কোরআনের সূরা আনফালের ৪৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ পাক একটি যুদ্ধের সময় মুহাম্মদকে একটি মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। পরে দেখা গেল স্বপ্নে দেখা বিষয়টি সত্য নয়। তখন আল্লাহ পাক আরেকটি আয়াতের মাধ্যমে জানালেন, তিনি ইচ্ছে করেই এই মিথ্যা কথাটি বলেছিলেন। যেন সাহাবীদের যুদ্ধের মনোবল অটুট থাকে [কোরআনঃ সূরা আনফাল আয়াত ৪৩]
স্মরণ কর, আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নের মাধ্যমে তাদের সংখ্যাকে অল্প করে দেখিয়েছিলেন, যদি তিনি তাদের সংখ্যাকে তোমার নিকট বেশি করে দেখাতেন তাহলে তোমরা অবশ্যই সাহস হারিয়ে ফেলতে আর যুদ্ধের বিষয় নিয়ে অবশ্যইঝগড়া শুরু করে দিতে। কিন্তু আল্লাহ্ই তোমাদেরকে রক্ষা করেছিলেন, অন্তরে যা আছে সে সম্পর্কে তিনি খুবই ভালভাবে অবহিত।
— Taisirul Quran
আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নযোগে ওদের সংখ্যা অল্প দেখিয়েছিলেন, যদি তোমাকে তাদের সংখ্যা অধিক দেখাতেন তাহলে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলতে এবং যুদ্ধ সম্পর্কে তোমাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হত, কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। অন্তরে যা কিছু আছে সে সম্পর্কে তিনি সবিশেষ অবহিত।
— Sheikh Mujibur Rahman
যখন আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নের মধ্যে তাদেরকে স্বল্প সংখ্যায় দেখিয়েছিলেন। আর তোমাকে যদি তিনি তাদেরকে বেশি সংখ্যায় দেখাতেন, তাহলে অবশ্যই তোমরা সাহসহারা হয়ে পড়তে এবং বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করতে। কিন্তু আল্লাহ নিরাপত্তা দিয়েছেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি সে সব বিষয়ে অবগত।
— Rawai Al-bayan
স্মরণ করুন, যখন আল্লাহ্ আপনাকে স্বপ্নে দেখিয়েছিলেন যে, তারা সংখ্যায় কম [১]; যদি আপনাকে দেখাতেন যে, তারা সংখ্যায় বেশি তবে অবশ্যই তোমরা সাহস হারাতে এবং যুদ্ধ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে। কিন্তু আল্লাহ্ তোমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আবশ্যই তিনি অন্তরে যা আছে সে সম্বন্ধে সবিশেষে অবগত।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria
[Remember, O Muḥammad], when Allah showed them to you in your dream as few; and if He had shown them to you as many, you [believers] would have lost courage and would have disputed in the matter [of whether to fight], but Allah saved [you from that]. Indeed, He is Knowing of that within the breasts.
— Saheeh International
( কোরআনঃ সূরা আনফাল আয়াত ৪৩ )
তাফসীর গ্রন্থে প্রেক্ষাপটের বিবরণ
এবারে আসুন তাফসীরে ইবনে কাসীর থেকে এই আয়াতটির অনুবাদ এবং প্রেক্ষাপট জেনে নিই। লক্ষ্য করুন, তাফসীরে খুব পরিষ্কারভাবেই বলা হচ্ছে, আল্লাহ পাক ইচ্ছাকৃতভাবেই নবী ও তার সাহাবীদের মিথ্যা বলেছিলেন [2] –
৪৩. স্মরণ কর সেই সময়টির কথা যখন আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নে দেখাইয়া ছিলেন যে, তাহারা সংখ্যায় স্বল্প, যদি তোমাকে দেখাইতেন যে, তাহারা সংখ্যায় অধিক তবে তোমরা সাহস পাইতে না এবং যুদ্ধের ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করিতে। কিন্তু আল্লাহ তোমাদিগের রক্ষা করিয়াছেন। তিনি তো অন্তরের বিষয় সম্পর্কে ভালভাবে ওয়াকিফহাল।
৪৪. স্মরণ কর, তোমরা যখন পরস্পরের সম্মুখীন হইয়াছিলে তখন তিনি তাহাদিগকে তোমাদিগের দৃষ্টিতে সল্প সংখ্যক দেখাইয়াছিলেন, যাহা ঘটিবার ছিল তাহা সম্পন্ন করিবার জন্য। সমস্ত বিষয় আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হয়।
তাফসীর : মুজাহিদ বলেন, আল্লাহ পাক মহানবী (সা)-কে স্বপ্নে উহাদের সংখ্যা কম দেখাইয়া ছিলেন। অতঃপর মহানবী (সা) তাঁহার সাহাবাগণকেও ইহা অবহিত করিয়া ছিলেন। সুতরাং উহাদের কাছে ইহাই প্রতীয়মান হইয়াছে। ইবন ইসহাক(র) সহ অনেক লোকই এইরূপ অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন। ইবন জারীর (র) উহাদের কোন কোন লোক হইতে বর্ণনা করেন যে, যেরূপ স্বপ্নে দেখা গিয়াছে ময়দানেও অনুরূপ পরিদৃষ্ট হইয়াছে।
ইবন আবূ হাতিম (র) বর্ণনা বলেন : আমাদের নিকট আমার পিতা …. হাসান (র) হইতে … আয়াতাংশ প্রসঙ্গে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। হাসান বলেনঃ চাক্ষুস কম দেখান হইয়াছে। এই কথা অত্যন্ত দুর্বল ও গরীব। আয়াতে যখন পরিষ্কাররূপে শব্দ (স্বপ্ন) ব্যবহার হইয়াছে তখন দলীল ও যুক্তিহীন ব্যাখ্যার কোন অবকাশ থাকে না।
আলোচ্য … আয়াতের মর্ম হইল, আল্লাহ যদি তোমাদেরকে সংখ্যায় অধিক দেখাইতেন, তবে তোমরা ভীরু হইয়া পড়িতে এবং যুদ্ধ বিষয়ে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে বিরোধ দেখা দিত। কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে উহাদের সংখ্যায় স্বল্পতা দেখাইয়া তোমাদের সাহস বাড়াইয়া তোমাদিগকে রক্ষা করিয়াছেন।
আলোচ্য … আয়াতাংশের তাৎপর্য হইল, আল্লাহ তোমাদের অন্তরে গোপনকৃত এবং বুকের মাঝে রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে পূর্ণরূপেই জ্ঞাত থাকেন। যেমন অন্য এক আয়াতে বলা হইয়াছে, আল্লাহর চক্ষুর গর্হিত কাজ এবং তোমাদের অন্তরের মাঝে গোপনকৃত বিষয় পূর্ণরূপে অবস্থিত রহিয়াছে (৪০: ১৯)।
আলোচ্য … আয়াতাংশের তাৎপর্য হইলঃ আল্লাহ পাক এই আয়াতে তাঁহার নিয়ামতের কথা দ্বিতীয়বার উল্লেখ করিয়াছেন। অর্থাৎ আল্লাহ বলেন: তোমাদেরকে শুধু স্বপ্নেই উহাদের সংখ্যা কম দেখাই নাই। যুদ্ধ ক্ষেত্রে যখন তোমরা পরস্পর মুখোমুখি হইয়া আক্রমণের প্রস্তুতি নিতেছিলে, তখনও আমি উহাদের সংখ্যা তোমাদের দৃষ্টিতে স্বপ্ন দেখাইয়াছি। তখন তোমরা বীরবিক্রমে দোয়া পড়িয়া উহাদিগকে পর্যুদন্ত করিয়াছিলে।
আবু ইসহাক সুবাই(র) ইবন মাসুদ (রা) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ বদরের যুদ্ধের সময় উহাদিগকে সংখ্যায় কম দেখিয়াছি। শেষ পর্যন্ত আমি আমার পার্শ্বের এক লোককে বলিলাম, তুমি কি উহাদের সংখ্যা সত্তরজন দেখিয়াছ? এমনকি উহাদের এক লোককে বন্দী করিয়া উহাদের সংখ্যা জিজ্ঞেস করিলে সে উত্তর করিল আমাদের সংখ্যা এক হাজার।
আবারে আসুন তাফসীরে জালালাইন থেকে পড়ি [3] –
৪৩. স্মরণ কর আল্লাহ তোমাকে নিদ্রায় স্বপ্নে তাদেরকে সংখ্যায় অল্প দেখয়েছিলেন। আর তদনুসারে তুমি তোমার সাহাবীদের এই সংবাদ প্রদান করলে তারা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল। আর তাদেরকে যদি অধিক করে তোমাকে দেখাইতেন তবে তোমরা হতবল হয়ে যেতে সাহস হারিয়ে ফেলতে এবং যুদ্ধ বিষয়ে বিরোধ করতে, বিবাদ করতে। কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে সাহসহারা ও বিবাদ করা হতে রক্ষা করেছেন এবং বক্ষে যা আছে অর্থাৎ অন্তরে যা আছে সে সম্বন্ধে তিনি সবিশেষ অবহিত ।
৪৩ ও ৪৪ তম আয়াতে প্রকৃতির এক অপূর্ব বিস্ময় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা বদর যুদ্ধের ময়দানে এই উদ্দেশ্যে কার্যকর করা হয়, যাতে উভয় বাহিনীর কোনো একটিও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে গিয়ে যুদ্ধের অনুষ্ঠানকেই না শেষ করে দেয়। কারণ, এ যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে বস্তুগত দিক দিয়েও ইসলামের সত্যতার বিকাশ ঘটানো ছিল নির্ধারিত।
বস্তুত প্রকৃতির সে বিস্ময়টি ছিল এই যে, কাফের বাহিনী যদিও তিন গুণ বেশি ছিল, কিন্তু আল্লাহ তা’আলা শুধুমাত্র স্বীয় পরিপূর্ণ ক্ষমা ও কুদরতবলে তাদের সংখ্যাকে মুসলমানদের চোখে কম করে দেখিয়েছেন, যাতে মুসলমানদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা ও বিরোধ সৃষ্টি হয়ে না যায়। আর এ ঘটনাটি ঘটে দু’বার। একবার মহানবীকে স্বপ্নযোগে দেখানো হয় এবং তিনি বিষয়টি মুসলমানদের কাছে বলেন। তাতে তাদের মনোবল বেড়ে যায়। আর দ্বিতীয়বার ঠিক যুদ্ধক্ষেত্রে যখন উভয় পক্ষ সামনা-সামনি হয়, তখন মুসলমানদেরকে কাফেরদের সংখ্যা কম করে দেখানো হয়। সুতরাং ৪৩ তম আয়াতে স্বপ্নের ঘটনা এবং ৪৪ তম আয়াতে প্রত্যক্ষ জাগ্রত অবস্থার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
দেখুন আল্লাহ কি প্রতারণা বা কৌশল করেন?
ইসলামের বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহ পাক হচ্ছেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। চালাকি করা, ধূর্ততা বা প্রতারণার আশ্রয় নেয়া, এসব আমাদের মত সাধারণ মানুষের সাধারণ কাজ হতে পারে। কিন্তু সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক কেন এই ধরণের কাজ করতে যাবেন, তা এক অবাক করার মত বিষয়। যার কাছে সর্বময় ক্ষমতা, যিনি হুকুম দিলে মহাবিশ্ব গ্রহ নক্ষত্র নিমিষের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে যায়, তিনি মানুষের কৌশল দেখে পাল্টাপাল্টি কৌশল করছেন, বিষয়টি আল্লাহর সর্বময় ক্ষমতার ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। যেন দুই পাড়ার দুই মাস্তানের যুদ্ধ, যেখানে দুইজনই একজন আরেকজনকে পরাজিত করতে প্রতারণা করছে!
সূরা আল-ইমরানের ৫৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সম্পর্কে الماكرين শব্দটি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আল্লাহ সবচেয়ে বড় প্রতারক বা ধূর্ত। আপনারা চাইলে এই শব্দটির অনুবাদ বিভিন্ন ডিকশনারিতে খুঁজে দেখুন, এটির অর্থ হচ্ছে প্রতারক বা ধূর্ততার সাথে যে কৌশল করে বা কুটকৌশলী। কিন্তু এই আয়াতটির বাঙলা অনুবাদে ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহকে মোলায়েম করে কৌশলী বলা হয়েছে [4] –
আরবীঃ ومكروا ومكر الله والله خير الماكرين
এবং তারা কৌশল করেছিল এবং আল্লাহ্ও (জবাবে) কৌশল করেছিলেন, আল্লাহ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ।
— Taisirul Quran
আর তারা (কাফিরেরা) ষড়যন্ত্র করেছিল ও আল্লাহও কৌশল করলেন এবং আল্লাহ শ্রেষ্ঠতম কৌশলী।
— Sheikh Mujibur Rahman
আর তারা কুটকৌশল করেছে এবং আল্লাহ কৌশল করেছেন। আর আল্লাহ উত্তম কৌশলকারী।
— Rawai Al-bayan
আর তারা কুটকৌশল করেছিল, আল্লাহ্ও কৌশল করেছিলেন; আর আল্লাহ্ শ্রেষ্ঠতম কৌশলী [১]।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria
And they [i.e., the disbelievers] planned, but Allah planned. And Allah is the best of planners.
— Saheeh International
( কোরআনঃ সূরা আল-ইমরান আয়াত ৫৪ )
এবারে আসুন আরো কয়েকটি আয়াত পড়ি [5] [6] [7] –
স্মরণ কর, সেই সময়ের কথা যখন কাফিরগণ তোমাকে বন্দী করার কিংবা হত্যা করার কিংবা দেশ থেকে বের করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে। তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহও কৌশল করেন। আল্লাহই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।
— Taisirul Quran
আর স্মরণ কর, যখন কাফিরেরা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, তোমাকে বন্দী করবে অথবা হত্যা করবে কিংবা নির্বাসিত করবে। তারাও ষড়যন্ত্র করতে থাকুক এবং আল্লাহও (স্বীয় নাবীকে বাঁচানোর) কৌশল করতে থাকেন, আল্লাহ হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ কৌশলী।
— Sheikh Mujibur Rahman
আর যখন কাফিররা তোমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছিল, তোমাকে বন্দী করতে অথবা তোমাকে হত্যা করতে কিংবা তোমাকে বের করে দিতে। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও ষড়যন্ত্র করেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে উত্তম।
— Rawai Al-bayan
আর স্মরণ করুন, যখন কাফেররা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনাকে বন্দী করার জন্য, বা হত্য করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও (তাদের ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে) ষড়যন্ত্র করেন; আর আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী [১]।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria
And [remember, O Muḥammad], when those who disbelieved plotted against you to restrain you or kill you or evict you [from Makkah]. But they plan, and Allah plans. And Allah is the best of planners.
— Saheeh International
( কোরআনঃ সূরা আনফাল আয়াত ৩০ )
তারা কি আল্লাহর কৌশল থেকে নির্ভয় হয়ে গেছে? নিশ্চিত ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় ছাড়া আল্লাহর কৌশল হতে কেউ নির্ভয় হতে পারে না।
— Taisirul Quran
তারা কি আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিরাপদ হয়ে গেছে ? সর্বনাশগ্রস্থ সম্প্রদায় ছাড়া আল্লাহর পাকড়াও থেকে কেহই নি:শঙ্ক হতে পারেনা।
— Sheikh Mujibur Rahman
তারা কি আল্লাহর কৌশল থেকে নিরাপদ হয়ে গিয়েছে? বস্তুত ক্ষতিগ্রস্ত কওম ছাড়া আল্লাহর কৌশল থেকে আর কেউ (নিজদেরকে) নিরাপদ মনে করে না।
— Rawai Al-bayan
তারা কি আল্লাহর কৌশল থেকেও নিরাপদ হয়ে গেছে? বস্তুত ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় ছাড়া কেউই আল্লাহর কৌশলকে নিরাপদ মনে করে না [১]।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria
Then, did they feel secure from the plan of Allah? But no one feels secure from the plan of Allah except the losing people.
— Saheeh International
( কোরআনঃ সূরা আনফাল আয়াত ৯৯ )
দুঃখ কষ্ট মানুষকে স্পর্শ করার পর আমি যখন তাদেরকে অনুগ্রহ আস্বাদন করতে দেই, তখন তারা আমার নিদর্শনগুলোর ব্যাপারে কুট কৌশলের আশ্রয় নেয়। বল, ‘কৌশল গ্রহণে আল্লাহ হলেন ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন, তোমরা যে সব কূটচাল গ্রহণ কর আমার ফেরেশতাগণ তা লিপিবদ্ধ করে রাখে।’
— Taisirul Quran
আর যখন আমি মানুষকে কোন নি‘আমাতের স্বাদ উপভোগ করাই তাদের উপর কোন বিপদ পতিত হওয়ার পর, তখনই তারা আমার আয়াতসমূহ সম্বন্ধে দুরভিসন্ধি করতে থাকে। তুমি বলে দাওঃ আল্লাহ অতি দ্রুত কলাকৌশল তৈরী করতে পারেন। নিশ্চয়ই আমার মালাইকা/ফেরেশতাগণ তোমাদের সকল দুরভিসন্ধি লিপিবদ্ধ করছে।
— Sheikh Mujibur Rahman
আর যখন আমি মানুষকে দুঃখ-দুর্দশা স্পর্শ করার পর রহমতের স্বাদ আস্বাদন করাই, তখন তারা আমার আয়াতসমূহের ব্যাপারে কূট-কৌশলের আশ্রয় নেয়। বল, ‘আল্লাহ কৌশলকারী হিসেবে অধিক দ্রুত’। নিশ্চয় আমার ফেরেশতারা তোমাদের কুট-কৌশল লিখে রাখে।
— Rawai Al-bayan
আর দুঃখ দৈন্য তাদেরকে স্পর্শ করার পর যখন আমরা মানুষকে অনুগ্রহের আস্বাদন করাই তারা তখনই আমাদের আয়াতসমূহের বিরুদ্ধে অপকৌশল করে [১]। বলুন, ‘আল্লাহ্ কৌশল অবলম্বনে আরো বেশি দ্রুততর [২]।‘ নিশ্চয় তোমরা যে অপকৌশল কর তা আমাদের ফিরিশতারা লিখে রাখে।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria
And when We give the people a taste of mercy after adversity has touched them, at once they conspire against Our verses. Say, “Allah is swifter in strategy.” Indeed, Our messengers [i.e., angels] record that which you conspire.
— Saheeh International
( কোরআনঃ সূরা ইউনুস আয়াত ২১ )
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ