রাষ্ট্রীয় পণ্ডিত ব্রহ্মদত্ত জিজ্ঞাসু ছিলেন সংস্কৃত তথা বৈদিক সাহিত্যের শিক্ষক। জন্ম ১৮৮২ সালের ১৪'ই অক্টোবর জলন্ধর জেলার মল্লুপোতা গ্রামে। তার আসল নাম ছিল 'লভুরাম' তাঁর গুরু [ স্বামী পূর্ণানন্দ সরস্বতী জি ] তাঁকে 'ব্রহ্মদত্ত'নাম দিয়ে ছিলেন। পিতার নাম রণদাস সারস্বত পাঠক এবং মাতার নাম শ্রীমতি পরমেশ্বরী দেবী। নয় বছর বয়সে তার বাবা-মা মারা যান। তিনি পাণিনির অষ্টাধ্যায়িকের উপর ভিত্তি করে সংস্কৃত শিক্ষার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছিলেন। পণ্ডিত স্বামী পূর্ণানন্দের কাছে তিনি সংস্কৃত অধ্যয়ন করেন। ব্যাকরণে উদ্ভূত হওয়ার পর, তিনি স্বামী সর্বদানন্দের প্রতিষ্ঠিত সাধু আশ্রম হরদুয়াগঞ্জে ১৯২০ সাল থেকে আর্ষ গ্রন্থ অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯৩২ সালের জানুয়ারিতে, জিজ্ঞাসু জী মীমাংসা দর্শনের বিশেষ অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে কাশীতে আসেন। এখানে তিনি মহামহোপাধ্যায় পন্ডিত চিন্নাস্বামী শাস্ত্রীর কাছে গুরুত্ব সহকারে দর্শন অধ্যয়ন করেন। ১৯৩৫ সালে, তিনি কাশী থেকে লাহোরে চলে আসেন এবং রাবির তীরে শাহাদরে ছাত্রদের অষ্টাধ্যায়ি, মহাভাষ্য, নিরুক্ত, বেদ, দর্শন ইত্যাদি পড়াতে থাকেন। দেশ বিভাগের পর জিগ্যাসু কাশীতে আসেন এবং মতিঝিল আজমতগড় প্রাসাদে পাণিনি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আগের মতোই তিনি এখানে সংস্কৃত ব্যাকরণ ও অন্যান্য বিদ্যা পড়াতে শুরু করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে সংস্কৃত পণ্ডিত হিসেবে সম্মানিত করেন। তিনি ২২ ডিসেম্বর ১৯৬৪ বারাণসীতে মারা যান।
তাঁর লেখন ও রচনাঃ
📘জিজ্ঞাসু জী স্বামী দয়ানন্দ জীর যজুর্বেদ ভাষ্যের প্রথম ১৫টি অধ্যায়ে একটি বিস্তৃত বিবরণ লিখেছেন। বিবরণকার দয়ানন্দ জীর ভাষ্যের বিস্তারিত ভাষ্য লিখেছেন তথা ভাষ্যে প্রযুক্ত সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণ বিষয়ক তথাকথিত অপপ্রয়োগের সাধুতা সিদ্ধ করেন। বিবরণের বিশদ ভূমিকায় বেদজ্ঞানের স্বরূপ, বেদ এবং বেদের শাখা, দেবতা বাদ, ছন্দোমীমাংসা, ধাতুর আনেকার্থত্ত্ব তথা যৌগিক বাদ, বেদার্থের বিবিধ প্রক্রিয়া আদি মহত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেছেন।
📘বেদার্থ প্রক্রিয়ার মুলভুত সিদ্ধান্ত (১৯৪৫)
📙বেদ এবং নিরুক্ত- এই প্রবন্ধটি প্রথম আর্য বিদ্বত্ সন্মেলনে (১৯৩২) পঠিত হয়েছিলো। পরে ১৯৩৩ সালে ওরিয়েন্টাল কলেজ, লাহোরের গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।
📗নিরুক্তকার এবং বেদে ইতিহাস ১৯৪৫ সালে প্রকাশিত হয়।
📘দেবাপি এবং শান্তনুর বৈদিক আখ্যানের বাস্তবিক স্বরূপ (২০০৩ বিক্রম)
📕অষ্টাধ্যায়ী ভাষা প্রথমাবৃত্তি,বাকি তিনটি অধ্যায়ের টীকা লিখেছেন তাঁর স্ত্রী কুমারী প্রজ্ঞা দেবী।
📗লেখক অনেক গ্রন্থে অষ্টাধ্যায়ীর মাধ্যমে সংস্কৃত শেখার সহজ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (১৯৫৫)
গ্রন্থসমূহঃ
📙ভারতের সকল রোগের অদম্য প্রতিকার - ঋষি প্রণালী (১৯৫৯),
📘গোরখপুর তথা মিরাটে অনুষ্ঠিত বৈদিক সম্মেলনের অধ্যক্ষীয় ভাষণ (১৯৫৯ এবং ১৯৫১)।
📗সংস্কৃত পঠন-পাঠন কে অনুভুত সরলতম বিধি, ভাগ-১
📘সংস্কৃত পঠন-পাঠন কে অনুভুত সরলতম বিধি, ভাগ-২
📗অষ্টাধ্যায়ী ভাষ্য (তিন ভাগে)
📘যজুর্বেদ ভাষা বিবর্ণ (দুই ভাগে)
📗সন্ধ্যোপাসনা
📙বেদ বেদার্থ বিবেচন
📗যজুর্বেদভাষ্য বিবরণ কী ভুমিকা
📙উপদ্ঘাত ভূমিকা
📗উপদ্ঘাত (কাশিকা)
📙প্রথমবৃত্তি ভূমিকা
📗প্রথমবৃত্তি প্রাকথন
📙সরলতমবিধি ভূমিকা
📗আর্যবিভিনয় ভূমিকা
📙সন্ধ্যোপসনাবিধি
📙বেদ সম্মেলন, লাহোর
📗আর্য বিদ্বত সম্মেলন, কলকাতা
📙বেদ সম্মেলন, খুরজা
📗বেদ সম্মেলন, মিরাট
📙বেদবাণী মে নিবন্ধ
📗সায়নাচার্যের বেদার্থ
📙মহর্ষি দয়ানন্দের ভাষ্যের বৈশিষ্ট্য
📗বেদ কা প্রাদূর্ভাব
📙ঋষি দয়ানন্দের বেদের ভাষ্য সম্পর্কে আমার ধারণা
📗ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকাশিত যজুর্বেদ ভাষা বিভারণ এবং পরোপকারিণী সভা
📙ভারত কী অপূর্ব সম্পত্তি বেদ
📗বেদার্থ কা মহান পুনরূদ্ধারক ঋষি দয়ানন্দ
📙বেদমন্ত্র কা বিনিয়োগ
📘সায়নের বেদার্থ
📗বেদার্থ প্রক্রিয়ার মূলভূত সিদ্ধান্ত।
📘রিসর্চ(খোঁজ) বিষয়ে পশ্চিমাদের গভীর বিস্মৃতি, ওয়েবার এবং ক্যালেডের প্রামাণিকতার পরীক্ষণ।
📗নিরুক্ত বিষয়ে পাক্ষত্য মতবাদের মৌলিক ভুল বা অনধিকার চেষ্টা
📘যাস্ক এবং দেবতাবাদ
📗বেদ কা স্বরূপ, এক আবশ্যক অৌর গম্ভীর বিচারণীয় বিষয়
📘বেদ কা অনুসন্ধান
📗বেদার্থ কী মুল ভিত্তি
📙সংস্কৃত কা প্রসার তথা ব্যাপক জ্ঞান কৈসে হী ?
📘বেদবাণী মে অগ্রলেখ
📙বেদ এবং ঈশ্বরের মধ্যে সম্পর্ক
📗সংস্কারবিধির আক্ষেপের ওপর আমার ব্যক্তব্য
📘আমার সম্পাদনা
📗মহর্ষি দয়ানন্দের বেদভাষ্যের স্থিতি
📙বেদের ছন্দ
📘বেদ অৌর উসকী শাখায়ে
📙মেরা নিবেদন
📗সংস্কারবিধি কে বিবাহপ্রকরণস্থ মন্ত্র পর বিচার
📙বেদে ইতিহাস
📘বেদের প্রাদূর্ভাব
📗ঋষিরা সরল বেদার্থ বা বেদভাষ্য করেননি কেন?
📙বৈদিক ছন্দোবদ
📘মাননীয় টঁডন জীর বিজয়
📗অজ্ঞানী ভারত
📙বেদবাণীর সপ্তম বর্ষ
📘পাক্ষাত্য মত পরীক্ষণক কা উপক্রম
📗কাশ্মীর সমস্যার আড়ালে ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ষড়যন্ত্র
📗ভারতের শত্রু ইংল্যান্ড ও আমেরিকা নগ্ন হয়ে গেল
📙ন্যায়ের নীতিই প্রকৃত নীতি
📘বেদ কা সাময়িক আদেশ
📗অন্যত্র প্রকাশিত লেখ নিবন্ধ
📙আর্য সমাজের ইতিহাস' দুটি ভাগে
📘বেদ কে দেবতা
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ