দীপাবলী - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

24 October, 2022

দীপাবলী

দীপাবলী
শারদীয় নবসস্যেষ্টি (দীপাবলী) পর্ব উপলক্ষে সকল দেশবাসীকে হার্দিক শুভকামনা এবং মহান বেদৌদ্ধারক, স্বরাজের প্রথম মন্ত্রদাতা, অদ্বিতীয় সমাজ সুধারক, অখণ্ড ব্রহ্মচারী, যোগীরাজ মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী জীর নির্বাণ দিবসে ওনাকে সশ্রদ্ধ নমন।
 

দীপাবলী উৎসবের আসল নাম শারদীয়া নবসস্যেষ্টি উৎসব। শরৎকালে উৎপাদিত নতুন ফসলের খাদ্য দ্বারা যজ্ঞ করা হয়। এই উপলক্ষে খরিফ ফসল ঘরে আসে এবং রবি ফসলের বপন শুরু হয়। এই দুটি ফসলই আর্যাবর্তের (ভারত) প্রধান ফসল। আমাদের সনাতন বৈদিক সংস্কৃতিতে যজ্ঞে অন্ন গ্রহণের পূর্বে দেবতার উদ্দেশ্যে অর্পণের ঐতিহ্য রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, মিষ্টি বিতরণ ইত্যাদির মাধ্যমে আনন্দ প্রদর্শনের প্রথাও রয়েছে। শরতের শেষ ও হেমন্তের ঋতুর আগমনের সঙ্গমকালে এই উৎসব আসে। এ সময় অনেক রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এ কারণেও এই উৎসবে ব্যাপক হারে যজ্ঞের প্রচলন রয়েছে। যদিও ঋষিরা প্রত্যেক বাড়িতে নিয়মিত অগ্নিহোত্র (হবন) করাকে বাধ্যতামূলক করেছেন। পরিবেশ পরিষ্কার করার জন্য এর চেয়ে ভালো বৈজ্ঞানিক উপায় আর নেই। দেশি গরুর ঘি, নতুন শস্য এবং অনেক ভেষজ থেকে তৈরি হবন উপাদান যজ্ঞের আগুনে আহুতি করা একটি সম্পূর্ণ আয়ুর্বেদিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া।

দীপাবলীর এই উৎসবে, গোঘৃত এবং সুগন্ধযুক্ত আয়ুর্বেদিক ভেষজযুক্ত হবন সামগ্রী দ্বারা আপনার বাড়িতে একটি যজ্ঞ সম্পাদন করে পরিবেশ সুরক্ষায় আপনার ভূমিকা নিন। মোমবাতির জায়গায় সরিষার তেলের বাতি জ্বালিয়ে বা সম্ভব হলে রোগের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করুন। পারস্পরিক ভালবাসায় বাড়িতে তৈরি করা শুদ্ধ মিষ্টি এবং খাবার খান এবং খাওয়ান এবং গরীবদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিন বা উত্সব উদযাপনে দান করুন। স্বাস্থ্যকর এবং সাত্ত্বিক বিনোদন করুন এবং সন্ধ্যায় ঈশ্বরের উপাসনা করুন। ঋষিদের আর্য সনাতন বৈদিক ঐতিহ্য অনুসারে জীবনকে যোগময়ী ও যজ্ঞময়ী করুন।

এই দিনে, বাতাসে বিপজ্জনক বিষ দ্রবীভূত করার এবং আগুন লাগার কারণ হওয়ায় পটকা/আতসবাজি  ব্যবহার করবেন না। মনে রাখবেন যে ক্ষতিকারক ঐতিহ্য, সেগুলি যতই পুরানো হোক না কেন, অবশ্যই বাতিল করতে হবে। নেশা জাতীয় দ্রব্য যেমন মদ, জুয়া ইত্যাদি পরিহার করুন এবং আপনার পরিচিত লোকদের বাঁচাতে সহযোগিতা করুন।

মনে রাখবেন, আজ মর্যাদা পুরুষোত্তম আর্য শ্রী রামচন্দ্র জি মহারাজের লঙ্কা জয়ের পর অযোধ্যায় আগমনের একটি কিংবদন্তি রয়েছে, তা সত্য নয়।রামায়ণ অনুসারে চৈত্র শুক্লা পঞ্চমীতে অযোধ্যায় পৌঁছেছিলেন। বাল্মীকি রামায়ণে এর স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

দীপাবলী
অযধ্যাকাণ্ড ৫।৮ রামের অভিষেক চৈত্র মাসে



অযোধ্যাকাণ্ড ৫।৮ রামের অভিষেক চৈত্র মাসে হওয়ার কথা হয়েছিলো, তার পর তাঁর ১৪ বছরের জন্য বনবাস হয়। অযোধ্যা কাণ্ড ৪০।১২ ঠিক ১৪ বছর পূর্ন হওয়ায় একদিন ও দেরী না করে তিনি ঠিক চৈত্র মাসে পূনঃ অযোধ্যায় ফিরে আসেন, প্রমান নীচে অযোধ্যা কাণ্ড পৃষ্ঠা দেখুন।

দীপাবলী
অযধ্যাকাণ্ড ৪০_১২

অযধ্যাকাণ্ড ১১২।২৫,২৬


যুদ্ধকাণ্ডের সর্গ ১২৪ চৈত্র মাসের পঞ্চমী তিথিতে শ্রীরাম চন্দ্র জী ভরদ্বাজ মুনির আশ্রমে অযোধ্যায় ফেরার সময় দেখা করতে গিয়েছিলেন, ওপরে চিত্রে দেখুন।


যুদ্ধকাণ্ডের সর্গ ১২৪ শ্লোক সংখ্যা ১৭, ভরদ্বাজ মুনির আশ্রম থেকে তার পরদিন তিনি রাজপ্রাসাদে ফিরে ছিলেন।




No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ