ইসকন ও প্রভুপাদ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

27 October, 2022

ইসকন ও প্রভুপাদ

 

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর লিঙ্গের দৈর্ঘ্য

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বিষয়ে: ইস্কনের যুগান্তকারী গবেষণা
বৈদিকরা শ্রীকৃষ্ণ ও চৈতন্য মহাপ্রভুকে ঈশ্বর বলে স্বীকার করেন না কিন্তু তাই বলে অসম্মানও করেন না।
গৌড়ীয় ইস্কনি বৈষ্ণবরা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর বলে স্বীকার করেন অথচ শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্কে লাম্পট্য কাহিনীর প্রচার করেন আর ইদানিং ইস্কনিরা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর লিঙ্গের মাপ নিয়ে গবেষণা করছেন!!
♦প্রমাণ দেখুন:------
♦প্রশ্ন 33:- কে আরাধ্য মহাপুরুষ?
♦ইস্কনের উত্তর : জ্যোতিষ বিজ্ঞানের অন্যতম শাখা সামুদ্রিক শাস্ত্রের তৃতীয় শ্লোকে মহাপুরুষের 32টি লক্ষণের কথা বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
পঞ্চদীর্ঘঃ পঞ্চসূক্ষ্ম সপ্তরক্তঃ ষড়ুন্নতঃ। ত্রিহ্রস্ব-পৃথু-গম্ভীরো দ্বাত্রিংশল্লক্ষণো মহান ॥
পাঁচটি অঙ্গ (নাক, বাহু, চিবুক, চক্ষু, জানু) দীর্ঘ,
পাঁচটি অঙ্গ (ত্বক, কেশ, অঙ্গুলিপর্ব, দাঁত, রোম) সূক্ষ্ম,
সাতটি অঙ্গ (চক্ষু, পদতল, করতল, মুখের তালু, অধর ওষ্ঠ ও নখ) রক্তিম, ছয়টি অঙ্গ (বক্ষ, স্কন্ধ, নখ, নাসিকা, কোমর, মুখ) উন্নত,
তিনটি অঙ্গ (গ্রীবা, জঙ্ঘা, ♦মেহন বা লিঙ্গ) হ্রস্ব বা খর্বাকৃতি♦,
তিনটি অঙ্গ (কটিদেশ, ললাট ও বক্ষ) বিস্তীর্ণ বা চওড়া, তিনটি অঙ্গ (নাভি, স্বর, সত্ব) গম্ভীর।
যিনি এই বত্রিশটি লক্ষণযুক্ত, তিনিই মহাপুরুষ। যে কোনও ব্যক্তিই মহাপুরুষরূপে বিবেচ্য হন না। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর এই সমস্ত লক্ষণ ছিল।
♦গ্ৰন্থসূত্র:----
প্রশ্ন করুন উত্তর পাবেন(প্রথম খণ্ড)
কলিযুগের অবতার ,
পৃষ্ঠা_691
লেখক _শ্রীসনাতনগোপাল দাস ব্রহ্মচারী।
প্রকাশক_ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট, ইস্কন।
সংস্করণ_2006
♦ বিশ্লেষণ _এখানে জ্যোতিষ গ্ৰন্থের প্রমাণ দিয়ে স্পষ্টরূপে বলা হয়েছে যে, মহাপুরুষদের,মেহন বা লিঙ্গ,গ্ৰীবা বা ঘাড় ও জঙ্ঘা বা পায়ের অংশ হ্রস্ব বা খর্ব বা ছোট হয়!
অর্থাৎ, বৈষ্ণবদের মতে,সনাতন ধর্মের সমস্ত মহাপুরুষ বলে খ্যাত ব্যক্তিদের লিঙ্গ ছোট!!
এবং, যেহেতু বলা হয়েছে যে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মধ্যে মহাপুরুষের 32টি লক্ষণই বিদ্যমান ছিল তাই দর্শন শাস্ত্রের অবরোহী পদ্ধতি বা Deductive Method অনুযায়ী,
সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে,
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর লিঙ্গের আকৃতি ক্ষুদ্র বা ছোট ছিল!
ইস্কনী বৈষ্ণবরা যে কতবড় ইতর মানসিকতা সম্পন্ন তার প্রমাণ তাদের দ্বারা লিখিত এই সমস্ত বইগুলো!
শ্রীকৃষ্ণ'কে সারা পৃথিবীর সামনে,লম্পট, বহুগামী,জার-শিরোমণি(অন্যের বৌদের সাথে যৌনলীলায় যিনি শ্রেষ্ঠ )বলে প্রচার করা,
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর লিঙ্গ ছোট বলে প্রচার করা,এই সমস্ত হীন কার্যগুলো কি ইস্কনের সনাতন ধর্ম প্রচারের নমুনা?!!
দ্বিতীয়তঃ,মূর্খ বৈষ্ণবরা হাত দেখা মিথ্যা জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন এবং একে বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেন।
জ্যোতির্বিদ্যা বা Astronomy হল বিজ্ঞান কিন্তু জ্যোতিষ বিদ্যা বা Astrology হল লোক ঠকানোর দর্শন।
বেদাঙ্গের একটা অঙ্গ হল,জ্যোতিষ।
জ্যোতিষ বলতে,বেদাঙ্গ অনুযায়ী জ্যোতির্বিদ্যা বা Astronomy'কেই বোঝায় ভ্রান্ত Astrology'কে নয়।
সুতরাং,এই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন,বেদ বিরোধী নাস্তিক, মহাপুরুষদের লিঙ্গের মাপ নেওয়ার মত ইতর কার্যের জনক,এই সমস্ত প্রতারক, পরজীবী রক্তচোষা বৈষ্ণবদের পদাঘাত করে জীবন থেকে দূর করে দিন।

শ্রীকৃষ্ণ হলেন আল্লাহ:ইস্কন
♦প্রশ্ন-1:-ভগবান এক। আল্লাহ্ সে-ই একজনই।মুসলমানেরা তো এত মূর্তি তৈরী করে না। কিন্তু হিন্দু সমাজে বিভিন্ন মূর্তি তৈরী করে পূজা করা হয় কেন?মনে মনে ভগবানের পূজা করলেই তো হয়?
•ইস্কনের উত্তর:-ভগবান বা আল্লাহ্ মাত্র একজনই। তিনি হচ্ছেন পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ।
হিন্দুরা যে পরমেশ্বর ভগবানকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি পূজা করছেন,দেব-দেবী ও ভগবানকে "এক" বলে মনে করছেন, তা অশাস্ত্রীয় আচরণ করছেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
দেব-দেবীদের ভগবান বলা, হিন্দুদের বোকামি‌।
একলা কৃষ্ণ ঈশ্বর আর সমস্ত দেব-দেবীরা শ্রীকৃষ্ণের ভৃত্য বা চাকর।
♦প্রশ্ন-10:- আল্লাহ ও কৃষ্ণ কি একই?
•ইস্কনের উত্তর:- পরমেশ্বর ভগবান একই। হিন্দুরা তাঁকে কৃষ্ণ, মুসলমানেরা তাঁকে আল্লাহ বলেন। কিন্তু ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বিশাল পার্থক্য-- কৃষ্ণ সচ্চিদানন্দময় পরম সুন্দর রূপ সম্পন্ন, কিন্তু আল্লাহ নিরাকার। নিরাকার আল্লাহের উপাসনার অপেক্ষা সাকার ভগবানের উপাসনা অনেক শ্রেয়ঃ বলে বৈদিক শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোরআন শাস্ত্রেও আল্লার দুই উদার হস্ত ঊর্ধ্ব দিকে প্রসারিত বলে বর্ণিত হয়েছে। আর, শ্রীচৈতন্য
চরিতামৃতেও বর্ণনা রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের ঔদার্য রূপ, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর দুই হস্ত ঊর্ধ্ব দিকে প্রসারিত।
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ।
♦অর্থাৎ, ইস্কনের মতে, কোরআন শরীফ হল শাস্ত্র!
আল্লাহ্=শ্রীকৃষ্ণ=চৈতন্য মহাপ্রভু।
চৈতন্য মহাপ্রভু=স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ!(গৌড়ীয় মূর্খ বৈষ্ণবরা ছাড়া এটা অন্য বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলো মানেন না।)
(ইস্কনের মূর্খ প্রভুরা, বৈদিক শাস্ত্র বলতে বৈষ্ণবীয় পুরাণগুলো ও বৈষ্ণবীয় গ্ৰন্থ ও জাল উপনিষদগুলোই বোঝেন!!)
গ্ৰন্থসূত্র:----
প্রশ্ন করুন উত্তর পাবেন,(প্রথম খণ্ড)
নিরাকার ও সাকার ভগবানের উপাসনা ,
পৃষ্ঠা_231-232(প্রশ্ন:1)
পৃষ্ঠা_236(প্রশ্ন:10)
লেখক _শ্রীসনাতনগোপাল দাস ব্রহ্মচারী।
প্রকাশক_ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট, ইস্কন।
সংস্করণ_2006
♦ বিশ্লেষণ _ইস্কন নিজেই একটি , বেদ বিরোধী মূর্খদের সংগঠন। কিন্তু, তাঁরা আবার নিজেরাই অন্য হিন্দুদের মূর্খ ও অশাস্ত্রীয় বলে দাবী করছেন!
এর চেয়ে হাস্যকর বিষয় আর কি হতে পারে?!
বৈষ্ণবদের লিখিত গ্ৰন্থ ও পুরাণ ছাড়া অন্য কোনো পুরাণে লেখা নেই যে, শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর আর অন্য দেবতারা শ্রীকৃষ্ণের চাকর-বাকর!
শৈব পুরাণে,শিব স্বয়ং ঈশ্বর।
দেবী পুরাণে,দেবী স্বয়ং ঈশ্বর।
দক্ষিণের বৈষ্ণবদের মতে,বিষ্ণু স্বয়ং ঈশ্বর আর শ্রীকৃষ্ণ বিষ্ণুর সামান্য অংশ মাত্র!!
♦শ্রীকৃষ্ণই স্বয়ং আল্লাহ এইসব প্রচার করে, শ্রীকৃষ্ণকে আর কতটা নীচে নামাবে,ইস্কন?!!


ইস্কন কি সতীদাহ প্রথার সমর্থনকারী: একটি সমীক্ষা
♦প্রশ্ন 139:বেদ অভ্রান্ত।"সতীদাহ" প্রথা বেদে রয়েছে।আপনারা সেই প্রথা অনুমোদন করেন কিনা?
ইস্কনের উত্তর:--বৈদিক সতীদাহ প্রথা আমরা ভ্রান্ত বলে মনে করি না।
পতির চিতায় সতী নিজ ইচ্ছায় আত্মবিসর্জন দিলে, বড় জোর,
পতির যে লোকে গতি সেখানে সতীর গতি হবে।
ধর্মপ্রাণ পতি না হলে পতির সঙ্গে নরকেও পতিত হতে হবে। কিন্তু পতি নরকে গেলেও পৃথিবীতে পত্নী যদি কৃষ্ণভজনে আত্মোৎসর্গ করেন তবে পতিকেও নরক থেকে উদ্ধার করতে পারেন।
গ্ৰন্থসূত্র:----
প্রশ্ন করুন উত্তর পাবেন,(প্রথম খণ্ড)
আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি,
পৃষ্ঠা_333-334
লেখক _শ্রীসনাতনগোপাল দাস ব্রহ্মচারী।
প্রকাশক_ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট, ইস্কন।
সংস্করণ_2006
♦ প্রশ্ন 100: কৃষ্ণভাবনাময় পরিবারে কোন সাধ্বী পত্নী যদি তাঁর মৃত পতির চিতায় সহমরণে যেতে চান,তবে কোনও বিপদের ঝুঁকি আছে কিনা?
ইস্কনের উত্তর:-সতী সাধ্বী স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় তার ধর্মপ্রান এবং শুদ্ধ
কৃষ্ণভক্ত স্বামীর সহগামিনী হতে প্রস্তুত হন, তবে তিনি যথার্থ অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে অবশ্যই সুফল লাভ করবেন সন্দেহ নেই। ভগবদ্ধামে উন্নীত হবেন।
গ্ৰন্থসূত্র:----
প্রশ্ন করুন উত্তর পাবেন,
আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি,
পৃষ্ঠা_305-306
লেখক _শ্রীসনাতনগোপাল দাস ব্রহ্মচারী।
প্রকাশক_ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট, ইস্কন।
সংস্করণ_2006
♦ বিশ্লেষণ:-- প্রথমতঃ, সতীদাহ প্রথা বেদ দ্বারা সমর্থিত নয়।
এইখানে প্রশ্নকর্তা ও উত্তরদাতা শ্রীসনাতন গোপাল দাস ব্রহ্মচারী দুজনেই বেদ জ্ঞানহীন চরম মূর্খ!!
দ্বিতীয়তঃ,স্বেচ্ছায় কেউ যদি চিতায় সহমরণে যেতে চান,তা প্রকারান্তরে আত্মহত্যা।
আর আত্মহত্যা সনাতন ধর্ম সমর্থন করে না।
তৃতীয়তঃ, মৃত্যুর পর সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। সুতরাং, মৃত্যুর পর কেউ কারও বর নয় বা কেউ কারও বৌ নয়।
চতুর্থতঃ, জীবাত্মা নিজের কর্মফল নিজেই ভোগ করে।
বৌ ধর্মপ্রাণা ও সৎ হলেও এতে বরের কোনও লাভ হবে না।
এই সংসারে, যেখানে অপরাধ করলে অপরাধী জেল খাটে কিন্তু অপরাধীর বৌ জেল খাটে না সেখানে ঈশ্বরের বিচার তো আরও সূক্ষ্ম।
কেউ কাউকে মৃত্যুর পর সাহায্য করতে পারেন না কারণ স্বকৃত কর্মফল সবাইকেই ভোগ করতে হবে।
ইস্কন সনাতন ধর্ম বা বৈদিক ধর্মের নামে যে কুসংস্কাররূপ বিষবৃক্ষ রোপণ করছে তা একদিন সনাতন ধর্মের মূলোচ্ছেদ করবে।

হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র: বৈষ্ণবদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার
•হরেকৃষ্ণ মহা-মন্ত্রের নামে, দেখুন আপনাদের সাথে কিভাবে বৈষ্ণবরা প্রতারণা করেন:---
বৈষ্ণবদের যখন প্রশ্ন করা হয়, হরেকৃষ্ণ মন্ত্র আপনারা বেদের কোথায় পেয়েছেন?
প্রতারক বৈষ্ণবরা তখন উত্তর দেন, হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র আমরা পেয়েছি কলি সন্তরণ উপনিষদে।
এখন প্রশ্ন হল,কলি-সন্তরণ কি সত্যিই ঋষিকৃত উপনিষদ বা প্রাচীন উপনিষদ'গুলোর অন্তর্ভুক্ত?
প্রসঙ্গটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা যাক:-----
♦গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের ধর্ম-বাবা হলেন,মধ্বাচার্য।
মধ্বাচার্য হলেন,গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের গুরু পরম্পরার চার নাম্বার গুরু।
( প্রভুপাদ কৃত,শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ বইয়ের,40 নং পৃষ্ঠায়,
গুরু পরম্পরার তালিকায় চার নাম্বারে মধ্বের নাম আছে।)
মধ্বাচার্য,দশটি উপনিষদের ভাষ্য করেছেন।
যথা:- ঈশ,কেন,কঠ,প্রশ্ন,মুন্ডক,মান্ডূক্য,
ঐতরেয়,তৈত্তিরীয়,ছান্দোগ্য ও বৃহদারণ্যক।
তাহলে,বোঝা যাচ্ছে, গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের গুরু বাবা মধ্বাচার্যের সময়ে,কলি সন্তরণ উপনিষদের অস্তিত্ব ছিল না।
♦বৈষ্ণবদের আর একটি শাখা হল,শ্রী সম্প্রদায়।
শ্রী সম্প্রদায়ের একজন প্রখ্যাত আচার্য হলেন,রঙ্গরামানুজ।
রঙ্গরামানুজ দশটি উপনিষদের ভাষ্য করেছেন।
সেখানেও,কলি সন্তরণ উপনিষদের নাম নেই।
বঙ্গীয় সারস্বত গৌড়ীয় মঠ যে দশটি উপনিষদ প্রকাশ করেছেন,
সেখানেও ঈশ উপনিষদের
বলদেব বিদ্যাভূষণের ভাষ্য এবং কেন,কঠ,প্রশ্ন,মুন্ডক,মান্ডূক্য,
ঐতরেয়,তৈত্তিরীয়,শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের রঙ্গরামানুজের ভাষ্য দেওয়া আছে।
♦অর্থাৎ,বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের নিজেদের আচার্যরাই কলি সন্তরণ উপনিষদের অস্তিত্ব অস্বীকার করছেন!!!
♦মধ্বাচার্যের অনেক পূর্বের মানুষ ছিলেন,আদি শঙ্করাচার্য।
শঙ্কর এগারো উপনিষদের ভাষ্য করেছেন বা প্রামাণিক মেনেছেন।
যথা:-ঈশ,কেন,কঠ,প্রশ্ন,মুন্ডক,মান্ডূক্য,ঐতরেয়,তৈত্তিরীয়,শ্বেতাশ্বতর,
ছান্দোগ্য ও বৃহদারণ্যক।
♦তাহলে,মধ্বাচার্য,রঙ্গরামানুজ ও শঙ্করের কৃত উপনিষদের ভাষ্য থেকে প্রমাণিত হয় যে,
কলি সন্তরণ উপনিষদের মধ্যেই পড়ে না।
সুতরাং,কলি সন্তরণ নামক পুরোপুরি ভেজাল বই থেকে প্রমাণ দেওয়া হরেকৃষ্ণ শব্দের কোনো মান্যতা থাকে কিভাবে?!!
♦দ্বিতীয়তঃ, হরেকৃষ্ণ, মহামন্ত্র কিভাবে হয়?
♦বেদের মন্ত্র সংহিতায় বা চারবেদে হরেকৃষ্ণ বলে কোনো মন্ত্রই নেই।
♦ব্রাহ্মণ গ্ৰন্থগুলোতেও হরেকৃষ্ণ বলে কোনো শব্দ নেই।
♦আরণ্যক গ্ৰন্থগুলোতেও হরেকৃষ্ণ বলে কোনো শব্দ নেই।
♦প্রাচীন ও প্রধান স্মৃতি মনু স্মৃতিতে হরেকৃষ্ণ বলে কোনো শব্দ নেই, সেখানে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে বলা হয়েছে।
♦রামায়ণে হরেকৃষ্ণ বলে কোনো শব্দ নেই।
♦মহাভারতেও হরেকৃষ্ণ বলে কোনো শব্দ নেই।
উল্টে মহাভারতে, গায়ত্রী মন্ত্রের মহিমা কীর্তন করা হয়েছে।(মহাভারত_6.43.3)
♦সুতরাং, হরেকৃষ্ণ হরেরাম একটি ফালতু শব্দ যার কোনো শাস্ত্রীয় প্রমাণ নেই।
আপনি যদি শঙ্করাচার্যের পরম্পরা অনুসারে,ব্রাহ্মণ, আরণ্যক উপনিষদকে বেদের অংশ বলেও ভাবেন , সেখান থেকেও হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জাতীয় কিছু দেখাতেই পারবেন না।
♦কোনো মূর্খ বৈষ্ণবের মূর্খতার দ্বারা রচিত এই হরেকৃষ্ণ অন্যান্য বৈষ্ণবরা ভেড়ার পালের ভেড়াদের মত অনুসরণ করে যাচ্ছেন।
♦এইবার মূর্খ বৈষ্ণবরা ধুয়ো তুলবেন যে, চৈতন্য মহাপ্রভু স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন তিনি এই হরেকৃষ্ণ নামের প্রমাণ কলি সন্তরণ উপনিষদ থেকে দেখিয়েছেন ও এই নামের প্রবর্তন করেছেন।
প্রথমতঃ, পূর্বে প্রমাণ করেছি কলি সন্তরণ উপনিষদের মধ্যেই গণ্য হয় না।
দ্বিতীয়তঃ, চৈতন্য মহাপ্রভুর লিখিত কোনো বই নেই।
তৃতীয়তঃ, মহাভারত ও ভাগবত পুরাণের যে প্রমাণ দেখিয়ে আপনারা চৈতন্য মহাপ্রভুর অবতারত্ত্ব বিষয়ে প্রচার করেন, সেই মহাভারত ও ভাগবত পুরাণ থেকেই প্রমাণ হয়, বৈষ্ণবরা কতবড় মিথ্যাবাদী ও
বিকৃতকারী সম্প্রদায়!

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অবতারত্ত্ব খন্ডন♦
বৈষ্ণবদের নয়নের মণি হল,ভাগবত পুরাণ।
ভাগবত পুরাণ নাকি,চারিবেদের সমান গুরুত্ব সম্পন্ন(ভাগবত_12.4.42) এবং অন্যান্য পুরাণের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম (ভাগবত_12.13.16)
ভাগবত পুরাণ ও মহাভারতের শ্লোক থেকে বৈষ্ণবরা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অবতারত্ত্ব প্রমাণের মিথ্যা চেষ্টা করে।
প্রমাণ দেখুন--------
♦ভাগবতের প্রমাণ-----
কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্রপার্ষদম্ ।
যজ্ঞৈঃ সঙ্কীর্তনপ্রায়ৈর্যজন্তি হি সুমেধসঃ ॥ ৩২ ॥
••ভাগবত পুরাণ_স্কন্ধ_11_অধ্যায়_5_শ্লোক_32
প্রকাশক_ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট(ইস্কন)
অনুবাদক_শ্রীল প্রভুপাদ
••অন্বয়_কৃষ্ণ-বর্ণম—কৃষ্-ণ শব্দাংশগুলি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে, ত্বিষা–ঔজ্জ্বল্য সমন্বিত, অকৃষ্ণম্—কৃষ্ণবর্ণ নয় (গৌরবর্ণ), স-ঙ্গঃ—সঙ্গীসাথী সহ; উপ-অঙ্গ—সেবকগণ, অস্ত্র—অস্ত্রশস্ত্র; পার্ষদম্—একান্ত সহচরবৃন্দ; যজ্ঞেঃ—যজ্ঞের মাধ্যমে, সঙ্কীর্তন প্রায়ৈঃ—মূলত সঙ্ঘবদ্ধভাবে সংকীর্তনের দ্বারা; যজন্তি—তাঁরা ভজনা করে; হি- অবশ্যই: সু-মেধসঃ—বুদ্ধিমান মানুষেরা।
•অনুবাদ_কলিযুগে যেসব বুদ্ধিমান মানুষেরা ভগবৎ-আরাধনার উদ্দেশ্যে সঙ্কীর্তন যজ্ঞানুষ্ঠান করেন, তাঁরা অবিরাম শ্রীকৃষ্ণের নামগানের মাধ্যমে ভগবৎ-অবতারের আরাধনা করে থাকেন। যদিও তাঁর দেহ কৃষ্ণবর্ণ নয়, তা হলেও তিনিই স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর সঙ্গে পার্ষদরূপে রয়েছেন তাঁর অন্তরঙ্গ সঙ্গীরা, সেবকগণ, অস্ত্র এবং সহযোগীবৃন্দ।
এই শ্লোকের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রভুপাদ বলেছেন যে,
এই একই শ্লোক শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের আদিলীলা খণ্ড, 3নং অধ্যায়ের 52 নং শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণদাস কবিরাজ কর্তৃক উল্লিখিত হয়েছে।
♦বিশ্লেষণ_শ্রীকৃষ্ণদাস কবিরাজ একজন মূর্খ মানুষ ছিলেন।
কিন্তু,শ্রীল প্রভুপাদ হলেন, শিক্ষিত মূর্খ।
এই শ্লোকটির অন্বয় বা পদের অর্থ দেখুন‌,সেখানে "অকৃষ্ণম্" শব্দটির প্রভুপাদ অনুবাদ করেছেন, 'কৃষ্ণবর্ণ নয়'। কিন্তু,তারপর অতি ধূর্ততার সহিত ব্যাকেটে লিখে দিয়েছেন,'গৌরবর্ণ'।
কৃষ্ণবর্ণ নয় মানেই,গৌর বা ফর্সা হতেই হবে?
বাদামী বর্ণ বা বর্তমানের চলিত ভাষায় শ্যাম বর্ণের হতেও তো পারে!!
প্রভুপাদের মত কৃষ্ণভক্তের এইরকম প্রতারণাপূর্ণ অনুবাদের কারণ কি?!!
তারপর দেখুন বলা হয়েছে,অবতারের সাথে,তাঁর সহযোগীবৃন্দ ও অস্ত্র-শস্ত্র থাকবে‌।
চৈতন্য মহাপ্রভু ও তাঁর সঙ্গী নপুংশক বৈষ্ণবদের হাতে অস্ত্র থাকত না,এটা সবাই জানে।
সুতরাং,ভাগবতের এই শ্লোক দ্বারা, চৈতন্য মহাপ্রভুর অবতারত্ত্ব প্রমাণ হয় না।
♦মহাভারতের প্রমাণ---
ভাগবত পুরাণ একাদশ স্কন্ধের প্রথম ভাগের, চতুর্থ সংস্করণ(2010), এর স্কন্ধ_11_অধ্যায়_5_শ্লোক_32(পৃষ্ঠা- 384 ও 385) এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন যে,শ্রীল জীব গোস্বামী মহাভারতের একটি শ্লোক উদ্ধৃত করে, মহাপ্রভুর অবতারত্ত্ব প্রমাণ করেছেন।
♦শ্লোকটি দেখুন----
সুবর্ণবর্ণো হেমাঙ্গো বরাঙ্গশ্চন্দাঙ্গদী।
সন্ন্যাসকৃচ্ছমঃ শান্তো নিষ্ঠাশান্তিপরায়ণঃ---
অনুবাদ- তাঁর পূর্বলীলায় তিনি গৌরবর্ণ গৃহস্থ রূপে আবির্ভূত হন। তাঁর সুন্দর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং তাঁর চন্দনচর্চিত দেহ গলিত স্বর্ণের মত উজ্জ্বল মনে হত। তাঁর পরবর্তী লীলায় তিনি সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করেন এবং তিনি শান্ত ও নিষ্ঠাবান হয়ে ওঠেন।
♦এবার মহাভারতের প্রকৃত শ্লোক দেখুন,যা কিনা প্রকৃতপক্ষে বিষ্ণুর রূপ ও গুণ বর্ণনা করেছে--------
সুবর্ণবর্ণো হেমাঙ্গো বরাঙ্গশ্চন্দাঙ্গদী।
বীরহা বিষমঃ শূন্যো ঘৃতাশীরচলশ্চলঃ।
••মহাভারত_
অনুশাসন পর্ব_অধ্যায়_149_শ্লোক_92
♦অনুবাদ (গীতা প্রেস)_বিষ্ণু হলেন,সোনার মতন পীত বর্ণবিশিষ্ট, সোনার মতন উজ্জ্বল অঙ্গবিশিষ্ট, সর্বশ্রেষ্ঠ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিশিষ্ট।
বিষ্ণুর গাত্র চন্দনের প্রলেপ এবং বাহুদ্বয় অলঙ্কার দ্বারা সুশোভিত।
বিষ্ণু হলেন মহান শূরবীর এবং শত্রুবিনাশকারী।
যার তুল্য কেউ নেই এমন অনুপম, সমস্ত বিশেষণ রহিত, দ্রবিত সংকল্পকারী, অচল, বায়ু রূপে সর্বত্র গমনকারী হলেন বিষ্ণু।
♦বিশ্লেষণ_শ্রীল জীব গোস্বামী এবং শ্রীল প্রভুপাদের মিথ্যাচার দেখুন!
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কিভাবে এবং কবে শূরবীর ও শত্রুবিনাশকারী হলেন?
মহাপ্রভু অচল কিভাবে হলেন, তিনি তো সচল হতেন!!
মহাপ্রভু বায়ুরূপে সর্বত্র গমনকারী ছিলেন এই কথা নিরেট মূর্খ বৈষ্ণব ছাড়া কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বিশ্বাস করবেন বলে মনে হয় না!!!
যজুর্বেদ অধ্যায়_40,মন্ত্র_8 অনুযায়ী ঈশ্বরের অবতার হয় না।
কিন্তু,বৈষ্ণব বেদ মানবে না।মানলে তো বৈষ্ণবদের খেটে খেতে হবে!! এই প্রভু প্রভু ব্যবসা না চললে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন সম্ভব নয়।

বিবেকানন্দের চোখে বৈষ্ণব সম্প্রদায়
স্বামী বিবেকানন্দের মতে,
♦1.বৈষ্ণবরা মদ ও মাংস না খেয়ে, শ্রীকৃষ্ণ,শ্রীরাম, শাস্ত্র ও মহাপুরুষদের বাক্য অবমাননা করছেন!
♦2.কীর্তন করলে ভয়ানক কামভাব জাগে।
♦3.বৈষ্ণব ধর্ম,বৌদ্ধ ধর্ম থেকে এসেছে।
♦4.বৈষ্ণব ধর্মে নোংরা যৌনাচার প্রবেশ করেছে।
♦1. মূর্খ শাস্ত্রহীন বৈষ্ণব:-----
"আধুনিক বৈষ্ণব পড়েছেন কিছু ফাঁপরে,
তাঁদের ঠাকুর রাম বা কৃষ্ণ মদ-মাংস দিব্যি ওড়াচ্ছেন,রামায়ণ-মহাভারতে রয়েছে।সীতাদেবী গঙ্গাকে মাংস,ভাত আর হাজার কলসী মদ মানছেন!
বর্তমান কালে শাস্ত্রও শুনবে না, মহাপুরুষ বলেছেন বললেও শোনে না।"
*গ্ৰন্থসূত্র*
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা
ষষ্ঠ খণ্ড_প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য_
আহার ও পানীয় _পৃষ্ঠা_136
প্রকাশক_উদ্বোধন কার্যালয়
♦2.কাম পাগল বৈষ্ণব:---
"যারা বড় ভাবপ্রবন তাদের কুণ্ডলিনী ফড়ফড় করে ওপরে ওঠে বটে,কিন্তু উঠতেও যতক্ষণ নাবতেও ততক্ষণ।যখন নাবেন তখন একেবারে সাধককে অধঃপাতে নিয়ে গিয়ে ছাড়েন।
এজন্য ভাবসাধনার সহায় কীর্তন-ফীর্তনের একটা ভয়ানক দোষ আছে।
নেচে কুঁদে সাময়িক উচ্ছ্বাসে ঐ শক্তির ঊর্ধ্বগতি হয় বটে, কিন্তু স্থায়ী হয় না,নিম্নগামিনী হবার কালে জীবের ভয়ানক কাম বৃত্তির আধিক্য হয়।"
**গ্ৰন্থসূত্র**
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা
নবম খন্ড_স্বামী-শিষ্য সংবাদ(43)_পৃষ্ঠা_154
প্রকাশক--উদ্বোধন কার্যালয়
♦ 3.বৌদ্ধ ছদ্মবেশী বৈষ্ণব:-
"বৌদ্ধ ও বৈষ্ণব ধর্ম আলাদা নয়।বৌদ্ধ ধর্ম মরে যাবার সময় হিন্দু ধর্ম তার কতকগুলি নিয়ম নিজেদের ভেতরে ঢুকিয়ে আপনার করে নিয়েছিল।
ঐ ধর্মই এখন ভারতবর্ষে বৈষ্ণব ধর্ম বলে বিখ্যাত।"
***গ্ৰন্থসূত্র***
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা নবম খন্ড_স্বামী-শিষ্য সংবাদ(26)_পৃষ্ঠা_95
প্রকাশক--উদ্বোধন কার্যালয়
♦4.যৌনাচারী বৈষ্ণব:-
আধুনিক বৈষ্ণব ধর্ম যা মৃত বৌদ্ধ ধর্মের কঙ্কালাবশিষ্ট---- তাতেও ঘোর বামাচার ঢুকেছে।
****গ্ৰন্থসূত্র****
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা নবম খন্ড_স্বামী-শিষ্য সংবাদ(27)_পৃষ্ঠা_99
প্রকাশক--উদ্বোধন কার্যালয়
♦ বিশ্লেষণ _বৈষ্ণবদের,বৈষ্ণবীয় গোবরে ভর্তি অতি উন্নত মস্তিষ্কের জন্য, বিবেকানন্দ যে উপহার দিয়েছেন,বৈষ্ণবরা,সাহস থাকলে রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে কেস করুন !
♦বৈষ্ণবরা যে ছদ্মবেশী বৌদ্ধ,এইটা বৈষ্ণবদের প্রাণপ্রিয় ভাগবত পুরাণ থেকেই প্রমাণ দিচ্ছি:----
♦ততঃ কলৌ সম্পবৃত্তে সম্মোহায় সুরদ্বিষাম্।
বুদ্ধো নাম্নাঞ্জনসুতঃ কীকটেষু ভবিষ্যতি।।
ভাগবত পুরাণ_স্কন্ধ_1_অধ্যায়_3_শ্লোক_24
•অর্থ_কলিযুগে আস্তিকদের হিংসাকারী নাস্তিকদের সম্মোহিত করার জন্য বুদ্ধদেব গয়া প্রদেশে,অঞ্জনার পুত্র-রূপে জন্ম গ্রহণ করবেন।
বৈষ্ণবদের পুরাণ'গুলোতে,
নাস্তিক বুদ্ধদেব স্বয়ং বিষ্ণুর অবতার।
বৈষ্ণবরা যে বৌদ্ধদের একটি শাখা ও বেদ বিরোধী নাস্তিক তা বৈষ্ণবীয় পুরাণ'গুলোতে,বেদ বিরোধী ও ঈশ্বরে অবিশ্বাসী নাস্তিক বুদ্ধদেবকে বিষ্ণুর অবতার ঘোষণা করার থেকেই প্রমাণ হয়।
সুতরাং, বৈষ্ণবরা ছদ্মবেশী বৌদ্ধ, বিবেকানন্দের এই যুক্তি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে একশো শতাংশ গ্ৰহণযোগ্য।
কীর্তন করলে ভয়ানক কামভাব জাগে :-স্বামী বিবেকানন্দ♦
আমাদের দেশের অনেক বিবাহিত নর-নারীর, শারীরিক উত্তেজনা খুব কম বা একেবারেই নেই অর্থাৎ এঁরা কাম-শীতলতায় ভোগেন!
অনেকেই লজ্জায় যৌন-বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন না।
তাঁদের জন্য সুখবর!!
ধর্ম-কর্ম ও বিনা মূল্যে চিকিৎসা তাঁদের একসাথে হবে!!
কিভাবে সম্ভব,সেই রাস্তাই দেখিয়েছেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ!!!
♦স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন যে,
কীর্তন করলে ভয়ানক কামভাব জাগে এবং বৈষ্ণবরা হলেন ছদ্ম বৌদ্ধ!!
প্রমাণ দেখুন:-----
♦ বিবেকানন্দের মতে,
কীর্তনের দোষ:----
"যারা বড় ভাবপ্রবন তাদের কুণ্ডলিনী ফড়ফড় করে ওপরে ওঠে বটে,কিন্তু উঠতেও যতক্ষণ নাবতেও ততক্ষণ।যখন নাবেন তখন একেবারে সাধককে অধঃপাতে নিয়ে গিয়ে ছাড়েন।
এজন্য ভাবসাধনার সহায় কীর্তন-ফীর্তনের একটা ভয়ানক দোষ আছে।
নেচে কুঁদে সাময়িক উচ্ছ্বাসে ঐ শক্তির ঊর্ধ্বগতি হয় বটে, কিন্তু স্থায়ী হয় না,নিম্নগামিনী হবার কালে জীবের ভয়ানক কাম বৃত্তির আধিক্য হয়।"
**গ্ৰন্থসূত্র_স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা _নবম খন্ড_স্বামী-শিষ্য সংবাদ_43_পৃষ্ঠা_154
প্রকাশক--উদ্বোধন কার্যালয়
♦বিশ্লেষণ_
স্বামী বিবেকানন্দের মতে,যাঁরা নেচে-কুঁদে কীর্তন-ফীর্তন করেন অর্থাৎ বৈষ্ণবদের এই নেচে কুঁদে কীর্তন-ফীর্তন করার জন্য,ভয়ানক কাম বা sex জাগে এবং পরিণামে বৈষ্ণবদের ভয়ানক অধঃপতন হয়!!!
বিচার করলে দেখা যায় যে, বৈষ্ণবদের,
সখী ভাবের সাধনা,কিশোরী সাধনা, অশ্লীল রাস ও দোল উৎসব,গুরু'প্রসাদী লীলা,
গোস্বামীদের শিষ্যের বৌয়ের সাথে নোংরা লীলা,
ভাগবত পুরাণ,ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,
গীত-গোবিন্দ ইত্যাদিতে নোংরা কাহিনীর বর্ণনা,রাধা নাম দিয়ে পরস্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ও অজাচার সমর্থন করা ইত্যাদি নোংরামী আছে।
স্বামী বিবেকানন্দ প্রতারক বৈষ্ণবদের চিনতে কোনো ভুল করেননি!!
♦ বিবেকানন্দের মতে, বৈষ্ণব মতের উৎপত্তি--
"বৌদ্ধ ও বৈষ্ণব ধর্ম আলাদা নয়।বৌদ্ধ ধর্ম মরে যাবার সময় হিন্দু ধর্ম তার কতকগুলি নিয়ম নিজেদের ভেতরে ঢুকিয়ে আপনার করে নিয়েছিল।ঐ ধর্মই এখন ভারতবর্ষে বৈষ্ণব ধর্ম বলে বিখ্যাত।"
**গ্ৰন্থসূত্র_স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা _নবম খন্ড_স্বামী-শিষ্য সংবাদ_26_পৃষ্ঠা_95
প্রকাশক--উদ্বোধন কার্যালয়
♦আধুনিক বৈষ্ণব ধর্ম যা মৃত বৌদ্ধ ধর্মের কঙ্কালাবশিষ্ট---- তাতেও ঘোর বামাচার ঢুকেছে।
**গ্ৰন্থসূত্র_স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা _নবম খন্ড_স্বামী-শিষ্য সংবাদ_27_পৃষ্ঠা_99
প্রকাশক--উদ্বোধন কার্যালয়
♦ বিশ্লেষণ_
স্বামী বিবেকানন্দের মতে,
বৈষ্ণব সম্প্রদায়,
বৌদ্ধদের থেকে জন্ম গ্ৰহণ করেছে।আমরা জানি,বৌদ্ধরা হল,বেদ বিরোধী নাস্তিক সম্প্রদায়।তাই,বৌদ্ধদের থেকে জন্ম নেওয়া,বৈষ্ণব সম্প্রদায় হল বেদ বিরোধী নাস্তিক সম্প্রদায়।
বৈষ্ণবরা প্রাচীন সনাতন সম্প্রদায়ের অংশ নয়।
পুরোপুরি বেদ বিরোধী নাস্তিক সম্প্রদায় হল বৈষ্ণবরা।
"বামাচার" হল ধর্মের নামে,তান্ত্রিকদের পালিত নোংরা যৌনাচার!
অর্থাৎ,স্বামী বিবেকানন্দের মতে,
বৈষ্ণব সম্প্রদায় নোংরা যৌনাচার পালন করেন!!
♦বৌদ্ধ মতবাদ যে,নাস্তিক মতবাদ তার প্রমাণ বৈষ্ণবদের অতি প্রিয় ভাগবত পুরাণ থেকেই দিলাম------
♦ততঃ কলৌ সম্পবৃত্তে সম্মোহায় সুরদ্বিষাম্।
বুদ্ধো নাম্নাঞ্জনসুতঃ কীকটেষু ভবিষ্যতি।।
ভাগবত পুরাণ_স্কন্ধ_1_অধ্যায়_3_শ্লোক_24
অর্থ_কলিযুগে আস্তিকদের হিংসাকারী নাস্তিকদের সম্মোহিত করার জন্য বুদ্ধদেব গয়া প্রদেশে,অঞ্জনার পুত্র-রূপে জন্ম গ্রহণ করবেন।
(মাথামোটা বৈষ্ণবরা,
বুদ্ধদেবকে ঈশ্বরের অবতার মনে করেন।)
♦বিঃ দ্রঃ_এই বৈষ্ণবরা ছদ্ম বৌদ্ধ ও প্রাচীন সনাতন ধর্মের অংশ না।
বৈষ্ণবদের কাজ হল,বেদ নিন্দা ও কলিযুগে বেদ অচল বলে ঘোষণা করা!
বেদ বিরোধীদের নাস্তিক বলা হয়।
এই নাস্তিক, ছদ্মবেশী বৌদ্ধ,
পশু'তুল্য বুদ্ধিবৃত্তির, রক্তচোষা পরজীবী বৈষ্ণবদের জীবন থেকে দূর করে দিন।

রাধার নাম নিয়ে গাধা বানানোর লক্ষে ইসকনঃ
মহাভারত, মহাভারতের অন্তর্গত হরিবংশ পুরাণ,বিষ্ণু পুরাণ আদিতে রাধার নাম নেই।
বৈষ্ণবদের নয়নের মণি,প্রাণের ধন ভাগবত পুরাণেও রাধার নাম নেই।
এই বিষয়টা অনেক বৈষ্ণব মেনে নিতে পারেন না।
বৈষ্ণবদের স্বভাব হল,প্রতারণা ও মিথ্যাচার করা।
ভাগবত পুরাণের,8.10.40 শ্লোক দিয়ে, বৈষ্ণবরা রাধার অস্তিত্ব প্রমাণ করাতে চান।
♦গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের নতুন ধর্ম-বাবা শ্রীল প্রভুপাদ এই শ্লোকের অনুবাদ কি করেছেন, দেখুন:----
কবন্ধাস্তত্র চোৎপেতুঃ পতিতস্বশিরোঽক্ষিভিঃ ।
উদ্যতায়ুধদোর্দণ্ডৈরাধাবন্তো ভটান্ মৃধে ॥
•ভাগবত পুরাণ_স্কন্ধ_8_অধ্যায়_10_শ্লোক_40
•অন্বয়_কবন্ধাঃ—— মস্তকবিহীন দেহ, তন্ত্র— সেখানে (যুদ্ধক্ষেত্রে); চ—ও; উৎপেতুঃ উৎপত্তি হয়েছিল; পতিত— নিপতিত, স্ব-শিরঃ-অক্ষিভিঃ—মস্তকস্থ চক্ষুর দ্বারা; উদ্যত—উত্তোলন করে; আয়ুধ—অস্ত্র; দোর্দণ্ডৈঃ— যাঁদের বাহু, আধাবন্তঃ — প্রতি ধাবিত হয়েছিল; ভটান্ — সৈন্যগণ, মৃধে — যুদ্ধক্ষেত্রে।
♦অনুবাদ_সেই যুদ্ধক্ষেত্রে,
যুদ্ধের ফলে,বহু গলা কাটা দেহ বা কবন্ধের উৎপত্তি হয়েছিল।
সেই গলা কাটা দেহগুলি, মাটিতে পড়ে থাকা তাদের মাথা বা মুখে অবস্থিত চোখের দ্বারা দেখতে পাচ্ছিল এবং হাতে অস্ত্র নিয়ে,শত্রু সৈন্যদের আক্রমণ করেছিল!!
♦বিশ্লেষণ _ইস্কনীদের ঠাকুরদা,
নব্য কালো অবতার প্রভুপাদ এই শ্লোকের "রাধাবন্ত" পদের অন্বয়ে ব্যাখ্যা করেছেন,"আধাবন্ত"বলে।
তাছাড়া, ভাগবত পুরাণের পুরো দশম অধ্যায়ে,দেবতা ও দানবদের যুদ্ধ বর্ণিত, সুতরাং, এখানে রাধার প্রসঙ্গ সঙ্গত কারণেই আসেনি।
তবে কিনা, মাটিতে পড়ে থাকা কাটা মাথার দেখতে পাওয়া ও সেই অনুযায়ী গলা কাটা দেহের যুদ্ধ করার এই উচ্চ বৈষ্ণবীয় বিজ্ঞানের সূক্ষ্ম ও গূঢ় তত্ত্ব, মহান বিজ্ঞানী প্রভুপাদই একমাত্র উপলদ্ধি করেছিলেন।
কিন্তু,অতীব দুঃখের বিষয় হল যে,
এই জড় জগতের মায়া কাটিয়ে,
মহান বৈজ্ঞানিক প্রভুপাদ গোলোক বৃন্দাবনে মেয়ে হয়ে প্রবেশ করে এখন শ্রীকৃষ্ণের বিছানা গরম করছেন।
(ব্রহ্মসংহিতা_5.56)
সুতরাং,সারা পৃথিবী এই গলাকাটা লাশের বিজ্ঞান তত্ত্ব থেকে বঞ্চিত হল!!
এ আপনি কি করলেন,কলির কালো অবতার প্রভুপাদ?!!!
অন্ততঃ, আপনার মুখ বেঁকা ধর্ম ছেলে প্রাক্তন গরুর মাংস খেকো খ্রীষ্টান জয়পতাকা স্বামীকে এই কবন্ধ বিজ্ঞানের জ্ঞান দান করে যেতে পারতেন!!!

বৈষ্ণবরা নিজেদের অচ্যুত গোত্র বলেন। যদিও, অচ্যুত গোত্র বলে,কোনো গোত্র সনাতনীদের নেই।
অচ্যুত হল,বিষ্ণুর নাম।
বৈষ্ণব ভক্তরা বিষ্ণুর সন্তানের মত বা সন্তান।
তাহলে,
বিষ্ণু=বরাহ বা শুয়োরের অবতার।
বৈষ্ণব=বিষ্ণুর সন্তান বা বাচ্চা।
(সুতরাং,দর্শনের আরোহী সূত্র অনুযায়ী,প্রমাণ হয় যে,)
♦বৈষ্ণব=বরাহ নন্দন.....!!
♦বৈষ্ণবরা সারাদিন দলবদ্ধ পশুর ন্যায়, চীৎকার করে, কীর্তন করেন।
অনেক বৈষ্ণব আবার চটুল হিন্দী, বাংলা বা ইংরেজি গানের সুর চুরি করে সেই সুরে কীর্তন করেন!
♦অথচ,বেদ, উপনিষদ আদি সব জায়গায় নির্জনে,একাকী ঈশ্বরের চিন্তা বা ধ্যান করতে বলা হয়েছে।
ঈশ্বর উপলদ্ধি করতে হলে,ধ্যান করা আবশ্যক।
কারোর নাম ধরে বারবার চীৎকার করলে তিনি যদি না আসেন,
তাহলে লক্ষবার চীৎকার করলেও
তিনি আসবেন না!!
♦যেমন,মুখে মিষ্টি মিষ্টি জপ করলে মিষ্টির স্বাদ পাওয়া যায় না তেমনি লক্ষবার শ্রীকৃষ্ণের নাম নিলেও শ্রীকৃষ্ণের সুন্দর গুণগুলো কোনো মানুষ অর্জন করতে পারেন না।
প্রার্থনা করার মূল উদ্দেশ্য হল,
ঈশ্বরের গুণ ও কর্ম অনুযায়ী নিজের গুণ ও কর্ম সংশোধন করার চেষ্টা করা।
♦মূর্খ বৈষ্ণবরা সান্নিপাতিক জ্বরের রোগীদের মত, উন্মাদের ন্যায় প্রলাপ বকেন ও পশুদের মত চীৎকার করে কীর্তন করে ভাবেন, তাঁরা অতি উচ্চমানের ধর্ম পালন করছেন ও পরকালের রাস্তা পরিষ্কার করছেন।
♦মূর্খ বৈষ্ণবদের কাছে মুক্তির অর্থ হল,
গোলোক বৃন্দাবনে মেয়ে হয়ে প্রবেশ করে, শ্রীকৃষ্ণের সাথে বিছানায় শুয়ে, যৌনমিলন করা!!
(ব্রহ্মসংহিতা_5.56 অনুযায়ী)
♦এই রক্তচোষা পরজীবী বৈষ্ণবরা
প্রচার করেন যে,
একবার হরিনামে যত পাপ হরে/জীবের সাধ্য কি তত পাপ করে।
কোনো বৈষ্ণবের যদি স্ত্রী-মেয়ে ধর্ষিতা হয়, এবং ধর্ষণ করার পর যদি অপরাধী হরিনাম নেয়,তাহলে কি সেই অপরাধীর সমস্ত পাপ হরি হরণ করে নেবেন?!!
দেশ থেকে,আইন,প্রশাসন, পুলিশ, উকিল, আদালত,বিচারক এদেরকে উৎখাত করে সমস্ত অপরাধীদের হরিনাম নেওয়া,গঙ্গা জলে স্নান করা বাধ্যতামূলক করা হোক!!
♦মূর্খ বৈষ্ণবরা ভাগবত আদি অশ্লীল
পুরাণ'গুলোকে ধর্ম গ্ৰন্থ মনে করে অথচ এই পুরাণের জন্য সনাতনীরা বিধর্মীদের কাছে অপদস্থ হয়!
♦বৈষ্ণবরা সনাতনীদের নপুংশক তৈরী করেছেন,করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন!
♦বাংলাদেশ থেকে এপাড়ে পালিয়ে আসা মানুষগুলোই তারস্বরে ফাটা কাঁসির ন্যায় গলায় কীর্তন করেন!
বৈষ্ণবরা পূর্বে বৌদ্ধ ছিলেন।
এখনও নিজেদের হিন্দু বলে স্বীকার করেন না।
ভবিষ্যতে বিধর্মী হতে, বৈষ্ণবদের আর মনে হয়, বেশি দেরি নেই!

বৈষ্ণবরা বলেন যে, কারাগারে শ্রীকৃষ্ণ অবতরণ করেছেন অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ জন্ম গ্ৰহণ করেননি।
গীতা_4/6-7-8তে
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,আমার জন্ম মৃত্যু নেই কিন্তু যোগমায়ার দ্বারা শরীর ধারণ করে আবির্ভূত হই!!
ভাগবত পুরাণের,10.5.2 শ্লোকের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে 277 পৃষ্ঠায় প্রভুপাদ বলেছেন যে,
যখন নবজাত শিশুর নাড়ীচ্ছেদ করা হয় তখন জাতকর্ম অনুষ্ঠিত হয়।
যদিও কারাগারে বসুদেব কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের নাড়ী কাটলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও, নন্দ মহারাজ শ্রীকৃষ্ণের জাতকর্মের অনুষ্ঠান করেছিলেন অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কোনো অপ্রাকৃত বিষয় নয় তা স্বাভাবিক ও প্রাকৃত বিষয় এই তথ্য নন্দ মহারাজ বসুদেবের কাছে পেয়েছিলেন!
অথবা,এই সম্ভাবনাও অঙ্কুরিত হয় যে, শ্রীকৃষ্ণ প্রকৃতপক্ষে যশোদা ও নন্দ মহারাজের সন্তান বসুদেব ও দেবকীর সন্তান নয়!!
♦ভাগবত পুরাণের প্রমাণ দেখুন:-
বাচয়িত্বা স্বস্ত্যয়নং জাতকর্মাত্মজস্য বৈ।
কারয়ামাস বিধিবৎ পিতৃদেবার্চনং তথা।।
•ভাগবত পুরাণ
স্কন্ধ_10_অধ্যায়_5_শ্লোক_2
অনুবাদ_ ব্রাহ্মণদের দ্বারা স্বস্তিবাচন করিয়ে নন্দ মহারাজ যথাবিধি পুত্রের জাতকর্ম সম্পাদন করিয়েছিলেন,
এবং দেবতা ও পিতৃপুরুষদের পূজার আয়োজনও করেছিলেন।
♦বিশ্লেষণ _দেহধারী জীবের জন্ম ও মৃত্যু আছে।
জীবের দেহ গঠিত হয় প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে আবার মৃত্যুতে সেই উপাদানগুলো প্রকৃতিতেই বিলীন হয়ে যায়।
ঋগ্বেদ_1.164.20 মন্ত্র প্রমাণ থেকে আমরা জানি যে, ঈশ্বর, জীবাত্মা ও প্রকৃতি অনাদি।
জীবাত্মা চিন্ময় হলেও শরীর চিন্ময় হয় না সুতরাং, শরীর'ধারী জীব মাত্রেই মৃত্যুর অধীন।
অপরদিকে,যজুর্বেদ_40.8 এর মন্ত্র প্রমাণ থেকে আমরা জানি যে, ঈশ্বর শরীর ধারণ করেন না।
ঈশ্বর শরীর ধারণ করলে,তাঁর ঈশ্বরত্ব লোপ পাবে কারণ শরীর ধারণ করতে হলে প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা সেই শরীর প্রস্তুত হবে এবং ঈশ্বর মৃত্যুর অধীন হয়ে যাবেন এবং ঈশ্বর সর্বব্যাপক থাকবেন না!!!
সুতরাং, ঈশ্বর জন্ম গ্ৰহণ করেন না।
♦শ্রীকৃষ্ণ জন্ম গ্ৰহণ করেছিলেন, বসুদেব ও দেবকীর যৌনমিলনের ফলে অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে, জড় দেহ ধারণ করেই।
সুতরাং, শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর নন।
♦শ্রীকৃষ্ণের নাড়ী কাটা হয়েছিল এবং তাঁর মৃতদেহ আগুনে পোড়ানো হয়েছিল সুতরাং শ্রীকৃষ্ণের দেহ, ভৌতিক দেহ মাত্র, চিন্ময় নয়।
♦ ঈশ্বর পুরুষ বা নারী!
ঈশ্বর জন্ম গ্ৰহণ করেন!
ঈশ্বর বিবাহ করেন!
ঈশ্বর যৌনমিলন করেন!
ঈশ্বরের ছেলে-মেয়ে হয়!
ঈশ্বর,শুয়োর,মাছ,কচ্ছপ আদি রূপ ধারণ করেন!
ঈশ্বর সম্পর্কে এই ধরণের বিশ্বাস ও ভাবনা হল,বেদ না জানার ফল।
♦বৈষ্ণব প্রভুদের কাছে আমার প্রশ্ন হল যে, শ্রীকৃষ্ণের বীর্য চিন্ময় না ভৌতিক?
যদি চিন্ময় হয়,তাহলে সেই বীর্য থেকে উৎপন্ন শ্রীকৃষ্ণের ছেলে মেয়েদের আপনারা ঈশ্বর'রূপে পুজো করেন না কেনো?
কারণ,শুয়োরের সন্তান শুয়োর হয়।
মানুষের সন্তান মানুষ হয়।
তাহলে, ঈশ্বরের সন্তান ঈশ্বর নন কেনো?!!
আর, ঈশ্বরের বাবা মা বসুদেব ও দেবকী ঈশ্বর নন কেনো?!!

সম্পাদনায়

সাগর বেদবাদী


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ