পূর্বমীমাংসা ২/১/৩৩ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

03 April, 2023

পূর্বমীমাংসা ২/১/৩৩

 শেষে ব্রাহ্মণশব্দঃ।

পূর্বমীমাংসা-২/১/৩৩
পদ০-শেষে। ব্রাহ্মণশব্দঃ।

পদার্থ-( শেষে) উক্ত সূত্রের ব্যাখ্যানভূত ঐতরেয়াদি গ্রন্থের ( ব্রাহ্মণশব্দঃ) ব্রাহ্মণসংজ্ঞা হয়।
ভাষ্য-পরার্থের নাম "শেষ" অর্থাৎ যা উভয়ের উপকার্থ হয় যেমন স্বামীর জন্য ভূত্য, তাৎপর্য্য এই হয় যে উপকারকের নাম "শেষ" এবং উপকার্য্যের নাম "শেষী" হয়, শেষ, অঙ্গ, গৌণ এই তিনটি এবং শেষী, অঙ্গী তথা প্রধান এই তিনটি পর্য্যায় শব্দ হয়, ব্যাখ্যান ও ব্যাখ্যেয়ের শেষ হয় কারণ অর্থের বিশদ বর্ণনা করায় ওই তাঁর উপকারক হয়,অতএব ঐতরেয়াদি ব্যাখ্যান্ হওয়ায় বেদের শেষ হয়, এইজন্য সূত্রার্থ এই হয়েছে যে যা মন্ত্রের শেষ ঐতরেয়াদি গ্রন্থ "ব্রাহ্মণ" সংজ্ঞা হয়। এবং যে অধুনিক টীকাকারগণ "শেষ" পদের অর্থ "অবশেষ" করে ব্রাহ্মণ গ্রন্থকে বেদ সিদ্ধ করার চেষ্টার ওই মনোরথমাত্র। কারণ ব্যাখ্যান ও ব্যাখ্যেয়ের অবিষ্ট অংশই হয়,এইজন্য ঐতরেয়াদি ব্রাহ্মণকে বেদ বর্ণনা করা ঠিক নয় এবং উভয়ে নানা অর্থের সন্নিধি হওৃযার পর উপযুক্ত অর্থের গ্রহণ প্রকরণের অনুরোধ দ্বারা করতে হয় যেমন ভোজনের প্রকরণে সৈন্ধব পদ দ্বারা লবণের এবং বহির্গমণ প্রকরণে অশ্বরের গ্রহণ হয় তেমনই অবশেষ, পরার্থ আদি অনেক অর্থের সন্নিধান হওয়ার পরও "অবশেষ" অর্থের গ্রহণ করায় প্রকরণের অনুরোধ প্রতীত হয় না কারণ এখানে বেদ এবং তাঁর উপকারকের সংজ্ঞা বর্ণনা করার প্রকরণ যার মধ্যে সম্পূর্ণ বেদের মন্ত্র সংজ্ঞা বর্ণনা করেছি, এখন কেবল এর উপকারণের সংজ্ঞা বর্ণনা করা,যদি সূত্রস্থ শেষ পদের অর্থ "অবশেষ" করা হয় তবে প্রকরণ সর্বথা অসম্বদ্ধ হয়ে যায় এবং "পরার্থ" অর্থ করায় উক্ত দোষ আসে না,এইজন্য এখানে "শেষ" পদের অর্থ পরার্থই করা শ্রেষ্ঠ অবশেষ নয়। এখানে বিশেষভাবে স্মরণ করা উচিত ঋগ্বেদের "ঐতরেয়" সামবেদের "তান্ড্য" যজুর্বেদর "শতপথ" তথা অথর্ব্বেদর "গোপথ" ব্রাহ্মণ। অথবা বলুন "অথর্ব্বেদ" এর "যজুর্বেদে" অন্তরভাব হওয়ায় "শতপথ" তথা "গোপথ" এই দুই "যজুর্বেদ"এরই ব্রাহ্মণ "অথর্ব্বেদ" এর "যজুর্বেদে" অন্তরভাব আচার্য্য পরে স্বয়ং বর্ণনা করবেন এবং যা "যজুর্বেদ" এর তৈত্তিরেয় নামক ব্রাহ্মণ প্রসিদ্ধ করা হয়েছে তা ঠিক নয়,কারণ তাকে বৈদিক সমাজ থেকে বহিস্কৃত করা হয়েছে,এবং এতে মহর্ষি ব্যাস থেকে শুরু করে সকল পণ্ডিত একস্বরে সহমত। যেমন উক্ত ব্রাহ্মণ বৈদিক সমাজ থেকে বহিস্কৃত হওয়ার কারণে সম্মানজনক নয় তেমনই "কৃষ্ণযজুর্বেদ" নামক পুস্তকও সম্মানজনক নয়। যদিও ঐতরেয় আদি ব্রাহ্মণেও অনেক অধ্যায় তথা বাক্য এবং পদ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য পেছন থেকে মিশ্রিত করা হয়েছে
এগুলো ছাড়া বাকি সব অধ্যায়ই প্রাচীন ও মাননীয়।।___( ভাষ্যকার-পণ্ডিত আর্যমুনি)

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ