই খুব কড়া তথা আশ্চর্যজনক হয়ে থাকে। বেদের মধ্যে এরকম উচ্চ বিদ্যার শিক্ষাকে জানার পর আপনি নিশ্চয়ই খুব আশ্চর্য হয়ে গেছেন কারণ এর আগে কখনও এই সত্য কেউ বলেনি তথা আপনি না কোথাও পড়েছেন আর না শুনেছেন। অথর্ববেদের এই মন্ত্রের মধ্যে শত-শত শ্রেষ্ঠ লোকেদের একটি যন্ত্র দ্বারাই চলমান রথে যাত্রা করার বর্ণনা এসেছে। আসলে শত লোকেদের এক সাধারণ ঘোড়ার রথে একত্রে যাত্রা করা সম্ভব নয় আর যদি ঘোড়ার রথ লম্বা ও বিশাল হয় তবে তার পথে নিয়ন্ত্রণই অসম্ভব হয়ে যাবে। এরদ্বারাও আপনি বুঝে যাবেন যে রথ (মোটর গাড়ী) তীব্র গতিতে চলমান রেলগাড়ী তথা সাধারণ গাড়ীকে বলে।
এটা তো কথা হল ভূমিতে তীব্র বেগে চলমান সাধনের, এখন কথা হবে বায়ুতে চলমান সাধনের। মহর্ষি দয়ানন্দ বেদ ভাষ্যে লিখেছেন যে, "শব্দায়মানান্ বিমানান্" অর্থাৎ শব্দ করা বিমান। যেসময় মহর্ষি দয়ানন্দ এই কথা লিখেছিলেন সেসময় তো বিমান আদি ছিলই না আর এ. ও. হ্যুমের মতো বিদেশী লোক তো মহর্ষি দয়ানন্দের উপহাস পর্যন্ত উড়াতো। যখন আপনি বিমান শাস্ত্র পড়বেন তখন জানতে পারবেন যে বিমানের ভিন্ন-ভিন্ন গতির তথা মার্গের নির্ধারণও প্রাচীন ঋষিগণ করে ছিলেন যেন বায়ুতে দুর্ঘটনা আদি হওয়ার থেকে বাঁচা যেতে পারে। বিমানের গতির যথা - চলন, কম্পন, ঊর্ধ্বগমন, অধোগমন, মণ্ডল, চক্রগতি, ঘুমগতি, বিচিত্রগতি, অনুলোমগতি, বিলোমগতি, দক্ষিণগতি, তির্য়কগ্গতি আদি করা হত। আকাশে বিমানের পাঁচটি মার্গ বলা হয়েছিল যাদের নাম রেখাপথ, মণ্ডল, কক্ষ্য, শক্তি, কেন্দ্র ছিল।
বিমান চালকের গুণ, পোশাক, তথা ভোজন আদিরও বিশেষ নিয়ম রাখা হয়েছে। "লোহতন্ত্র, দর্পণপ্রকরণ, শক্তিতন্ত্র" আদি প্রায় ১০০ প্রাচীন গ্রন্থের উল্লেখও করা হয়েছে যেগুলো এখন উপলব্ধ নেই। সম্ভবতঃ ইউরোপ বিশেষ করে ইংল্যান্ডের সংগ্রহালয়ের মধ্যে এরমধ্যে কিছু গ্রন্থ অবশ্যই হতে পারে। প্রায় ৩৬ আচার্যগণের সূচিও দেওয়া হয়েছে। বিমানের মধ্যে ভিন্ন-ভিন্ন প্রকারের নতুন-নতুন যন্ত্র তৈরি করে রাখার কথা বলা হয়েছে। বিমানের স্বয়ং রক্ষা হেতু তথা শত্রুর উপর প্রহার করার হেতু অনেক প্রকারের যন্ত্রের নাম তথা কার্য বলা হয়েছে। আকাশে যুদ্ধ করার উপায়ও বলা হয়েছে। কল্পনা করুন বিমান বিদ্যা কতই না উচ্চ অবস্থা পর্যন্ত এক সময়ে পৌঁছে থাকবে। এরকম অদ্ভুত প্রাচীন বিমানের গ্রন্থ থাকার পরেও কে বলতে পারে যে বিজ্ঞান এই প্রথমবার উন্নতির শিখর ছুঁয়েছে। বিমান বিদ্যার প্রাচীন ইতিহাস আপনাকে নিশ্চিত রূপে আশ্চর্যচকিত করতে পারে।
উড়োজাহাজ সম্বন্ধিত বেদের মন্ত্র
যজুর্বেদের ২১|৬, ৪|৩৪, ৩৩|৭৩ আদি অনেক মন্ত্রতে রয়েছে।
ঋগ্বেদ ১|৮৫|৪, ১|১১৭|১৫, ১|১১৬|৪, ৬|৬৩|৭, ১|৩৪|১২, ১|১৬৪|৩, ১|১০৮|১, ১|১০৪|১, ১|৩৪|৭, ১|১৮৪|৫, ১|১৬|৭, ৪|৪৫|৪, ১|৮৫|৭, ১|৮৭|২, ১|৮৮|১, ১|৯২|১৬, ১|১০৬|১, ১|১০৬|২, ১|১১২|১৩, ১|১১৬|৫, ১|১১৭|২, ১|১১৯|১, ১|১২০|১০, ১|১৪০|১২, ১|১৫৭|২, ১|১৬৩|৬, ১|১৬৭|২, ১|১৬৬|৫, ১|১৮১|৩, ১|১৮২|৫, ২|১৮|১, ২|১৮|৫, ২|৪০|৩, ৩|১৪|১, ৩|২৩|১, ৩|৪১|৯, ৩|৫৮|৩,৮,৯, ৪|১৭|১৪, ৪|৩১|১৪, ৪|৪৩|২, ৪|৪৫|৭, ৪|৪৬|৪, ৫|৫৬|৬, ৫|৬২|৪, ৫|৭৭|৩, ৬|৪৬|১১, ৬|৫৮|৩, ৬|৬০|১২, ৭|৩২|২৭ ইত্যাদি।
এরও অতিরিক্ত বেদের মধ্যে এই বিষয়ের তথা অন্যান্য জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্বন্ধিত সহস্র সহস্র মন্ত্র রয়েছে যেখানে সৃষ্টির প্রত্যেক নিয়ম তথা বিজ্ঞানকে সবিস্তারে বোঝানো হয়েছে।
ঋগ্বেদ ১/৩৭/১



क्री॒ळं वः॒ शर्धो॒ मारु॑तमन॒र्वाणं॑ रथे॒शुभ॑म् । 

कण्वा॑ अ॒भि प्र गा॑यत ॥

पदार्थ -

हे (कण्वाः) मेधावी विद्वान्मनुष्यो ! तुम जो (वः) आप लोगो के (अनर्वाणम्) घोड़ों के योग से रहित (रथे) विमानादियानों में (क्रीडम्) क्रीड़ा का हेतु क्रिया में (शुभम्) शोभनीय (मारुतम्) पवनों का समूह रूप (शर्धः) बल है उसको (अभि प्रगायत) अच्छे प्रकार सुनो वा उपदेश करो ॥

भावार्थ - सायणाचार्य्य ने (मारुतम्) इस पद को पवनों का संबन्धि (तस्येदम्) इस सूक्त से अण् प्रत्यय और व्यत्यय से आद्युदात्त स्वर अशुद्ध व्याख्यान किया है बुद्धिमान् पुरुषों को चाहिये कि जो पवन प्राणियों के चेष्टा, बल, वेग, यान और मंगल आदि व्यवहारों को सिद्ध करते इस से इनके गुणों की परीक्षा करके इन पवनों से यथायोग्य उपकार ग्रहण करें ॥१॥ मोक्षमूलर साहिब ने अर्व शब्द से अश्व के ग्रहण का निषेध किया है सो भ्रमभूल होने से अशुद्ध ही है और फिर अर्व शब्द से सब जगह अश्व का ग्रहण किया है यह भी प्रमाण के न होने से अशुद्ध ही है। इस मंत्र में अश्वरहित विमान आदि रथ की विवक्षा होने से उन यानों में कलाओं से चलाये हुए पवन तथा अग्नि के प्रकाश और जल की बाफ के वेग से यानों के गमन का संभव है इस से यहां कुछ पशुरूप अश्व नहीं लिये हैं ॥

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ