অহং সর্বস্য প্রভবো মত্তঃ সর্বং প্রবর্ততে।
ইতি মত্বা ভজন্তে মাং বুধা ভাবমমন্বিতাঃ।।__________গীতা-১০/৮
পদ০-অহম্। সর্বস্য। প্রভবঃ। মত্তঃ। সর্বম্। প্রবর্ত্ততর। ইতি। মত্বা। ভজন্তে। মাম্। বুধাঃ। ভাবমমন্বিতাঃ।।
পদার্থ-( অহম্) আমি ( সর্বস্য) সকলের ( প্রভবঃ) উৎপত্তি স্থান হই ( মত্তঃ) আমার থেকে ( সর্বম্) সমস্ত ( প্রবর্ত্ততে) প্রবৃত্ত হয়েছে ( ইতি) এভাবে ( মত্বা) মনে করে ( ভাবমমন্বিতাঃ বুধাঃ) আমার ভাবকে বুঝে বুদ্ধিমানরা ( মম্) আমাকে ( ভজন্তে) ভজন করে।
ভাষ্য-পরমাত্মাই সকলের উৎপত্তি-স্থান হয় কারণ তাঁর থেকেই এই সমস্ত সংসারবর্গের রচনা হয়েছে, এইরূপ বুঝে যে পরমাত্মার ভজন করে সেই বুদ্ধিমানরা তাঁর ভাবকে জানতে পারে,"সর্বস্য প্রভবঃ" এর সেই অর্থ হয় যে "বেদান্তার্য্যভাষ্য" ব্র০ সূ-১/১/২ তে বলা হয়েছে এবং এমনই ভাব থেকে "সর্ব খল্বিদং ব্রহ্ম তজ্জলানিতি শান্তমুপাসীত" ছান্দো০-৩/১৪/৪ তে পরমাত্মাকেই সমস্ত পদার্থের উৎপত্তি স্থান মানা হয়েছে,সেই ভাব এই হয "তস্মাজ্জায়ত ইতি তজ্জম্,তস্মিন্ লীয়ত ইতিতল্লম্,তস্মিন্ অনিতি প্রাণিতি ইতি তদসম্"= যে ব্রহ্ম থেকে উৎপন্ন হয়, তাঁতেই লয় হয়, তাঁতেই চেষ্টা করে, এরূপ পদার্থকে "তজ্জলান্" বলা হয়,উপনিষদে পরমাত্মার অভিন্ন নিমিত্তো-পাদানকারণ হওয়ার ভাব নয় কিন্তু সকলের অধিকরণ ভাব আছে এবং এই আশয় গীতার ৭ম অধ্যায়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে জগতের উপাদান- কারণ যে প্রকৃতি সেই পরমাত্মা থেকে ভিন্ন, এইজন্য এই সন্দেহ উৎপন্ন হতে পারে না যে পরমাত্মা অভিন্ন নিমিত্তো- পাদনকারণ হওয়াতে "অহম্ সর্বস্য প্রভবঃ" বলা হয়েছে, এবং যুক্তি এই যে সর্ব পদার্থের প্রভব অভিন্ন বুঝে যে পরমাত্মার ভক্তি বর্ণনা করা হয়েছে এতেও পরমাত্মা অভিন্ন নিমিত্তোপাদনকারণ পাওয়া যায় না, কারণ ভক্তি ভেদেই হতে পারে,অভেদে নয়।।
( ভাষ্যকার-মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত আর্যমুনি)
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ