ঋগ্বেদ ১০/৯০/১ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

10 October, 2022

ঋগ্বেদ ১০/৯০/১

 ঋষিঃ-নারায়ণ। দেবতা-পুরুষো।ছন্দঃ-নিচৃদনুষ্টুপ। স্বরঃ-গান্ধারঃ।।

সহস্রশীর্ষা পুরুষঃ সহস্রাক্ষঃ সহস্রপাত্। 

স ভুমিꣳ সর্বত স্পৃত্বাহত্যতিষ্ঠদ্দশাঙ্গুলম্।।

যজুর্বেদ-৩১।১ / ঋগ্বেদ০ ১০।৯০।১

स॒हस्र॑शीर्षा॒ पुरु॑षः सहस्रा॒क्षः स॒हस्र॑पात्।स भूमि॑ꣳ स॒र्वत॑ स्पृ॒त्वाऽत्य॑तिष्ठद्दशाङ्गु॒लम्॥

পদার্থঃ- (সহস্রশীর্ষা) সহস্রাণ্যসঙ্গখ্যাতানি শিরাংমি য়স্মিন্ সঃ [সহশীর্ষা শ০ ব্রা০ ১৩.৬.২.১২। তৈ০ আ০ ৩.১২.১] (পুরুষঃ) সর্বত্র পূর্ণো জগদীশ্বরঃ পুরুষ পুরিষাদঃ পুরিশয়ঃ পূর্য়তের্বা পূরয়ত্যন্তরিত্যন্তর পুরুষমভিপ্রেত্য। [য়স্মাত্পরং নাপরমস্তি কিঞ্চিদ্যস্মান্নাণীয়ো ন জ্যায়োস্তি কিঞ্চিত বৃষষ্ ইব স্তব্ধো দিবি তাষ্ঠত্যকস্তেনেদং পূর্ণ পুরুষেণ সর্বমিত্যপি নিগমো ভবতি।।. নিরু০ ২.৩] ( সহস্রাক্ষঃ) সহস্রাণ্যসংখ্যাতান্যক্ষীণি য়স্মিন্ সঃ [সহস্রাক্ষয় মীঢুষে' তৈ০ স০ ৪.৫.১.৩] তৈ০ ক০ ২.৯.২/১২.১.১৪। কা০ স০ ১৭.১১] [সহস্রপাত্) সহস্রাণ্যসংখ্যাতাঃ পাদা য়স্মিন্ সঃ ['সহস্রপাত্' তৈ০ আ০ ৩.১২.১] (সঃ ভূমিম্) ভূগোলম্ (সর্বত্) সর্বস্মাদ্দেশাত্ ( স্পৃত্বা) অভিব্যাপ্য ( অতি) উল্লঙ্ঘনে ( অতিষ্ঠত্) তিষ্ঠতি ( দশাঙ্গুলম্) পঞ্চস্হূলসূক্ষ্মভূতানি দশাঙ্গুলান্যঙ্গানি য়স্য তজ্জগত্।।

ভাবার্থ- হে মনুষ্য! য়স্মিন্ পূর্ণেং পরমাত্মান্যস্মদাদিনামসংখ্যাতানি শিরাংস্যক্ষীণি পদাদীন্যঙ্গানি চ সস্তি য়ো ভূম্যাদ্যপলক্ষিতং পঞ্চভিঃ স্হূলৈর্ভৈতঃ সূক্ষ্মৈশ্চ যুক্তং জগত্ স্বসত্তয়া প্রপূর্য়্য য়ত্র জগন্নাস্তি তত্রাহপি পূণোংহস্তি তং সর্বনির্মাতারং পুরপূর্ণং সচ্চিদানন্দস্বরূপং নিত্যশুদ্ধবুদ্ধমুক্তস্বভাবং পরমেশ্বরং বিহায়াহন্যস্যোপাসনাং য়ূয়ং কদাচিন্নৈব কুরুত কিন্ত্বস্যোপাসনেন ধর্মার্থকামমোক্ষানলং কুর্য়াত্।।

পদার্থ- হে মনুষ্য! যিনি ( সহস্রশীর্ষা) সকল প্রাণীর হাজারো শির ( সহস্রাক্ষঃ) হাজারো নেত্র এবং (সহস্রপাত্) অসংখ্য চরণ যাহার মধ্যে ও ( পরুষ) সর্বত্র পরিপূর্ণ ব্যাপক জগদীশ্বর ( সঃ) তিনি (সর্বতঃ) সকল দিশাতে ( ভূমিম্) ভূগোলে ( স্পৃত্বা) সকলদিকে ব্যাপ্ত হইয়া (দশাঙ্গুলম্) পাঁচ স্হূল ভূত,পাঁচ সূক্ষ্ম ভূত এই দশ যেখানে অবয়ব আছে সেই সব জগতেকে (অতি অতিষ্ঠত) উলঙ্ঘন / অতিক্রম করিয়া স্হিত অর্থাৎ সর্বোৎকৃষ্ট পৃথক হইয়াও বিদ্যমান।।

#ভাবার্থ- হে মনুষ্য! যে পূর্ণ পরমাত্মা আমাদের মনুষ্য আদির যে অসংখ্য শির,চক্ষু এবং চরণ আদি অবয়ব আছে। যিনি ভূমি আদি হইতে উপলক্ষিত হইয়া পাঁচ স্হূল এবং পাঁচ সূক্ষ্ম ভূত দ্বারা যুক্ত জগতের নিজের সত্ত্বা দ্বারা পূর্ণ, যেখানে জগত নাই সেখানেও পূর্ণ, তিনি সমগ্র জগতের নির্মাণকারী পরিপূর্ণ সচ্চিদানন্দ স্বরূপ নিত্য, শুদ্ধ,বুদ্ধি মুক্তস্বভাব পরমেশ্বরকে ত্যাগ করিয়া অন্যকে উপাসনা কখনও করো না কিন্তু নিরাকার ঈশ্বরের দ্বারা ধর্ম,অর্থ,কাম এবং মোক্ষকে প্রাপ্ত কর।

এই মন্ত্রে পুরুষ শব্দ বিশেষ্য ও অপর সমস্ত পদ তার বিশেষণরূপে বলা হয়েছে। যিনি সমগ্র জগতে পূর্ণভাবে বিদ্যমান রয়েছেন, তাঁকেই পুরুষ বলা হয়, অর্থাৎ যেজন নিজ ব্যাপকতায় এই সমগ্র জগৎকে পূর্ণরূপে স্থিত থেকে অবস্থিত আছেন, তাকেই পুরুষ সংজ্ঞা দেওয়া হয়। পুর এখানে শব্দ ব্রহ্মাণ্ড ও শরীর এই উভয়ার্থ বাচক। অতএব যিনি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে ও মানবাদির শরীরস্থিত দেহীরূপ জীবাত্মার অন্তরে অন্তর্যামীরূপে ও ব্যাপক স্বরূপে বিরাজমান আছেন, তাকেই পুরুষ বলা হয়।
সহস্র শব্দ দ্বারা সম্পূর্ণ জগৎ ও অসংখ্য সংখ্যা বোঝানো হয়। এজন্য যার মধ্যে বা ব্যাপকতায় জগতে অসংখ্য শিরঃ, চক্ষু, পদাদি স্থিত রয়েছে, তাঁকেই সহস্ৰশীর্ষা, সহস্রাক্ষ সহস্রপাৎ বলা যায়, যেহেতু তিনি অনন্তরূপে বর্তমান রয়েছেন। যেরূপ আকাশের মধ্যে বা ব্যাপকতায় সমস্ত পদার্থ স্থিত আছে, অথচ সেই আকাশ সমগ্র পদার্থ হতে পৃথক, অর্থাৎ কারোর সাথে বদ্ধ নয়, ঠিক তেমন পরমেশ্বরকেও জানবে। সেই পরম পুরুষ সবত্র পূর্ণরূপে স্থিত থেকে , পৃথিবী এবং অপরাপর লোক সকলের ধারণ করে রয়েছেন। দশ আঙ্গুল শব্দ ব্রহ্মাণ্ড ও হৃদয়বাচী । অঙ্গুলি শব্দ হাঙ্গের অবয়ববাচী। পঞ্চভূত পঞ্চ সূক্ষ্ম ভূত এই দুই প্রকার ভূত মিলিত হলে তা জগতের দশ অবয়ব বলা হয়। এইরূপে পঞ্চপ্রাণ, মন, বুদ্ধি, চিত্ত ও অহঙ্কার এই নয় প্রকার পদার্থ এবং দশম জীব ও তার শরীরস্থিত হৃদয় আদি দশাঙ্গুলের প্রমাণ স্বরূপ গ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ দশাঙ্গুল সেই পরম পুরুষ, এই তিনপ্রকার পদার্থে ব্যাপক হয়ে এদের চারিদিকে পরিপূর্ণভাবে বিরাজমান রয়েছেন বলেই তিনি পুরুষ বলে অভিহিত হন। তিনি উপরোক্ত দশাঙ্গুল স্থানকেও উলঙ্ঘন করে সর্বত্র স্থিরভাবে বিরাজিত আছেন এবং তিনিই সমগ্র জগতের সৃষ্টিকর্তা পুরুষ।।

'পুরুষ' শব্দটির ব্যাকরণগত বিশ্লেষণে দেখা যায় এটি 'পৃ' ধাতু দ্বারা গঠিত৷ পাণিনিয় ধাতুপাঠেদের 'চুরাদি' গণে এই ধাতুটির অর্থ লেখা 'পৃ পুরণে। অর্থাৎ 'পৃ' ধাতুর অর্থ হলো 'পূর্ণ। এর সাথে উপাদি (৪/৭৪) 'পুরঃ কুষ' সূত্র অনুসারে 'কুষ' প্রত্যয়যোগে 'পুরুষ' শব্দটি গঠিত হয়। অর্থাৎ পুরুষ শব্দটির ধাত্বার্থক অর্থই হলো 'পূর্ণ'।

নিরুক্তে (২।৩) পুরুষ শব্দের ব্যাখ্যায় যাস্কাচার্য এভাবে বলেছেন,

“পুরুষঃ পুরিষাদঃ পুরিশয়ঃ পূরতর্তব্য। পূরয়ত্যন্তরিত্যন্তঃ পুরুষমভিপ্রেত্য। যস্মাৎ পরং নাপরমস্তি কিঞ্চিদ্ যস্যান্নাণীয়ো ন জ্যায়োহস্তি কিঞ্চিদ্। বৃক্ষ ইব স্তব্ধো দিবি তিষ্ঠত্যেক স্তনেদং পুর্ণং পুরুষেণ সর্বস্ ইতি নিগমো ভবতি।

অর্থাৎ পুরিতে (ব্রহ্মাণ্ডে) বসার কারণে অথবা পুরিতে (ব্রহ্মাণ্ডে) শয়ন করার কারণে পুরুষ বলা হয়। অথবা এটি বৃদ্ধয়র্থক পুরী ধাতু থেকে নিষ্পন্ন হয়। অন্তঃপুরুষ পরমাত্মাকে পুরুষ এজন্য বলা হয় যে, তিনি সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ডকে নিজের সত্তা দ্বারা পূর্ণ করে আছেন। এই বিষয়ে বলা হয়েছে যস্মাৎ পরং... পুরুষেণ সর্বম্।

এখানে নিরুক্তে পুরুষ শব্দের ব্যাখ্যা দিয়ে উদাহরণ স্বরূপ যাস্কাচার্য তৈত্তিরীয় আরণ্যক ১০।১০।২৩ তথা শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ৩।৯ শ্লোকে উল্লেখ করে প্রমাণ দেখিয়েছেন যে 'পুরুষ হলেন সর্বব্যাপী পরমেশ্বর।

য়স্মাৎ পরং নাপরমস্তি কিঞ্চিদ্ যস্মান্নাণীয়ো ন জ্যায়োস্তি কশ্চিৎ।
বৃক্ষ ইব স্তব্ধো দিবি তিষ্ঠত্যেকস্তেনেদং পূর্ণং পুরুষেণ সর্বম্।।-তৈ০আ০ ১০।১০।২৩ সরলার্থঃ যাঁর থেকে শ্রেষ্ঠ অন্য কিছুই নেই যাঁর থেকে সূক্ষ্ম ও মহান্ কেউ নেই, যিনি প্রকাশময় স্বরূপে বৃক্ষের ন্যায় নিশ্চলভাবে বিরাজমান, সেই এক ও অদ্বিতীয় পূর্ণ পরমাত্মা দ্বারা এই সম্পূর্ণ জগৎ পরিব্যাপ্ত।

”ইমে বৈ লোকাঃ পূরয়মেব পুরুষো যোহয়ং পবতে সোহস্যাং পুরি শেতে তস্মাৎপুরুষঃ" (শতপথ ব্রাহ্মণ ১৩।৬। ২।১) অর্থাৎ এই লোক (বিশ্বব্রহ্মাণ্ড) হলো পুরা এবং পুরুষ হচ্ছেন তিনি, যিনি বাহিত হন। তিনি এই পুরীতে ব্যাপক রূপে শয়ন করেন জন্য তিনি পুরুষ।

নিঘন্টু  ৩।১ "সহস্র ইতি বহুনাম"- সহস্র অর্থে বহু.

ব্রাহ্মণো জজ্ঞে প্রথমো দশশীর্ষো দশাস্যঃ।
স সোমং প্রথমঃ পপৌ স চকারারসং বিষম্ ॥ -অথর্ববেদ ৪।৬।১

আক্ষরিক অনুবাদঃ এক শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হলো , যার দশ মাথা এবং দশ মুখ ছিলো। তিনি সোম পান করেছিলেন তথা বিষ কে নিষ্প্রভাব করে দিয়েছিলেন। ব্রহ্মের সন্তান রূপ হ‌ওয়ায় এই ব্রাহ্মণ হলো সূর্য। চার দিক, চার উপদিক , উর্ধ্বা ও ধ্রুবা এই দশ দিকে তার দশ মাথা, এবং তাতে ব্যাপ্ত রশ্মিপুঞ্জ তার দশ মুখ। এই মুখ গুলো দ্বারা তিনি ভূমিষ্ট রসের পান করেন তথা তিনি তেজ দিয়ে বিষ নিষ্প্রভাব করে দেন [ ঋ০ ১।১৪৬।১ ] । কিংবা (প্রথমঃ) সমস্ত বর্ণের মধ্যে প্রধান, (দশশীর্ষঃ) দশ প্রকারের [১-দান, ২-শীল, ৩-ক্ষমা, ৪-বীর্য, ৫-ধ্যান, ৬-বুদ্ধি, ৭-সেনা, ৮-উপায়, ৯-গুপ্ত দূত, ও ১০-জ্ঞান] বলে মাথা স্থাপনকারী, এবং (দশাস্যঃ) দশ দিশায় মুখের সমান পোষণ শক্তিসম্পন্ন বা দশ দিশায় স্থিতিশীল (ব্রাহ্মণঃ) ব্রাহ্মণ অর্থাৎ বেদবেত্তা মানব (জজ্ঞে) উৎপন্ন হয়েছে। (সঃ প্রথমঃ) সেই প্রধান পুরুষ (সোমম্) সোম নাম ঔষধির রস বা ব্রহ্মানন্দ রস (পপৌ) পান করেছেন, এবং (সঃ) তিনি (বিষম্) জাগতিক বিষ কিংবা বিষয়াসক্তি রূপ বিষকে (অরসম্) প্রভাবহীন করেছেন ।

ঋগ্বেদ ১০/৯০/১


अन्वयः - हे मनुष्याः! यः सहस्रशीर्षा सहस्राक्षः सहस्रपात् पुरुषोऽस्ति, स सर्वतो भूमिं स्पृत्वा दशाङ्गुलमत्यतिष्ठत् तमेवोपासीध्वम्॥१॥

पदार्थः -
(सहस्रशीर्षा) सहस्राण्यसङ्ख्यातानि शिरांसि यस्मिन् सः (पुरुषः) सर्वत्र पूर्णो जगदीश्वरः, ‘पुरुषः पुरिषादः पुरिशयः पूरयतेर्वा पूरयत्यन्तरित्यन्तरपुरुषमभिप्रेत्य। यस्मात्परं नापरमस्ति किञ्चिद् यस्मान्नाणीयो न ज्यायोऽस्ति किञ्चित्। वृक्ष इव स्तब्धो दिवि तिष्ठत्येकस्तेनेदं पूर्णं पुरुषेण सर्वमित्यपि निगमो भवति॥’ (निरु॰२.३) (सहस्राक्षः) सहस्राण्यसंख्यातान्यक्षीणि यस्मिन् सः (सहस्रपात्) सहस्राण्यसंख्याताः पादा यस्मिन् सः (सः) (भूमिम्) भूगोलम् (सर्वतः) सर्वस्माद्देशात् (स्पृत्वा) अभिव्याप्य (अति) उल्लङ्घने (अतिष्ठत्) (दशाङ्गुलम्) पञ्चस्थूलसूक्ष्मभूतानि दशाङ्गुलान्यङ्गानि यस्य तज्जगत्॥१॥

भावार्थः - हे मनुष्याः! यस्मिन् पूर्णे परमात्मन्यस्मदादीनामसंख्यातानि शिरांस्यक्षीणि पादादीन्यङ्गानि च सन्ति यो भूम्याद्युपलक्षितं पञ्चभिः स्थूलैर्भूतैः सूक्ष्मैश्च युक्तं जगत् स्वसत्तया प्रपूर्य्य यत्र जगन्नास्ति तत्राऽपि पूर्णोऽस्ति तं सर्वनिर्मातारं परिपूर्णं सच्चिदानन्दस्वरूपं नित्यशुद्धबुद्धमुक्तस्वभावं परमेश्वरं विहायाऽन्यस्योपासनां यूयं कदाचिन्नैव कुरुत किन्त्वस्योपासनेन धर्मार्थकाममोक्षानलं कुर्यात्॥१॥

पदार्थ -
हे मनुष्यो! जो (सहस्रशीर्षा) सब प्राणियों के हजारों शिर (सहस्राक्षः) हजारों नेत्र और (सहस्रपात्) असङ्ख्य पाद जिसके बीच में हैं, ऐसा (पुरुषः) सर्वत्र परिपूर्ण व्यापक जगदीश्वर है (सः) वह (सर्वतः) सब देशों से (भूमिम्) भूगोल में (स्पृत्वा) सब ओर से व्याप्त हो के (दशाङ्गुलम्) पांच स्थूलभूत, पांच सूक्ष्मभूत ये दश जिसके अवयव हैं, उस सब जगत् को (अति, अतिष्ठत्) उल्लंघकर स्थित होता अर्थात् सब से पृथक् भी स्थिर होता है॥१॥

भावार्थ - हे मनुष्यो! जिस पूर्ण परमात्मा में हम मनुष्य आदि के असंख्य शिर आंखें और पग आदि अवयव हैं, जो भूमि आदि से उपलक्षित हुए पांच स्थूल और पांच सूक्ष्म भूतों से युक्त जगत् को अपनी सत्ता से पूर्ण कर जहां जगत् नहीं वहां भी पूर्ण हो रहा है, उस सब जगत् के बनाने वाले परिपूर्ण सच्चिदानन्दस्वरूप नित्य-शुद्ध-बुद्ध-मुक्तस्वभाव परमेश्वर को छाæेड के अन्य की उपासना तुम कभी न करो, किन्तु उस ईश्वर की उपासना से धर्म, अर्थ, काम और मोक्ष को प्राप्त करो॥१॥- स्वामी दयानन्द सरस्वती



No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ