রূপং রূপং প্রতিরূপো বভূব তদস্য রূপং প্রতিচক্ষণায়।
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে। যুক্তা হ্যস্য হরয়ঃ শতা দশ।।
বৃহদারণ্যক উপনিষদ -২।৫।১৯ [ঋ০ ৬।৪৭।১৮] এই মন্ত্র কঠোপনিষদেও ব্যবহৃত হয়েছে [১০]।
অনুবাদ_পরমেশ্বর বিভিন্ন রূপের অনুযায়ী রূপান্তরিত হয়েছেন। তাঁর এইরূপ তত্ত্ব প্রকাশের জন্য। পরমেশ্বর মায়া বশতঃ বহুরূপে অনুভূত হন; কারণ জীবাত্মার দেহে দশটি এমনকি শত শত ইন্দ্রিয়সকল সংযোজিত আছে।
গ্ৰন্থসূত্রঃ
উপনিষৎ গ্ৰন্থাবলী(তৃতীয় ভাগ) বৃহদারণ্যকোপনিষৎ পৃষ্ঠা ১৮৮-১৮৯ সম্পাদক_স্বামী গম্ভীরানন্দ প্রকাশক_উদ্বোধন
ঋ০ ৬।৪৭।১৮
পদার্থ– (ইন্দ্রঃ) জীবাত্মা (মায়াভিঃ) প্রজ্ঞা দ্বারা (প্রতিচক্ষণায়) প্রত্যক্ষ কথনের জন্য (রূপংরূপম্) রূপে রূপে (প্রতিরূপঃ) প্রতিরূপ অর্থাৎ স্বরূপে বর্তমান (বভুব) থাকে এবং (পুরুরূপঃ) অনেক শরীর ধারণ করে বিবিধ রূপ (ঈয়তে) পেয়ে যায়৷ (তৎ) সেই জীবাত্মা (অস্য) এই শরীরের (রূপম্) রূপ হয় এবং (অস্য) এই জীবাত্মা (হি) নিশ্চিত ভাবে (দশ) দশ সংখ্যা বিশিষ্ট এবং (শতা) শত সংখ্যা বিশিষ্ট (হরয়ঃ) অশ্বের ন্যায় ইন্দ্রিয়, অন্তঃকরণ এবং প্রাণ (যুক্তাঃ) যুক্ত শরীরকে ধারণ করে [ঋ০ মহর্ষি দয়ানন্দকৃত পদার্থ]।
বায়ুৰ্যথৈকে ভুবনং প্রবিষ্টে রূপং রূপং প্রতিরূপো বভূব । একস্তথা সৰ্ব্বভূতান্তরায় রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশচ ॥-কঠ০১০॥
যথা (যেমন এক বায়ুঃ (একই বায়ু) ভূবন (জগতে) প্রবিঃ: প্রবিষ্ট হইয়া) রূপং রূপং (প্রতি শরীরের ভিন্ন ভিন্ন রূপ অনুসারে) প্রতিরূপে বভূব (সেই সেই শরীররূপ উপাধির আকারে প্রতীয়মান হইয়া থাকে) তথা (সেইরূপ) সর্ষ ভূতান্তরাত্মা (সৰ্ব্বভূতের অন্তরস্থিত) এক আত্মা (একই আত্মা) রূপং রূপং প্রতিরূপ: {প্রত্যেক উপাধির আকারে প্রতীয়মান) বভুব হন) বহিষ্ণ (উপাধিসমূহ হইতে সম্পূর্ণ বিলক্ষণ আত্মা স্বরূত: এক, নিবি করে চৈতন্যস্বরূপ) ॥ কঠ০ ২।২।১০
_______যেমন একই বায়ু জগতে প্রবিষ্ট হইয়া প্রতি শরীরের ভিন্ন ভিন্ন রূপ অতুসারে সেই সেই শরীররূপ উপাধি আকারে প্রতীয়মান হইয়া থাকে, সেইরূপ সর্বভূতের অন্তরস্থিত একই আত্মা প্রত্যেক উপাধির আকারে প্রতীয়মান হন। কিন্তু উপাধিসমূহ হইতে সম্পূর্ণ বিলক্ষণ এই আত্মা স্বরূপত: নির্বিকার চৈতন্যস্বরূপ [পৌরাণিক ব্যাখ্যা]।
কঠোপনিষৎ ২।২।১০ বৃহদারণ্যক উপনিষদ -২।৫।১৯
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ