স্বর্গের অপ্সরা ও জান্নাতের হুরী - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

27 October, 2022

স্বর্গের অপ্সরা ও জান্নাতের হুরী

♦স্বর্গের অপ্সরা কিভাবে পাওয়া যায়: ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণের ধামাকা অফার♦
খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মে,ভালো কাজ করলে মৃত্যুর পরে,স্বর্গ বা বেহেস্ত বা জান্নাতে যাওয়া যায় এমনটা বলা হয়েছে।
মুসলিম ধর্ম মতে,স্বর্গে গেলে, ভালো কাজের পুরস্কার স্বরূপ বাহাত্তরটি নব যৌবন সম্পন্না অসাধারণ সুন্দরী নারী পাওয়া যায়।
কিন্তু, এর জন্য,জেহাদে অংশ নিয়ে শহীদ হতে হবে।
এখন যাঁরা মুসলিম নন বা মুসলিম হতে চান না এবং মরতে ভয় পান তাঁরা কি দোষ করেছেন?!!
তাঁদেরও ইচ্ছা তো হয় নাকি,স্বর্গে গিয়ে,অপ্সরা বা স্বর্গ-বেশ্যাদের নিয়ে ফস্টি-নষ্টি করতে!!
কিছু চিন্তা নেই!আপনাদের চাহিদা পূরণ করতে,
এসে গেলো!এসে গেলো!এসে গেলো!!
আমাদের হিন্দুভাইদের জন্য, ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণের ধামাকা অফার!!!
♦ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণের ধামাকা♦
সালঙ্কৃতাঞ্চ ভোগ্যাঞ্চ সবস্ত্রাং সুন্দরীং প্রিয়াম্ ।
যো দদাতি ব্রাহ্মণায় ভারতে চ পতিব্রতাম্ ॥27
মহীয়তে চন্দ্রলোকে যাবদিন্দ্রাশ্চতুৰ্দ্দশ।
তত্র স্বৰ্ব্বেশ্যয়া সার্দ্ধং মোদতে চ দিবানিশম্ ॥ 28
ততো গন্ধৰ্ব্বলোকে চ বর্ষাণামযুতং সতি।
দিবানিশং কৌতুকেন চোৰ্ব্ব্যশ্যা সহ মোদতে ॥29
ততো জন্মসহস্ৰঞ্চ প্রাপ্নোতি সুন্দরীং প্রিয়াম্ ।
সতীং সৌভাগ্যযুক্তাঞ্চ কোমলাং প্রিয়বাদিনীম্।।30
♦ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণম্_প্রকৃতিখন্ডম্_সপ্তবিংশ অধ্যায়_শ্লোক নং_27-28-29-30
♦অনুবাদ__যিনি ভারতে ব্রাহ্মণকে,বস্ত্র ও অলংকারের সহিত পতিব্রতা, সুন্দরী ও ভোগের উপযুক্ত বৌ দান করেন,
তিনি চোদ্দো জন ইন্দ্রের সময়কাল পর্যন্ত চন্দ্রলোকে দিন-রাত্রি স্বর্গ-বেশ্যাদের সহিত আনন্দে কাল কাটাবেন।(27-28)
হে সতি!!
পরে তিনি গন্ধর্বলোকে অযুতবর্ষ(এক অযুত=দশ হাজার) দিন রাত ঊর্বশীকে নিয়ে আনন্দ ভোগ করবেন!!
তার পরে,তিনি একহাজার জন্ম সৌভাগ্যশালিনী,সুন্দরী,কোমল শরীর যুক্তা,মিষ্টভাষী প্রিয়া লাভ করবেন।(29-30)
তাহলে এখনি কোনো নিকটবর্তী ব্রাহ্মণকে ,সুন্দরী স্বাস্থ্যবতী বৌ দান করে,স্বর্গ বেশ্যাদের নিয়ে ফষ্টি-নষ্টি করার সিট বুকিং করে নিন!!!
যা করার তাড়াতাড়ি করবেন।আপনার আগে কেউ যদি বৌ দান করেন ব্রাহ্মণকে, তাহলে ঊর্বশীকে পেতে আবার আপনাকে লক্ষ লক্ষ বছর লাইনে অপেক্ষা করতে হবে।
কারণ, স্বর্গে ঊর্বশী একটাই!!
♦

বি.দ্র.# বৈদিক মান্যতা অনুযায়ী, সুখ বিশেষকে স্বর্গ বলে আর দুঃখকে নরক বলে। 


স্বর্গবেশ্যাদের শারীরিক বর্ণনা কোরআনে যা পাওয়া যায়, তা হচ্ছে অনেকটা এরকম-

তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।

কোরআন ৩৭ঃ৪৮

আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়

কোরআন ৫৬ঃ২৩ পরিপূর্ণ স্তন্যের অধিকারী, সমবয়স্কা। কিছু অনুবাদকের ভাষায়, যেই স্তনে কখনো মানুষের স্পর্শ পড়ে নি। সুরাটির তাফসির পড়ুন এখান থেকে

স্বর্গের অপ্সরা ও জান্নাতের হুরী
( তথ্যসূত্রঃ তাহক্বীক রিয়াজুস সালিহীন, ইমাম নববী, তাহক্বীক- আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী, তাওহীদ পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ৮৪১, হাদিস নম্বর ৬/১৮৯৪ )

আরও বলা আছে, অপূর্ব সুন্দরী, ভার্জিন, যারা পেশাব পায়খানা পর্যন্ত করবে না, মাসিক হবে না, যতই যৌন কর্ম করুক তারা কোনদিন গর্ভবতী হবে না। যেসব নারীর হাইমেন চির অক্ষত থাকবে অসংখ্যবার সেক্সের পরেও। অর্থাৎ তারা সতী থাকবে, যতবার সেক্সই তারা করুক না কেন।

তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮:
প্রত্যেক বেহেশতবাসীকে দেওয়া হবে ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী হুরী তাদের ভোগের জন্য। বেহেশতবাসীরা যেকোন বয়সেই মারা যাক না কেন, তারা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন তাদের বয়স হবে ৩০ বৎসরের যুবকের ন্যায় এবং তাদের বয়সে আর কোন পরিবর্তন হবে না; আর প্রত্যেক বেহেশতবাসীকে ১০০টি শক্তিশালী পুরুষের সমান যৌনশক্তি দান করা হবে।

সহি হাদিস, অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪
হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন যে বেহেশতে একটি মস্তবড় খোলা বাজার থাকবে, যেখানে কোন কেনাবেচা হবে না। সেখানে শুধুই থাকবে অতিসুন্দরী উন্নতবক্ষা হুরীগণ, যারা ফলের দোকানের ন্যায় সেজেগুজে বসে থাকবে বেহেশতবাসীদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। বেহেশতবাসীদের পছন্দ হলেই তৎক্ষণাৎ তারা সে হুরীর সঙ্গে যৌন কাজ শুরু করে দেবে ঠিক সেখানেই।

মিসকাত অধ্যায় ৩, পৃষ্ঠা-৮৩-৯৭
হুরীগণ এত বেশি সুন্দরী ও রূপসী হবে যে, তারা যদি আকাশের জানালা দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাঁকায়, তাহলে সমস্ত দুনিয়া আলোকিত হবে এবং সুগ্রানে ভরে যাবে আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানের সব জায়গা। একজন হুরীর মুখমণ্ডল হবে আয়নার চেয়েও মসৃন বা পরিস্কার, যাতে নিজ চেহারা দেখতে পাবে এবং হুরীর পায়ের মজ্জা দেখা যাবে খালি চোখে।

তিরমিজি,অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা ৩৫-৪০
একজন হুরী অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতী, যার শরীর হবে আয়নার মত স্বচ্ছ বা মসৃন। তার পায়ের হাড়ের ভেতরের মজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে যেন মনি-মুক্তার ভেতরে রেখার ন্যায়। তাকে মনে হবে একটি সাদা গ্লাসে রাখা লাল মদের ন্যায়। সে হবে সাদা রং-এর দুধে আলতা মিশানো, এবং তার কখনো হায়েজ (মাসিক), পেশাব, পায়খানা, গর্ভবতি হওয়া ইত্যাদি কিছুই হবে না। হুরি হবে অল্প-বয়স্কা, যার বক্ষ-যুগল হবে বড় বড় ও গোলাকার, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না; সব সময় তীরের ন্যায় চোকা থাকবে। এসব হুরীগণ থাকবেন এক অতি উজ্জ্বল এবং জৌলুসপূর্ণ জায়গায়।

হাদিস নং ৪৩৩৭ ইবনে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭:
আবু ওমামা (রাঃ) বলেছেন যে আল্লাহর রসুল (দঃ) বলেছেন, “আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহেশতে স্থান দিবেন এবং প্রতিটি বেহেশতবাসীকে বিবাহ দিবেন ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী রমণীর সঙ্গে; যাদের মধ্যে দুইজন হবে চিরকুমারি (virgin) আয়োতলোচনা এবং বড়-বড় চোখওয়ালা হুরী, এবং বাকী ৭০জন হবে উত্তরাধিকার, যা সে লাভ করবে দোজখবাসীদের হিস্যা থেকে বা গনীমতের মাল থেকে। প্রত্যেকটি সুন্দরী রমণী বা কন্যার থাকবে খুব সুখদায়ক যৌনাঙ্গ (pleasant vagina) এবং বেহেশতি পুরুষের যৌনাঙ্গ (penis) সর্বদাই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকবে (Permanent erection), কখনো বাঁকা হবে না যৌনতার সময়। অর্থাৎ মূলত পুরুষাঙ্গটি সবসময়ই হুরীদের যোনির ভেতরে প্রবিষ্ট থাকবে পালাক্রমে একের পর এক প্রায় ৭০ বৎসর ধরে।

ইসলামে দাসী

আবু উমামা কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল বলেছেন, ‘আল্লাহ যাদের জান্নাতে প্রেরণ করবেন, তাদের প্রত্যেককে ৭২ খানা স্ত্রীর সহিত বিবাহ দেয়া হইবে; যার দুইখানা হুরি এবং বাকি সত্তরখানা হবে জাহান্নামবাসীদের সম্পত্তির। তাদের সকলের থাকবে কামুক যৌনাঙ্গ এবং তার লিঙ্গ থাকবে অনন্তকাল উত্থিত।
(সুনান ইবনে মাজা, যুহ্‌দ (Book of Abstinence) ৩৯)

দারাজ ইবনে আবি হাতিম কর্তৃক উল্লেখিত, আবু সাইদ আল-খুদরির নিকট হইতে প্রাপ্ত, আবু আল-হায়থাম’আবদুল্লাহ ইবনে ওহাব কর্তৃক বর্ণিত, যিনি শুনেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন,’ জান্নাতের সবচে ছোট পুরস্কার হবে একটি প্রাকৃতিক ঘর, যেখানে আট হাজার ভৃত্য এবং ৭২ খানা হুরি থাকবে, যার গম্বুজ থাকবে মুক্তো, পান্না ও চুনী দ্বারা সজ্জিত, এবং যা প্রশ্বস্ত হবে আল-জাবিয়াহ থেকে সানার মধ্যকার দুরত্বের সমান।
(আল-তিরমিজি, ভল্যুম ৪, চ্যাপ্টার ২১, নাম্বার ২৬৮৭)

একজন হুরির সাথে প্রতিবার শয্যাগ্রহনকালে আমরা তাকে কুমারী হিসেবে পাব। তাছাড়া জান্নাতিদের লিঙ্গ কখনো নমনীয় হবে না। এই লিঙ্গোত্থান হবে অনন্তকালের জন্য; প্রতিবার তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করবে, তা হবে পরম তৃপ্তিদায়ক যা এই দুনিয়ার কেউ পায় নি, এবং তোমরা যদি সেই পুলক দুনিয়াতে থেকে লাভ করতে তাহলে অজ্ঞান হয়ে যেতে। নির্বাচিত প্রতিটি মুসলিম বান্দা তাদের পৃথিবীর স্ত্রীদের ছাড়া আরও ৭০ খানা হুরির সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইবে, এবং তাদের সকলের থাকবে অত্যন্ত কামুক যোনী।
(আল-ইতকান ফি উলুম আল-কুরান, পৃঃ ৩৫১)

মুহাম্মদ ভালভাবেই জানতেন, আরব বর্বর যোদ্ধাদের শুধুমাত্র মেয়েদের লোভ দেখিয়েই কাজ হবে না। কারণ সে সময়ে বালকদের সাথে সংগমও আরব যোদ্ধাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। তাই একই সাথে তিনি দেখিয়েছেন গেলমানের লোভও। কোরআনে পরিষ্কারভাবেই বলা আছে গেলমানের কথাও। এরকম লোভ দেখিয়ে, এই সমস্ত গল্প মাথায় ঢুকিয়ে নির্বোধ বর্বর যেকাউকে দিয়েই যে কোন কিছু করানো সম্ভব। বেহেশতের বেশ্যাদের লোভ এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে, তা পাওয়ার লোভে অবলীলায় গলায় চাপাতি চালাতে পারে যে কোন কোরআন হাদিস বিশ্বাসী মুসলিম যুবকই। হয়তো আপাদমস্তক একজন সুস্থ সবল মানুষ, যাকে প্রথমবার দেখলে কখনোই জঙ্গি বলে মনে হবে না, সেও আপনার গলায় অবলীলায় চালাতে পারে ইসলামের ছুরি। যেই ভয়াবহ রগরগে এক্স রেটেড শারীরিক বিবরণ দেয়া রয়েছে কোরআন হাদিসে, পড়লে পর্ণগ্রাফি বলেই ভুল হতে পারে। যেই যৌন উত্তেজক গল্প বলা হয়েছে, সেগুলোতে অশিক্ষিত মূর্খ যৌন অবদমনের শিকার মানুষেরা বিশ্বাস কেনই বা করবে না?

একবার সুস্থ মাথায় ভেবে দেখুন তো, আপনার সন্তানকে আপনি ভাল কাজ করলে বেশ্যার লোভ দেখাবেন? এরকম অশ্লীল বেশ্যার লোভ কারা দেখায়? মাফিয়া লিডার তার অনুগত বাহিনীকেই তো, যারা বেশ্যার লোভে তার জন্য নির্দ্বিধায় খুনোখুনি করবে, তাই না?



No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ